আমড়ার গুণাগুণ
টক-মিষ্টি ফল আমড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফাইবার সমৃদ্ধ। আমড়া মাঝারি আকারের দেশি ফল। কাঁচা ফল টক বা টক মিষ্টি হয়, তবে পাকলে টকভাব কমে আসে এবং মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায়। আমড়া কাঁচা ও পাকা রান্না করে বা আচার বানিয়ে খাওয়া যায়। আমড়া জুলাই-আগস্টে বাজারে আসে আর থাকে অক্টোবর পর্যন্ত।
আমড়ায় প্রায় ৯০ শতাংশই পানি, ৪-৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট ও সামান্য প্রোটিন থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ভিটামিন-সি পাওয়া যায় ২০ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, সামান্য ভিটামিন-বি, ক্যালসিয়াম ৩৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪ মিলিগ্রাম। আমড়ায় যথেষ্ট পরিমাণ পেকটিনজাতীয় ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জাতীয় উপাদান বিদ্যমান।
আমাদের দেশে দুই ধরনের আমড়া পাওয়া যায়। দুই রকমের আমড়াতেই রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে কিছু রোগজীবাণু বাতাসে ভেসে বেড়ায়, নোংরা পানিতে বাসা বাঁধে। আমড়ার ভিটামিন সি এমন জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
চর্বি বা কলস্টেরল কমিয়ে, হৃৎপিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত চলাচলে সাহায্য করে আমড়া। ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সালাদের বাটিতে অনায়াসে স্থান পাবে আমড়া। এতে চিনির পরিমাণ খুব কম। তাই উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসের রোগীরা খেতে পারেন নিশ্চিন্তে।
দাঁতের মাড়ি শক্ত করে, দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত, পুঁজ, রক্তরস বের হওয়া প্রতিরোধ করে আমড়া। এর ভেতরের অংশের চেয়ে বাইরের খোসাতে রয়েছে বেশি ভিটামিন সি আর ফাইবার বা আঁশ, যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে করে দ্বিগুণ শক্তিশালী। আর আঁশজাতীয় খাবার পাকস্থলী (স্টমাক), ক্ষুদ্রান্ত, গাছহদন্ত্রের (পেটের ভেতরের অংশবিশেষ) জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ।
আমড়া খাবারের অরুচি দূর করে। শরীরের অতিরিক্ত উত্তাপ দূর করতে আমড়া অনেক কাজে লাগে। নিয়মিত আমড়া খেলে চুল, নখ, ত্বক অনেক সুন্দর থাকে। আমড়া পিত্ত ও কফ নিবারণ করে থাকে, কণ্ঠস্বর পরিষ্কার করে। এ ছাড়া রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সর্দি কাশির ক্ষেত্রেও এটি বেশ উপকারী ফল।
ডায়াবেটিসের রোগীরা পাকা আমড়া পরিহার করুন। কারণ পাকা আমড়ায় সুগারের পরিমাণ কাঁচার তুলনায় বেশি থাকে। আমড়ায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যান্সার এবং কিছু মারাত্মক রোগ প্রতিরোধে অনেক সহায়তা করে থাকে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১২/০৪/২০১৮ধন্যবাদ
-
সানশাইন ০১/১১/২০১৭আমড়ার উপর খুব সুন্দর একটি পোস্ট। ধন্যবাদ।
-
পারভেজ এ রহমান ৩০/১০/২০১৭গুছানো লেখা |
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ০৩/১০/২০১৭ভাল নির্দেশনা মূলক ও শিক্ষণীয় বিষয়ে পড়লাম । সুন্দর লেখার জন্য রইলো ধন্যবাদ ।
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ০৬/০৮/২০১৭ভালো
-
ধ্রুবক ২২/০৭/২০১৭ভালো।
-
আব্দুল হক ২১/০৭/২০১৭ভালো
-
Tanju H ২১/০৭/২০১৭অনেক ভালোলাগল।।
-
ন্যান্সি দেওয়ান ২১/০৭/২০১৭Good tips for explaining a fruit.