♥♥♥নাম তার প্রজাপতি♥♥♥
রংবেরঙের ফুলে, লতাপাতায়, ঝোপঝাড়ে বিচিত্র বর্ণের নানা প্রজাপতি যখন উড়ে বেড়ায় তখন মন জুড়িয়ে যায়। রংধনুর সব রঙ যেন প্রজাপতির পাখায় উঁকি দেয়। মৌমাছির মতো প্রজাপতিও ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ায়, মধু খায়, ডানা মেলে ফুলের সঙ্গে ভাব জমায়। স্যাঁতসেঁতে আলো-আঁধারি, ঝরনা, পাহাড়ি অরণ্যে প্রজাপতির মেলা বসে।
আমাদের দেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশিরভাগ জঙ্গলে বৃষ্টির মতো প্রজাপতির ঝাঁক উড়ে বেড়ায়। বিশেষ করে রাঙ্গামাটির নির্জন জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায় প্রজাপতির হাট। প্রকৃতির কি বিচিত্র খেলা ফুটে উঠে সেই হাটে। নানা রংয়ের প্রজাপতি ছুটে বেড়ায় গাছের বিভিন্ন শাখায়।
প্রজাপতি নিয়ে হাজারো কাহিনী, কিংবদন্তি লোকগাথা রয়েছে। গ্রিকরা মনে করে, প্রজাপতি মানে হলো মৃত আত্মার প্রতীক। অনেক জায়গায় কবরের ফলকে প্রজাপতির চিত্র আঁকা থাকে। রোমানিয়ার লোকদের বিশ্বাস প্রাচীনকালের কোনো দেব-দেবীর চোখের পানি থেকে প্রজাপতির সৃষ্টি।
শ্রীলঙ্কায় আদম পিক নামে একটি পাহাড় রয়েছে। সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীরা এটিকে পবিত্র চূড়া হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে প্রজাপতি দূর-দূরান্ত থেকে যেন শ্রদ্ধা জানাতে চলে আসে এখানে।
শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি লোকগাথা সমাজের নানা দর্পণে প্রজাপতির উল্লেখ আছে। পৃথিবীতে প্রায় ১৮ হাজার প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে। ভারতবর্ষে এ প্রজাতির সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার।
প্রাণীবিজ্ঞানীরা প্রজাপতিকে সোপডোপটেরা বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
এদের জন্ম-বৃত্তান্ত বড় বিচিত্র। প্রথম অবস্থায় এদের চেহারা শুঁয়োপোকার মতো, দেখতেও লাগে বিশ্রী। শুঁয়োপোকাগুলো তখন কেবল খাই খাই ভাব করে। ধীরে ধীরে রূপান্তরের মাধ্যমে খোলস পাল্টে প্রজাপতির আকার নেয়। এদের রংয়ের বৈচিত্র্য তার পাখায়। পাখায় খেলে তাদের রংয়ের খেয়ালিপনা। একটু স্পর্শ করলে রেণু ঝরে পড়ে।
প্রজাপতির ঘ্রাণশক্তি প্রবল। শুঁড়ের সাহায্যে এরা গন্ধ নেয়। শ্রবণ, স্বাদ ক্ষমতাও যথেষ্ট। মিষ্টি ফুলের রস এদের প্রিয় খাদ্য। উচ্চতা, জলবায়ু, অরণ্যের পরিবেশ প্রজাপতির ওপর নিঃসন্দেহে প্রভাব ফেলে।
ভারতের সিকিম রাজ্যকে বলা হয় প্রজাপতির দেশ। ভারতের পুরনো ইম্পিরিয়াল গেজেটে উল্লেখ হয়েছে, সিকিমে ৬০০-র বেশি প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে।
বিশ্বের নানা অঞ্চল থেকে প্রজাপতি প্রেমিক-গবেষক সিকিম আসেন এদের খোঁজে।
বিরাট আকৃতির প্রজাপতি এখনো দেখা যায় নিউগিনি অঞ্চলে। নাম কুইন আলেকজান্দ্রিয়া বার্ড উইং। যার পাখার পরিধি ১১ ইঞ্চি। ব্রাজিলের জঙ্গলে এক অত্যাশ্চর্য প্রজাপতির দেখা মেলে। যার রংয়ের বৈচিত্র্য সত্যি অনবদ্য। যখন ডানা মেলে উড়ে যায় নীল রং বিচ্ছুরিত হতে থাকে।
