www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কফি কথন



চা এর থেকে কফি সারা বিশ্বে অনেক বেশি জনপ্রিয়। তার কারণ কর্পোরেট দুনিয়ায় খাওয়া হয় এই ‘কফি’। অফিসে কাজের চাপে যখন মাথা আর কাজ করেনা তখন এক কাপ কফি হলে শরীর মন দুটোই চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

কাজের টাইমে আপনারা এই কফি কাপের পর কাপ শেষ করে ফেলেন কিন্তু এর অজানা তথ্যগুল কি আপনাদের জানা? মাথা চুলকোতে বসে গেলেন, ভাবছেন কফির আবার অজানা তথ্য কি? তবে শুনুন মশায় শুধু অজানা তথ্য নয় এই কফিতে রয়েছে বিস্ময়কর সব ব্যাপার স্যাপার। আসুন তবে তাই দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে।

কফি একটি ফল। আমরা যে কফি পান করি, তা কফি বীজ বা বিন; এই বিন গুঁড়া করেই তৈরি হয় কফি। এটিই তার আসল উপাদান। ১৫৯৮ খ্রিস্টাব্দে ডাচ ‘koffie’ শব্দের মাধ্যমে ‘coffee’ শব্দটি ইংরেজি ভাষায় গৃহীত হয়। এই ডাচ শব্দটি আবার তুর্কি শব্দ ‘kahve’ থেকে উদ্ভূত; তুর্কি শব্দটি আরবি ‘qahwa’ শব্দেরই উচ্চারণ ভেদ। এই শব্দান্তরের ভিতরেই যেন লুকিয়ে রয়েছে কফির বিস্ময়কর ইতিহাস।

কফি গাছ সাধারণত উচ্চতায় ২০ থেকে ৩০ ফুট হয়। উজ্জ্বল সবুজ রঙের পাতার আকার হয় ডিম্বাকৃতি, ফুলের রং সাদা আর বেশ সুগন্ধী। থোকা – থোকা ফল ধরে, প্রথমে রং হয় হালকা সবুজ, পরে লাল এবং শেষে ঘন ক্রিমসন রং। ফলের ভিতরে মিষ্টি শাঁসে মুড়নো দুটি বিন (বীজ )থাকে। অনেক ধরনের কফি গাছ হতে পারে এর মধ্যে পূর্ব আফ্রিকার ইথিওপিয়ার কফিয়া আরাবিকাই স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়।

আরো কিছু মজার তথ্য:

১. কফি হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজারজাত পণ্য। যেখানে প্রথমস্থানে আছে পেট্রোলিয়াম।
২. প্রতিবছর মার্কিনীরা ১১০ বিলিয়ন কাপ কফি পান করে থাকে
৩. দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকায় বিশ্বের চাহিদার দুই/তৃতীয়াংশ কফি উৎপাদিত হয়। অথচ, কফির আবিষ্কার হয়েছিল পূর্ব আফ্রিকায়।
৪. কফি খেলে হৃদপিণ্ডের গতি বাড়ে, শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে।
৫.ক্যাফেইন যুক্ত বা বিহীন, যে কোনো ধরনের কফি ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় কফি।
বিষয়শ্রেণী: তথ্যপ্রযুক্তি
ব্লগটি ১৫৩০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৬/০৭/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast