ধর্ষিত মানবতা
ধর্ষিত মানবতা ও বিশ্ববিবেক
------শামিম ইশিতিয়াক
আপনার পাশের মানুষটি ঘুমানোর ভান করে আছে আর সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে সে আপনার ডাকে সাড়া দিবেনা আর আপনি তাকে সজাগ করার জন্য ডাকাডাকি করছেন,
আপনার কি মনে হচ্ছে এই ঘুম ভাজ্ঞানো কি আপনার পক্ষে সম্ভব?
সিরিয়াতে দুই ব্যক্তি মাথায় করে দুটি শিশুর লাশ নিয়ে ফিরছেন। কী মর্মস্পর্শী ছবি! এ ছবি দেখে বাক্রুদ্ধ হয়ে যাই। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। মানুষ হিসেবে নিজেকে অপরাধী মনে হয়।
এ যেন শিশুর লাশ নয়, এ যেনো ঘুমন্ত মানবতার সদ্যমৃত লাশ, অবাধে মানবতা ধর্ষিত হচ্ছে, আর বিশ্বমোড়লেরা ঘুমের ভান ধরে সেটা দেখেও না দেখার ভান করছে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দেখেও না দেখার ভান করেই যাবে এখন আপনার কি মনে হচ্ছে কারো পক্ষে তাদের এই না দেখার ভান কে দেখানোতে রূপান্তর করা সম্ভব?
বিশ্বসম্প্রদায় এর এটা নিয়ে নেই কোন মাথাব্যাথা এখনো পর্যন্ত তারা এই হত্যাকান্ড ও অত্যাচার বন্ধের জন্য কোন উদ্যোগ নেয় নি, কোন উদ্বেগ প্রকাশ কিংবা প্রথাগত বিবৃতি দেওয়া ছাড়া কিছুই করেনি তারা, কিন্তু কেন? কি অপরাধ এই শিশুদের? কি অপরাধে অপরাধী এই নারীরা?
পশ্চিমের যেসব দেশ মানবাধিকার নিয়ে বরাবর সোচ্চার, তাদের নিষ্ক্রিয়তা দেখে আমি প্রশ্নবিদ্ধ হই, তারা কারা? তারা কতটুকু কাজ করে মানবতার জন্য? মানুষ মানুষের রক্ত নিয়ে হলি খেলে আর সেটা দেখেও এই মানবাধিকার সংস্থাসমূহ নিরব ভুমিকা পালন করে,
ট্রাম্প প্রশাসন কূটনৈতিকভাবেই সব কিছু কে লক্ষ্য অর্জনের কৌশল তৈরি করছে, কিন্তু সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত রেখেছে, সিরিয়ার 'মুক্ত' এলাকাগুলোতে স্থিতিশীলতা আনার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন সিরিয়ার ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স কাজ করছে,
কিন্তু কাজ করছে তা জাতি এখন তা বুঝে গেছে এবং দেখেও চলছে কিন্তু এই দেখাটা ট্রাম্প সাহেব এর হচ্ছে না,
এই এসডিএফ কুর্দি মিলিশিয়া-প্রধান এবং তুরস্ক একে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে মনে করে কিন্তু সন্ত্রাসী দমনে যদি নিরহ দের কে অত্যাচার করা হয় তবে আমি স্লোগান দিবো সন্ত্রাসবাদ জয় হোক..
আগাছা নিধনে যদি ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে প্রয়োজন নেই এই আগাছা নিধনের,
একের পর বোমা হামলা চালানো হয় সিরিয়ার বোমারু বিমান থেকে। এতে এক নারীসহ অনেক শিশু নিহত হিয় এবং বেশ অনেকজন গুরুতর আহত হয়, কিন্তু তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণের অভাবে নেভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না,
কিন্তু কেন?
ঘুমন্ত বিশ্ববিবেক এর কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, কতটা রক্ত দিলে বন্ধ হবে এই বর্বরতা?
বাংলাদেশ থেকে আমরা দু ফোটা অশ্রুকণা ছেড়ে আর হাত তুলে একটু দোয়া করা ছাড়া কিছু করতে পারবোনা কিন্তু বিশ্ববিবেক এর কাছে জবাব চাইবো যে কবে থামাবো হবে এই নির্মমতা?
শিশু নারীর রক্ত একদিন ফুলে ফেঁপে উঠবে বারুদখানা হইয়ে তা শুধু সময়ের অপেক্ষা...