তবে গবেষক ও পরিবেশবাদীদের রায়ে নিউগিনির পাহাড়ি অঞ্চলের পালিসিও ওয়েস্কি বিশ্বের সেরা প্রজাপতি। এদের পাখায় বাদামি, নীল রং, তেমনি গঠন বৈচিত্র্যও অপূর্ব।
কোথাও কোথাও লেজ ঝোলা প্রজাপতিও দেখা যায়। ঋতুভেদে এদের চেহারায় পরির্বতন আসে।
দেশান্তরী পাখিদের মতো যাযাবর প্রজাপতির সংখ্যাও কম নয়। যেমন মনার্ক। পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় একটি প্রজাপতির আয়ু ৩ থেকে ৬ সপ্তাহ। আবার কখনো ৩ থেকে কয়েক মাস হতে পারে। এদের শত্র“ অনেক। পাখি, টিকটিকি, মাকড়সা, গিরগিটি এবং বিভিন্ন পোকামাকড় প্রজাপতির প্রধান শত্র“।
শরতে ঝাঁকে ঝাঁকে দল বেঁধে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা ও মেক্সিকোর বিভিন্ন অঞ্চলে প্রজাপতির বিশাল দল দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে তারা একসঙ্গে একটি নির্দিষ্ট রংয়ে নিজেদের ধারণ করে ছুটে বেড়ায়। এদের গড় আয়ু ১০ মাস। প্রজাপতি ৩ হাজার মাইল পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। একটানা ওড়ার ব্যাপারে সবাইকে টেক্কা দেয় পেইনটেড লেডিস প্রজাপতি। এসব প্রজাপতি চোখে পড়ে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সেবক পাহাড়ের কাছে পূর্বখোলা, সামতাহার, লোলে, লাভা, জুয়ার্সের রাজাভাতখাওয়া, জয়ন্তীর জঙ্গলে, অসাধারণ বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রজাপতি দেখা যায়, যা আজও অনেকের অজানা।
আমাদের দেশে পার্বত্য চট্টগ্রামের বেশিরভাগ জঙ্গলে বৃষ্টির মতো প্রজাপতির ঝাঁক উড়ে বেড়ায়। বিশেষ করে রাঙ্গামাটির নির্জন জঙ্গলে দেখতে পাওয়া যায় প্রজাপতির হাট। প্রকৃতির কি বিচিত্র খেলা ফুটে উঠে সেই হাটে। নানা রংয়ের প্রজাপতি ছুটে বেড়ায় গাছের বিভিন্ন শাখায়।
প্রজাপতি নিয়ে হাজারো কাহিনী, কিংবদন্তি লোকগাথা রয়েছে। গ্রিকরা মনে করে, প্রজাপতি মানে হলো মৃত আত্মার প্রতীক। অনেক জায়গায় কবরের ফলকে প্রজাপতির চিত্র আঁকা থাকে। রোমানিয়ার লোকদের বিশ্বাস প্রাচীনকালের কোনো দেব-দেবীর চোখের পানি থেকে প্রজাপতির সৃষ্টি।
শ্রীলঙ্কায় আদম পিক নামে একটি পাহাড় রয়েছে। সেখানকার স্থানীয় অধিবাসীরা এটিকে পবিত্র চূড়া হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে। বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে প্রজাপতি দূর-দূরান্ত থেকে যেন শ্রদ্ধা জানাতে চলে আসে এখানে।
শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি লোকগাথা সমাজের নানা দর্পণে প্রজাপতির উল্লেখ আছে। পৃথিবীতে প্রায় ১৮ হাজার প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে। ভারতবর্ষে এ প্রজাতির সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার।
