গ্রিক পুরাণের গল্প (প্যান্ডোরা)
অনেক অনেক আগের কথা। মানুষ তখন সুখেই বসবাস করছিলো। সুখ মানে নিজেদের মাঝে মারামারি ছিলো না, যুদ্ধ ছিলো না, হিংসা ছিলো না, বিদ্বেষ ছিলো না, কাম ছিলো না। তারা ছিলো সব পুরুষ। কারণ, তখনো নারী তৈরি হয় নি। যাইহোক, একসাথে মিলেমিশে বাস করতো তারা। তাদের অভাব ছিলো না। কিন্তু তারা কষ্ট পেতো শীতে। কেননা তখন আগুন ছিলো না। খেতে হতো কাঁচা মাছ-মাংস। দেবতাদের মাঝে প্রমেথিউস ব্যাপারটা খেয়াল করলেন। আহা! ভালো ভালো মানুষগুলো কী কষ্টেই না আছে! ভাবলেন তিনি। বললেন, ওদের আগুন দিয়ে দেয়া হোক। আগুন পেলেই ওরা উন্নত জীবন যাপন করতে পারবে। দেবতা জিউস বললেন, রাখো! ওরা আগুন পেলে অপব্যবহার করবে। আগুনের সৌন্দর্যে ওরা নিজেরাই নিজেদের পুড়িয়ে মারবে। কিন্তু প্রমেথিউসের বিশ্বাস মানুষ এমনটা কখনোই করবে না। তিনি স্বর্গ থেকে আগুন চুরি করে এনে মানুষদের দিলেন। মানুষকে আগুন ব্যবহার করতে দেখে জিউস ব্যাপারটা বুঝে ফেললেন, এ নিশ্চয়ই প্রমেথিউসের কাজ!তিনি শাস্তি দিলেন প্রমেথিউসকে। বেঁধে রাখলেন শেকল দিয়ে পাহাড়ের চূড়ায়। যেন শকুন এসে প্রমেথিউসের শরীরের মাংস ঠুকরে ঠুকরে খেতে পারে।
শেকলে বাঁধা প্রমেথিউস
প্রমেথিউসকে তো শাস্তি দেয়া গেলো। কিন্তু মানবজাতিকে শাস্তি দেয়া না গেলে কিছুতেই শান্তি পাচ্ছিলেন না জিউস। ডেকে পাঠালেন দেবতা হেফুন্তুসকে। হেফুন্তুসকে বললেন, জলকাদা দিয়ে একটা মূর্তি তৈরি করে দাও খুব সুন্দর করে। মূর্তিটা যেন দেখতে সৌন্দর্যের দেবী আফ্রোদিতির মতো হয়। হেফুন্তুস আফ্রোদিতিকে দেখে বানিয়ে দিলেন জলকাদার এক মূর্তি। দেবতা জিউস তাকে জীবন দিলেন। তৈরি হলো পৃথিবীর প্রথম নারী। অপরূপা। সুন্দরী। তাই প্রত্যেকটা নারীই আসলে আফ্রোদিতি।
যাইহোক, দেবতা জিউস আর আর দেবতাদের ডাকলেন। বললেন, তোমাদের সবার গুণ এর মাঝে দাও। অ্যাপোলো দান করলেন সংগীত। হার্মিস দান করলেন প্ররোচনার ক্ষমতা। এভাবে একে একে সকল দেবতাই তাদের গুণের অল্প বিস্তর নারীমূর্তিটিকে দিলেন। এ কারণে পৃথিবীর প্রথম নারীটির নাম রাখা হল প্যান্ডোরা। প্যান্ডোরা শব্দের অর্থ ‘সর্ব-উপহার’।
প্যান্ডোরা
দেবতা জিউস প্যান্ডোরাকে একটি সুন্দর বাক্স দিয়ে বললেন, এই বাক্সটা কখনও খুলো না। প্যান্ডোরা অপার আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলো, কী আছে এতে? জিউস বললেন, যাই আছে, খুলো না কখনো।
তারপর প্যান্ডোরাকে পাঠিয়ে দিলেন বাক্স সমেত পৃথিবীতে। পৃথিবীতে আসতে আসতে চমৎকার বাক্সটা প্যান্ডোরার বারবার খোলার ইচ্ছে হয়েছিলো। কিন্তু জিউসের ভয়ে খোলেনি। পৃথিবীতে আসার পর অরণ্যের পাশে বসে সে ভাবলো। এবার বাক্সটা একটু খুলেই দেখি। বাক্সের ভেতর জিউস ভরে দিয়েছিলেন রোগ, শোক, হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা, ক্রোধ, দারিদ্র ও নানা অশুভ শক্তি। সাথে সাথে সেইগুলো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। জিউস অবশ্য বাক্সের ভেতর দিয়ে ছিলেন ‘আশা’ও। যার কারণে মানুষ শত মন্দ পরিস্থিতিতেও আশা ছাড়ে না। ঠিকই সুদিনের আশায় থাকে।
