যাপিত জীবন
কবিতা আসেনা,
কবিতারা আর ধরা দেয়না,
কবিতারা নিয়েছে শেষ বিদায়।
সেই হ্মন গুলো,
কলেজের দূর্বাঘাসে বসার,
অস্থির কিছু সময় যাওয়ার।
আরনেই,
দেখা নেই তাদের,
সেই প্রিয় মুহূর্ত গুলোর।
পিছুটান,
সেই রঙিন সময়ের,
বয়ে চলা কল্পনার স্রোতের।
নেই অপেক্ষা,
স্বপ্নচারনীর জন্য,
অধীর অভিমানে।
নিয়েছে বিদায়,
অন্তরের সেই ব্যাকুলতা,
অতীতের কৃষ্ণ গহ্বরে।
আবেগী মনের,
উচ্ছল চঞ্চলতার,
হয়েছে সরল সমাধি।
দুষ্ট মনের,
সৃষ্ট দুষ্টামির,
নেই আর অবশিষ্ট।
প্রিয় সুরের,
মূর্ছনায় আবিষ্ট হওয়ার,
নেই হ্মন গুলো আর।
প্রজাপতির,
উড়াউড়ি ফুলের সন্নিবেশে,
আর আকৃষ্ট হইনা।
প্রিয় নদীর,
ধারে হাটা হয়না,
হয়না দেখা সেই কাশফুল।
পাল তোলা নৌকা,
কাছে টানে না আর আমাকে,
শুনা হয়না মাঝির ভাটিয়ালী গান।
রিমঝিম বৃষ্টিতে,
সেই উচ্ছ্বাসের যৌবন,
আজ মৃত প্রায়।
শীতের শৈত্যতা,
কুষ্ঠ অনুভুতির মতো,
ছড়ায় না দেহে শীতলতা।
বসন্তের গান,
কোকিলের কন্ঠে,
জাগায় না সেই প্রেমমসুর।
গ্রীষ্মের তপ্ততা,
যেন শীতল উষ্ণতা,
স্পর্শ করে না চর্মের মর্মে।
বাঁধ ভাঙা জোৎস্নায়,
আর বসা হয়না ঘাটে,
দেখা হয়না চাঁদনী নারীর রূপ।
নির্জন বিকেলে,
ডুবন্ত রবির রশ্মিতে,
চহ্মু দেখে না রক্তিম ললনার অধর।
নিকুঞ্জ বনে,
অচেনা পক্ষীর কোলাহলে,
শুনা হয়না প্রকৃতির সেই সুর।
আজ কর্ণ বধির,
নেত্র অবলোকনের হ্মুন্ন হ্মমতা,
দেহপ্লবের কর্মের অহ্মমতা।
জরাজীর্ণ হৃদয়,
বার্ধক্যের জড়ানো চেতনা,
নেই স্বপ্নীল কোন ভাবনা।
বিষাদময় বসুন্ধরা,
আকাশে বাতাসে উড়ে ধূলিকণা,
সম্মুখে অচল মোর পদযাত্রা।
স্বপ্ন কৃষ্ণকায়া,
চূর্ণবিচূর্ণ স্বপ্নের ছড়াছড়ি,
অদূরে দুঃস্বপ্নের নীরব হাতছানি।
নষ্টালজিয়া,
অতীত বর্ণীল স্বপ্নগাঁথা,
এলোমেলো স্মৃতির সব আনাগোনা।
সাক্ষী,
সাথে চলা ক্ষন গুলো,
কেন মোর জীবন এলোমেলো।
আজ জীবন স্বপ্নহীন,
কেন আমি জীবনের সাথে সম্পর্কহীন,
কেন রঙিন স্বপ্ন আজ বর্ণহীন।
নেইজবাব,
মোর সৃষ্ট মায়াজালে,
আজ আমি বন্দী নিজেরই কাছে।
বিশ্বাস হীন,
এক নারীর সৃষ্ট জালে,
জড়িয়ে পড়েছে মোর অদৃষ্ট।
শত চেষ্টা,
হাজার প্রচেষ্টা বিরামহীন,
তবু পৃথিবী হয়না সেহ নারীহীন।
শীতের কুয়াশার মতো,
জড়িয়ে রয়েছে আষ্টে পৃষ্টে,
ধোঁয়াশায় অস্পষ্ট মোর পৃথিবী পৃষ্ট।
খুঁজি তাকে,
এখনো জোৎস্নার রাতে,
ঝিঁঝি পোকার গান শুনতে।
ভাবি এখনো তাকে,
অঝোরে বর্ষিত বৃষ্টিতে,
যখন জলে ভাসে সব প্রকৃতি।
মৎস চহ্মুর রঙে,
উদ্ভাসিত উপচে পরা জোৎস্নায়,
সে,যেন জড়িয়ে রয়েছে আজো মোরে।
