অব্যক্ত হাহাকার
কালো চামড়া, রুগ্ন দেহ, হতশ্রী মুখ;
কিছু ক্লান্ত অভিযোগ, দু'একটা মানসিক অসুখ
হয়তো বা আর কিছু শিশুসুলভ অভিমান–
এই নিয়ে কতজন কত অপমান
করে গেছে! তবু আমি তো নিরব
হয়ে এতদিন সয়ে গেছি সেই সব।
আর পারছি না আমি!
জীবনের চেয়ে ঢের বেশি দামি
যে জীবনবোধ, জীবনীশক্তি আজ তার
হয়ে গেছে ক্ষয়। বার বার
চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়েছে এ-প্রাণ, আত্মসন্মান
বিকিয়ে অনেক করেছি আমি আত্ন-বলিদান!
আর কত অভিযোজন? আর কত অভিনয়?
মিথ্যে অভিযোগ মাথা পেতে নিয়ে আর কত মেকি সমন্বয়?
নীতিহীন রীতির সাথে আর কত আপোষ?
আর কত বিশ্বাস ভাঙার দীর্ঘ নিঃশ্বাস?
আর কত আফসোস?
আর কতবার হাহাকার করে যাব আমি?
জীবনের চেয়ে ঢের বেশি দামি
যে জীবনবোধ, জীবনীশক্তি আজ তার
সবটাই নিঃশেষ প্রায়! সব ছারখার!
এই শীর্ণ অবসন্ন দেহে নিষ্প্রাণ জীবনের এত ভার
আমি একদমই বইতে পারি না আর।
তবু বয়ে যেতে হয়- বাধ্য হয়ে বয়ে যাই-
বিধ্বস্ত এই জীবনের নীচে আমি চাপা পড়ে যাই!
অনেক কিছুই সহ্য হয় না আর, তবু আমি সয়ে যাই;
সয়ে সয়ে ক্ষয়ে যাই!
আজ আমার মুক্তি বা মৃত্যুর বড্ড বেশি প্রয়োজন–
প্রয়োজন এ শহর হতে নিষ্কৃতি কিংবা নির্বাসন!
মিথ্যা অভিযোগ; অস্বস্তিকর শত হীন অপমান–
সয়ে সয়ে ক্ষয়ে গেছে প্রাণ,
তিক্ত যন্ত্রনা, চাপা অভিমান,
বুকে চাপা দিয়ে আমি আসছি অনির্বাণ!
কীট আর কংক্রিটের এ শহরে দগ্ধ আজ প্রাণ,
আর পারছি না আমি! আমি আসছি অনির্বাণ!
আমি আসছি অনির্বাণ এ'শহর ঘেটে
আমি আসছি অনির্বাণ মেঠো পথে হেটে;
আমি আসছি অনির্বাণ কুয়াশাকে ঘিরে
শীতল জলপথে, তিমিরের বুক চিরে
ধীরে ধীরে 'অভিযান - দশ’ এ ।
সব কিছু ভুলে গিয়ে নিরালায় বসে মায়ের পরশ,
বোনের আদর পেতে
আমি আসছি অনির্বাণ মেতে;
রবো আমি হাসি উল্লাসে তোর সাথে-
আমি আসছি অনির্বাণ এ আঁধারী রাতে!
আমি আসছি অনির্বাণ, এসে গেছি অর্ধেক
পথ, হয়তোবা আরো বেশি । ছবি পাঠাচ্ছি দ্যাখ্...
জানিস তো আমি পথ চিনি না,ঠিক কোথায় আছি
তা বলতে পারবো না।তবে খুব কাছাকাছি
এসে গেছি বোধহয় ।এখনো অনিরুকাকে
জানাইনি, জানিস? ও আমাকে
শুধু শুধু অপমান করে, ইচ্ছে করেই করে!
কত নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছি ব্যস্ততায় ঘেরা ক্লান্ত, নির্জন শহরে
শুধু ওকে ভেবে ভেবে! অথচ ও বলে
আমি নাকি ভুলে যাব ওকে।আমি নাকি চলে
যাব একদিন ওকে ছেড়ে- দূরে, বহুদুরে!
বল, তাই কি কখনো হয়?বিবশ বিকেলে, অলস দুপুরে
যার কথা ভেবে ভেবে শত নিঃসঙ্গ অভিমানে
ডুকরে কেঁদে উঠি, যার সামান্য ভ্রুকুটি'ও প্রাণে
তীব্র আঘাত হানে (শেল সম বাজে)
তার মুখে এই কথা সাজে? বল, সাজে?
***************************************
বিশ্বাস ভাঙার দীর্ঘ নিঃশাস নেই আর তার,
নেই ঘৃণা কুড়ানো রোদে পোড়া সেই কালো দেহ,নেই কালো মুখ;
নেই তার নির্দয় সীমারের মতো লোমহীন নির্মম বুক।
আছে শুধু নগ্ন খুলি, মজ্জাশুন্য দগ্ধ পাজরের হাড়!
নেই চারি ধারে স্বজনের স্বজন হারানোর আর্ত চিৎকার;
আছে শুধু অতি দূরে কারো কারো হা-হুতাশ,
অশ্রুহীণ দুটি ক্লান্ত নেত্র, কোনো এক অভিমানীনির অব্যক্ত হাহাকার!
© শাওন কুমার সিংহ
কিছু ক্লান্ত অভিযোগ, দু'একটা মানসিক অসুখ
হয়তো বা আর কিছু শিশুসুলভ অভিমান–
এই নিয়ে কতজন কত অপমান
করে গেছে! তবু আমি তো নিরব
হয়ে এতদিন সয়ে গেছি সেই সব।
আর পারছি না আমি!
