ব্লু হোয়েল আর ম্যান ডার্ক
বড় বাড়ির বড় ভিটার বিশাল তেঁতুল গাছে, আজ ভূতের সভা বসেছে। নিলুদের বাঁশ ঝাড়ের ভূত, জাবেদদের শিমুল গাছের ভূত, তুহিনদের বট গাছের ভূত এবং দেশের বিভিন্ন স্থান হতে ভূত এসে সভায় যোগ দিয়েছে। তারা সবাই ব্লু হোয়েল গেম নিয়ে আলোচনা করছে-
ব্লু হোয়েল এমন একটা গেম যেটা মানুষকে আত্নহত্যা করতে বাধ্য করা হয়। আর এই গেমটি বানিয়েছে মানুষ। আমরা সবাই জানি আত্নহত্যা করলে সে ভূত হয়ে যায়। অর্থাৎ সে আমাদের দল ভুক্ত হয়ে যায়। এই বলে দূর হতে আগত তরুণ ভূতটি হেসে উঠল। আর সাথে সাথে সবাই।
হাসি থামিয়ে প্রেত্নি বান্টি বলল, তারা কি আমাদের মতই দেখতে হয় নাকি অন্য রকম। তরুণ ভূতটি বলল, না। তারা আমাদের মত হয় না। তারা দেখতে একেবারে কুৎসিত হয়। তাদের চেহারায় কোন সৌন্দর্য থাকে না। তারা আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এখনই প্রতিরোধ না করতে পারলে, আমাদের বংশ ধ্বঃস করে তারাই আমাদের জায়গা দখল করে নিবে।
জাবেদদের শিমুল গাছের ভূতটি বলল, আমার মনে হয় ওদের জনসংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। ওরা টিকতে পারছে না। তাই আমাদের জায়গা দখল করতে চাচ্ছে ।
এতক্ষণ বৃদ্ধ ভূতটি নীরব ছিল। সে বলে উঠল, মহা মুশকিলে পড়া গেল। এত দিন তো ভালই ছিলাম। ধীরে ধীরে যে কি হচ্ছে মানুষের মাথায়। কিছুই বুঝতে পারি না। এতদিন প্রেমে ছ্যাকা খেয়ে বা সংসারে খুব কষ্ট পেলে তবেই আত্নহত্যা করত, তাও কি করতে চাইতো -বার বার ফিরে যেত। আর এখন শখ করে আত্নহত্যা করছে । মানুষ গুলো যে এত নিকৃষ্ট হতে পারে। তাও দেখে যেতে হল।
তুহিনদের বটগাছ থেকে যে ভূতটি এসেছে সে বলল, আমি অতিশীঘ্রই এর সমাধান করে ছাড়ব। তোমাদের কথা বার্তা শুনে আর থাকা গেল না। যাই তাড়াতাড়ি ফিরে যাই। গবেষণা করতে হবে। এর একটা বিহিত করতেই হবে।
দূর হতে আগত তরুণ ভূতটি বলল, দাঁড়াও ভাই। গবেষণার কাজ পরে করা যাক। আপাতত সভাটা চলুক। কার কি মন্তব্য আছে শোনা যাক।
তুহিনদের বটগাছের ভূতটি বলল, আচ্ছা ঠিক আছে। তারপর সে চুপটি করে বসে রইল।
নিলুদের বাঁশঝাড়ের ভূতটি বলল, এইতো দুইদিন হল ; বাঁশ ঝাড়ের নিচ দিয়ে একটা ভূত চলে গেল। আমার কেমন জানি ভয় হল। বার বারই মনে হল, সে আমাদের ভূতের জাত নয়। আমার ছেলে মেয়ে গুলোও ভয় পেয়ে ছিল। তাহলে সেটা তো মানুষের আত্নাই হবে। এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পাচ্ছি।
সবাই জানতে চাইল- তাড়াতাড়ি বল সে ভূত দেখতে কেমন?
