কবিতার পথচলা
আজ নিজের কিছু কথা লিখব বলে কলম ধরেছি। তবে নিজের সম্পর্কে লিখতে গেলে অনেক কিছুই লিখতে হবে। তাই আজ সেই গল্পই করব যা দিয়ে আমার লেখনী জীবন শুরু।
আমি ছোট থেকেই সাহিত্যের সাথে সম্পৃক্ত। তবে লেখালাখি নয়, শুধুই পড়া। আমার ছোট বোনের ( পেলী আপা ) ছিল নিজ্বস্ব পাঠাগার। সেই সুবাদে ছোট থেকেই প্রচুর বইয়ের সংস্পর্শে এসেছি। আমার আপাও মোটামুটি সাহিত্য চর্চা করত। আমিও স্কুল লাইফে চেষ্টা করতাম, তবে সেটা জগাখিচুড়িই হতো। যাক এইভাবে জীবন চলার এক পর্যায়ে শিক্ষা জীবন শেষে পাড়ি জমালাম প্রবাসে। প্রবাসে আসার আগেই একজনের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। তখন ছিল আমাদের সম্পর্কের চতুর্থ বছর। ভালোই ছিল দিনগুলি। যাক প্রবাসে প্রথম বছর খুবই কষ্ট করি আমি। অসম্ভব পরিশ্রম করতাম। যদিও কাজ ছিল দোকানের সেলসম্যান। প্রচুর গ্রাহকের কারণে কোন ফুসরত পেতাম না। এইভাবে চলার এক পর্যায়ে আমি ঐ চাকরি ছেড়ে নতুন চাকরিতে যোগ দেই। নতুন চাকরিতে আমার প্রচুর অবসর সময় মিলে। এই অবসর সময়ই আমার জীবনটা পাল্টে দেয়। এই সময় আমি প্রচুর ভাবার সময় পেতাম। যার ফলে আমি বেশী বেশী ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে থাকি। বিশেষ করে যাকে ভালবাসি তাকে কিভাবে নিজের করে পেতে পারি সেই ভাবনা। আর সেই ভাবনার জগতে হানা দিতে গিয়ে আমি হারিয়ে যায় ভাবের জগতে। যার সাথে পাঁচ বছরের সম্পর্কে পাঁচ লাইন লিখা আসতো না সেই তাকে ভেবে আমার ভিতরে সৃষ্টি হলো এক নতুন প্রতিভা। তাকে ভেবেই আমি একের পর এক লিখা লিখতে শুরু করি। যা আমার কাছে সত্যিই অবিশ্বাস্য। যদিও প্রথম দিকের কবিতা গুলো তেমন মানসম্মত ছিলো না, তবুও আমার লিখতে ভালো লাগতো। এইভাবে ওর ভাবনা আমাকে কবিতার পথচলায় সাহায্য করে। না সাহায্য করে বললে ভুল হবে একমাত্র ও ই আমার লেখার প্রেরণা। আজ আমাদের সাত বছরের সম্পর্ক এতো শক্ত ও মজবুত হয়েছে তার একটা ভূমিকা এই কবিতারও রয়েছে। তাই সব সময়ই বলতে ইচ্ছে করে ......................
