বড় হওয়ার বয়স
একজন মেয়ে মানুষ একজন ছেলে মানুষের
চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম বয়সে বড় হয়।
আমি শারিরীক বড় হওয়ার কথা বলছি না।
যে বয়সে একটি ছেলে তার মাথা
আঁচড়ানোর জন্য মায়ের বকুনি খায় সেই
বয়সেই একটি মেয়ে সংসার সমুদ্রে দিব্যি
সাঁতার কেটে বেড়াতে পারে। অবশ্য সব
মেয়ের ক্ষেত্রে এ কথাটা প্রযোজ্য না হতে
পারে। কেউ যদি মনে করেন এট একটা ফালতু
কথা, এর কোন বাস্তবিক প্রমাণ নেই,
তাদের উদ্দেশ্যে আমি একটা গল্প বলবো।
যদিও ঘটনাটি আমার বন্ধু নীলকমলের সাথে
বাস্তবেই ঘটেছিল তবু এটাকে গল্প
হিসেবেই চালিয়ে দেব।
নীলকমল যখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে তখন সে
ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে মাথার চুল আর
পোশাকের পার্থক্য ছাড়া আর কোনো
পার্থক্য করতে শেখেনি। যখন সপ্তম
শ্রেণীতে পড়ে তখন মেয়েদের মেয়ে বলে
জানলেও ছেলে - মেয়ের সম্পর্কের নিগুড়
কথা জানে না। এমনি যখন নবম দশমের
পালা চুকিয়ে এস এস সির চৌকাঠ পেড়িয়ে
কলেজে এসে পড়লো তখন বসন্তের হাওয়ার
দাপটে তার মনের কপাট নড়ে উঠলো। তার
মনের বাগানে একেবারে সপ্তম সুরে গেয়ে
উঠলো এক ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া কোকিলা।
ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী বলে নীল ভাবলো,
"ছোট্ট মেয়ে, সে সুর-তাল-লয়ের কী বুঝবে?
আমি তো ওর বয়সে কিছু বুঝিনি! "
সেবার বসন্ত ব্যর্থ হয়েই বিদায় নিলো।
বসন্ত চলে গেলেও মনে সেই সপ্তম সুর
বেজেঁই যাচ্ছিল নীল বেচারার। তাই
মধুলোভী মৌমাছির মতো ঘুরতে লাগলো
মেয়েটির পেছনে তাকে বুঝতে না দিয়ে।
রুপের অমৃতে নয়নের তৃষ্ণা মেটানোই ছিল
উদ্দেশ্য।মেয়েটি কিন্তু বুঝতে পারছিল
সবই। দিনের পর দিন চলে গেল বসন্তের পর
বসন্ত। নীলকমলের মনের কথা জানানো
হলোনা মেয়েটিকে। নীলের বন্ধুরাও
নীলকে লজ্জা ও উষ্কানী দিত শুরু করলো।
অবশেষে সব লজ্জার মাথা খেয়ে চিরকুটের
সাহায্যে জানালো মনের কথা। মেেয়টির
সামনে তখন জে এস সি পরীক্ষা। একদিন
মেয়েটি তার বান্ধবীকে দিয়ে নীলকে
ডাকিয়ে বললো, "আপনি কি! একটা কথা
বলতে এতদিন লাগলো? " তার বান্ধবী তার
কথার সাথে যোগ করে বলল, " এ কথায় এখন
আর কোনো লাভ নেই। ও এখন বিবাহিত,
সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময়ই বিয়ে করেছে
ও। আপনিতো সেই ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময়
থেকেই ওর পেছনে ঘুরছেন। আগে বলতে
পারলেন না কথাটা? আর ওর বিয়ের কথাটা
প্রকাশ করবেন না। আপনাকে বলার
কারণটা আপানার না বুঝার কথা না। এবার
আসি আমরা। " চলে গেল।
জে এস সি পরীক্ষার পর মেয়েটি স্বামীর
সাথে চম্পট দিল কাউকে না জানিয়ে।
কিছুদিন পরই বসন্ত এলো। কোকিল ডাকলো
সপ্তম সুরে। নীলকমল তখন বধির।
আমার এই গল্প বলার উদ্দেশ্য নীলকমল ও
মেয়েটির বয়সের সাথে তাদের বড় হওয়াটা
তুলনা করা। দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া নীলের
সাহস হতোনা লুকিয়ে রেজিস্ট্রি করে
বিয়ে করার। আর সপ্তম শ্রেণীর একটা
মেয়ের কাছে তা নিছকই খেলার মতো।
তাই বলতে হয় মেয়েদের সংসার বুদ্ধি ঈশ্বর
প্রদত্ত।
কেউ আবার মনে করেন যে সাহসহীনতা ও
নির্বুদ্ধিতা গোপন করতে আমি নিজের
চরিত্রকে নীলকমল নামে উপস্থাপন
করেছি। আমি তাকে বলি, "আপনি মশাই কম
চতুর নন।"
চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম বয়সে বড় হয়।
আমি শারিরীক বড় হওয়ার কথা বলছি না।
