মনুষ্যত্ব নামা
আজ ক্যাম্পাস থেকে বাসায় আসতে আসতে বেশ খানিকটা দেরি হয়ে গেছে।
কাঠফাটা রোদে টাউনহল মোড় পার হবার প্রাক্কালে হঠাৎই আচমকা চিৎকার।
"চোর! চোর! আমার ফোন চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছে!
কেউ ধরেন ওরে!"
সাহসিকতার উচ্চস্তরে বলা যায় যে, যখন কেউ বিপদে পড়িয়া রাস্তার মাঝখানে ১০ পনেরো জন হট্টগোল পাকাইয়া বসে,
তখন আমি সেখানে সবার আগে ধাবমান হই,
উপলব্ধি করতে যাই ঘটনাটা কি!
চোর দৌড়ের উপরে থাকায় আমি সরাসরি গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে তাকে ধরার উপক্রম হই।
থাবা দিয়া কলার টাতে ধরি!
"চোরের বাচ্চা চোর"! বলেই হাত থেকে মোবাইল টান দিয়ে নিয়ে নেই, এবং ভুক্তভোগীকে দিয়ে দিই।
এরপর চোরকে জনসম্মুখে উত্তম-মধ্যম দেওয়ার প্রস্তুতি চলিতেছে।
সত্য কথা এই যে, মানুষ রাস্তার বিবাদ দেখিলে উল্লুকের মতো দাড়াইয়া সার্কাস দেখিতে ব্যস্ত থাকে।
মাইর বেশি পড়লে আরো বেশি হাস্যোল্লাসে ফাটিয়া পড়ে। থামাবার কেউ নাই।
কিন্তু হঠাৎ ভীড়ের মধ্যে এক বিশ উর্ধ্ব এলোকেশী তরুণী আসিয়া তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানাইলো!
থামেন! তিন আঙ্গুল দিয়া বুকের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে বললো,
আপনি কি মানুষ?
আপনার মনে কি ইকটুকু দয়া মায়া নাই!
সামান্য এক কারণে একটা মানুষকে এভাবে পশুর মতো মারে কেউ! আশ্চর্য!
ছাড়েন! বলিয়া আমার হাত থেকে ধৃতকে ছাড়িয়া নিলো! ভবিষ্যতে এইধরণের কাজ যেন না করি উপদেশ দিয়ে গেল!
শত টগবগে যুবক যে সাহস করিলোনা, সামান্য এক তরুণী তার সমাধা করিয়া দিলো!
তাহার চোখে মুখে প্রতিবাদের ছাপ! চুলগুলো বাতাসে উড়ছে!
মনে মনে ভাবিলাম,
সুন্দর একটা মেয়ের প্রতিবাদের ভাষা এতো কর্কশ কেন!
আমি নিশ্চুপ শিশু হইয়া পুরো ঘটনা অবলোকন করলাম!
সবাই বাসায় চলে গেলো!
কিন্তু আমার অস্থিরতা কাটিলো না।
ভাবিলাম এই তরুণী বিসিএস দিয়া ম্যাজিস্ট্রেট হইলে অপরাধ কমিবে নাকি বাড়িবে!
মন আর সইলো না, খোজ নিলাম ।
তরুণী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী! মৎসবিজ্ঞানে বিএসসি করতেছে।
সেই তরুণীর নাকি এখনো বিয়ে হয়নি।
অতিরিক্ত রাগ ও প্রতিবাদের জন্য ইতোমধ্যেই অনেক তুলকালাম ঘটিয়েছে সে। পরিচিতিও পেয়েছে বেশ!
বিছানায় শুয়ে আছি।
লাইট অফ! চারদিকে নিস্তব্ধতা!
বুকের মধ্যে খালি একটা কথাই কুপিবাতির মতো জ্বলতেছে।
"থামেন! আপনি কি মানুষ?
আপনি কি মানুষ?
আপনার মনে কি ইকটুকুও দয়া মায়া নাই!"
জানিনা!
আমি কি আসলেই মানুষ? নাকি অন্যকিছু!
তরুণীকে পেলে মনুষ্যত্বের সংজ্ঞাটা জেনে যাবে যাবে।
উত্তরটা পেলে,তারপর আপনাদের বলবো কেমন!