মৃত বসতিতে,
একা পড়ে আছি,
শুনায়না প্রকৃতি তার সুর।
একাকী জীবন,
সম্পর্কহীন মনুষ্য সমাজে,
প্রতীক্ষায় আছি বিলীন হতে।
গড়া বন্ধন,
নিজ হাতে এই ধরণীতে,
আজ শূন্য হৃদয়ে রয়েছি শূন্য কুটিরে।
দীর্ঘ শ্বাস,
বিদগ্ধ হৃৎপিণ্ডের কিছু উষ্ণ বায়ু,
বেড়িয়ে যায় সেই অপ্সরীর জন্য।
নিয়তির কাছে,
পরাজিত সৈনিকের মতো,
আজ বাড়িয়েছি মোর দু হাত।
উম্মাদ বাক্য,
আজ আওড়ানো ছাড়া,
নেই মোর কোন কাজ।
তবু ভালো লাগে,
স্মৃতি রোমন্থন সেই বর্ণীল অতীতের,
যেখানে ছিল কিছু ভালবাসা ছায়া
কবিতারা আর ধরা দেয়না,
কবিতারা নিয়েছে শেষ বিদায়।
সেই হ্মন গুলো,
কলেজের দূর্বাঘাসে বসার,
অস্থির কিছু সময় যাওয়ার।
আরনেই,
দেখা নেই তাদের,
সেই প্রিয় মুহূর্ত গুলোর।
পিছুটান,
সেই রঙিন সময়ের,
বয়ে চলা কল্পনার স্রোতের।
নেই অপেক্ষা,
স্বপ্নচারনীর জন্য,
অধীর অভিমানে।
নিয়েছে বিদায়,
অন্তরের সেই ব্যাকুলতা,
অতীতের কৃষ্ণ গহ্বরে।
আবেগী মনের,
উচ্ছল চঞ্চলতার,
হয়েছে সরল সমাধি।
দুষ্ট মনের,
সৃষ্ট দুষ্টামির,
নেই আর অবশিষ্ট।
প্রিয় সুরের,
মূর্ছনায় আবিষ্ট হওয়ার,
নেই হ্মন গুলো আর।
প্রজাপতির,
উড়াউড়ি ফুলের সন্নিবেশে,
আর আকৃষ্ট হইনা।
প্রিয় নদীর,
ধারে হাটা হয়না,
হয়না দেখা সেই কাশফুল।
পাল তোলা নৌকা,
কাছে টানে না আর আমাকে,
শুনা হয়না মাঝির ভাটিয়ালী গান।
রিমঝিম বৃষ্টিতে,
সেই উচ্ছ্বাসের যৌবন,
আজ মৃত প্রায়।
শীতের শৈত্যতা,
কুষ্ঠ অনুভুতির মতো,
ছড়ায় না দেহে শীতলতা।
বসন্তের গান,
কোকিলের কন্ঠে,
জাগায় না সেই প্রেমমসুর।
গ্রীষ্মের তপ্ততা,
যেন শীতল উষ্ণতা,
স্পর্শ করে না চর্মের মর্মে।
বাঁধ ভাঙা জোৎস্নায়,
আর বসা হয়না ঘাটে,
দেখা হয়না চাঁদনী নারীর রূপ।
নির্জন বিকেলে,
ডুবন্ত রবির রশ্মিতে,
চহ্মু দেখে না রক্তিম ললনার অধর।
নিকুঞ্জ বনে,
অচেনা পক্ষীর কোলাহলে,
শুনা হয়না প্রকৃতির সেই সুর।
আজ কর্ণ বধির,
নেত্র অবলোকনের হ্মুন্ন হ্মমতা,
দেহপ্লবের কর্মের অহ্মমতা।
জরাজীর্ণ হৃদয়,
বার্ধক্যের জড়ানো চেতনা,
নেই স্বপ্নীল কোন ভাবনা।
বিষাদময় বসুন্ধরা,
আকাশে বাতাসে উড়ে ধূলিকণা,
সম্মুখে অচল মোর পদযাত্রা।
স্বপ্ন কৃষ্ণকায়া,
চূর্ণবিচূর্ণ স্বপ্নের ছড়াছড়ি,
অদূরে দুঃস্বপ্নের নীরব হাতছানি।
নষ্টালজিয়া,
অতীত বর্ণীল স্বপ্নগাঁথা,
এলোমেলো স্মৃতির সব আনাগোনা।
সাক্ষী,
সাথে চলা ক্ষন গুলো,
কেন মোর জীবন এলোমেলো।
আজ জীবন স্বপ্নহীন,
কেন আমি জীবনের সাথে সম্পর্কহীন,
কেন রঙিন স্বপ্ন আজ বর্ণহীন।
নেইজবাব,
মোর সৃষ্ট মায়াজালে,
