ছবি সীমানাহীন
ছবি দেখলাম ভারতীয় বাংলা "সীমানাহীন "। ছবিটি মূলত হিন্দু মুসলিম প্রেমের সম্পর্কের উপর তৈরি। ছবির শুটিং হয়েছে পশ্চিমা কোন দেশে। কাহিনীও ঐ ধাঁচের তৈরি। ছবির নায়ক নায়িকা দুজনই অপরিচিত। আমার ধারার তারা ঐ দেশেই সেটেল। যাক ছেলেটি মুসলিম মেয়েটি হিন্দু।কোন এক পর্যায়ে তাদের দেখা হয়। আর তাতেই ভালো লাগা শুরু ছেলেটির। ছেলেটি ধর্ম নিয়ে পি এইচ ডি করছে। মেয়েটি পড়ছে মেডিকেলে। ছবির কাহিনী ঘুরে ফিরে এক জায়গায়। ছেলে এবং মেয়ে দুজনেরই বন্ধুদের কারণে তাদের দেখা হতে থাকে। এতে করে একে অপরের প্রতি জমে যায়। এক পর্যায়ে উভয়ের বন্ধুই তাদের বুঝাতে থাকে যে এটা সম্ভব নয়। দুজনের কারোরই পরিবার এটা মেনে নিবে না। তারপর ও তারা অনড়। মেয়েটি তার পরিবারকে ছেলেটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় হিন্দু হিসাবে। যদিও মেয়েটির পিতা মাতা তার জন্য অন্য খানে বিয়ে ঠিক করতে প্রস্তুত। যদি মেয়ের পছন্দ থাকে তবে অন্য কথা। প্রথম দিকে এটা স্বাভাবিকভাবেই নেয় মেয়ের পরিবার
। একসময় বাবা জানতে পারে ছেলেটি হিন্দু নয় মুসলিম। তখন বাবা মেয়েকে বুঝাতে চেষ্টা করে যে এটা কখনোই সম্ভব নয়। সমাজ সংস্কৃতি ভবিষ্যৎ কোনটাই তাদের পক্ষে থাকবে না। এবং সেই সাথে মেয়েকে বলে যে ছেলেটির সাথে তারা দেখা করবে। বুঝিয়ে বলবে। সেই তারা দেখা করে এবং বুঝিয়ে বলে। কিন্তু ছেলেটি মেনে নিতে পারে না। কিন্তু পরিবারের দিকে তাকিয়ে মেয়েটি মেনে নেয়। এর ফাঁকে মেয়ের বাবা অন্য খানে মেয়ের এনগেজইজমেন্ট ঠিক করে। এরআগে ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি হবে। অর্থাৎ তাদের ছেলেমেয়েরা কি ধর্ম বেছে নিবে। তারা কিভাবে একে অপরের সামাজিক অনুষ্ঠান বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমূহে অংশগ্রহণ করবে। তাদের ছেলেমেয়েদের নাম কি হবে ইত্যাদি। মোটামুটি সব কিছুই বাস্তবতার সাথে মিলে। তারা একে অপরের ধর্ম সম্পর্কে জানার জন্য ছেলেটি মন্দিরে যায় কথা বলে পুরোহিতদের সাথে। মেয়েটিও এক সময় যখন ছেলের বাবা মারা যায় তখন ওদের বাসায় যায়। এমন কি নামাজ ও পড়ে। মোট কথা পরিচালক চেষ্টা করেছেন যথাসাধ্য এই দুই ধর্মের মিল করার জন্য। যাক এক পর্যায়ে যখন তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায় বাবা মার কারণে তখন মেয়েটি চেষ্টা করে ছেলেকে ভুলে যেতে। ছেলেটি দেখা করতে আসলেও তাকে ফিরিয়ে দেয় কঠোর ভাষায়। কিন্তু গোপন ভালবাসা জমাটবাঁধা থাকে হৃদয়ে। একসময় সব কিছু ঠিক মেয়েটির আশির্বাদ হবে অন্য হিন্দু ছেলের সাথে। যদিও এর আগে হিন্দু ছেলে ও মেয়েটি এক সাথে যায় বাইরে ঘুরতে কিন্তু মেয়েটি কিছুতেই সহজ হতে পারে না। তার মা বাবা ও বিষয়টা বুঝতে পারে কিন্তু কিছু করার নেই। কেননা এট আসলেই হবার নয়। কিন্তু পরিচালক যেহেতু সিনেমা বানিয়েছেন সেহেতু কিছু না কিছু করতেই হবে। শেষ পর্যায়ে দেখা যায় মেয়েটির মা এগিয়ে আসে। মেয়েটিকে বলে যে তুই যেখানে ভালো থাকিস সেখানেই বিয়ে দিব। কেননা তোর নানী ছিলেন মুসলিম। মেয়েটির নানী ও হিন্দু ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। কিন্তু তার ভাই ঐ হিন্দু টিকে হত্যা করে। তবে বোন কে নিয়ে যেতে পারে না। বোন হিন্দু হয়েই থেকে যায় এক পর্যায়ে বিয়ে হয় এক হিন্দুর সাথে। আর সেই ঘরে জন্ম নেয় নায়িকার মা। যা নায়িকার বাবা ও জানতো না। মানবতার তরে সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মেয়েটির নানী