আগে কখনো দেখিনি ভাই। এই প্রথম দেখলাম। তবে খুবই ভয়ংকর। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমরা তো মনে করছিলাম ; আমাদের থেকে কালো আর কিছু নেই। এখন দেখি। হায় হায় কি আর বলবো, এত কুৎসিত। দাঁত গুলো ছোট্ট ছোট্ট। সে দাঁত দিয়ে সব কিছু খেতে পারে। আমরা দেখে তো অবাক। চুপটি করে বসে রইলাম। যদি কোন ক্ষতি করে যায়। তারপরেই তো সবাইকে ডেকে পাঠালাম।
বৃদ্ধ ভূতটি বলল, তুই ভাল করেছিস। আমরা সকাল সকালই এর প্রতিকার খুঁজার সুযোগ পেলাম। যা করার আমাদের দ্রুত করতে হবে। ওরা যদি আমাদের রাজ্য ভরে যায় তাহলে আর সমাধান করা যাবে না।
তরুণ ভূতটি বলল, ঠিক বলেছেন দাদা। আমরা এখন থেকেই এর প্রতিকার করার চেষ্টা করবো। কারো মাথায় কোন আইডিয়া এলে আমাদের সাথে শেয়ার করো।
নানান ভূত নানান কথা বলল। কারো কোথায় কাজ হবে বলে মনে করল না বৃদ্ধ ভূতটি। তাই সে বলল, আমাদের বটগাছের ভূতের মাথায় অনেক বুদ্ধি আছে। এর ভার ওর উপরেই ন্যাস্ত করা হোক। ও ঠিক গবেষণা করে বের করতে পারবে। তখন তরুণ ভূতটি বলল, আচ্ছা ঠিক আছে। তবে তার সাথে আমাদের ও কাজ করে যেতে হবে। তবেই আমাদের এ বিপদের সমাধান পাওয়া যাবে । এখানেই সভার কাজ সমাপ্তি ঘোষনা করছি। আবার পাঁচ ঘন্টা পনেরো মিনিট পর সভা বসা হবে। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব মনে করে কাজ করে যাও।
সবাই এক সাথে বলল, আচ্ছা ঠিক আছে।
তারপর সবাই চলে গেল।
তরুণ ভূতটি বটগাছের ভূতটির সাথে চলে গেল।
গবেষণার কাজ চলছে। তরুণ ভূতটি বলল, এমন ভাবে কাজ করতে হবে যাতে ওরা আমাদের রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে। বট গাছের ভূতটি অনেকক্ষণ গবেষণা করে বলল, না ভাই এটা সম্ভব হল না। তরুণ ভূতটি বলল আরে ভাই ভাল করে দেখ। সম্ভব হবে।
এমন সময় বৃদ্ধ ভূতটি এসে বলল, তাড়াতাড়ি করতে হবে। আমাদের বান্টির মেয়েকে ওই ভূতটি ধরে নিয়ে গেছে। খুবই কান্নাকাটি করছে।
বটগাছের ভূতটি হেসে উঠল। বলল, হয়ে গেছে। এমন নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করলাম। সমস্যার সমাধাণ কিছুটা হলেও হবে। তরুণ ভূতটি বলল, কিছুটা মানে? বলো কি রকম? বটগাছের ভূতটি বলল, ওরা যত খুশি আসতে পারে আসুক। এমন নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করলাম ; আমাদের রাজ্যে ওরা আসার সময় এই নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে আসতে হবে। আর এই নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে এলে তারা হুবহু আমাদের মত হয়ে যাবে। ওরা আমাদের কোন ক্ষতি করবে না। আচার আচরণ ঠিক আমাদের মতই হয়ে যাবে।
তরুণ ভূতটি বলল, এটা করা যাবে না। আরো ভেবে দেখা যাক। এটা করলে ঠিকই তো ওরা আমাদের রাজ্য ভরে ফেলবে।
