আয়েশা নামা-৫
আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের জীবনের সুন্দরতম কাজগুলোর একটা হলো --বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা।
সেই সুবাদে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীর গাড়ি AMC-র মাঠে আসে নিয়ম করে প্রতি শুক্রবার বিকেলে।
হর-হামেশা তরুণীদের পছন্দ মাত্রই হুমায়ূন, কল্পনার হিমুকে স্বপ্নে দেখে- রাত তিনটায় উঠে কপালে টিপ দিয়ে সাজা এ নতুন নয় , ইকটু বিজ্ঞানমনস্ক হলে জাফর ইকবাল, দ্বীনি বোনদের ইসলামি সাহিত্যের জাগরণী যুগের আরিফ আজাদ, কালান্তর, সাইমুম সিরিজ ইত্যাদি।
তবে আয়েশার পছন্দ ইকটু ভিন্ন।
সহসা মূলধারার বাইরে গিয়ে আয়েশার পছন্দ হচ্ছে ছফা সমগ্র,
'শবনব' আর 'দেশে বিদেশে' পড়ে সে মূজতবার প্রেমে পড়েছে।
বিশ্ব-রাজনীতি, অর্থনীতি-বিষয়ক বইগুলোতেও তার আগ্রহ বাড়ছে ধীরে ধীরে।
আর কবিতার প্রতি প্রেম হলো গিয়ে জীবনানন্দে। আবুল হাসান, হেলাল হাফিজ, সুকান্ত ;
নতুন ঘরানার ইমতিয়াজ মাহমুদের ম্যাক্সিমগুলো তাকে মারাত্বকভাবে টানে। জয়ন্ত জিল্লু, হাসান রোবায়েদের 'মুসলমানের ছেলে' তার পছন্দ।
আয়েশা খুজেঁ খুজেঁ লাইব্রেরীর গাড়ি থেকে তার পছন্দের বইগুলো বের করছে। বইগুলো খুজেঁ পেতে তাকে ভীষণ বেগ পেতে হচ্ছে। মনে চাচ্ছে আমি গিয়ে তাড়াতাড়ি খুজে দিয়ে তাকে বলি , 'আয়েশা! এই নাও তোমার বইগুলো।'
বরাবরের মতো খোলা চুলের জন্য আয়েশার মুখটা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে না।
আমি মুক্তমঞ্চে বসে দূর থেকে তা দেখছি।
মাগরিবের সন্ধ্যায় দুরন্ত বালিকার মতো বইগুলো হাতে নিয়ে ফিরছে সে নাফিসা হলে। মনে হচ্ছে বইগুলো পেয়ে সে ভীষন খুশি।
আয়েশা!🌸
সেই সুবাদে ভ্রাম্যমান লাইব্রেরীর গাড়ি AMC-র মাঠে আসে নিয়ম করে প্রতি শুক্রবার বিকেলে।
হর-হামেশা তরুণীদের পছন্দ মাত্রই হুমায়ূন, কল্পনার হিমুকে স্বপ্নে দেখে- রাত তিনটায় উঠে কপালে টিপ দিয়ে সাজা এ নতুন নয় , ইকটু বিজ্ঞানমনস্ক হলে জাফর ইকবাল, দ্বীনি বোনদের ইসলামি সাহিত্যের জাগরণী যুগের আরিফ আজাদ, কালান্তর, সাইমুম সিরিজ ইত্যাদি।
তবে আয়েশার পছন্দ ইকটু ভিন্ন।
সহসা মূলধারার বাইরে গিয়ে আয়েশার পছন্দ হচ্ছে ছফা সমগ্র,
'শবনব' আর 'দেশে বিদেশে' পড়ে সে মূজতবার প্রেমে পড়েছে।
বিশ্ব-রাজনীতি, অর্থনীতি-বিষয়ক বইগুলোতেও তার আগ্রহ বাড়ছে ধীরে ধীরে।
আর কবিতার প্রতি প্রেম হলো গিয়ে জীবনানন্দে। আবুল হাসান, হেলাল হাফিজ, সুকান্ত ;
নতুন ঘরানার ইমতিয়াজ মাহমুদের ম্যাক্সিমগুলো তাকে মারাত্বকভাবে টানে। জয়ন্ত জিল্লু, হাসান রোবায়েদের 'মুসলমানের ছেলে' তার পছন্দ।
আয়েশা খুজেঁ খুজেঁ লাইব্রেরীর গাড়ি থেকে তার পছন্দের বইগুলো বের করছে। বইগুলো খুজেঁ পেতে তাকে ভীষণ বেগ পেতে হচ্ছে। মনে চাচ্ছে আমি গিয়ে তাড়াতাড়ি খুজে দিয়ে তাকে বলি , 'আয়েশা! এই নাও তোমার বইগুলো।'
বরাবরের মতো খোলা চুলের জন্য আয়েশার মুখটা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে না।
আমি মুক্তমঞ্চে বসে দূর থেকে তা দেখছি।
মাগরিবের সন্ধ্যায় দুরন্ত বালিকার মতো বইগুলো হাতে নিয়ে ফিরছে সে নাফিসা হলে। মনে হচ্ছে বইগুলো পেয়ে সে ভীষন খুশি।
আয়েশা!🌸
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২২/০৭/২০২৩অতীব চমৎকার লেখা
-
ফয়জুল মহী ২২/০৭/২০২৩চমৎকার লেখা
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ২২/০৭/২০২৩অতি চমৎকার লেখা!
-
আব্দুর রহমান আনসারী ২১/০৭/২০২৩অনেক অনেক ধন্যবাদ