গা ঘেষে দাঁড়াবেন না
"গা ঘেষে দাঁড়াবেন না"
হ্যা বোন প্রমিজ করলাম দাড়াবোনা, কি লাভ আপনাদের গা ঘেষে দাঁড়িয়ে, আমাদের ঘরেও ত মা বোন আছে তাইনা?
কিন্তু টিশার্ট এর লেখাটা একটু নিচে লিখলে হতোনা? গা না ঘেষলেও চোখ ত ঘেষে যাবেই.....
ঘেষাঘেষি নিয়ে কোন বাক্যব্যায় করতে চাচ্ছিলাম না, স্বধিকারের মোর এই দেশে আপনার দাবি আপনার চাওয়া আপনি উত্থাপন করতেই পারেন, তাতে দোষ নেই, বরং সাহসী শ্রেণীতে আপনার নামটা হাইলাইট মার্কার দিয়ে অংকিত করা চলে,
তাই বলে টাইট টিশার্টের আকৃতি কে বিসর্জন দিয়ে?
জ্বী আমি মানি, আপনি আধুনিকতার ছোয়ায় আপনার পোষাক, আপনার কালচার, আপনার প্রতিবাদের ধরণ সব কিছুকেই আধুনিকায়ন করেছেন, কিন্তু আপনার লিঙ্গধারী গ্রামের মেয়েদের প্রতিবাদের পদ্ধতিটা একটু শিখিয়ে দিলে হতনা? তাদের পিছনেও ত আমাদের হায়েনা শ্রেণীর পুরুষেরা গা ঘেষতে উত পেতে থাকে,
তবে তাদের কি হবে? তারা কিভাবে প্রতিবাদ করবে? তারা কি তবে গ্রামের কাদাটিতে দাঁড়িয়ে টিশার্ট এর আকৃতি বিসর্জন দিবে?
এতে ত তাদের জাত যাবে, নারীবাদ কে নতুন রূপ দিতে ত তারা গ্রামের মানুষের মুখে ঠেংগা বেহায়া মাগীতে পরিণত হবে,
আপনার পরিবার,আপনার লেভেল, আপনার আশপাশ আধুনিক কিন্তু গ্রামের মেয়েগুলোর পরিবার কি আধোও উগ্রতায় আধুনিক হয়েছে? অথচ খবর নিয়ে দেখুন তারাও প্রতিনিয়ত আমাদের হায়েনা শ্রেণী পুরুষ দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, যা তারা নিরিবেই সহ্য করছে, ক্ষনে ক্ষনে নিরবে প্রতিবাদ ও করছে কিন্তু ইজ্জতের ভয় বলে একটা বাক্যের জন্যে তারা গর্জে উঠতে পারছেনা।
আমি বলছিনা এই সব শিকার হওয়া বোনেরা প্রতিবাদ করবেনা, তারা হায়েনাদের কে পালটা জবাব দিবেনা কিন্তু নিজের দেহের অংশভাগ দেখিয়ে কি এ প্রতিবাদ মানানসই হবে??
নারী জাতীর প্রতি যথেষ্ট লেভেলের শ্রদ্ধা থাকলে একজন পুঃলিঙ্গ কে সুপুরষ বলে, বিবেকবান বলে, এদের থেকে আপনি ইভটিজিং, শিহরণ কিংবা ধর্ষণের মত আচরণ পাবেন না আর তাদের থেকে নারীর কুরুচির পরিচয়ের প্রকাশ কে সহ্য করাটাও আশা করতে পারবেন না,
অপরদিকে নারীকে মাল বলে জানা হায়েনা শ্রেণীর থেকে যেমন আপনি ছাড় পাবনে না ঠিক তেমনি আপনার প্রদর্শনীতেও কোন প্রতিবাদ পাবেন না, বরং আপনার প্রদর্শন কে তারা উত্তেজনার খোরাক হিসেবেই বেছে নিবে।
তাই প্রতিবাদ হওয়া চাই নম্রতা সভ্যতাকে আঁকড়ে ধরে, নিজের ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে নয়,
অবশ্য প্রতিবাদ কে ঢাল বানিয়ে আলোচিত সমালোচিত হতে চাইলে ভিন্ন কথা।
নারীবাদীদের কলিজার টুকরো হায়াহীন নারী তসলিমা নাসরীন এর এক স্টেটাস দেখলাম, তিনি কয়েকটি স্লোগান দিয়েছেন নারীদের তরে, এমন স্লোগান যেনো যোগ করে প্রতিবাদ কে আরো তিব্র করার পরামর্শ দিয়েছেন,
আমি তার সাথে সহমত, কিন্তু তিনি কি আধোও প্রতিবাদের কোন সুস্থ পদ্ধতি আপনাদের বাতলে দিচ্ছে? নাকি আপনাদের উস্কানি দিয়ে মগজ ধোলাই করে লেজ কাটা শেয়ালের মত সবার লেজ কাটাতে চাচ্ছে?
