আয়েশা নামা-১৮
শীতের রাতে নাফিসা হলের সবাই যখন সুখনিদ্রায় আচ্ছন্ন
তখন তোমার প্রফুল্ল মন আচমকা জাগিয়া উঠেছে।
কি যে বহিঃপ্রকাশ করিতে উদ্যত হইতেছে তোমার দেহাবয়ব ঠিক অনুমান করা যাইতেছেনা।।।।।
যেন কৈলাসের মৃদঙ্গের ধ্বনি তোমার কর্ণকুহরে বাজিতেছে করুণ সুরে।
তুমি নিঃশব্দে পুরো বারান্দায় এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঠুমকির তালে কুয়াশারে আহ্বান জানাইতেছো
যে নাতিশীতোষ্ণ বঙ্গদেশে তুষারপাত হলে মন্দ হতো কিনা?
জানো কি, তোমার চক্ষুদ্বয় নয়, শুভ্র দেহকায় নয়,
তোমার রাত্রির শেষ প্রহরের এই যে চঞ্চলতা, আমাকে লাটিমের মতো ক্রমশ ঘুরাইয়া অবশেষে সবুজ ঘাসের মাঠে লুটাইয়া ফেলে দেয়।।। আমি বোকা শিশুর মতো বনে যাই।।
মতিভ্রম কাটাইয়া ভাবান্তর করি,
চলো আয়েশা,তোমাকে কল্পনার বোরাকে চড়ে সেই প্রাচীর ঘেরা রাক্ষসপুরীতে
নিয়ে যাই,যেখানে এক সাইকোপ্যাথ রক্তাক্ত হাত নিয়ে নিঃসংকোচে নাক ডেকে ঘুমাইতেছে।
আমার ভীষণ ইচ্ছে তুমি সেই রাক্ষুসীর সামনে অনবরত ঘুঙুরের ছন্দে, নিক্কণের ঝংকারে তাহার ঘুম ভাঙিয়া দেও।।। নিদ্রাভঙ্গ হওয়া মাত্রই তাহার কলিজাটা শুকিয়ে যাক প্রবল তৃষ্ণায়।
বেদুইন চোখে সে চেয়ে দেখুক যে তারি জন্যে বরাদ্দকৃত শূন্য পানির গ্লাসটি তার অসহায়ত্ত্বের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছে।।
সে যেন ভেবে ভেবে ব্যথা পায়, কি করিয়া এই দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেদ করিয়া ষোড়শী তরুণী এই কাজ সমধা করিল।
ইতোমধ্যেই জানাজানি শোরগোল পড়িয়া যাবে নিশ্চয়ই দুই মুলুকে।।তোমার নামে হুলিয়া জারি হয়েছে।।।
আইসো, সুপ্রভা! তোমাকে পালাইবার পথ খুজিয়া দেই।
কোথায় আশ্রয়ে যেতে যাও আয়েশা! সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ জলধারার পাশের ঐ গারো পাহাড়ে
নাকি প্রেমময় আজাদ কাশ্মীরে।
যদিও কাশ্মীর পালিয়ে থাকার জন্য বেশ অনুকূল স্থান।
আবহাওয়া মানানসই।
ধরো তুমি পর্বতের এক পাদদেশে জিলবাব পরে আটার খামির বানাচ্ছো
আমি পাশে বসে দেখছি
তোমার রুটি গোল থেকে ক্রমশ আরো গোল হয়,
উনুন থেকে আমার মুখে চলে যায়,
আমার আনন্দের সীমা থাকে না। এই ত চেয়েছিলাম আমি; খোদা।।।
ওদিকে রাক্ষুসীটার সামনে এতো এত পোলাও কোর্মা, ঝুড়ি ভর্তি সিন্ধের বরফী আঙুর।
কিন্তু খেতে পারছে না।।
গিলতে গিয়েই শুভ্র ভাতে ভেসে উঠছে রক্ত। লাল রক্ত।
রাক্ষসীর পিপাসা ক্রমশ যেন বাড়তেই থাকে।।
ওদিকে আয়েশাকে খুজে পায় না পুলিশ, গোয়েন্দারা।
একপাল মেষের পাশে ছোট্ট একটা কামরায় জোছনার রাত্রিতে সে ঘুমিয়ে থাকে আপনমনে।।
আয়েশা! শুধু অভিমানী নয় এখন থেকে সাহসী মেয়েটাও হলো আয়েশা!
