ময়মনসিংহ জংশন
AMC-র মুক্তমঞ্চের ঘনঘোর সন্ধ্যায় একরাশ অভিমান নিয়ে এক ষোড়শী তরুণী বসে আছে।। চুলগুলো কিছুটা অগোছালো হয়ে চিরুণীর শূণ্যতা অনুভব করছে সহসায় তার ।
কৃষ্ণবর্ণের সেই তরুণীর চক্ষুযুগল বেয়ে ঝড়ে পড়ছে হৃদয়বক্ষের পুঞ্জিভূত শত ক্ষোভ।।।।
সেই ক্ষোভে রক্তিম হয়নি তার কপোল, হয়েছে ঈষৎ কালো।।।
মনের আকাশ থেকে মাত্রই কক্ষচ্যুত হয়ে গেল তার পছন্দের নক্ষত্র।। এত এত দীর্ঘশ্বাস, টলটলে চোখে সে নিজেকে বুঝাতে পারতেছে না। নিশ্চুপ কাকতাড়ুয়ার মতো তাকিয়ে রয়েছে অসীম পানে।।
ইকটুকু জোৎস্নাও নেই আকাশজুড়ে, প্রকৃতির কি নিষ্ঠুরতা, নাহলে এই পরিস্থিতিকে তরুণীর চুল বেয়ে জোৎস্না বেয়ে গেলে কতই না সুন্দর লাগতো,
অন্তত অভিমানী মুখখানা জোৎস্নায় ঢেকে যেত।
কে সামাল দিবে তাকে, কে বুঝাবে বেঁচে থাকার সার্থকতা, কাদঁলে মানুষ নাকি হালকা হয়, হয়তো কিছুটা। একপ্রহর কাটিয়ে হঠাৎই ভাববার পায়,
""না! এমনে জীবন চলে না""।।।
কপালকূন্ডলার মতো সেও এক অভিমানী প্রাণী।
নিজেকে গুটিয়ে নেয় পৃথিবী থেকে, যেমনে গুটিয়ে নেয় আমারে দেখলে...........!।।
হুইশাল ! যমুনা এক্সপ্রস প্রবেশ করছে আপন মহিমায় বৃহত্তর ময়মনসিংহে ।।।
রেলক্রসিং এর সামনে নিজেকে আচমকা সপে দিয়েছে সে। শেষ হলো জীবনের সব লেনদেন।।।
জোৎস্না মাখানো চুলগুলো গড়াগড়ি খাচ্ছে শহরের ধূলোয়।।।
কোথাও কেউ নেই।।।।
যে বোকা উদ্ভিদ নাকি মানুষের কাছে প্রেম চেয়েছিলো,
এখন সেই অবণ্টিত প্রেমের অংশিদার হবে মৃত্তিকা, শুয়োপোকা,।।।।।
ভাগ্যক্রমে তার দেহাবশেষ মিশ্রিত মাটি যদি কোনো ফসল উৎপাদনে কাজে লাগে।।
সেই উৎপাদিত ফসল ভক্ষণ করে বোকা উদ্ভিদ।।
কিছুটা করুণা কি তবে তার প্রতি জন্মাবে?
জানা নেই।।
যমুনা এক্সপ্রেস পৌছে গিয়েছে ময়মনসিংহ জংশনে
তরুণীর জীবন কোন জংশনে গিয়ে পৌছে ছে তা কেউ জানেনা। কেউ জানেনা। ।।।।।।
কৃষ্ণবর্ণের সেই তরুণীর চক্ষুযুগল বেয়ে ঝড়ে পড়ছে হৃদয়বক্ষের পুঞ্জিভূত শত ক্ষোভ।।।।
সেই ক্ষোভে রক্তিম হয়নি তার কপোল, হয়েছে ঈষৎ কালো।।।
মনের আকাশ থেকে মাত্রই কক্ষচ্যুত হয়ে গেল তার পছন্দের নক্ষত্র।। এত এত দীর্ঘশ্বাস, টলটলে চোখে সে নিজেকে বুঝাতে পারতেছে না। নিশ্চুপ কাকতাড়ুয়ার মতো তাকিয়ে রয়েছে অসীম পানে।।
ইকটুকু জোৎস্নাও নেই আকাশজুড়ে, প্রকৃতির কি নিষ্ঠুরতা, নাহলে এই পরিস্থিতিকে তরুণীর চুল বেয়ে জোৎস্না বেয়ে গেলে কতই না সুন্দর লাগতো,
অন্তত অভিমানী মুখখানা জোৎস্নায় ঢেকে যেত।
কে সামাল দিবে তাকে, কে বুঝাবে বেঁচে থাকার সার্থকতা, কাদঁলে মানুষ নাকি হালকা হয়, হয়তো কিছুটা। একপ্রহর কাটিয়ে হঠাৎই ভাববার পায়,
""না! এমনে জীবন চলে না""।।।
কপালকূন্ডলার মতো সেও এক অভিমানী প্রাণী।
নিজেকে গুটিয়ে নেয় পৃথিবী থেকে, যেমনে গুটিয়ে নেয় আমারে দেখলে...........!।।
হুইশাল ! যমুনা এক্সপ্রস প্রবেশ করছে আপন মহিমায় বৃহত্তর ময়মনসিংহে ।।।
রেলক্রসিং এর সামনে নিজেকে আচমকা সপে দিয়েছে সে। শেষ হলো জীবনের সব লেনদেন।।।
জোৎস্না মাখানো চুলগুলো গড়াগড়ি খাচ্ছে শহরের ধূলোয়।।।
কোথাও কেউ নেই।।।।
যে বোকা উদ্ভিদ নাকি মানুষের কাছে প্রেম চেয়েছিলো,
এখন সেই অবণ্টিত প্রেমের অংশিদার হবে মৃত্তিকা, শুয়োপোকা,।।।।।
ভাগ্যক্রমে তার দেহাবশেষ মিশ্রিত মাটি যদি কোনো ফসল উৎপাদনে কাজে লাগে।।
সেই উৎপাদিত ফসল ভক্ষণ করে বোকা উদ্ভিদ।।
কিছুটা করুণা কি তবে তার প্রতি জন্মাবে?
জানা নেই।।
যমুনা এক্সপ্রেস পৌছে গিয়েছে ময়মনসিংহ জংশনে
তরুণীর জীবন কোন জংশনে গিয়ে পৌছে ছে তা কেউ জানেনা। কেউ জানেনা। ।।।।।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মাহবুব নেওয়াজ মুন্না ১০/১১/২০২৩পড়ে ভালো লাগল।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ২৪/১০/২০২৩বেশ সুন্দর লেখনী।
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ২২/১০/২০২৩বেশ ভালো লাগলো!