তসলিমা কে অনুকরণ করে তবে কেন আপনারা নাচবেন?
নারী জাগরণে বেগম রোকেয়াদের দিকে তাকাচ্ছেন না কেনো?
আমিও বলতে চাই স্লোগানের সুরে জাগো হে ভগিনী, প্রতিবাদ হোক, নারী সুড়সুড়ি বন্ধ হোক কিন্তু তাই বলে নিজেকে প্রদর্শন করে নয়, নিজের দেহ কে অন্যের চোখের দৃষ্টিভ্রম বানিয়ে নয়।
কেননা বিশ্বের যা কিছু সৃষ্টি অর্ধেক তার কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর,
সুতরাং ভুলে গেলে চলবেনা কল্যাণের অর্ধভাগ আপনাদের হাতেই..
আর পুরুষের বাম পাজরের হাড় হতে সৃজন হওয়া আপনাদের অপমানে ত আমাদেরও আপমান হয়ে দাঁড়ায়।
যেহুতু আমাদের ঘরেও মা বোন আছে.....
-------©®-------
শামিম ইশতিয়াক
ময়মনসিংহ।
হ্যা বোন প্রমিজ করলাম দাড়াবোনা, কি লাভ আপনাদের গা ঘেষে দাঁড়িয়ে, আমাদের ঘরেও ত মা বোন আছে তাইনা?
কিন্তু টিশার্ট এর লেখাটা একটু নিচে লিখলে হতোনা? গা না ঘেষলেও চোখ ত ঘেষে যাবেই.....
ঘেষাঘেষি নিয়ে কোন বাক্যব্যায় করতে চাচ্ছিলাম না, স্বধিকারের মোর এই দেশে আপনার দাবি আপনার চাওয়া আপনি উত্থাপন করতেই পারেন, তাতে দোষ নেই, বরং সাহসী শ্রেণীতে আপনার নামটা হাইলাইট মার্কার দিয়ে অংকিত করা চলে,
তাই বলে টাইট টিশার্টের আকৃতি কে বিসর্জন দিয়ে?
জ্বী আমি মানি, আপনি আধুনিকতার ছোয়ায় আপনার পোষাক, আপনার কালচার, আপনার প্রতিবাদের ধরণ সব কিছুকেই আধুনিকায়ন করেছেন, কিন্তু আপনার লিঙ্গধারী গ্রামের মেয়েদের প্রতিবাদের পদ্ধতিটা একটু শিখিয়ে দিলে হতনা? তাদের পিছনেও ত আমাদের হায়েনা শ্রেণীর পুরুষেরা গা ঘেষতে উত পেতে থাকে,
তবে তাদের কি হবে? তারা কিভাবে প্রতিবাদ করবে? তারা কি তবে গ্রামের কাদাটিতে দাঁড়িয়ে টিশার্ট এর আকৃতি বিসর্জন দিবে?
এতে ত তাদের জাত যাবে, নারীবাদ কে নতুন রূপ দিতে ত তারা গ্রামের মানুষের মুখে ঠেংগা বেহায়া মাগীতে পরিণত হবে,
আপনার পরিবার,আপনার লেভেল, আপনার আশপাশ আধুনিক কিন্তু গ্রামের মেয়েগুলোর পরিবার কি আধোও উগ্রতায় আধুনিক হয়েছে? অথচ খবর নিয়ে দেখুন তারাও প্রতিনিয়ত আমাদের হায়েনা শ্রেণী পুরুষ দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, যা তারা নিরিবেই সহ্য করছে, ক্ষনে ক্ষনে নিরবে প্রতিবাদ ও করছে কিন্তু ইজ্জতের ভয় বলে একটা বাক্যের জন্যে তারা গর্জে উঠতে পারছেনা।
আমি বলছিনা এই সব শিকার হওয়া বোনেরা প্রতিবাদ করবেনা, তারা হায়েনাদের কে পালটা জবাব দিবেনা কিন্তু নিজের দেহের অংশভাগ দেখিয়ে কি এ প্রতিবাদ মানানসই হবে??