প্রাণীবিজ্ঞানীরা প্রজাপতিকে সোপডোপটেরা বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
এদের জন্ম-বৃত্তান্ত বড় বিচিত্র। প্রথম অবস্থায় এদের চেহারা শুঁয়োপোকার মতো, দেখতেও লাগে বিশ্রী। শুঁয়োপোকাগুলো তখন কেবল খাই খাই ভাব করে। ধীরে ধীরে রূপান্তরের মাধ্যমে খোলস পাল্টে প্রজাপতির আকার নেয়। এদের রংয়ের বৈচিত্র্য তার পাখায়। পাখায় খেলে তাদের রংয়ের খেয়ালিপনা। একটু স্পর্শ করলে রেণু ঝরে পড়ে।
প্রজাপতির ঘ্রাণশক্তি প্রবল। শুঁড়ের সাহায্যে এরা গন্ধ নেয়। শ্রবণ, স্বাদ ক্ষমতাও যথেষ্ট। মিষ্টি ফুলের রস এদের প্রিয় খাদ্য। উচ্চতা, জলবায়ু, অরণ্যের পরিবেশ প্রজাপতির ওপর নিঃসন্দেহে প্রভাব ফেলে।
ভারতের সিকিম রাজ্যকে বলা হয় প্রজাপতির দেশ। ভারতের পুরনো ইম্পিরিয়াল গেজেটে উল্লেখ হয়েছে, সিকিমে ৬০০-র বেশি প্রজাতির প্রজাপতি রয়েছে।
বিশ্বের নানা অঞ্চল থেকে প্রজাপতি প্রেমিক-গবেষক সিকিম আসেন এদের খোঁজে।
বিরাট আকৃতির প্রজাপতি এখনো দেখা যায় নিউগিনি অঞ্চলে। নাম কুইন আলেকজান্দ্রিয়া বার্ড উইং। যার পাখার পরিধি ১১ ইঞ্চি। ব্রাজিলের জঙ্গলে এক অত্যাশ্চর্য প্রজাপতির দেখা মেলে। যার রংয়ের বৈচিত্র্য সত্যি অনবদ্য। যখন ডানা মেলে উড়ে যায় নীল রং বিচ্ছুরিত হতে থাকে।
তবে গবেষক ও পরিবেশবাদীদের রায়ে নিউগিনির পাহাড়ি অঞ্চলের পালিসিও ওয়েস্কি বিশ্বের সেরা প্রজাপতি। এদের পাখায় বাদামি, নীল রং, তেমনি গঠন বৈচিত্র্যও অপূর্ব।
কোথাও কোথাও লেজ ঝোলা প্রজাপতিও দেখা যায়। ঋতুভেদে এদের চেহারায় পরির্বতন আসে।
দেশান্তরী পাখিদের মতো যাযাবর প্রজাপতির সংখ্যাও কম নয়। যেমন মনার্ক। পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় একটি প্রজাপতির আয়ু ৩ থেকে ৬ সপ্তাহ। আবার কখনো ৩ থেকে কয়েক মাস হতে পারে। এদের শত্র“ অনেক। পাখি, টিকটিকি, মাকড়সা, গিরগিটি এবং বিভিন্ন পোকামাকড় প্রজাপতির প্রধান শত্র“।
শরতে ঝাঁকে ঝাঁকে দল বেঁধে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা ও মেক্সিকোর বিভিন্ন অঞ্চলে প্রজাপতির বিশাল দল দেখতে পাওয়া যায়। সেখানে তারা একসঙ্গে একটি নির্দিষ্ট রংয়ে নিজেদের ধারণ করে ছুটে বেড়ায়। এদের গড় আয়ু ১০ মাস। প্রজাপতি ৩ হাজার মাইল পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। একটানা ওড়ার ব্যাপারে সবাইকে টেক্কা দেয় পেইনটেড লেডিস প্রজাপতি। এসব প্রজাপতি চোখে পড়ে নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সেবক পাহাড়ের কাছে পূর্বখোলা, সামতাহার, লোলে, লাভা, জুয়ার্সের রাজাভাতখাওয়া, জয়ন্তীর জঙ্গলে, অসাধারণ বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রজাপতি দেখা যায়, যা আজও অনেকের অজানা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ২২/০৫/২০১৬হাজার রকম!!!
-
দীপঙ্কর বেরা ১০/১১/২০১৫দারুণ
-
মরুভূমির জলদস্যু ০৮/১১/২০১৫কমরকম প্রজাপতিই যে আছে!!
-
এস এম সাব্বির ১৭/১০/২০১৫সুন্দর চিত্র