আদুরী
" আদুরী " নামটি একটি কিশোরীর,
চোখে ভেসে উঠে ঝলসানো শরীর।
নামটির সাথে পরিচিত সবাই,
যে নামে বিবর্ণ মলিন কিশোরী কে পাই।
একদা উচ্ছল উড়ন্ত গ্রাম্য কিশোরী,
আজ সমাজ নির্যাতনে নিষ্পেষিত।
যে আদুরী ঘুরে বেড়াতো ফুলে ফুলে,
সেই আদুরী আজ শুয়ে আছে বিছানাতে।
যে আদুরীর চোখে ছিল রঙিন ছোঁয়া স্বপ্ন,
সেই আদুরীর চোখে আজ ভয়ের নগ্ন চিত্র।
যে আদুরী এসেছিল এই শহরে দুমুঠো অন্নের তরে,
সেই আদুরীর আজ শরীরে রক্ত ঝরে।
যে আদুরী পেতে পারত একটু ভালবাসার ছোঁয়া,
সেই আদুরী বয়ে বেড়ায় গরম খুন্তির ছ্যাঁকা।
যে আদুরীর প্রত্যাশা একটু শান্তির ঘুম,
সেই আদুরীর মিলে রোজ পান্তা ভাত আর নুন।
যে আদুরী হতে পারতো আমার আপনার সন্তান,
সেই আদুরীকে মিলে আজ ডাষ্টবিনে সন্ধান।
যে আদুরী করে নিজ হাতে রন্ধন মোদের অন্ন,
সেই আদুরীর গায়ে রয়েছে বসন একখানা ছিন্ন।
এই আদুরীর কি নেই অধিকার একটু ভালো থাকার,
আমরা কি পারি না দিতে আশা তাকে বাঁচবার।
এই আদুরীরা সইবে যাতনা বল আর কতকাল,
আমরা কেন করি না তাদের ভালো একটু দেখভাল।
আদুরীরা রইযে আড়ালে এই সমাজের খামখেয়ালে,
তারা শুধুই জড়িয়ে পরে এই সমাজের বেড়াজালে।
পারে না তারা ছিন্ন করতে এই সমাজের জালকে,
অনন্তকাল তারা পরে থাকে আটকা এই চক্র জালে।
এই আদুরী নয় শেষ আদুরী,
রয়েছে হাজার ছড়িয়ে কিশোরী।
আমরা কখনো দিতে পারিনি,
সেই আদুরীর যোগ্য ধরণী
চোখে ভেসে উঠে ঝলসানো শরীর।
নামটির সাথে পরিচিত সবাই,
যে নামে বিবর্ণ মলিন কিশোরী কে পাই।
একদা উচ্ছল উড়ন্ত গ্রাম্য কিশোরী,
আজ সমাজ নির্যাতনে নিষ্পেষিত।
যে আদুরী ঘুরে বেড়াতো ফুলে ফুলে,
সেই আদুরী আজ শুয়ে আছে বিছানাতে।
যে আদুরীর চোখে ছিল রঙিন ছোঁয়া স্বপ্ন,
সেই আদুরীর চোখে আজ ভয়ের নগ্ন চিত্র।
যে আদুরী এসেছিল এই শহরে দুমুঠো অন্নের তরে,
সেই আদুরীর আজ শরীরে রক্ত ঝরে।
যে আদুরী পেতে পারত একটু ভালবাসার ছোঁয়া,
সেই আদুরী বয়ে বেড়ায় গরম খুন্তির ছ্যাঁকা।
যে আদুরীর প্রত্যাশা একটু শান্তির ঘুম,
সেই আদুরীর মিলে রোজ পান্তা ভাত আর নুন।
যে আদুরী হতে পারতো আমার আপনার সন্তান,
সেই আদুরীকে মিলে আজ ডাষ্টবিনে সন্ধান।
যে আদুরী করে নিজ হাতে রন্ধন মোদের অন্ন,
সেই আদুরীর গায়ে রয়েছে বসন একখানা ছিন্ন।
এই আদুরীর কি নেই অধিকার একটু ভালো থাকার,
আমরা কি পারি না দিতে আশা তাকে বাঁচবার।
এই আদুরীরা সইবে যাতনা বল আর কতকাল,
আমরা কেন করি না তাদের ভালো একটু দেখভাল।
আদুরীরা রইযে আড়ালে এই সমাজের খামখেয়ালে,
তারা শুধুই জড়িয়ে পরে এই সমাজের বেড়াজালে।
পারে না তারা ছিন্ন করতে এই সমাজের জালকে,
অনন্তকাল তারা পরে থাকে আটকা এই চক্র জালে।
এই আদুরী নয় শেষ আদুরী,
রয়েছে হাজার ছড়িয়ে কিশোরী।
আমরা কখনো দিতে পারিনি,
সেই আদুরীর যোগ্য ধরণী
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আরজু নাসরিন পনি ০৮/১১/২০১৩
-
ফাহমিদা ফাম্মী ০৪/১১/২০১৩শুধুই বলব ... চমৎকার
-
মীর শওকত ০৩/১১/২০১৩কলুষতায় ভরা এ সমাজে কে দেবে যোগ্য অধিকার এই আদুরীকে । খুঁজে ফিরি উত্তর এই মর্ত্যলোকে . . . . .