তখন তোমার প্রফুল্ল মন আচমকা জাগিয়া উঠেছে।
কি যে বহিঃপ্রকাশ করিতে উদ্যত হইতেছে তোমার দেহাবয়ব ঠিক অনুমান করা যাইতেছেনা।।।।।
যেন কৈলাসের মৃদঙ্গের ধ্বনি তোমার কর্ণকুহরে বাজিতেছে করুণ সুরে।
তুমি নিঃশব্দে পুরো বারান্দায় এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ঠুমকির তালে কুয়াশারে আহ্বান জানাইতেছো
যে নাতিশীতোষ্ণ বঙ্গদেশে তুষারপাত হলে মন্দ হতো কিনা?
জানো কি, তোমার চক্ষুদ্বয় নয়, শুভ্র দেহকায় নয়,
তোমার রাত্রির শেষ প্রহরের এই যে চঞ্চলতা, আমাকে লাটিমের মতো ক্রমশ ঘুরাইয়া অবশেষে সবুজ ঘাসের মাঠে লুটাইয়া ফেলে দেয়।।। আমি বোকা শিশুর মতো বনে যাই।।
মতিভ্রম কাটাইয়া ভাবান্তর করি,
চলো আয়েশা,তোমাকে কল্পনার বোরাকে চড়ে সেই প্রাচীর ঘেরা রাক্ষসপুরীতে
নিয়ে যাই,যেখানে এক সাইকোপ্যাথ রক্তাক্ত হাত নিয়ে নিঃসংকোচে নাক ডেকে ঘুমাইতেছে।
আমার ভীষণ ইচ্ছে তুমি সেই রাক্ষুসীর সামনে অনবরত ঘুঙুরের ছন্দে, নিক্কণের ঝংকারে তাহার ঘুম ভাঙিয়া দেও।।। নিদ্রাভঙ্গ হওয়া মাত্রই তাহার কলিজাটা শুকিয়ে যাক প্রবল তৃষ্ণায়।
বেদুইন চোখে সে চেয়ে দেখুক যে তারি জন্যে বরাদ্দকৃত শূন্য পানির গ্লাসটি তার অসহায়ত্ত্বের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছে।।
সে যেন ভেবে ভেবে ব্যথা পায়, কি করিয়া এই দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেদ করিয়া ষোড়শী তরুণী এই কাজ সমধা করিল।
ইতোমধ্যেই জানাজানি শোরগোল পড়িয়া যাবে নিশ্চয়ই দুই মুলুকে।।তোমার নামে হুলিয়া জারি হয়েছে।।।
আইসো, সুপ্রভা! তোমাকে পালাইবার পথ খুজিয়া দেই।
কোথায় আশ্রয়ে যেতে যাও আয়েশা! সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ জলধারার পাশের ঐ গারো পাহাড়ে
নাকি প্রেমময় আজাদ কাশ্মীরে।
যদিও কাশ্মীর পালিয়ে থাকার জন্য বেশ অনুকূল স্থান।
আবহাওয়া মানানসই।
ধরো তুমি পর্বতের এক পাদদেশে জিলবাব পরে আটার খামির বানাচ্ছো
আমি পাশে বসে দেখছি
তোমার রুটি গোল থেকে ক্রমশ আরো গোল হয়,
উনুন থেকে আমার মুখে চলে যায়,
আমার আনন্দের সীমা থাকে না। এই ত চেয়েছিলাম আমি; খোদা।।।
ওদিকে রাক্ষুসীটার সামনে এতো এত পোলাও কোর্মা, ঝুড়ি ভর্তি সিন্ধের বরফী আঙুর।
কিন্তু খেতে পারছে না।।
গিলতে গিয়েই শুভ্র ভাতে ভেসে উঠছে রক্ত। লাল রক্ত।
রাক্ষসীর পিপাসা ক্রমশ যেন বাড়তেই থাকে।।
ওদিকে আয়েশাকে খুজে পায় না পুলিশ, গোয়েন্দারা।
একপাল মেষের পাশে ছোট্ট একটা কামরায় জোছনার রাত্রিতে সে ঘুমিয়ে থাকে আপনমনে।।
আয়েশা! শুধু অভিমানী নয় এখন থেকে সাহসী মেয়েটাও হলো আয়েশা!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২২/১০/২০২৪বেশ ভাবনাময়
-
ফয়জুল মহী ২১/১০/২০২৪খুবই চমৎকার প্রকাশ ।
-
আলমগীর সরকার লিটন ২১/১০/২০২৪বাহ সুন্দর শুভ কামনা