আয়েশা নামা-১৯
গোধূলি চলে গেলেই আয়েশার সঙ্গে দেখা ইচ্ছে করে ভীষণ। আবছা আলোতে তার মুখাবয়ব দেখতে বেশ লাগে। খানিক বুঝা যায়, খানিক প্রচ্ছন্ন।
সাক্ষাতের সংবাদ পাওয়া মাত্রই মেয়েটা নামতে থাকে নাফিসা হলের আরোহণী বেয়ে ধীরপায়ে।। নেই কোনো নিক্কনের ধ্বনি।।।। সহসা এক তরুণীর যাত্রা হবে যেন কোনো আগন্তুক বরাবর।
সবশেষে সে পৌছায় সবুজ মাঠের ঘাসগুচ্ছে; আসন পেতে অপেক্ষা করে স্রষ্টার কোনো এক মাখলুকের জন্য।
কে জানিত হেমন্তের পাতা ঝরার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আমার বনবিথিকা থেকেও পিতৃপ্রদত্ত কিশলয়ও একে একে ঝরে পড়বে।।।
সাক্ষাতে মুচকি হাসির বিনিময় হচ্ছে।
স্পষ্টত দেখতে পাচ্ছি, তার মধ্যে শূণ্যতার সংকোচবোধ, টের পাচ্ছি ঠিক কিন্তু ধরতে পারছিনা।।
মেয়েটি সহসায় বিব্রত হচ্ছে
সেদিনকার মতো কখন এই দারিদ্রপ্রবণ ছেলেটি তার কাছে হাত পেতে বসে,
"দু হাজার টাকা হবে সুপ্রভা,"
সামনে মাসে বাবা পাঠালেই দিয়ে দিব।
জাতকে আছে, উচ্চবিত্তরা স্বভাবসুলভ দরিদ্রদের করুণার দৃষ্টিতে
দেখে,কেউ কেউ ঘৃণাও করে দূরে থাকতে চায়।।
ঘৃণা করার থেকেও সবচেয়ে বেশি ভয় পায় ,যে কখন কি চেয়ে বসে বেচারারা।।।।।।
যদিও আয়েশার মধ্যে ভয়, ঘৃণার রেশটুকুও আমি পাইনি।।।যে ভেবে ভেবে ব্যথা পাচ্ছে টাকার অনুপ্রবেশে আমাদের সম্পর্কটা বুঝি ভেস্তে যায়।।
টাকা এমন জীবন্ত অস্ত্র যার মাধ্যমে বন্ধু- শত্রুর সঙ্গে নিজেকেও শেষ করে দেওয়া যায়।।।।।।
আমি অবশ্য এসব চাইনা।
জ্ঞানীরা বলেন, মৃত্যুতে যদি সুন্দর স্নিগ্ধতা থাকে তবে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার মধ্যে রয়েছে সার্থকতা।।
একটা বড়লোক বাপের মেয়েটাকে সহসায় দারিদ্রতার দিকে ঠেলে দিতে পারিনা। এ ভারী অন্যায়। এ আমি পারবনা।
মার্কস, লেলিন,রুশো, চে গুয়েভারা এতো প্রণয়, ঐশ্বর্য মিথ্যে হতে পারেনা দুহাজার টাকার কাছে।
আজকার আলাপ যেন প্রলাপের বেশ ধরে অপলাপ হয়ে না বসায়।
ভাবছো কি এতো!
এদিকে আসো আয়েশা,
তোমার সিথি বরাবর ঠান্ডা তেল দিয়ে দেই।
বিনুনিও করতে পারি; তুলে দিবো কেমন!
আয়েশার নিরব অভিব্যক্তি পেয়ে আমি বিনুনি শেষ করেছি।।।।।
সোহাগ মমতায় আচ্ছন্ন তার তেলাবৃত কেশগুচ্ছ নিয়ে শুয়ে আছে সে নাফিসা হলে।
আয়েশা! ঝিনুকের ন্যায় নিরবে সহে যায় আয়েশা!
