আসুন বিছানা ছাড়ি খুব সকালে
আর্লি টু বেড আর্লি টু রাইস; মেইকস অ্যা মেন হেলদি, ওয়েলদি অ্যান্ড ওয়াইস’। শৈশবে এই প্রবাদটি পড়েননি এমন মানুষের সংখ্যা নেই বললেই চলে।
স্বাস্থকর বিষয়ই শুধু নয়, অন্যান্য অনেক দরকারেও সকাল সকাল বিছানা ছাড়ার রয়েছে উপকারিতা।
কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর অভ্যাস করতে হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস করার।তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা এখন থেকেইকরে ফেলা দরকার। এখানে দেখে নিন এর পেছনে কয়েকটি বড় উপকারিতা।
যে পাঁচটি কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠবেন:
১. নাস্তা : দিনের কাজ শুরু জন্য সকালের নাস্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকালে উঠেএকটা জম্পেশ নাস্তা করা অতি জরুরি কাজের মধ্য একটি। কারণ সকালের স্বাস্থ্যকর নাস্তাপুষ্টি ও ভিটামিন দেয় আমাদের। তাই যেকোনো কাজে ভালো পারফরমেন্সের সঙ্গে একঘেয়েমি দূরকরতে সহায়তা করে। এ ছাড়া অধিক শক্তিসহ দেয় কাজে মনোযোগ। দেহের কোলেস্টরেলের মাত্রাও রাখে নিয়ন্ত্রিত। নাস্তার পর ফলের জুস বা এককাপ কফি দারুন চাঙ্গা করে দেবে। তাই ভালো একটা নাস্তার জন্য সকালে উঠুন।
২. ব্যায়াম : সকালে ঘুম থেকে ওঠার আরেকটি সুফল বয়ে আনবে ব্যায়াম। সেই সঙ্গে রাতের ঘুমও গভীর করবে ব্যায়াম। যারা সকালে উঠে ব্যায়াম করেন তারা সারাদিন ঝরঝরে থাকেন এবং রাতেও গভীর ঘুম উপভোগ করেন। তাই ব্যায়ামের সময়টি হাতে রেখে সকালে ওঠার সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে।
৩. আরামে কাজ সারা : সকালে ঘুম থেকে জেগে মোবাইলে কয়েকবার ‘স্নুজ’ বোতামে চাপ দিলে শেষ পর্যন্ত কাজে দেরি করে ফেলবেন আপনি। তখনদৌড়াদৌড়ি করে অন্যান্য কাজ সারতে হয়। ফলে সকাল থেকেই শুরু হয় যন্ত্রণা। অথচ সময়মতো উঠে পড়লে আরামে কাজগুলো শেষ করতে পারবেন। অফিসে যাওয়ার সময়ও থাকবে যথেষ্ট। ফলে সেখানে সময়মতো পৌঁছতেও পেরেশানি হতে হবে না আপনাকে।এক বিশেষজ্ঞ জানান, সকালে সময়মতো ঘুম থেকে উঠেই এমন তিনটি বিষয় লিখে রাখুন যার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে পারেন। এটি লিখে রাখুন এবং প্রতিদিনই কাজটি করুন। রাতে বেডরুমের বাইরে জার্নাল রেখে দিন। শুধু ঘুমানোর কাজ করুন। ঘুমের আগ দিয়ে বিছানায় বসে থাকুন। ফলেআপনার মস্তিষ্ক ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকবে।
৪. আরো ঘুম : আমরা সবাই জানি, সাধারণত ৮ ঘণ্টারঘুম প্রয়োজন আমাদের। বিজ্ঞান অবশ্য বলে আরো কম ঘুমালেও চলে। রাতে ঘুমানোর আগে আমাদের পরদিনের কিছু কাজ করে রাখার চিন্তা করি বা একটু বই পড়ে নেওয়া যায় ইত্যাদি। পর্যাপ্ত ঘুম আর অতিরিক্ত ঘুমের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য থাকে। রাতে ১০ ঘণ্টা ঘুমানোর পর গোটা দিন আপনার যথেষ্ট ক্লান্তি লাগতে পারে। তাই অতিরিক্ত ঘুমানো থেকে দূরে থাকুন। রাতে যতো কাজই থাক, অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর সময় নিয়ে বিছানায় যান। এতে দেরি ঘুমআসলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন।
৫. আরো উৎপাদনশীল : সকালে ঘুম থেকে উঠলে আপনার কাজের গতি বেড়ে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন আরো উৎপাদনশীল। তাই দুপুরের লাঞ্চের সময় দেখবেন আপনি যথেষ্ট কাজ সেরে ফেলেছেন এবং তাদেখেই আপনার উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়ে যাবে। তাই ঘুম থেকে সকালে উঠুন। মোবাইলে তিনবার নয়, একবার স্নুজ বাটনে চাপ দিন। সকালে নাস্তা করার অন্তত ২০ মিনিট আগে ওঠার চেষ্টা করুন। আর ব্যয়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে সে সময়টি হাতে রেখে উঠুন। বেশ কয়েক দিন সকালে ওঠার কাজটি করতে পারলে আপনি অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। তখন জীবন হয়ে উঠবে আরো আনন্দময়, উদ্যমী এবং শান্তিপূর্ন।
স্বাস্থকর বিষয়ই শুধু নয়, অন্যান্য অনেক দরকারেও সকাল সকাল বিছানা ছাড়ার রয়েছে উপকারিতা।
কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর অভ্যাস করতে হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস করার।তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা এখন থেকেইকরে ফেলা দরকার। এখানে দেখে নিন এর পেছনে কয়েকটি বড় উপকারিতা।
যে পাঁচটি কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠবেন:
১. নাস্তা : দিনের কাজ শুরু জন্য সকালের নাস্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সকালে উঠেএকটা জম্পেশ নাস্তা করা অতি জরুরি কাজের মধ্য একটি। কারণ সকালের স্বাস্থ্যকর নাস্তাপুষ্টি ও ভিটামিন দেয় আমাদের। তাই যেকোনো কাজে ভালো পারফরমেন্সের সঙ্গে একঘেয়েমি দূরকরতে সহায়তা করে। এ ছাড়া অধিক শক্তিসহ দেয় কাজে মনোযোগ। দেহের কোলেস্টরেলের মাত্রাও রাখে নিয়ন্ত্রিত। নাস্তার পর ফলের জুস বা এককাপ কফি দারুন চাঙ্গা করে দেবে। তাই ভালো একটা নাস্তার জন্য সকালে উঠুন।
২. ব্যায়াম : সকালে ঘুম থেকে ওঠার আরেকটি সুফল বয়ে আনবে ব্যায়াম। সেই সঙ্গে রাতের ঘুমও গভীর করবে ব্যায়াম। যারা সকালে উঠে ব্যায়াম করেন তারা সারাদিন ঝরঝরে থাকেন এবং রাতেও গভীর ঘুম উপভোগ করেন। তাই ব্যায়ামের সময়টি হাতে রেখে সকালে ওঠার সময় নির্ধারণ করে নিতে হবে।
৩. আরামে কাজ সারা : সকালে ঘুম থেকে জেগে মোবাইলে কয়েকবার ‘স্নুজ’ বোতামে চাপ দিলে শেষ পর্যন্ত কাজে দেরি করে ফেলবেন আপনি। তখনদৌড়াদৌড়ি করে অন্যান্য কাজ সারতে হয়। ফলে সকাল থেকেই শুরু হয় যন্ত্রণা। অথচ সময়মতো উঠে পড়লে আরামে কাজগুলো শেষ করতে পারবেন। অফিসে যাওয়ার সময়ও থাকবে যথেষ্ট। ফলে সেখানে সময়মতো পৌঁছতেও পেরেশানি হতে হবে না আপনাকে।এক বিশেষজ্ঞ জানান, সকালে সময়মতো ঘুম থেকে উঠেই এমন তিনটি বিষয় লিখে রাখুন যার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে পারেন। এটি লিখে রাখুন এবং প্রতিদিনই কাজটি করুন। রাতে বেডরুমের বাইরে জার্নাল রেখে দিন। শুধু ঘুমানোর কাজ করুন। ঘুমের আগ দিয়ে বিছানায় বসে থাকুন। ফলেআপনার মস্তিষ্ক ঘুমানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকবে।
৪. আরো ঘুম : আমরা সবাই জানি, সাধারণত ৮ ঘণ্টারঘুম প্রয়োজন আমাদের। বিজ্ঞান অবশ্য বলে আরো কম ঘুমালেও চলে। রাতে ঘুমানোর আগে আমাদের পরদিনের কিছু কাজ করে রাখার চিন্তা করি বা একটু বই পড়ে নেওয়া যায় ইত্যাদি। পর্যাপ্ত ঘুম আর অতিরিক্ত ঘুমের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য থাকে। রাতে ১০ ঘণ্টা ঘুমানোর পর গোটা দিন আপনার যথেষ্ট ক্লান্তি লাগতে পারে। তাই অতিরিক্ত ঘুমানো থেকে দূরে থাকুন। রাতে যতো কাজই থাক, অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর সময় নিয়ে বিছানায় যান। এতে দেরি ঘুমআসলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন।
৫. আরো উৎপাদনশীল : সকালে ঘুম থেকে উঠলে আপনার কাজের গতি বেড়ে যাবে। আপনি হয়ে উঠবেন আরো উৎপাদনশীল। তাই দুপুরের লাঞ্চের সময় দেখবেন আপনি যথেষ্ট কাজ সেরে ফেলেছেন এবং তাদেখেই আপনার উৎসাহ-উদ্দীপনা বেড়ে যাবে। তাই ঘুম থেকে সকালে উঠুন। মোবাইলে তিনবার নয়, একবার স্নুজ বাটনে চাপ দিন। সকালে নাস্তা করার অন্তত ২০ মিনিট আগে ওঠার চেষ্টা করুন। আর ব্যয়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে সে সময়টি হাতে রেখে উঠুন। বেশ কয়েক দিন সকালে ওঠার কাজটি করতে পারলে আপনি অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। তখন জীবন হয়ে উঠবে আরো আনন্দময়, উদ্যমী এবং শান্তিপূর্ন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহাম্মদ মাইনুল ০২/১১/২০১৯খুব ভালো।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০১/০৮/২০১৯ভালো লেগেছে।
-
আব্দুল্লাহ্ আল মোন্তাজীর ৩০/১১/২০১৪খুব ভাল লাগল আপনার পোস্টটি। যাঁরা ফজরের নামাজ পরেন তাঁদের জন্য কাজটা এমনিতেই হয়ে যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট দেওয়ার জন্য। -
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ১১/১১/২০১৪তথ্য গুলো দরকারি বাট ছাত্র জীবনে কখনো সকালে উঠতে পারি নাই। এখন ঠেলায় পড়ে উঠতে হয়।