জীবনের চেয়ে ঢের বেশি দামি
যে জীবনবোধ, জীবনীশক্তি আজ তার
হয়ে গেছে ক্ষয়। বার বার
চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়েছে এ-প্রাণ, আত্মসন্মান
বিকিয়ে অনেক করেছি আমি আত্ন-বলিদান!
আর কত অভিযোজন? আর কত অভিনয়?
মিথ্যে অভিযোগ মাথা পেতে নিয়ে আর কত মেকি সমন্বয়?
নীতিহীন রীতির সাথে আর কত আপোষ?
আর কত বিশ্বাস ভাঙার দীর্ঘ নিঃশ্বাস?
আর কত আফসোস?
আর কতবার হাহাকার করে যাব আমি?
জীবনের চেয়ে ঢের বেশি দামি
যে জীবনবোধ, জীবনীশক্তি আজ তার
সবটাই নিঃশেষ প্রায়! সব ছারখার!
এই শীর্ণ অবসন্ন দেহে নিষ্প্রাণ জীবনের এত ভার
আমি একদমই বইতে পারি না আর।
তবু বয়ে যেতে হয়- বাধ্য হয়ে বয়ে যাই-
বিধ্বস্ত এই জীবনের নীচে আমি চাপা পড়ে যাই!
অনেক কিছুই সহ্য হয় না আর, তবু আমি সয়ে যাই;
সয়ে সয়ে ক্ষয়ে যাই!
আজ আমার মুক্তি বা মৃত্যুর বড্ড বেশি প্রয়োজন–
প্রয়োজন এ শহর হতে নিষ্কৃতি কিংবা নির্বাসন!
মিথ্যা অভিযোগ; অস্বস্তিকর শত হীন অপমান–
সয়ে সয়ে ক্ষয়ে গেছে প্রাণ,
তিক্ত যন্ত্রনা, চাপা অভিমান,
বুকে চাপা দিয়ে আমি আসছি অনির্বাণ!
কীট আর কংক্রিটের এ শহরে দগ্ধ আজ প্রাণ,
আর পারছি না আমি! আমি আসছি অনির্বাণ!
আমি আসছি অনির্বাণ এ'শহর ঘেটে
আমি আসছি অনির্বাণ মেঠো পথে হেটে;
আমি আসছি অনির্বাণ কুয়াশাকে ঘিরে
শীতল জলপথে, তিমিরের বুক চিরে
ধীরে ধীরে 'অভিযান - দশ’ এ ।
সব কিছু ভুলে গিয়ে নিরালায় বসে মায়ের পরশ,
বোনের আদর পেতে
আমি আসছি অনির্বাণ মেতে;
রবো আমি হাসি উল্লাসে তোর সাথে-
আমি আসছি অনির্বাণ এ আঁধারী রাতে!
আমি আসছি অনির্বাণ, এসে গেছি অর্ধেক
পথ, হয়তোবা আরো বেশি । ছবি পাঠাচ্ছি দ্যাখ্...
জানিস তো আমি পথ চিনি না,ঠিক কোথায় আছি
তা বলতে পারবো না।তবে খুব কাছাকাছি
এসে গেছি বোধহয় ।এখনো অনিরুকাকে
জানাইনি, জানিস? ও আমাকে
শুধু শুধু অপমান করে, ইচ্ছে করেই করে!
কত নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছি ব্যস্ততায় ঘেরা ক্লান্ত, নির্জন শহরে
শুধু ওকে ভেবে ভেবে! অথচ ও বলে
আমি নাকি ভুলে যাব ওকে।আমি নাকি চলে
যাব একদিন ওকে ছেড়ে- দূরে, বহুদুরে!
বল, তাই কি কখনো হয়?বিবশ বিকেলে, অলস দুপুরে
যার কথা ভেবে ভেবে শত নিঃসঙ্গ অভিমানে
ডুকরে কেঁদে উঠি, যার সামান্য ভ্রুকুটি'ও প্রাণে
তীব্র আঘাত হানে (শেল সম বাজে)
তার মুখে এই কথা সাজে? বল, সাজে?
***************************************
বিশ্বাস ভাঙার দীর্ঘ নিঃশাস নেই আর তার,
নেই ঘৃণা কুড়ানো রোদে পোড়া সেই কালো দেহ,নেই কালো মুখ;
নেই তার নির্দয় সীমারের মতো লোমহীন নির্মম বুক।
আছে শুধু নগ্ন খুলি, মজ্জাশুন্য দগ্ধ পাজরের হাড়!
নেই চারি ধারে স্বজনের স্বজন হারানোর আর্ত চিৎকার;
আছে শুধু অতি দূরে কারো কারো হা-হুতাশ,
অশ্রুহীণ দুটি ক্লান্ত নেত্র, কোনো এক অভিমানীনির অব্যক্ত হাহাকার!
© শাওন কুমার সিংহ
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুর রহমান আনসারী ১৯/০৩/২০২২অনুপম সুন্দর
-
উবায়দুল্লাহ ফারুক ১০/০১/২০২২অসাধারণ কাব্যশৈলীর নিপুণ কারুকার্য বিমুগ্ধ করে তুললো, সাথে সাথে ব্যথিত হল হৃদয়, আত্মা, অন্তর।
ধন্যবাদ প্রিয় কবি। -
ফয়জুল মহী ১০/০১/২০২২সত্য উপস্থাপন
-
সিন্ধু সেঁচে মুক্তা-আব্দুল কাদির মিয়া ১০/০১/২০২২চমৎকার লিখেছেন
-
অভিজিৎ হালদার ১০/০১/২০২২Bhalo