কাঠফাটা রোদে টাউনহল মোড় পার হবার প্রাক্কালে হঠাৎই আচমকা চিৎকার।
"চোর! চোর! আমার ফোন চুরি করে নিয়ে পালাচ্ছে!
কেউ ধরেন ওরে!"
সাহসিকতার উচ্চস্তরে বলা যায় যে, যখন কেউ বিপদে পড়িয়া রাস্তার মাঝখানে ১০ পনেরো জন হট্টগোল পাকাইয়া বসে,
তখন আমি সেখানে সবার আগে ধাবমান হই,
উপলব্ধি করতে যাই ঘটনাটা কি!
চোর দৌড়ের উপরে থাকায় আমি সরাসরি গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে তাকে ধরার উপক্রম হই।
থাবা দিয়া কলার টাতে ধরি!
"চোরের বাচ্চা চোর"! বলেই হাত থেকে মোবাইল টান দিয়ে নিয়ে নেই, এবং ভুক্তভোগীকে দিয়ে দিই।
এরপর চোরকে জনসম্মুখে উত্তম-মধ্যম দেওয়ার প্রস্তুতি চলিতেছে।
সত্য কথা এই যে, মানুষ রাস্তার বিবাদ দেখিলে উল্লুকের মতো দাড়াইয়া সার্কাস দেখিতে ব্যস্ত থাকে।
মাইর বেশি পড়লে আরো বেশি হাস্যোল্লাসে ফাটিয়া পড়ে। থামাবার কেউ নাই।
কিন্তু হঠাৎ ভীড়ের মধ্যে এক বিশ উর্ধ্ব এলোকেশী তরুণী আসিয়া তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানাইলো!
থামেন! তিন আঙ্গুল দিয়া বুকের মধ্যে ধাক্কা দিয়ে বললো,
আপনি কি মানুষ?
আপনার মনে কি ইকটুকু দয়া মায়া নাই!
সামান্য এক কারণে একটা মানুষকে এভাবে পশুর মতো মারে কেউ! আশ্চর্য!
ছাড়েন! বলিয়া আমার হাত থেকে ধৃতকে ছাড়িয়া নিলো! ভবিষ্যতে এইধরণের কাজ যেন না করি উপদেশ দিয়ে গেল!
শত টগবগে যুবক যে সাহস করিলোনা, সামান্য এক তরুণী তার সমাধা করিয়া দিলো!
তাহার চোখে মুখে প্রতিবাদের ছাপ! চুলগুলো বাতাসে উড়ছে!
মনে মনে ভাবিলাম,
সুন্দর একটা মেয়ের প্রতিবাদের ভাষা এতো কর্কশ কেন!
আমি নিশ্চুপ শিশু হইয়া পুরো ঘটনা অবলোকন করলাম!
সবাই বাসায় চলে গেলো!
কিন্তু আমার অস্থিরতা কাটিলো না।
ভাবিলাম এই তরুণী বিসিএস দিয়া ম্যাজিস্ট্রেট হইলে অপরাধ কমিবে নাকি বাড়িবে!
মন আর সইলো না, খোজ নিলাম ।
তরুণী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী! মৎসবিজ্ঞানে বিএসসি করতেছে।
সেই তরুণীর নাকি এখনো বিয়ে হয়নি।
অতিরিক্ত রাগ ও প্রতিবাদের জন্য ইতোমধ্যেই অনেক তুলকালাম ঘটিয়েছে সে। পরিচিতিও পেয়েছে বেশ!
বিছানায় শুয়ে আছি।
লাইট অফ! চারদিকে নিস্তব্ধতা!
বুকের মধ্যে খালি একটা কথাই কুপিবাতির মতো জ্বলতেছে।
"থামেন! আপনি কি মানুষ?
আপনি কি মানুষ?
আপনার মনে কি ইকটুকুও দয়া মায়া নাই!"
জানিনা!
আমি কি আসলেই মানুষ? নাকি অন্যকিছু!
তরুণীকে পেলে মনুষ্যত্বের সংজ্ঞাটা জেনে যাবে যাবে।
উত্তরটা পেলে,তারপর আপনাদের বলবো কেমন!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ১৫/০৯/২০২২
কত ঘটনাই ঘটে জায়গায় জায়গায়।