প্রশান্তি উদযাপন - শামিম ইশতিয়াক
কোলাহল এখন বড্ড ভালো লাগে,
দলছুট কষ্ট, আর জোটবিহিন একাকিত্ব কে হজম করতে করতে এখন কোলাহলের প্রতি জন্মেছে এক অদ্ভুত টান,
কোলাহলের স্বাদ নিতে স্টেশনে এসেছি,
এখানে হরেক রকম মানুষ, কেউ ব্যাস্ত ট্রেন ধরতে, কেউ আবার নির্বাচনের ছুটিতে ফিরছে আপন নীড়ে, কেউ হয়ত অপেক্ষা করছে প্রিয় কোন মানুষের জন্য, ট্রেনে চড়ে আসবে মিলনের টানে..
আমি রোজ এখানে আসিনা, মন খারাপ হলে আসি, যখন ভীষণ রকম মন খারাপ হয় তখন স্টেশনের বকুল গাছের নিচে বসে থাকি, বসে বসে ট্রেনের ইঞ্জিনের শব্দ শুনি, ঝক ঝক ট্রেনের ছুটে চলা দেখি আর ভাবি এভাবেই জীবন থেকে ছুটে চলে গেলো প্রিয়জন...
ইদানিং এক বদঅভ্যাস হয়েছে রাতে ঘুমাতে পারিনা তাই সন্ধারতি ভর করলেই চোখ তালা বন্ধ হয়ে আসে, ক্রংকিটের বেঞ্চে বসে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে কখন যে ঘুমের রাজ্যের প্রবেশদ্বারে পা রেখছিলাম তা আচ করতে পারলাম না, ঘুম ভাজ্ঞলো নারীকন্ঠ শুনে,
" আমি তোমার সাথে যাবনা তুমি যাও, কি পেয়েছি তোমার সাথে যেয়ে? তোমার সব কথা মেনে চলি তবুও অবিশ্বাস করো আমাকে, সন্দেহ করো, আমি আর যাবনা তোমার সাথে তুমি যাও"
আমার চেয়ে বয়সে বড় হবে মেয়েটা,
সাথের ছেলেটি এতক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল,
-তুমি যাইবানা এটাই ফাইনাল?
-হুম ফাইনাল,
- থাকতে পারবা আমাকে ছাড়া?
-সেটা আমার ব্যাপার, আর কখনো যোগাযোগ করনা আমার সাথে,
ছেলেটির চোখ ছল ছল হয়ে যাওয়ার দৃশ্যটি হয়ত মেয়েটি এড়িয়ে গেলো কিন্তু আমার চোখ যেনো ফাকি দিলনা,
ছেলেটি হাটা দিল হন হন করে,
আমি দ্বির্ঘশ্বাস ছেড়ে মনে মনে আওরালাম কি অদ্ভুত! মানুষের জীবনের সাথে মানুষের জীবনের কত মিল!!
উঠে দাড়ালাম আর বসে থাকা যাবেনা হাটতে হবে এই শহরে উদ্যেশ্য ছাড়া হাটলে যেনো একটু হলেও প্রশান্তি খুজে পাই এই আহত মনে....
যাওয়ার আগে মেয়েটির দিকে আড়চোখে তাকালাম ফোনে কথা বলছে আর হাসছে, হয়ত তার মন দখল করা অন্য কারো সাথে এখন সে প্রশান্তি উদযাপন করবে.....
শামিম ইশতিয়াক
আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ।
দলছুট কষ্ট, আর জোটবিহিন একাকিত্ব কে হজম করতে করতে এখন কোলাহলের প্রতি জন্মেছে এক অদ্ভুত টান,
কোলাহলের স্বাদ নিতে স্টেশনে এসেছি,
এখানে হরেক রকম মানুষ, কেউ ব্যাস্ত ট্রেন ধরতে, কেউ আবার নির্বাচনের ছুটিতে ফিরছে আপন নীড়ে, কেউ হয়ত অপেক্ষা করছে প্রিয় কোন মানুষের জন্য, ট্রেনে চড়ে আসবে মিলনের টানে..
আমি রোজ এখানে আসিনা, মন খারাপ হলে আসি, যখন ভীষণ রকম মন খারাপ হয় তখন স্টেশনের বকুল গাছের নিচে বসে থাকি, বসে বসে ট্রেনের ইঞ্জিনের শব্দ শুনি, ঝক ঝক ট্রেনের ছুটে চলা দেখি আর ভাবি এভাবেই জীবন থেকে ছুটে চলে গেলো প্রিয়জন...
ইদানিং এক বদঅভ্যাস হয়েছে রাতে ঘুমাতে পারিনা তাই সন্ধারতি ভর করলেই চোখ তালা বন্ধ হয়ে আসে, ক্রংকিটের বেঞ্চে বসে ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে কখন যে ঘুমের রাজ্যের প্রবেশদ্বারে পা রেখছিলাম তা আচ করতে পারলাম না, ঘুম ভাজ্ঞলো নারীকন্ঠ শুনে,
" আমি তোমার সাথে যাবনা তুমি যাও, কি পেয়েছি তোমার সাথে যেয়ে? তোমার সব কথা মেনে চলি তবুও অবিশ্বাস করো আমাকে, সন্দেহ করো, আমি আর যাবনা তোমার সাথে তুমি যাও"
আমার চেয়ে বয়সে বড় হবে মেয়েটা,
সাথের ছেলেটি এতক্ষন চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল,
-তুমি যাইবানা এটাই ফাইনাল?
-হুম ফাইনাল,
- থাকতে পারবা আমাকে ছাড়া?
-সেটা আমার ব্যাপার, আর কখনো যোগাযোগ করনা আমার সাথে,
ছেলেটির চোখ ছল ছল হয়ে যাওয়ার দৃশ্যটি হয়ত মেয়েটি এড়িয়ে গেলো কিন্তু আমার চোখ যেনো ফাকি দিলনা,
ছেলেটি হাটা দিল হন হন করে,
আমি দ্বির্ঘশ্বাস ছেড়ে মনে মনে আওরালাম কি অদ্ভুত! মানুষের জীবনের সাথে মানুষের জীবনের কত মিল!!
উঠে দাড়ালাম আর বসে থাকা যাবেনা হাটতে হবে এই শহরে উদ্যেশ্য ছাড়া হাটলে যেনো একটু হলেও প্রশান্তি খুজে পাই এই আহত মনে....
যাওয়ার আগে মেয়েটির দিকে আড়চোখে তাকালাম ফোনে কথা বলছে আর হাসছে, হয়ত তার মন দখল করা অন্য কারো সাথে এখন সে প্রশান্তি উদযাপন করবে.....
শামিম ইশতিয়াক
আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৮/১২/২০১৮জীবনের একটুকরো সংলাপ।
-
নাসরীন আক্তার রুবি ২৮/১২/২০১৮বেশ লিখলেন।