পাগলীর পাগলামি - শামিম ইশতিয়াক
মরার মত ঘুমাইতেছো কেন? উঠো বলতেছি, কথা কানে যায়না তোমার? কখন থেকে ডাকতেছি,
কাচা ঘুমে পানির ছিটা লেগে ঘুম ভাজ্ঞলো নীলাভ্রের,
মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখল রাত দুইটা বেজে বত্রিশ মিনিট,
এই হলো নীলাময়ীর সমস্যা মাঝরাতে ডাকবে আর ঘুমের বিরক্ত করবে, বিয়ে করেই আজ এই যন্ত্রণার শিকার সে, ঠিকমত ঘুমানোও যায়না৷
অথচ ব্যাচেলর লাইফে কত শান্তির ঘুম ছিল, কারো হাক ডাক নাই শুধু সকালে "মামা কি রান্না হরবাম? ডাকটা মনে হতো এক অশান্তির দাবানলের মত কিন্তু এটাও সহ্য হয়ে গিয়েছি ভোরের সূর্য উঠার রুটিনের সাথে মানানসই হয়ে..
তখন ও নীলাময়ীর প্যারা ছিল, ফোনের পর ফোন আসতো, ফোন রিসিভ করলেই শুরু হত ঘ্যানঘানানি ১১টা বাজে উঠো তারাতারি, সারারাত কি করছো? ঘুমাইছো কয়টায়? কোন মাইয়ার সাথে ফেইসবুকে কথা বলছো? এত ঘন্টা আগে একটিভ ছিলা তুমি, যাও ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করো,
এসবের হাত থেকে বাচার জন্য অবশ্য শেষের দিকে ফোন সাইলেন্ট করেই সকালের ঘুমের অমিয় স্বাদ টা নিতো নীলাভ্র..
তবুও বাচা ত আর গেলোনা, ব্যাচেলর লাইফ থেকে এখন সে এক বিবাহিত মূর্তিতে রূপ নিলো...
ওই নীলাভ্র কি হলো উঠো, উপরে তাকাইয়া কি ভাবো?
- এত রাতে ঘুম ভাজ্ঞাইলা কেন?
- চলো ছাদে যাব চাঁদ দেখবো,
- মানে কি এই শীতের রাতে?
- হুম শীতের রাতে কুয়াশার সাথে চাঁদ দেখাটা অনেক মজার চলো যাই,
- হুম চলো যাই না গেলেও ত মুখটা বাংলার পাচ বানাইয়া দিবা
- কি বললা তুমি? হে কি বললা?
-ইয়ে মানে বললাম পাচটা বাজা পর্যন্ত দেখবো দেখবো চলো যাই,
- তুমি যাও আমি তোমার জন্য কফি নিয়ে আসি,
নিস্তব্ধ অন্ধাকারে ছাদে এসে দাড়াতেই সারা গায়ে কাপুনি দিয়ে উঠল নীলাভ্রের, কম্বলের নিচে আরাম কে হারাম করে এই পাগলী মেয়েটার জন্য এই শীতের রাতে ঠান্ডার আঘাত হজম করতে হচ্ছে এখন,
ঘুমঘুম চোখ নিয়ে ছাদের র্যালিং ঘেষে দাঁড়ালো সে, কখন যে আসবে এই অসহ্য মেয়েটা..
হাতে দুটি কফির মফ নিয়ে ছাদে আসল আসল নীলাময়ী,
খোলা চুলে অন্ধকারে বোকাসোকা চেহারার বউটাকে দেখে ঘুম কেটে গেলো নীলাভ্রের,
কি যেনো এক মায়া আছে মেয়েটার মাঝে তার দিকে তাকিয়ে থেকে ভুলে যাওয়া যায় সব কষ্টগুলো,
এই নাও বলে কাপ এগিয়ে দিল নীলাময়ী,
কফি থেকে ধোয়া উঠছেনা কেন প্রশ্নটা করতে যাবে তখনি হাতে কাপ নিতেই আবারো গা হিম হয়ে গেলো তার,
ঠান্ডা কাপের উপর ফোটা ফোটা পানির অস্তিত্ব জানান দিলো যেনো ভেতরে এন্টার্রটিকা মহাদেশের বরফেরা দল বেধে চলে এসেছে,
এটা কি কফি নীলাময়ী?
আগে চুমুক দাও,
চুমুক দিয়ে থ হয়ে গেলো,
ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে লেবু চিনি দিয়ে শরবত বানিয়ে এনেছে....
- কি নীলাভ্র কফিটা মজানা!"
- ফাইজলামি করার জন্য এত রাতে ছাদে আনছো?
- মনে পরে তুমি এক বছর আগে স্টেটাশ দিছিলা যে কেউ একজন যদি হারকাপা শীতের রাতে, বরফ শীতল পানিতে লেবু চিনি দিয়ে শরবত বানিয়ে এনে বলতো চলো ছাদে গিয়ে চাঁদ দেখি তখন তাকে জড়িয়ে ধরে হয়ত হমজ করা যেতো সব কিছু.
রাগে শরির কাপছিলো নীলাভ্রের তবুও পাগলী মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছাটা আর থামিয়ে রাখতে পারলোনা সে ....
