আয়েশা নামা-২০
ময়মনসিংহে পড়তে আসা ছেলে মেয়েরা
পড়াশোনার পাশাপাশি বাজার করার কৌশলটাও শিখে নেয় ধীরে ধীরে।।
এখানকার মেয়েরা সকালে উঠে বাজারে যায়।।
দোকানদারের সঙ্গে দর কষাকষি করে ভালো টমোটোগুলো কিনতে পারে সুন্দরভাবে।।
যেহেতু এখন শীত;
ফুলকপি শিম দিয়ে কোন মাছের তরকারি ভালো হবে সেটাও তারা শিখে ফেলছে সহসায়।। তাদের মায়েরা জেনে খুশি হবেন নিশ্চয়ই
যে তাদের রাজকণ্যা মেয়েটা সাংসারিক হচ্ছে ধীরে ধীরে।।
হলে থাকার সুবাদে আয়েশার অবশ্য বাজারে করতে হয়না। ডাইনিং ম্যানেজার তাকে এই মহতিকর্ম থেকে মুক্তি দিয়েছে।।।
মেসে অবস্থানরত বান্ধবীদের আগে থেকেই বলে রাখে যে, তারা যেদিন বাজারে যাবে আয়েশাকে যেন সাথে করে নিয়ে যায়।
কোন মহাজাগতিক টেনশনের কারণে আমি পরীক্ষার দিন সকালে কেন যে ভাত খেতে পারিনা জানিনা।। ঠিক এরকম টেনশন না হলেও সেদিনটার সকালের জন্যে তার আলাদা একটা উৎসবমুখর প্রস্তুতি থাকে।।।
মানুষের কত ব্যতিক্রমধর্মী শখ থাকে।
আয়েশারও শখ শীতের ভোরে বাজার দেখতে যাওয়া।। কাশ্মীরি শালের প্রতিবন্ধকতায় কুয়াশার চাদর স্পর্শ করতে পারেনা আয়েশাকে।।
মৃদু উষ্ণতায় তাকে মোহিত করে ধীরে ধীরে
তব পায়চারির সঙ্গ দিয়ে যায় সহসায়, কেউ টেরটুকুও পায় না।।।
ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজারের পসরা নিয়ে বসতে থাকে।। ওপার থেকে চরের কৃষকেরা নৌকা বোঝাই করে শীতের সবজি নিয়ে আসে প্রতিদিন।।
তাজা লাল শাক, পানসে লাউ,মিষ্টি কুমড়ো, ছোট ছোট নতুন আলু, চিচিঙ্গা, ছোট মাছ, আরো কতকিছুই।।
শখ করে সরিষা ফুল, হলুদ কুমড়ো ফুল শহুরে মালকিনেরা নিয়ে যায় বড়া খাওয়ার জন্য।। গরম ভাতের সঙ্গে খানিকটা ঘি আর গরম বড়া আলাদা নান্দনিকতা সৃষ্টি করে।।।
আয়েশা ঘুরে ঘুরে দেখে।।
এক মহিলার সবজি বিক্রেতার সঙ্গে ২০ টাকায় লালশাকের ৫ আটি কেনার তুমুল বাকযুদ্ধ
আয়েশা মুচকি হাসির সহিত দারুণভাবে উপভোগ করছে।।।।। হা হা হা!
সখিদের একজনের আরেকজনের প্রতি মুগ্ধ দৃষ্টিতে
গালভরা হাসি ও ঘুরার সঙ্গে সঙ্গে বাজারের ব্যাগও পুরো ভরে যায়।।।।।।।।
সূর্যমামা পূর্বকোনের সঙ্গে অভিমান করে ঈশানকোনের দিকে ক্রমশ সরে যেতে থাকে।। আয়েশাও তার শখের গুলবাগিচা ছেড়ে হলের দিকে রওনা দিয়ে দেয়।।।
বঙ্গপুরাণের একটি গল্প মনে পড়ে যায় যে,
এক রাক্ষুসি কৃষাণি ছিল যার পুকুরভর্তি মাছ, রাজহংস ,মুরগি, খরগোশ সহ সবজির বাগান ছিল।।
মায়াবি চোখভর্তি কতগুলো গরুও ছিল শুনেছিলাম।।
সমস্ত মোহমায়া ছেড়ে সে পালিয়ে গিয়েছিল সব আয়োজনকে পেছন ফেলে ।। তাকে কি কেউ মনে রেখেছিল? সম্ভবত না।।
কক্ষচ্যুত শুভ্র নক্ষত্রকে আকাশও যে মনে রাখেনা।।
আর সে ত রাক্ষুসি।।
তেমনি নিরব, মৌন আয়েশাকেও কি কেউ মনে রাখবে? জানিনা।
আয়েশা!