------শামিম ইশিতিয়াক
আপনার পাশের মানুষটি ঘুমানোর ভান করে আছে আর সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে সে আপনার ডাকে সাড়া দিবেনা আর আপনি তাকে সজাগ করার জন্য ডাকাডাকি করছেন,
আপনার কি মনে হচ্ছে এই ঘুম ভাজ্ঞানো কি আপনার পক্ষে সম্ভব?
সিরিয়াতে দুই ব্যক্তি মাথায় করে দুটি শিশুর লাশ নিয়ে ফিরছেন। কী মর্মস্পর্শী ছবি! এ ছবি দেখে বাক্রুদ্ধ হয়ে যাই। চোখ ঝাপসা হয়ে আসে। মানুষ হিসেবে নিজেকে অপরাধী মনে হয়।
এ যেন শিশুর লাশ নয়, এ যেনো ঘুমন্ত মানবতার সদ্যমৃত লাশ, অবাধে মানবতা ধর্ষিত হচ্ছে, আর বিশ্বমোড়লেরা ঘুমের ভান ধরে সেটা দেখেও না দেখার ভান করছে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দেখেও না দেখার ভান করেই যাবে এখন আপনার কি মনে হচ্ছে কারো পক্ষে তাদের এই না দেখার ভান কে দেখানোতে রূপান্তর করা সম্ভব?
বিশ্বসম্প্রদায় এর এটা নিয়ে নেই কোন মাথাব্যাথা এখনো পর্যন্ত তারা এই হত্যাকান্ড ও অত্যাচার বন্ধের জন্য কোন উদ্যোগ নেয় নি, কোন উদ্বেগ প্রকাশ কিংবা প্রথাগত বিবৃতি দেওয়া ছাড়া কিছুই করেনি তারা, কিন্তু কেন? কি অপরাধ এই শিশুদের? কি অপরাধে অপরাধী এই নারীরা?
পশ্চিমের যেসব দেশ মানবাধিকার নিয়ে বরাবর সোচ্চার, তাদের নিষ্ক্রিয়তা দেখে আমি প্রশ্নবিদ্ধ হই, তারা কারা? তারা কতটুকু কাজ করে মানবতার জন্য? মানুষ মানুষের রক্ত নিয়ে হলি খেলে আর সেটা দেখেও এই মানবাধিকার সংস্থাসমূহ নিরব ভুমিকা পালন করে,
ট্রাম্প প্রশাসন কূটনৈতিকভাবেই সব কিছু কে লক্ষ্য অর্জনের কৌশল তৈরি করছে, কিন্তু সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত রেখেছে, সিরিয়ার 'মুক্ত' এলাকাগুলোতে স্থিতিশীলতা আনার জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন সিরিয়ার ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স কাজ করছে,
কিন্তু কাজ করছে তা জাতি এখন তা বুঝে গেছে এবং দেখেও চলছে কিন্তু এই দেখাটা ট্রাম্প সাহেব এর হচ্ছে না,
এই এসডিএফ কুর্দি মিলিশিয়া-প্রধান এবং তুরস্ক একে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বলে মনে করে কিন্তু সন্ত্রাসী দমনে যদি নিরহ দের কে অত্যাচার করা হয় তবে আমি স্লোগান দিবো সন্ত্রাসবাদ জয় হোক..
আগাছা নিধনে যদি ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে প্রয়োজন নেই এই আগাছা নিধনের,
একের পর বোমা হামলা চালানো হয় সিরিয়ার বোমারু বিমান থেকে। এতে এক নারীসহ অনেক শিশু নিহত হিয় এবং বেশ অনেকজন গুরুতর আহত হয়, কিন্তু তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা উপকরণের অভাবে নেভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না,
কিন্তু কেন?
ঘুমন্ত বিশ্ববিবেক এর কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, কতটা রক্ত দিলে বন্ধ হবে এই বর্বরতা?
বাংলাদেশ থেকে আমরা দু ফোটা অশ্রুকণা ছেড়ে আর হাত তুলে একটু দোয়া করা ছাড়া কিছু করতে পারবোনা কিন্তু বিশ্ববিবেক এর কাছে জবাব চাইবো যে কবে থামাবো হবে এই নির্মমতা?
শিশু নারীর রক্ত একদিন ফুলে ফেঁপে উঠবে বারুদখানা হইয়ে তা শুধু সময়ের অপেক্ষা...
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবু কওছর ১৭/০৩/২০১৮
-
ইবনে মিজান ০২/০৩/২০১৮বিপন্ন মানবতা!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৮/০২/২০১৮সত্যি মানবতা আজ লাঞ্ছিত।
-
মোঃ তপু রায়হান ২৮/০২/২০১৮ধর্য্য আছে
প্রশ্ন রইলো????