যে বয়সে একটি ছেলে তার মাথা
আঁচড়ানোর জন্য মায়ের বকুনি খায় সেই
বয়সেই একটি মেয়ে সংসার সমুদ্রে দিব্যি
সাঁতার কেটে বেড়াতে পারে। অবশ্য সব
মেয়ের ক্ষেত্রে এ কথাটা প্রযোজ্য না হতে
পারে। কেউ যদি মনে করেন এট একটা ফালতু
কথা, এর কোন বাস্তবিক প্রমাণ নেই,
তাদের উদ্দেশ্যে আমি একটা গল্প বলবো।
যদিও ঘটনাটি আমার বন্ধু নীলকমলের সাথে
বাস্তবেই ঘটেছিল তবু এটাকে গল্প
হিসেবেই চালিয়ে দেব।
নীলকমল যখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ে তখন সে
ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে মাথার চুল আর
পোশাকের পার্থক্য ছাড়া আর কোনো
পার্থক্য করতে শেখেনি। যখন সপ্তম
শ্রেণীতে পড়ে তখন মেয়েদের মেয়ে বলে
জানলেও ছেলে - মেয়ের সম্পর্কের নিগুড়
কথা জানে না। এমনি যখন নবম দশমের
পালা চুকিয়ে এস এস সির চৌকাঠ পেড়িয়ে
কলেজে এসে পড়লো তখন বসন্তের হাওয়ার
দাপটে তার মনের কপাট নড়ে উঠলো। তার
মনের বাগানে একেবারে সপ্তম সুরে গেয়ে
উঠলো এক ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া কোকিলা।
ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী বলে নীল ভাবলো,
"ছোট্ট মেয়ে, সে সুর-তাল-লয়ের কী বুঝবে?
আমি তো ওর বয়সে কিছু বুঝিনি! "
সেবার বসন্ত ব্যর্থ হয়েই বিদায় নিলো।
বসন্ত চলে গেলেও মনে সেই সপ্তম সুর
বেজেঁই যাচ্ছিল নীল বেচারার। তাই
মধুলোভী মৌমাছির মতো ঘুরতে লাগলো
মেয়েটির পেছনে তাকে বুঝতে না দিয়ে।
রুপের অমৃতে নয়নের তৃষ্ণা মেটানোই ছিল
উদ্দেশ্য।মেয়েটি কিন্তু বুঝতে পারছিল
সবই। দিনের পর দিন চলে গেল বসন্তের পর
বসন্ত। নীলকমলের মনের কথা জানানো
হলোনা মেয়েটিকে। নীলের বন্ধুরাও
নীলকে লজ্জা ও উষ্কানী দিত শুরু করলো।
অবশেষে সব লজ্জার মাথা খেয়ে চিরকুটের
সাহায্যে জানালো মনের কথা। মেেয়টির
সামনে তখন জে এস সি পরীক্ষা। একদিন
মেয়েটি তার বান্ধবীকে দিয়ে নীলকে
ডাকিয়ে বললো, "আপনি কি! একটা কথা
বলতে এতদিন লাগলো? " তার বান্ধবী তার
কথার সাথে যোগ করে বলল, " এ কথায় এখন
আর কোনো লাভ নেই। ও এখন বিবাহিত,
সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময়ই বিয়ে করেছে
ও। আপনিতো সেই ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময়
থেকেই ওর পেছনে ঘুরছেন। আগে বলতে
পারলেন না কথাটা? আর ওর বিয়ের কথাটা
প্রকাশ করবেন না। আপনাকে বলার
কারণটা আপানার না বুঝার কথা না। এবার
আসি আমরা। " চলে গেল।
জে এস সি পরীক্ষার পর মেয়েটি স্বামীর
সাথে চম্পট দিল কাউকে না জানিয়ে।
কিছুদিন পরই বসন্ত এলো। কোকিল ডাকলো
সপ্তম সুরে। নীলকমল তখন বধির।
আমার এই গল্প বলার উদ্দেশ্য নীলকমল ও
মেয়েটির বয়সের সাথে তাদের বড় হওয়াটা
তুলনা করা। দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া নীলের
সাহস হতোনা লুকিয়ে রেজিস্ট্রি করে
বিয়ে করার। আর সপ্তম শ্রেণীর একটা
মেয়ের কাছে তা নিছকই খেলার মতো।
তাই বলতে হয় মেয়েদের সংসার বুদ্ধি ঈশ্বর
প্রদত্ত।
কেউ আবার মনে করেন যে সাহসহীনতা ও
নির্বুদ্ধিতা গোপন করতে আমি নিজের
চরিত্রকে নীলকমল নামে উপস্থাপন
করেছি। আমি তাকে বলি, "আপনি মশাই কম
চতুর নন।"
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কষ্টের ফেরিওলা ২৭/০৯/২০১৫বেশ লাগলো,
-
নির্ঝর ১৭/০৯/২০১৫এটা আসলে সৃষ্টি কর্তার রহস্য। তিনি এমন করেই সৃষ্টি করেছেন।
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ১৭/০৯/২০১৫বেশ ভাল,