কাচা ঘুমে পানির ছিটা লেগে ঘুম ভাজ্ঞলো নীলাভ্রের,
মোবাইলের দিকে তাকিয়ে দেখল রাত দুইটা বেজে বত্রিশ মিনিট,
এই হলো নীলাময়ীর সমস্যা মাঝরাতে ডাকবে আর ঘুমের বিরক্ত করবে, বিয়ে করেই আজ এই যন্ত্রণার শিকার সে, ঠিকমত ঘুমানোও যায়না৷
অথচ ব্যাচেলর লাইফে কত শান্তির ঘুম ছিল, কারো হাক ডাক নাই শুধু সকালে "মামা কি রান্না হরবাম? ডাকটা মনে হতো এক অশান্তির দাবানলের মত কিন্তু এটাও সহ্য হয়ে গিয়েছি ভোরের সূর্য উঠার রুটিনের সাথে মানানসই হয়ে..
তখন ও নীলাময়ীর প্যারা ছিল, ফোনের পর ফোন আসতো, ফোন রিসিভ করলেই শুরু হত ঘ্যানঘানানি ১১টা বাজে উঠো তারাতারি, সারারাত কি করছো? ঘুমাইছো কয়টায়? কোন মাইয়ার সাথে ফেইসবুকে কথা বলছো? এত ঘন্টা আগে একটিভ ছিলা তুমি, যাও ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করো,
এসবের হাত থেকে বাচার জন্য অবশ্য শেষের দিকে ফোন সাইলেন্ট করেই সকালের ঘুমের অমিয় স্বাদ টা নিতো নীলাভ্র..
তবুও বাচা ত আর গেলোনা, ব্যাচেলর লাইফ থেকে এখন সে এক বিবাহিত মূর্তিতে রূপ নিলো...
ওই নীলাভ্র কি হলো উঠো, উপরে তাকাইয়া কি ভাবো?
- এত রাতে ঘুম ভাজ্ঞাইলা কেন?
- চলো ছাদে যাব চাঁদ দেখবো,
- মানে কি এই শীতের রাতে?
- হুম শীতের রাতে কুয়াশার সাথে চাঁদ দেখাটা অনেক মজার চলো যাই,
- হুম চলো যাই না গেলেও ত মুখটা বাংলার পাচ বানাইয়া দিবা
- কি বললা তুমি? হে কি বললা?
-ইয়ে মানে বললাম পাচটা বাজা পর্যন্ত দেখবো দেখবো চলো যাই,
- তুমি যাও আমি তোমার জন্য কফি নিয়ে আসি,
নিস্তব্ধ অন্ধাকারে ছাদে এসে দাড়াতেই সারা গায়ে কাপুনি দিয়ে উঠল নীলাভ্রের, কম্বলের নিচে আরাম কে হারাম করে এই পাগলী মেয়েটার জন্য এই শীতের রাতে ঠান্ডার আঘাত হজম করতে হচ্ছে এখন,
ঘুমঘুম চোখ নিয়ে ছাদের র্যালিং ঘেষে দাঁড়ালো সে, কখন যে আসবে এই অসহ্য মেয়েটা..
হাতে দুটি কফির মফ নিয়ে ছাদে আসল আসল নীলাময়ী,
খোলা চুলে অন্ধকারে বোকাসোকা চেহারার বউটাকে দেখে ঘুম কেটে গেলো নীলাভ্রের,
কি যেনো এক মায়া আছে মেয়েটার মাঝে তার দিকে তাকিয়ে থেকে ভুলে যাওয়া যায় সব কষ্টগুলো,
এই নাও বলে কাপ এগিয়ে দিল নীলাময়ী,
কফি থেকে ধোয়া উঠছেনা কেন প্রশ্নটা করতে যাবে তখনি হাতে কাপ নিতেই আবারো গা হিম হয়ে গেলো তার,
ঠান্ডা কাপের উপর ফোটা ফোটা পানির অস্তিত্ব জানান দিলো যেনো ভেতরে এন্টার্রটিকা মহাদেশের বরফেরা দল বেধে চলে এসেছে,
এটা কি কফি নীলাময়ী?
আগে চুমুক দাও,
চুমুক দিয়ে থ হয়ে গেলো,
ফ্রিজের ঠান্ডা পানিতে লেবু চিনি দিয়ে শরবত বানিয়ে এনেছে....
- কি নীলাভ্র কফিটা মজানা!"
- ফাইজলামি করার জন্য এত রাতে ছাদে আনছো?
- মনে পরে তুমি এক বছর আগে স্টেটাশ দিছিলা যে কেউ একজন যদি হারকাপা শীতের রাতে, বরফ শীতল পানিতে লেবু চিনি দিয়ে শরবত বানিয়ে এনে বলতো চলো ছাদে গিয়ে চাঁদ দেখি তখন তাকে জড়িয়ে ধরে হয়ত হমজ করা যেতো সব কিছু.
রাগে শরির কাপছিলো নীলাভ্রের তবুও পাগলী মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছাটা আর থামিয়ে রাখতে পারলোনা সে ....
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ২৮/০১/২০১৯So nice
-
অনিরুদ্ধ বুলবুল ১১/০১/২০১৯সুন্দর লিখেছেন বটে।
কে জব্দ হল -
নায়ক না নায়িকা?
'আলোর মিছিলে'র সফল অগ্রযাত্রায় শরিক হোন।
এর ৪র্থ সংখ্যাটি (মাতৃভাষা দিবস সংখ্যা) প্রকাশের পথে।
https://www.bangla-kobita.com/oniruddho/matryvasa-dibos/?s=published
গল্প প্রবন্ধ কবিতা যা ইচ্ছা দিতে পারেন। ধন্যবাদ। -
সিন্ধু সেঁচে মুক্তা-আব্দুল কাদির মিয়া ০২/০১/২০১৯nice
-
ব্লগার মাহমুদুর রহমান ১৫/১২/২০১৮গল্পে ভালো লাগা।
-
দীপক কুমার সরকার ০৯/১২/২০১৮খুব সুন্দর ভালো লেগেছে।