আজ আমি বন্দী নিজেরই কাছে।
বিশ্বাস হীন,
এক নারীর সৃষ্ট জালে,
জড়িয়ে পড়েছে মোর অদৃষ্ট।
শত চেষ্টা,
হাজার প্রচেষ্টা বিরামহীন,
তবু পৃথিবী হয়না সেহ নারীহীন।
শীতের কুয়াশার মতো,
জড়িয়ে রয়েছে আষ্টে পৃষ্টে,
ধোঁয়াশায় অস্পষ্ট মোর পৃথিবী পৃষ্ট।
খুঁজি তাকে,
এখনো জোৎস্নার রাতে,
ঝিঁঝি পোকার গান শুনতে।
ভাবি এখনো তাকে,
অঝোরে বর্ষিত বৃষ্টিতে,
যখন জলে ভাসে সব প্রকৃতি।
মৎস চহ্মুর রঙে,
উদ্ভাসিত উপচে পরা জোৎস্নায়,
সে,যেন জড়িয়ে রয়েছে আজো মোরে।
মৃত বসতিতে,
একা পড়ে আছি,
শুনায়না প্রকৃতি তার সুর।
একাকী জীবন,
সম্পর্কহীন মনুষ্য সমাজে,
প্রতীক্ষায় আছি বিলীন হতে।
গড়া বন্ধন,
নিজ হাতে এই ধরণীতে,
আজ শূন্য হৃদয়ে রয়েছি শূন্য কুটিরে।
দীর্ঘ শ্বাস,
বিদগ্ধ হৃৎপিণ্ডের কিছু উষ্ণ বায়ু,
বেড়িয়ে যায় সেই অপ্সরীর জন্য।
নিয়তির কাছে,
পরাজিত সৈনিকের মতো,
আজ বাড়িয়েছি মোর দু হাত।
উম্মাদ বাক্য,
আজ আওড়ানো ছাড়া,
নেই মোর কোন কাজ।
তবু ভালো লাগে,
স্মৃতি রোমন্থন সেই বর্ণীল অতীতের,
যেখানে ছিল কিছু ভালবাসা ছায়া
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আরজু নাসরিন পনি ২৫/১০/২০১৩
-
নীরব দেবশর্মা ০৯/১০/২০১৩বেশ ভাল লেগেছে স্মৃতি মেদুরতা ।
-
ইব্রাহীম রাসেল ০২/১০/২০১৩দীর্ঘ কবিতা, তবে পাঠক আকৃস্ট
-
বিশ্বজিৎ বণিক ০২/১০/২০১৩অনেক সুন্দর কবিতা ।
বানানের দিকে নজর রাখবেন । -
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ০২/১০/২০১৩যেখানে আছে এক অফুরন্ত মায়া
সত্যি অভূতপূর্ব এক কবিতা পড়ছি আর মুগ্ধ হচ্ছি -
সহিদুল হক ০২/১০/২০১৩খুব সুন্দর স্মৃতি-মেদুর কবিতা।
-
রোদের ছায়া ০২/১০/২০১৩বাবাহ! এতো বড় কবিতা! শেষ দিকটা পড়তে গিয়ে শুরুতা ভুলে গেলাম যেন । ভালো হয়েছে ।
-
Înšigniã Āvî ০২/১০/২০১৩মনকাড়া
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০২/১০/২০১৩খুবই দুঃখিত কয়েকটি বানান ভুল হয়েছে কিন্তু সম্পাদনা করতে পারছি না মোবাইলের সমস্যার কারনে।এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলে র জন্য ক্ষমা প্রার্থী।
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ০২/১০/২০১৩খুবই দুঃখিত কয়েকটি বানান ভুল হয়েছে কিন্তু সম্পাদনা করতে পারছি না মোবাইলের সমস্যার কারনে।এই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলে র জন্য ক্ষমা প্রার্থী।
আমি চেষ্টা করেও এতো বড় কবিতা লিখতে পারবো না ...ফেসবুকে নিয়ে গেলাম ।
শুভেচ্ছা রইল, প্রিয় সাখাওয়াৎ এর জন্যে ।।