নারী জাতীর প্রতি যথেষ্ট লেভেলের শ্রদ্ধা থাকলে একজন পুঃলিঙ্গ কে সুপুরষ বলে, বিবেকবান বলে, এদের থেকে আপনি ইভটিজিং, শিহরণ কিংবা ধর্ষণের মত আচরণ পাবেন না আর তাদের থেকে নারীর কুরুচির পরিচয়ের প্রকাশ কে সহ্য করাটাও আশা করতে পারবেন না,
অপরদিকে নারীকে মাল বলে জানা হায়েনা শ্রেণীর থেকে যেমন আপনি ছাড় পাবনে না ঠিক তেমনি আপনার প্রদর্শনীতেও কোন প্রতিবাদ পাবেন না, বরং আপনার প্রদর্শন কে তারা উত্তেজনার খোরাক হিসেবেই বেছে নিবে।
তাই প্রতিবাদ হওয়া চাই নম্রতা সভ্যতাকে আঁকড়ে ধরে, নিজের ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে নয়,
অবশ্য প্রতিবাদ কে ঢাল বানিয়ে আলোচিত সমালোচিত হতে চাইলে ভিন্ন কথা।
নারীবাদীদের কলিজার টুকরো হায়াহীন নারী তসলিমা নাসরীন এর এক স্টেটাস দেখলাম, তিনি কয়েকটি স্লোগান দিয়েছেন নারীদের তরে, এমন স্লোগান যেনো যোগ করে প্রতিবাদ কে আরো তিব্র করার পরামর্শ দিয়েছেন,
আমি তার সাথে সহমত, কিন্তু তিনি কি আধোও প্রতিবাদের কোন সুস্থ পদ্ধতি আপনাদের বাতলে দিচ্ছে? নাকি আপনাদের উস্কানি দিয়ে মগজ ধোলাই করে লেজ কাটা শেয়ালের মত সবার লেজ কাটাতে চাচ্ছে?
তসলিমা কে অনুকরণ করে তবে কেন আপনারা নাচবেন?
নারী জাগরণে বেগম রোকেয়াদের দিকে তাকাচ্ছেন না কেনো?
আমিও বলতে চাই স্লোগানের সুরে জাগো হে ভগিনী, প্রতিবাদ হোক, নারী সুড়সুড়ি বন্ধ হোক কিন্তু তাই বলে নিজেকে প্রদর্শন করে নয়, নিজের দেহ কে অন্যের চোখের দৃষ্টিভ্রম বানিয়ে নয়।
কেননা বিশ্বের যা কিছু সৃষ্টি অর্ধেক তার কল্যাণকর,
অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর,
সুতরাং ভুলে গেলে চলবেনা কল্যাণের অর্ধভাগ আপনাদের হাতেই..
আর পুরুষের বাম পাজরের হাড় হতে সৃজন হওয়া আপনাদের অপমানে ত আমাদেরও আপমান হয়ে দাঁড়ায়।
যেহুতু আমাদের ঘরেও মা বোন আছে.....
-------©®-------
শামিম ইশতিয়াক
ময়মনসিংহ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এম এম হোসেন ১৮/০৪/২০২১সত্যি
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ২৮/০৩/২০২০Good
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ০৯/০৪/২০১৯শরীরের অংগ-প্রত্যঙ্গ যদি দৃষ্টিগোচর হয় যে পোষাক পড়লে তা আসলে পোষাক নয়।
শালীন পোষাকই নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়। এখনকার সময়ে যে ভাবে ঘেঁষাঘেঁষি চলে তা
একেবারেই প্রকাশ্য ঘর্হিত। লজ্জা বলতে যে একটি কথা আছে তা হারিয়ে গেছে। আর যার
লজ্জা বা হায়া নেই তার ঈমান বা বিশ্বাস নেই। সমসাময়িক উপস্থাপনার জন্য শুভেচ্ছা জানাই। -
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৮/০৪/২০১৯গা ঘেঁষে না দাঁড়ানোই ভালো।