"তব হস্তে নির্মিত মোর প্রতিভা "
আমি কখনো কবিতা লিখিনি,
লিখিনি কখনো কবিতার ছন্দ।
কখনো আমি ভাবিনি নিজে,
এই হাতে কোন কবিতা লিখব।
আমার ভিতরে ছিলনা কখনো,
কোন কবিতার প্রতিভা।
আমার হাতে পড়েনি কখনো,
কোন কবিতার ছায়া।
সেই আমি আজ লিখছি কতই,
এলেবেলে সব কবিতা।
রোমান্টিকতায় ভরপুর আমি,
হলো কত কবিতা লেখা।
লিখছি আমি লিখেই যায়,
তোমায় নিয়ে সব লিখা।
যদিও আমি জানি, এ কিছুই নয়,
নই এইসব কোন ভালো লেখা।
তবুও আমি লিখছি তোমারই জন্য,
যে তোমাকে পেয়ে আমি আজ ধন্য।
তবুও আমি লিখছি নিজেরই জন্য,
যে আমার কাছে আমিই খুব নগন্য।
যে তুমি দিয়েছো আমাকে লিখার প্রেরণা,
যে আমাকে নিয়ে নিজেরই ছিলনা ধারণা।
সেই আমি আজ লিখছি করে আরাধনা,
এসবই তোমাকেই কল্পনার সব ঝর্ণাধারা।
এ জীবনে আজ যাকিছু পেয়েছি,
সবই তোমারই নিপুণ হাতেখড়ি।
এই জীবন আজ আমি সাজিয়েছি,
তা সবই তোমারই ভালবাসার প্রতিচ্ছবি।
সেই ভালবাসা চাই আজীবন,
যে ভালবাসার রয়েছে গভীর বন্ধন।
সেই তোমাকে চাই আমরণ,
যে তোমার জন্য আজ আমি কবির মতন
আমি ছোট থেকেই সাহিত্যের সাথে সম্পৃক্ত। তবে লেখালাখি নয়, শুধুই পড়া। আমার ছোট বোনের ( পেলী আপা ) ছিল নিজ্বস্ব পাঠাগার। সেই সুবাদে ছোট থেকেই প্রচুর বইয়ের সংস্পর্শে এসেছি। আমার আপাও মোটামুটি সাহিত্য চর্চা করত। আমিও স্কুল লাইফে চেষ্টা করতাম, তবে সেটা জগাখিচুড়িই হতো। যাক এইভাবে জীবন চলার এক পর্যায়ে শিক্ষা জীবন শেষে পাড়ি জমালাম প্রবাসে। প্রবাসে আসার আগেই একজনের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। তখন ছিল আমাদের সম্পর্কের চতুর্থ বছর। ভালোই ছিল দিনগুলি। যাক প্রবাসে প্রথম বছর খুবই কষ্ট করি আমি। অসম্ভব পরিশ্রম করতাম। যদিও কাজ ছিল দোকানের সেলসম্যান। প্রচুর গ্রাহকের কারণে কোন ফুসরত পেতাম না। এইভাবে চলার এক পর্যায়ে আমি ঐ চাকরি ছেড়ে নতুন চাকরিতে যোগ দেই। নতুন চাকরিতে আমার প্রচুর অবসর সময় মিলে। এই অবসর সময়ই আমার জীবনটা পাল্টে দেয়। এই সময় আমি প্রচুর ভাবার সময় পেতাম। যার ফলে আমি বেশী বেশী ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে থাকি। বিশেষ করে যাকে ভালবাসি তাকে কিভাবে নিজের করে পেতে পারি সেই ভাবনা। আর সেই ভাবনার জগতে হানা দিতে গিয়ে আমি হারিয়ে যায় ভাবের জগতে। যার সাথে পাঁচ বছরের সম্পর্কে পাঁচ লাইন লিখা আসতো না সেই তাকে ভেবে আমার ভিতরে সৃষ্টি হলো এক নতুন প্রতিভা। তাকে ভেবেই আমি একের পর এক লিখা লিখতে শুরু করি। যা আমার কাছে সত্যিই অবিশ্বাস্য। যদিও প্রথম দিকের কবিতা গুলো তেমন মানসম্মত ছিলো না, তবুও আমার লিখতে ভালো লাগতো। এইভাবে ওর ভাবনা আমাকে কবিতার পথচলায় সাহায্য করে। না সাহায্য করে বললে ভুল হবে একমাত্র ও ই আমার লেখার প্রেরণা। আজ আমাদের সাত বছরের সম্পর্ক এতো শক্ত ও মজবুত হয়েছে তার একটা ভূমিকা এই কবিতারও রয়েছে। তাই সব সময়ই বলতে ইচ্ছে করে ......................