সাক্ষাতের সংবাদ পাওয়া মাত্রই মেয়েটা নামতে থাকে নাফিসা হলের আরোহণী বেয়ে ধীরপায়ে।। নেই কোনো নিক্কনের ধ্বনি।।।। সহসা এক তরুণীর যাত্রা হবে যেন কোনো আগন্তুক বরাবর।
সবশেষে সে পৌছায় সবুজ মাঠের ঘাসগুচ্ছে; আসন পেতে অপেক্ষা করে স্রষ্টার কোনো এক মাখলুকের জন্য।
কে জানিত হেমন্তের পাতা ঝরার সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আমার বনবিথিকা থেকেও পিতৃপ্রদত্ত কিশলয়ও একে একে ঝরে পড়বে।।।
সাক্ষাতে মুচকি হাসির বিনিময় হচ্ছে।
স্পষ্টত দেখতে পাচ্ছি, তার মধ্যে শূণ্যতার সংকোচবোধ, টের পাচ্ছি ঠিক কিন্তু ধরতে পারছিনা।।
মেয়েটি সহসায় বিব্রত হচ্ছে
সেদিনকার মতো কখন এই দারিদ্রপ্রবণ ছেলেটি তার কাছে হাত পেতে বসে,
"দু হাজার টাকা হবে সুপ্রভা,"
সামনে মাসে বাবা পাঠালেই দিয়ে দিব।
জাতকে আছে, উচ্চবিত্তরা স্বভাবসুলভ দরিদ্রদের করুণার দৃষ্টিতে
দেখে,কেউ কেউ ঘৃণাও করে দূরে থাকতে চায়।।
ঘৃণা করার থেকেও সবচেয়ে বেশি ভয় পায় ,যে কখন কি চেয়ে বসে বেচারারা।।।।।।
যদিও আয়েশার মধ্যে ভয়, ঘৃণার রেশটুকুও আমি পাইনি।।।যে ভেবে ভেবে ব্যথা পাচ্ছে টাকার অনুপ্রবেশে আমাদের সম্পর্কটা বুঝি ভেস্তে যায়।।
টাকা এমন জীবন্ত অস্ত্র যার মাধ্যমে বন্ধু- শত্রুর সঙ্গে নিজেকেও শেষ করে দেওয়া যায়।।।।।।
আমি অবশ্য এসব চাইনা।
জ্ঞানীরা বলেন, মৃত্যুতে যদি সুন্দর স্নিগ্ধতা থাকে তবে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার মধ্যে রয়েছে সার্থকতা।।
একটা বড়লোক বাপের মেয়েটাকে সহসায় দারিদ্রতার দিকে ঠেলে দিতে পারিনা। এ ভারী অন্যায়। এ আমি পারবনা।
মার্কস, লেলিন,রুশো, চে গুয়েভারা এতো প্রণয়, ঐশ্বর্য মিথ্যে হতে পারেনা দুহাজার টাকার কাছে।
আজকার আলাপ যেন প্রলাপের বেশ ধরে অপলাপ হয়ে না বসায়।
ভাবছো কি এতো!
এদিকে আসো আয়েশা,
তোমার সিথি বরাবর ঠান্ডা তেল দিয়ে দেই।
বিনুনিও করতে পারি; তুলে দিবো কেমন!
আয়েশার নিরব অভিব্যক্তি পেয়ে আমি বিনুনি শেষ করেছি।।।।।
সোহাগ মমতায় আচ্ছন্ন তার তেলাবৃত কেশগুচ্ছ নিয়ে শুয়ে আছে সে নাফিসা হলে।
আয়েশা! ঝিনুকের ন্যায় নিরবে সহে যায় আয়েশা!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৬/১১/২০২৪বেশ সুন্দর
-
ফয়জুল মহী ০৬/১১/২০২৪খুব সুন্দর উপস্থাপন।