বৃদ্ধ ভূতটি বলল, এটাই ভাল সমাধান। এর উপরে কোন সমাধান নেই। ওরা যতই আসুক না কেনো আমাদের রাজ্য কোন দিন ভরবে না। ওরা যেহতু আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তাহলে এটাই সুন্দর সমাধান।
তরুণ ভূতটি বলল, আমার এটা জানা ছিল না যে আমাদের রাজ্য কখনো ভরবে না। তাহলে এই নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হোক। আর আমি এই নেটওয়ার্কের নাম দিলাম ম্যান ডার্ক।
ব্লু হোয়েল এমন একটা গেম যেটা মানুষকে আত্নহত্যা করতে বাধ্য করা হয়। আর এই গেমটি বানিয়েছে মানুষ। আমরা সবাই জানি আত্নহত্যা করলে সে ভূত হয়ে যায়। অর্থাৎ সে আমাদের দল ভুক্ত হয়ে যায়। এই বলে দূর হতে আগত তরুণ ভূতটি হেসে উঠল। আর সাথে সাথে সবাই।
হাসি থামিয়ে প্রেত্নি বান্টি বলল, তারা কি আমাদের মতই দেখতে হয় নাকি অন্য রকম। তরুণ ভূতটি বলল, না। তারা আমাদের মত হয় না। তারা দেখতে একেবারে কুৎসিত হয়। তাদের চেহারায় কোন সৌন্দর্য থাকে না। তারা আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এখনই প্রতিরোধ না করতে পারলে, আমাদের বংশ ধ্বঃস করে তারাই আমাদের জায়গা দখল করে নিবে।
জাবেদদের শিমুল গাছের ভূতটি বলল, আমার মনে হয় ওদের জনসংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। ওরা টিকতে পারছে না। তাই আমাদের জায়গা দখল করতে চাচ্ছে ।
এতক্ষণ বৃদ্ধ ভূতটি নীরব ছিল। সে বলে উঠল, মহা মুশকিলে পড়া গেল। এত দিন তো ভালই ছিলাম। ধীরে ধীরে যে কি হচ্ছে মানুষের মাথায়। কিছুই বুঝতে পারি না। এতদিন প্রেমে ছ্যাকা খেয়ে বা সংসারে খুব কষ্ট পেলে তবেই আত্নহত্যা করত, তাও কি করতে চাইতো -বার বার ফিরে যেত। আর এখন শখ করে আত্নহত্যা করছে । মানুষ গুলো যে এত নিকৃষ্ট হতে পারে। তাও দেখে যেতে হল।
তুহিনদের বটগাছ থেকে যে ভূতটি এসেছে সে বলল, আমি অতিশীঘ্রই এর সমাধান করে ছাড়ব। তোমাদের কথা বার্তা শুনে আর থাকা গেল না। যাই তাড়াতাড়ি ফিরে যাই। গবেষণা করতে হবে। এর একটা বিহিত করতেই হবে।
দূর হতে আগত তরুণ ভূতটি বলল, দাঁড়াও ভাই। গবেষণার কাজ পরে করা যাক। আপাতত সভাটা চলুক। কার কি মন্তব্য আছে শোনা যাক।
তুহিনদের বটগাছের ভূতটি বলল, আচ্ছা ঠিক আছে। তারপর সে চুপটি করে বসে রইল।
নিলুদের বাঁশঝাড়ের ভূতটি বলল, এইতো দুইদিন হল ; বাঁশ ঝাড়ের নিচ দিয়ে একটা ভূত চলে গেল। আমার কেমন জানি ভয় হল। বার বারই মনে হল, সে আমাদের ভূতের জাত নয়। আমার ছেলে মেয়ে গুলোও ভয় পেয়ে ছিল। তাহলে সেটা তো মানুষের আত্নাই হবে। এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পাচ্ছি।
সবাই জানতে চাইল- তাড়াতাড়ি বল সে ভূত দেখতে কেমন?