তার ঘরে ফিরে যান নি। আর তার নাতনী তো তার আদর্শের বাইরে যেতে পারে না। তাই মেয়ের বাবা মুসলিম ছেলেটি কে মেনে নেয়। এই হলো সিনেমা "সীমানাহীন "। ছবিতে খুব ভালো ভাবে ই বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। যে বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে তা বাস্তবে সহজে হিন্দু মুসলমান বিয়ে সম্ভব নয়। যদি কেউ সত্যিকারের ধর্ম মেনে চলে। তার পক্ষে সম্ভব নয়। সে যে ধর্মের অনুসারী হোক না কেন। যদি ধর্মে শীতিলতা থাকে তবে পারবে। আমার এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই। কারো থাকলে জানান
। একসময় বাবা জানতে পারে ছেলেটি হিন্দু নয় মুসলিম। তখন বাবা মেয়েকে বুঝাতে চেষ্টা করে যে এটা কখনোই সম্ভব নয়। সমাজ সংস্কৃতি ভবিষ্যৎ কোনটাই তাদের পক্ষে থাকবে না। এবং সেই সাথে মেয়েকে বলে যে ছেলেটির সাথে তারা দেখা করবে। বুঝিয়ে বলবে। সেই তারা দেখা করে এবং বুঝিয়ে বলে। কিন্তু ছেলেটি মেনে নিতে পারে না। কিন্তু পরিবারের দিকে তাকিয়ে মেয়েটি মেনে নেয়। এর ফাঁকে মেয়ের বাবা অন্য খানে মেয়ের এনগেজইজমেন্ট ঠিক করে। এরআগে ছেলে এবং মেয়ে উভয়েই তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি হবে। অর্থাৎ তাদের ছেলেমেয়েরা কি ধর্ম বেছে নিবে। তারা কিভাবে একে অপরের সামাজিক অনুষ্ঠান বা ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমূহে অংশগ্রহণ করবে। তাদের ছেলেমেয়েদের নাম কি হবে ইত্যাদি। মোটামুটি সব কিছুই বাস্তবতার সাথে মিলে। তারা একে অপরের ধর্ম সম্পর্কে জানার জন্য ছেলেটি মন্দিরে যায় কথা বলে পুরোহিতদের সাথে। মেয়েটিও এক সময় যখন ছেলের বাবা মারা যায় তখন ওদের বাসায় যায়। এমন কি নামাজ ও পড়ে। মোট কথা পরিচালক চেষ্টা করেছেন যথাসাধ্য এই দুই ধর্মের মিল করার জন্য। যাক এক পর্যায়ে যখন তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায় বাবা মার কারণে তখন মেয়েটি চেষ্টা করে ছেলেকে ভুলে যেতে। ছেলেটি দেখা করতে আসলেও তাকে ফিরিয়ে দেয় কঠোর ভাষায়। কিন্তু গোপন ভালবাসা জমাটবাঁধা থাকে হৃদয়ে। একসময় সব কিছু ঠিক মেয়েটির আশির্বাদ হবে অন্য হিন্দু ছেলের সাথে। যদিও এর আগে হিন্দু ছেলে ও মেয়েটি এক সাথে যায় বাইরে ঘুরতে কিন্তু মেয়েটি কিছুতেই সহজ হতে পারে না। তার মা বাবা ও বিষয়টা বুঝতে পারে কিন্তু কিছু করার নেই। কেননা এট আসলেই হবার নয়। কিন্তু পরিচালক যেহেতু সিনেমা বানিয়েছেন সেহেতু কিছু না কিছু করতেই হবে। শেষ পর্যায়ে দেখা যায় মেয়েটির মা এগিয়ে আসে। মেয়েটিকে বলে যে তুই যেখানে ভালো থাকিস সেখানেই বিয়ে দিব। কেননা তোর নানী ছিলেন মুসলিম। মেয়েটির নানী ও হিন্দু ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। কিন্তু তার ভাই ঐ হিন্দু টিকে হত্যা করে। তবে বোন কে নিয়ে যেতে পারে না। বোন হিন্দু হয়েই থেকে যায় এক পর্যায়ে বিয়ে হয় এক হিন্দুর সাথে। আর সেই ঘরে জন্ম নেয় নায়িকার মা। যা নায়িকার বাবা ও জানতো না। মানবতার তরে সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য মেয়েটির নানী তার ঘরে ফিরে যান নি। আর তার নাতনী তো তার আদর্শের বাইরে যেতে পারে না। তাই মেয়ের বাবা মুসলিম ছেলেটি কে মেনে নেয়। এই হলো সিনেমা "সীমানাহীন "। ছবিতে খুব ভালো ভাবে ই বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। যে বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে তা বাস্তবে সহজে হিন্দু মুসলমান বিয়ে সম্ভব নয়। যদি কেউ সত্যিকারের ধর্ম মেনে চলে। তার পক্ষে সম্ভব নয়। সে যে ধর্মের অনুসারী হোক না কেন। যদি ধর্মে শীতিলতা থাকে তবে পারবে। আমার এই বিষয়ে অভিজ্ঞতা নেই। কারো থাকলে জানান