-
আহমাদ সাজিদ ০৩/১১/২০১৩সবর আগে নিজকে চিনতে হবে।
নিজের অতীতকে মনে রাখতে হবে।
আগামীর পরিণতির কথা ভাবতে হবে।
তাহলে সব আদুরীর ভাগ্য বদলাবে।
পৃথিবী হবে সুন্দর
মানুষ হবে মানুষের মত।
ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।। -
দাদা মুহাইমিন চৌধূরী ০৩/১১/২০১৩আদুরীদের কথা এখন ভাবলে কী আর চলে
আমার বাড়ির কাজের জন্য ভাবতে ও তো হবে
আমার আছে টাকা পয়সা, আছে স্বামর্থ্য
ওদের তো জন্মই হল আমাদের জন্য
আদুরীদের ভাল কাপড় খাবার কেমনে দিব
আমার ছেলের ফার্ষ্ট ফুড আর খেলনা কোথায় বল
এত কষ্টের টাকা আবার ওদের জন্য ঢালো
আদুরীরা যেমন আছে তেমনই তো ভাল
প্ন্তা বল পোলাও বল পেটতো ভরা হল
মা বাবা কী ৩ বেলা খাবার দিতে পারতো
আমরা তো দয়ার সাগর নাইলে কি আর করতো
-------------------------------------------------
বাইরে যাই বলি বেশির ভাগ মানুষই মনে করে ওকে যে এই সুবিধা দিয়েছি তাই অনেক। প্রধান কারন সচেতনতার অভাব। আর কাজের লোকে চুরি করলে তার আইন আছে কিন্তু কাজের লোকের জন্য আলাদা কার্যকরী আইন নেই। আমাদের প্রশাসনের হোমরা চোমরাদের ই তো প্রধান সমস্যা। কোন আইন যদি কার্যকর করা যেতো তবে অনেক কমত এই ব্যাপারটা -
জহির রহমান ০৩/১১/২০১৩এই দেশে আদুরীরা থাকবে অবহেলিত। শুধু এই দেশে নয়- বিশ্বের সবখানেই আদুরীরা অবহেলিত থাকে। সামনেও থাকবে। মানবাধিকার সেখানে চুপ থাকবে। কারণ মানবাধিকারের মুখোশের আড়ালেও চলে অমানবিক কার্য।
আপনার কবিতাটি ভালো লেগেছে। আসলে কি আদুরীদের জন্য আমাদের কিছু করার নেই? আমরা কি পারিনা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে? কত সময়ইতো কাটাই অবহেলায়! কত অর্থইতো অযথা উড়িয়ে দেই! পারিনা তাদের জন্য আমরা তরুন-যুবকরা একত্রিত হতে? -
সায়েম খান ০৩/১১/২০১৩অনেক ভাল লাগলো, তবে এত সুন্দর একটি কবিতায় একটিও মন্তব্য পড়েনি এটা দুঃখজনক। আদুরীদের নিয়ে কথা বলবার মত কেউ কি নেই?
স্যালুট জানাই, আপনার মহানুভবতায় ।।
শেষ থেকে উপরের দিকে আট নম্বর লাইনে..."রইযে" এর চেয়ে "রয় যে" পড়তে ভালো লাগলো ।