আগে কখনো দেখিনি ভাই। এই প্রথম দেখলাম। তবে খুবই ভয়ংকর। আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমরা তো মনে করছিলাম ; আমাদের থেকে কালো আর কিছু নেই। এখন দেখি। হায় হায় কি আর বলবো, এত কুৎসিত। দাঁত গুলো ছোট্ট ছোট্ট। সে দাঁত দিয়ে সব কিছু খেতে পারে। আমরা দেখে তো অবাক। চুপটি করে বসে রইলাম। যদি কোন ক্ষতি করে যায়। তারপরেই তো সবাইকে ডেকে পাঠালাম।
বৃদ্ধ ভূতটি বলল, তুই ভাল করেছিস। আমরা সকাল সকালই এর প্রতিকার খুঁজার সুযোগ পেলাম। যা করার আমাদের দ্রুত করতে হবে। ওরা যদি আমাদের রাজ্য ভরে যায় তাহলে আর সমাধান করা যাবে না।
তরুণ ভূতটি বলল, ঠিক বলেছেন দাদা। আমরা এখন থেকেই এর প্রতিকার করার চেষ্টা করবো। কারো মাথায় কোন আইডিয়া এলে আমাদের সাথে শেয়ার করো।
নানান ভূত নানান কথা বলল। কারো কোথায় কাজ হবে বলে মনে করল না বৃদ্ধ ভূতটি। তাই সে বলল, আমাদের বটগাছের ভূতের মাথায় অনেক বুদ্ধি আছে। এর ভার ওর উপরেই ন্যাস্ত করা হোক। ও ঠিক গবেষণা করে বের করতে পারবে। তখন তরুণ ভূতটি বলল, আচ্ছা ঠিক আছে। তবে তার সাথে আমাদের ও কাজ করে যেতে হবে। তবেই আমাদের এ বিপদের সমাধান পাওয়া যাবে । এখানেই সভার কাজ সমাপ্তি ঘোষনা করছি। আবার পাঁচ ঘন্টা পনেরো মিনিট পর সভা বসা হবে। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব মনে করে কাজ করে যাও।
সবাই এক সাথে বলল, আচ্ছা ঠিক আছে।
তারপর সবাই চলে গেল।
তরুণ ভূতটি বটগাছের ভূতটির সাথে চলে গেল।
গবেষণার কাজ চলছে। তরুণ ভূতটি বলল, এমন ভাবে কাজ করতে হবে যাতে ওরা আমাদের রাজ্যে প্রবেশ করতে না পারে। বট গাছের ভূতটি অনেকক্ষণ গবেষণা করে বলল, না ভাই এটা সম্ভব হল না। তরুণ ভূতটি বলল আরে ভাই ভাল করে দেখ। সম্ভব হবে।
এমন সময় বৃদ্ধ ভূতটি এসে বলল, তাড়াতাড়ি করতে হবে। আমাদের বান্টির মেয়েকে ওই ভূতটি ধরে নিয়ে গেছে। খুবই কান্নাকাটি করছে।
বটগাছের ভূতটি হেসে উঠল। বলল, হয়ে গেছে। এমন নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করলাম। সমস্যার সমাধাণ কিছুটা হলেও হবে। তরুণ ভূতটি বলল, কিছুটা মানে? বলো কি রকম? বটগাছের ভূতটি বলল, ওরা যত খুশি আসতে পারে আসুক। এমন নেটওয়ার্ক আবিষ্কার করলাম ; আমাদের রাজ্যে ওরা আসার সময় এই নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে আসতে হবে। আর এই নেটওয়ার্কের মধ্য দিয়ে এলে তারা হুবহু আমাদের মত হয়ে যাবে। ওরা আমাদের কোন ক্ষতি করবে না। আচার আচরণ ঠিক আমাদের মতই হয়ে যাবে।
তরুণ ভূতটি বলল, এটা করা যাবে না। আরো ভেবে দেখা যাক। এটা করলে ঠিকই তো ওরা আমাদের রাজ্য ভরে ফেলবে।
বৃদ্ধ ভূতটি বলল, এটাই ভাল সমাধান। এর উপরে কোন সমাধান নেই। ওরা যতই আসুক না কেনো আমাদের রাজ্য কোন দিন ভরবে না। ওরা যেহতু আমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। তাহলে এটাই সুন্দর সমাধান।
তরুণ ভূতটি বলল, আমার এটা জানা ছিল না যে আমাদের রাজ্য কখনো ভরবে না। তাহলে এই নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হোক। আর আমি এই নেটওয়ার্কের নাম দিলাম ম্যান ডার্ক।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ০১/১১/২০১৭
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ০১/১১/২০১৭সুন্দর উপস্থাপনা ।
আত্মহত্যার বিষয়ে আরো তথ্য থাকলে ভাল হতো ।
অর্থাৎ এটা একটা অমার্জনীয় অপরাধ । এর থেকে যত দূরে থাকা যায় ।
উত্তর