কবিতায় নারী আঁকা এখন পাপ
""কবিতায় নারী আঁকা এখন পাপ ""
কবিতায় আর প্রেম ধরা দেয় না
প্রেয়সীর তরে উপমায় আর ভাব আসে না ;
কোন উপমায় তুলে আনব
কামিনীর ডাগর দেহপল্লবীর রূপ?
যখন দেখি এখনো আর্তনাদ বঙ্গভূবনে
নিরন্ন বস্ত্রহীন কঙ্কালসার মানুষের গহীনে ।
কি করে করব প্রসংশা জোৎস্না মাখা রূপোর আলোয়
প্রেমিকার ফিনকি ঝরা রূপ ঐশ্বর্যের?
যখন বিদগ্ধ এসিডের ছোঁয়াতে
সোনার অঙ্গ অঙ্গারিত হয় অবলা হাজারো নারীর,
আর উচ্ছৃঙ্খল যুবকের অট্টহাসিতে প্রকম্পিত এই বাংলার বাতাস।
কি করে করব চুম্বন কবিতায়
রমনীর নেশা লাগা কামুকী ঘাড়ে?
যখন সমাজ আর প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত নির্যাতনে
অবুঝ কিশোরী গলায় ঝুলে অমানবিক মৃত্যুর শিকল।
কোন ভরসায় মিথিলাকে দেখাব
ভালবাসার স্বপ্নের সোনালী কুঠির?
যখন হাজারো শিক্ষিত যুবকের স্বপ্ন হারিয়ে
যায় মরিচিকার বেকারত্বের পদকে।
কি করে প্রিয়তমাকে নিয়ে হারিয়ে যাব
কবিতায় কোন এক স্বর্গীয় ভূবনে?
যখন এই বাংলার ভূবন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে
দূর্নীতি আর দখলদারিত্বের মাকড়জালে।
কিভাবে আঁকবো কবিতায় আগামী প্রজন্মের নির্মল প্রকৃতি?
যখন এই প্রজন্মের সন্তানেরা বুদ হয়ে আছে
ইয়াবা ফেনসিডিল হেরোইনের মৃত্যুর বিছানায়।
আমি আর রমনীর স্নিগ্ধ অধর দেখি না,
দেখি না স্বপ্ন কোন মিছে স্বর্গীয় উদ্যানের,
কলমে আর আসেনা কবিতা অঙ্গনাদের নিয়ে,
এইই কলম ছুটে যায় লিখতে
নির্যাতিতাদের সেই তিমির আলোয় মাখা
অন্ধকার গহ্বরে করুন ইতিহাস ;
ছুটে যায় সেই স্বপ্নের পানে ছিনিয়ে আনতে
হাজারো যুবকের স্বপ্নের সোনার হরিণ।
আমার কলম ফুল হয়ে শোভা পায়
মৃত্যুর কাছে পরাজিত সৈনিকের কবরে।
আমার কলম আজ হতে চায় ক্ষুধার্তদের
খাবার আর বস্ত্রহীনদের আবরণ চাদর,
এই কলম হাসি ফোটাতে চায় হাতাশাছন্ন সেইসব
ফুলের কলিদের, যারা নেশার ধূসর স্বপ্নে
হারিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর মায়া থেকে।
এই কলমে নারীর রূপ আঁকা এখন পাপ,
এই কলমে বাংলার নতুন রূপ আঁকার অঙ্গীকার করি।
30/9/14
কবিতায় আর প্রেম ধরা দেয় না
প্রেয়সীর তরে উপমায় আর ভাব আসে না ;
কোন উপমায় তুলে আনব
কামিনীর ডাগর দেহপল্লবীর রূপ?
যখন দেখি এখনো আর্তনাদ বঙ্গভূবনে
নিরন্ন বস্ত্রহীন কঙ্কালসার মানুষের গহীনে ।
কি করে করব প্রসংশা জোৎস্না মাখা রূপোর আলোয়
প্রেমিকার ফিনকি ঝরা রূপ ঐশ্বর্যের?
যখন বিদগ্ধ এসিডের ছোঁয়াতে
সোনার অঙ্গ অঙ্গারিত হয় অবলা হাজারো নারীর,
আর উচ্ছৃঙ্খল যুবকের অট্টহাসিতে প্রকম্পিত এই বাংলার বাতাস।
কি করে করব চুম্বন কবিতায়
রমনীর নেশা লাগা কামুকী ঘাড়ে?
যখন সমাজ আর প্রযুক্তির অনিয়ন্ত্রিত নির্যাতনে
অবুঝ কিশোরী গলায় ঝুলে অমানবিক মৃত্যুর শিকল।
কোন ভরসায় মিথিলাকে দেখাব
ভালবাসার স্বপ্নের সোনালী কুঠির?
যখন হাজারো শিক্ষিত যুবকের স্বপ্ন হারিয়ে
যায় মরিচিকার বেকারত্বের পদকে।
কি করে প্রিয়তমাকে নিয়ে হারিয়ে যাব
কবিতায় কোন এক স্বর্গীয় ভূবনে?
যখন এই বাংলার ভূবন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে
দূর্নীতি আর দখলদারিত্বের মাকড়জালে।
কিভাবে আঁকবো কবিতায় আগামী প্রজন্মের নির্মল প্রকৃতি?
যখন এই প্রজন্মের সন্তানেরা বুদ হয়ে আছে
ইয়াবা ফেনসিডিল হেরোইনের মৃত্যুর বিছানায়।
আমি আর রমনীর স্নিগ্ধ অধর দেখি না,
দেখি না স্বপ্ন কোন মিছে স্বর্গীয় উদ্যানের,
কলমে আর আসেনা কবিতা অঙ্গনাদের নিয়ে,
এইই কলম ছুটে যায় লিখতে
নির্যাতিতাদের সেই তিমির আলোয় মাখা
অন্ধকার গহ্বরে করুন ইতিহাস ;
ছুটে যায় সেই স্বপ্নের পানে ছিনিয়ে আনতে
হাজারো যুবকের স্বপ্নের সোনার হরিণ।
আমার কলম ফুল হয়ে শোভা পায়
মৃত্যুর কাছে পরাজিত সৈনিকের কবরে।
আমার কলম আজ হতে চায় ক্ষুধার্তদের
খাবার আর বস্ত্রহীনদের আবরণ চাদর,
এই কলম হাসি ফোটাতে চায় হাতাশাছন্ন সেইসব
ফুলের কলিদের, যারা নেশার ধূসর স্বপ্নে
হারিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর মায়া থেকে।
এই কলমে নারীর রূপ আঁকা এখন পাপ,
এই কলমে বাংলার নতুন রূপ আঁকার অঙ্গীকার করি।
30/9/14
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
হৃদয় অন্তর ইয়াছিন ২২/০২/২০১৬অসাধারন
-
আফিয়া খাতুন মলি ৩১/১০/২০১৪দারুণ।বাস্তব চিত্র।
-
শিমুদা ২৯/১০/২০১৪চমৎকার চেতনা বিদ্ধ কবিতা। অসাধারণ কাব্যিকতা। আজকের দিনের জন্য নয় শুধু সর্বকালের জন্য এ কবিতা।
অসামান্য লাগল কবি।