আয়েশা নামা -১০
১ম বর্ষ ফাইনাল। চারিদিকে চলছে মহা আয়োজন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঘুম শেষ।
২০~২৫ দিনে পড়ে কিভাবে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া যায় তার নমুনা দেখবে জাতি শীঘ্রই ।।
বাংলা সাহিত্যের শিক্ষার্থী হিসেবে একাডেমিক ৪টি কাব্যগন্থ আর ৪টি উপন্যাস পড়ে শেষ করেছে আয়েশা। বাকি বিষয়গুলি এখনো তার অধরা।
রুটিন প্রকাশের পর পরীক্ষা-অবধি যে সময়টুকু হাতে থাকে তাতেই পড়াশোনা করে কোনোরকম পাশ করবে সে। আগেই বলেছি ওর গৎবাঁধা পড়াশোনার প্রতি কোনো আগ্রহ নেই।।
হলে থাকা তার ব্যাচমেইট এক বান্ধুবি তার ছেলেবন্ধুকে বলেছে পরীক্ষার এই মাস ফোনে কথা না বলতে; আরেক বান্ধবী নামাজ শুরু করেছে।
সারাবছর যার সূর্যোদয় দেখার সৌভাগ্য হতো না, সে এখন ফজরের সময় এলার্ম দেয়, মাঝেমধ্যে নাকি তাহাজ্জুদও পড়ে।। ফাইনাল পরীক্ষা বলে কথা।।
পরীক্ষা নিকটবর্তী হলে শিক্ষার্থীদের খোদাভীরু হওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়তে থাকে।।
তখন খোদাই সব, ভালো রেজাল্ট পাস-ফেল সবিই খোদার হাতে।। তাদের পেলে জিজ্ঞেস করতাম
এর আগে খোদা কোথায় থাকে? লা জবাব।।
এই পরীক্ষার বাইরেও যে খোদা জন্ম থেকে আমৃত্যু অবধি আমাদের পরীক্ষা নিতেছেন তাহার জন্য আমাদের প্রস্তুতি কেমন?!
উম্মতে মোহাম্মদীকে এই কথা কেই বা বুঝাবে।
আয়েশা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে ওদের পরীক্ষার প্রস্তুতি।
তার বান্ধবীর ৫ বার সেজদায় লুটিয়ে পড়ছে শুভ্র চর্ম।
কাকে পাওয়ার উদ্দেশ্য ; খোদা নাকি ভালো রেজাল্ট?
আয়েশার বুঝে আসেনা।।
ব্যালকনিতে গিয়ে দাড়িয়ে থাকে একাকী খোলাচুলে ।
আয়েশা!!
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঘুম শেষ।
২০~২৫ দিনে পড়ে কিভাবে ফার্স্ট ক্লাস পাওয়া যায় তার নমুনা দেখবে জাতি শীঘ্রই ।।
বাংলা সাহিত্যের শিক্ষার্থী হিসেবে একাডেমিক ৪টি কাব্যগন্থ আর ৪টি উপন্যাস পড়ে শেষ করেছে আয়েশা। বাকি বিষয়গুলি এখনো তার অধরা।
রুটিন প্রকাশের পর পরীক্ষা-অবধি যে সময়টুকু হাতে থাকে তাতেই পড়াশোনা করে কোনোরকম পাশ করবে সে। আগেই বলেছি ওর গৎবাঁধা পড়াশোনার প্রতি কোনো আগ্রহ নেই।।
হলে থাকা তার ব্যাচমেইট এক বান্ধুবি তার ছেলেবন্ধুকে বলেছে পরীক্ষার এই মাস ফোনে কথা না বলতে; আরেক বান্ধবী নামাজ শুরু করেছে।
সারাবছর যার সূর্যোদয় দেখার সৌভাগ্য হতো না, সে এখন ফজরের সময় এলার্ম দেয়, মাঝেমধ্যে নাকি তাহাজ্জুদও পড়ে।। ফাইনাল পরীক্ষা বলে কথা।।
পরীক্ষা নিকটবর্তী হলে শিক্ষার্থীদের খোদাভীরু হওয়ার প্রবণতা ক্রমশ বাড়তে থাকে।।
তখন খোদাই সব, ভালো রেজাল্ট পাস-ফেল সবিই খোদার হাতে।। তাদের পেলে জিজ্ঞেস করতাম
এর আগে খোদা কোথায় থাকে? লা জবাব।।
এই পরীক্ষার বাইরেও যে খোদা জন্ম থেকে আমৃত্যু অবধি আমাদের পরীক্ষা নিতেছেন তাহার জন্য আমাদের প্রস্তুতি কেমন?!
উম্মতে মোহাম্মদীকে এই কথা কেই বা বুঝাবে।
আয়েশা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখে ওদের পরীক্ষার প্রস্তুতি।
তার বান্ধবীর ৫ বার সেজদায় লুটিয়ে পড়ছে শুভ্র চর্ম।
কাকে পাওয়ার উদ্দেশ্য ; খোদা নাকি ভালো রেজাল্ট?
আয়েশার বুঝে আসেনা।।
ব্যালকনিতে গিয়ে দাড়িয়ে থাকে একাকী খোলাচুলে ।
আয়েশা!!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মাহবুব নেওয়াজ মুন্না ১০/১১/২০২৩পড়ে ভালো লাগল। আশাকরি ভবিষ্যতে আরো ভালো লিখবে। ইনশাআল্লাহ।
-
ফয়জুল্লাহসাকি ২৫/০৯/২০২৩শেষ হয়েও ..................।
-
ফয়জুল মহী ২৫/০৯/২০২৩সুন্দর লিখেছেন।
-
অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী ২২/০৯/২০২৩🌹
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ২২/০৯/২০২৩বেশ বলেছেন!
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২১/০৯/২০২৩বেশ সুন্দর