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মনির আহমদ। ১০/১১/২০১৩সাখওয়াৎ ভাই ধর্ম সম্পর্কে সত্যিই তেমন কিছু জানিনা। তবে মুসলীম হিসেবে বলবো আল্লহ্ পাক আহলি কিতাব ধারি মেয়েদের বিয়ে করার অনুমতি দিয়েছেন সুরা মায়েদার ৫ আয়াতে ( যেমন খৃষ্টান)। তবে অন্য ধর্মের ছেলে মেয়ে কাউকেই মুসলীমরা ধর্ম পরিবর্তন অর্থাত মুসলীম না করে বিবাহ করতে পারবে না। হিন্দু ধর্মে এ ব্যাপারে কি লিখা আছে জানা নেই। ধন্যবাদ।
-
দাদা মুহাইমিন চৌধূরী ১০/১১/২০১৩কোন অভিজ্ঞতা নেই। এক্ষেত্রে ভাঙ্গন ছাড়া , জোড়া দেখিনি
-
সহিদুল হক ১০/১১/২০১৩আমিও সিনেমাটা দেখেছি।সামাজিকভাবে এ ধরনের বিয়ে সম্ভব নয় ঠিকই কিন্তু এলিট-মহলে হামেশাই এ ধরণের বিয়ে হচ্ছে।বিশেষত আমাদের ভারতে।সুনীল দত্ত নার্গিসকে, শাহরুখ গৌরীকে, আমীর খানতো দু বারই হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করেছেন।সালমান খানের বোনকে আর সঞ্জয় খানের মেয়েকে (হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে)হিন্দু ছেলের সংগে পারিবারিক সম্মতির ভিত্তিতেই বিয়ে দেওয়া হয়েছে।এরকম অজস্র উদাহরণ বিখ্যাতদের ক্ষেত্রে আছে।শুধু তাই নয়,স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্টের সুযোগে যে যার ধর্ম বজায় রেখেও অনেকে বিয়ে করছেন।তবে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে মুসলিম ছেলের সঙ্গে হিন্দু মেয়ের বিয়েটাই বেশী দেখা যায় এবং সেক্ষেত্রে কলমা পড়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে।আমার দুই ভাইয়া হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করেছে।কাজী নজরুলের কথাও নিশ্চয় মনে আছে?
-
ইসমাত ইয়াসমিন ০৯/১১/২০১৩আমার এক ছোট বোন মানে আমরা রোকেয়া হলে পাশাপাশি থাকতাম, অনেকদিন পর আবার এফ বি তে পেয়েছি, আমি জানতাম ও একজন মুস্লিম ছেলের সাথে প্রেম করত, এবং ছবি দেখলাম তার সাথেই বিয়ে হয়েছে, আবার দেখি ওর মাথায় সিদুর, কাউকে জিজ্ঞাসা করতে পারছি না ব্যাপারটা। হয়ত যার যার ধর্ম সেই সেই পালন করছে।ভাল লাগল ।
-
ইসমাত ইয়াসমিন ০৯/১১/২০১৩আমার এক ছোট বোন মানে আমরা রোকেয়া হলে পাশাপাশি থাকতাম, অনেকদিন পর আবার এফ বি তে পেয়েছি, আমি জানতাম ও একজন মুস্লিম ছেলের সাথে প্রেম করত, এবং ছবি দেখলাম তার সাথেই বিয়ে হয়েছে, আবার দেখি ওর মাথায় সিদুর, কাউকে জিজ্ঞাসা করতে পারছি না ব্যাপারটা। হয়ত যার যার ধর্ম সেই সেই পালন করছে।ভাল লাগল ।
-
suman ০৯/১১/২০১৩কবি
বিষয়টি জটিল নিঃসন্দেহে ...তবে যতো জটিলতা ততো সমাধান ...আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় এই দূঃসময় কাটবে না ...এই শোক সামলে ঊঠতে পারবো না ...সময় নতুন পথ তৈরী করে দেয় ...মানুষকে এভাবে পথ করে করে এখানে আসতে হয়েছে ...আবার দেখা যায় লক্ষ লক্ষ দম্পতি যে সব সমস্যা ফেস করে ওরাও একই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাবেন...ধর্ম হয়তো আর একটি বাড়তি ফ্যাক্টর হয়ে থাকবে ...যুগে যুগে ইতিহাসে বহু আন্তঃধর্ম বিয়ের নজির আছে ...সিনেমার ঘটনাটি শেয়ার করার জন্যে বিশেষ ধন্যবাদ... -
মীর শওকত ০৯/১১/২০১৩আমি একেবারেই অনভিঞ্জ
-
Înšigniã Āvî ০৯/১১/২০১৩একটু তাড়াহুরো করে লিখেছেন মনে হল....
তবু সিনেমার নাম জানানোর জন্য থ্যাংক্স