"তব হস্তে নির্মিত মোর প্রতিভা "
আমি কখনো কবিতা লিখিনি,
লিখিনি কখনো কবিতার ছন্দ।
কখনো আমি ভাবিনি নিজে,
এই হাতে কোন কবিতা লিখব।
আমার ভিতরে ছিলনা কখনো,
কোন কবিতার প্রতিভা।
আমার হাতে পড়েনি কখনো,
কোন কবিতার ছায়া।
সেই আমি আজ লিখছি কতই,
এলেবেলে সব কবিতা।
রোমান্টিকতায় ভরপুর আমি,
হলো কত কবিতা লেখা।
লিখছি আমি লিখেই যায়,
তোমায় নিয়ে সব লিখা।
যদিও আমি জানি, এ কিছুই নয়,
নই এইসব কোন ভালো লেখা।
তবুও আমি লিখছি তোমারই জন্য,
যে তোমাকে পেয়ে আমি আজ ধন্য।
তবুও আমি লিখছি নিজেরই জন্য,
যে আমার কাছে আমিই খুব নগন্য।
যে তুমি দিয়েছো আমাকে লিখার প্রেরণা,
যে আমাকে নিয়ে নিজেরই ছিলনা ধারণা।
সেই আমি আজ লিখছি করে আরাধনা,
এসবই তোমাকেই কল্পনার সব ঝর্ণাধারা।
এ জীবনে আজ যাকিছু পেয়েছি,
সবই তোমারই নিপুণ হাতেখড়ি।
এই জীবন আজ আমি সাজিয়েছি,
তা সবই তোমারই ভালবাসার প্রতিচ্ছবি।
সেই ভালবাসা চাই আজীবন,
যে ভালবাসার রয়েছে গভীর বন্ধন।
সেই তোমাকে চাই আমরণ,
যে তোমার জন্য আজ আমি কবির মতন
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রবাসী পাঠক ১৪/১০/২০১৩আপনার লেখার অনুপ্রেরনাদায়ী যেন সব সময় আপনার পাশে থাকে আর আমরা যেন এমন ভাল লেখা পাই ।
-
suman ১৩/১০/২০১৩চমতকার ...অনেক ভালো লাগলো ...
-
আরজু নাসরিন পনি ১২/১০/২০১৩বাহ্, জেনে খুব ভালো লাগলো যে, আপনার লেখার পেছনের অনুপ্রেরণাদায়ী আপনারই হেত যাচ্ছে সারা জীবনের কাছের মানুষ ।
এভাবেই চলুক প্রতিভার বিকাশ ...
অনেক অনেক শুভকামনা জানাই ।। -
নাহিয়ান ১২/১০/২০১৩মামা জটিল হইচে........
wish u all the best.... -
সহিদুল হক ১০/১০/২০১৩আমারও প্রথম কবিতা এভাবেই এসেছে,খুব খুব ভালো লাগলো।
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ০৯/১০/২০১৩প্রথমে তাকে শুকরিয়া জানাই আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে যে অনুপ্রেরণা দেই আমাদের বন্ধু কবিকে কবিতা লেখার জন্য। কবিতাও হয়েছে অনন্য। ধন্য কবি ধন্য
-
Înšigniã Āvî ০৮/১০/২০১৩ভাল লাগলো খুব
-
אולי כולנו טועים ০৮/১০/২০১৩এভাবেই শুরু হয় -
আজ কিন্তু আপনি যে কোনো লেখাই
ফুটিয়ে তুলতে পারেন খুব সুন্দর ভাবে ! -
সুবীর কাস্মীর পেরেরা ০৮/১০/২০১৩সাখাওয়াৎ ভাই আছি কাছেই। জেনে খুব ভাল লাগল।অনেকটা আমার মতই।