পড়াশোনার পাশাপাশি বাজার করার কৌশলটাও শিখে নেয় ধীরে ধীরে।।
এখানকার মেয়েরা সকালে উঠে বাজারে যায়।।
দোকানদারের সঙ্গে দর কষাকষি করে ভালো টমোটোগুলো কিনতে পারে সুন্দরভাবে।।
যেহেতু এখন শীত;
ফুলকপি শিম দিয়ে কোন মাছের তরকারি ভালো হবে সেটাও তারা শিখে ফেলছে সহসায়।। তাদের মায়েরা জেনে খুশি হবেন নিশ্চয়ই
যে তাদের রাজকণ্যা মেয়েটা সাংসারিক হচ্ছে ধীরে ধীরে।।
হলে থাকার সুবাদে আয়েশার অবশ্য বাজারে করতে হয়না। ডাইনিং ম্যানেজার তাকে এই মহতিকর্ম থেকে মুক্তি দিয়েছে।।।
মেসে অবস্থানরত বান্ধবীদের আগে থেকেই বলে রাখে যে, তারা যেদিন বাজারে যাবে আয়েশাকে যেন সাথে করে নিয়ে যায়।
কোন মহাজাগতিক টেনশনের কারণে আমি পরীক্ষার দিন সকালে কেন যে ভাত খেতে পারিনা জানিনা।। ঠিক এরকম টেনশন না হলেও সেদিনটার সকালের জন্যে তার আলাদা একটা উৎসবমুখর প্রস্তুতি থাকে।।।
মানুষের কত ব্যতিক্রমধর্মী শখ থাকে।
আয়েশারও শখ শীতের ভোরে বাজার দেখতে যাওয়া।। কাশ্মীরি শালের প্রতিবন্ধকতায় কুয়াশার চাদর স্পর্শ করতে পারেনা আয়েশাকে।।
মৃদু উষ্ণতায় তাকে মোহিত করে ধীরে ধীরে
তব পায়চারির সঙ্গ দিয়ে যায় সহসায়, কেউ টেরটুকুও পায় না।।।
ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজারের পসরা নিয়ে বসতে থাকে।। ওপার থেকে চরের কৃষকেরা নৌকা বোঝাই করে শীতের সবজি নিয়ে আসে প্রতিদিন।।
তাজা লাল শাক, পানসে লাউ,মিষ্টি কুমড়ো, ছোট ছোট নতুন আলু, চিচিঙ্গা, ছোট মাছ, আরো কতকিছুই।।
শখ করে সরিষা ফুল, হলুদ কুমড়ো ফুল শহুরে মালকিনেরা নিয়ে যায় বড়া খাওয়ার জন্য।। গরম ভাতের সঙ্গে খানিকটা ঘি আর গরম বড়া আলাদা নান্দনিকতা সৃষ্টি করে।।।
আয়েশা ঘুরে ঘুরে দেখে।।
এক মহিলার সবজি বিক্রেতার সঙ্গে ২০ টাকায় লালশাকের ৫ আটি কেনার তুমুল বাকযুদ্ধ
আয়েশা মুচকি হাসির সহিত দারুণভাবে উপভোগ করছে।।।।। হা হা হা!
সখিদের একজনের আরেকজনের প্রতি মুগ্ধ দৃষ্টিতে
গালভরা হাসি ও ঘুরার সঙ্গে সঙ্গে বাজারের ব্যাগও পুরো ভরে যায়।।।।।।।।
সূর্যমামা পূর্বকোনের সঙ্গে অভিমান করে ঈশানকোনের দিকে ক্রমশ সরে যেতে থাকে।। আয়েশাও তার শখের গুলবাগিচা ছেড়ে হলের দিকে রওনা দিয়ে দেয়।।।
বঙ্গপুরাণের একটি গল্প মনে পড়ে যায় যে,
এক রাক্ষুসি কৃষাণি ছিল যার পুকুরভর্তি মাছ, রাজহংস ,মুরগি, খরগোশ সহ সবজির বাগান ছিল।।
মায়াবি চোখভর্তি কতগুলো গরুও ছিল শুনেছিলাম।।
সমস্ত মোহমায়া ছেড়ে সে পালিয়ে গিয়েছিল সব আয়োজনকে পেছন ফেলে ।। তাকে কি কেউ মনে রেখেছিল? সম্ভবত না।।
কক্ষচ্যুত শুভ্র নক্ষত্রকে আকাশও যে মনে রাখেনা।।
আর সে ত রাক্ষুসি।।
তেমনি নিরব, মৌন আয়েশাকেও কি কেউ মনে রাখবে? জানিনা।
আয়েশা!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ২৮/১১/২০২৪
-
শ.ম. শহীদ ২৮/১১/২০২৪নিঃসন্দেহে চমৎকার লেখেন আপনি। অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইল।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৮/১১/২০২৪সুন্দর গল্প
খুব ভালো লাগল