শেকলে বাঁধা প্রমেথিউস
প্রমেথিউসকে তো শাস্তি দেয়া গেলো। কিন্তু মানবজাতিকে শাস্তি দেয়া না গেলে কিছুতেই শান্তি পাচ্ছিলেন না জিউস। ডেকে পাঠালেন দেবতা হেফুন্তুসকে। হেফুন্তুসকে বললেন, জলকাদা দিয়ে একটা মূর্তি তৈরি করে দাও খুব সুন্দর করে। মূর্তিটা যেন দেখতে সৌন্দর্যের দেবী আফ্রোদিতির মতো হয়। হেফুন্তুস আফ্রোদিতিকে দেখে বানিয়ে দিলেন জলকাদার এক মূর্তি। দেবতা জিউস তাকে জীবন দিলেন। তৈরি হলো পৃথিবীর প্রথম নারী। অপরূপা। সুন্দরী। তাই প্রত্যেকটা নারীই আসলে আফ্রোদিতি।
যাইহোক, দেবতা জিউস আর আর দেবতাদের ডাকলেন। বললেন, তোমাদের সবার গুণ এর মাঝে দাও। অ্যাপোলো দান করলেন সংগীত। হার্মিস দান করলেন প্ররোচনার ক্ষমতা। এভাবে একে একে সকল দেবতাই তাদের গুণের অল্প বিস্তর নারীমূর্তিটিকে দিলেন। এ কারণে পৃথিবীর প্রথম নারীটির নাম রাখা হল প্যান্ডোরা। প্যান্ডোরা শব্দের অর্থ ‘সর্ব-উপহার’।
প্যান্ডোরা
দেবতা জিউস প্যান্ডোরাকে একটি সুন্দর বাক্স দিয়ে বললেন, এই বাক্সটা কখনও খুলো না। প্যান্ডোরা অপার আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইলো, কী আছে এতে? জিউস বললেন, যাই আছে, খুলো না কখনো।
তারপর প্যান্ডোরাকে পাঠিয়ে দিলেন বাক্স সমেত পৃথিবীতে। পৃথিবীতে আসতে আসতে চমৎকার বাক্সটা প্যান্ডোরার বারবার খোলার ইচ্ছে হয়েছিলো। কিন্তু জিউসের ভয়ে খোলেনি। পৃথিবীতে আসার পর অরণ্যের পাশে বসে সে ভাবলো। এবার বাক্সটা একটু খুলেই দেখি। বাক্সের ভেতর জিউস ভরে দিয়েছিলেন রোগ, শোক, হিংসা, বিদ্বেষ, ঘৃণা, ক্রোধ, দারিদ্র ও নানা অশুভ শক্তি। সাথে সাথে সেইগুলো পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। জিউস অবশ্য বাক্সের ভেতর দিয়ে ছিলেন ‘আশা’ও। যার কারণে মানুষ শত মন্দ পরিস্থিতিতেও আশা ছাড়ে না। ঠিকই সুদিনের আশায় থাকে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
... ২৫/১১/২০১৪
-
চন্দ্রশেখর ২২/১১/২০১৪ভাল
-
রূপক বিধৌত সাধু ১১/১১/২০১৪ভাল লাগল ।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৯/১১/২০১৪খুব কৃতজ্ঞ থাকবো যদি এর আসল গল্প আর লেখকের নামটা আমাকে বলেন। আমি গল্পটা খুজছিলাম। আপনার লেখায় পেয়ে ভালো লাগলো।
-
রেনেসাঁ সাহা ০৮/১১/২০১৪এই গল্পটা কোন ক্লাসে যেন ছোটবেলায় ইংরাজিতে পড়েছিলাম; এতদিন পরে আবার পড়ে ভালো লাগল।
-
অনিরুদ্ধ বুলবুল ০৮/১১/২০১৪'প্যান্ডোরার বাক্স' কথাটা আমাদের দেশে বহুল প্রচলিত। এতদিন শুধু এর শাব্দিক অর্থের সাথে সাজুয্যটুকুই জানতাম। আজ পুরো কাহিনীটি জানলাম। বেশ সুন্দর!
প্রচীন নীতিকথার এই উপাখ্যানে একটা দারুণ ম্যাসেজ আছে -
'আশা'র প্রদীপটি যতক্ষণ জ্বলে ততক্ষণ মানুষ একেবারে ভেঙ্গে পড়ে না। তাই যেকোন মূলে 'আশা'কে জাগিয়ে রাখতে হয়।
ধন্যবাদ কবি, বেশ ভাল লাগলো।
শুভ সকাল।
হাওয়া আর প্যান্ডোরা এক ও অভিন্ন।
হাওয়া আদমকে এনেছে, দ্বন্দ্বের পৃথিবীতে; আর প্যান্ডোরা শান্তির পৃথিবীতে অশান্তি!
তবে, এতো পুরুষ ছিলো পৃথিবীতে, নারী ব্যতিত পুরুষগুলো তৈরী হলো কিভাবে?
সর্বপরি, লেখাটি মন্দ লাগেনি।