পরীর দেশে
রিয়াদ ২য় শ্রেণিতে পড়ে। একদিন সে বই পুস্তক নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল। পথে ফুলকির মত কে এসে তার হাত ধরল। সে কিছু বুঝতে না বুঝতেই উঠে গেল আকাশ পথে। তারা নীল আকাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে। রিয়াদ বলল, কি রে ফুলকি আমায় কোথায় নিয়ে যাস? তুই উড়তে পারিস? আগে বলিস নি তো? ফুলকি রুপি পরী বলল, আমি কয়েক দিন আগে উড়া শিখেছি। জানিস আমি উড়ে উড়ে অনেক দূর পর্যন্ত যেতে পারি। শুধু তাই নয় তোর মত দুইজনকে সাথে নিয়ে উড়ে যেতে পারবো। রিয়াদ বলল, তাহলে তো অনেক ভাল। কাল মারুফাকে সাথে নিয়ে আসবো। সে কত খুশি হবে জানিস? তার পরের দিন তুলি কে নিয়ে আসবো। আমরা প্রতিদিন বিকেলে এভাবে আকাশে উড়বো। ঠিক বলছিনা ফুলকি? ফুলকি রুপি পরী বলল, আচ্ছা ঠিক আছে।
তারপরের দিন। রিয়াদ মারুফাদের বাড়িতে গেল। বলল, চল যাই। আমরা আজ অনেক দূর যাবো। মারুফা বলল, কোথায় যাবি? আমার ভয় লাগে। রাস্তা দিয়ে হাটার সময় গাড়ি এসে যদি ধাক্কা দেয়। রিয়াদ বলল, ধূর বোকা। আমরা কি রাস্তা দিয়ে যাবো নাকি? আমরা যাবো আকাশ পথে। ওই যে নীল আকাশ দেখছিস না? ওই খান দিয়ে যাবো। মারুফা বলল, রিয়াদ তুই কি পাগল? আকাশ দিয়ে তুই কেমনে যাবি। তোদের কি বিমান আছে? রিয়াদ বলল, বিমান না থাকল তাতে কি? আমরা যাবো উড়ে উড়ে। ফুলকিকে চিনিস? ওই পাড়া থেকে আমাদের স্কুলে আসে। ও না উড়তে পারে। ইয়া বড় দুইটি পাখা আছে। উড়ার সময় সেটা লাগায়। আমি কালকে ওর সাথে উড়ে অনেক দূর গিয়ে ছিলাম। আকাশ থেকে আমাদের বাড়ি ঘর, স্কুল সব ছোট ছোট দেখায়। মারুফা বলল, সত্যি! তাহলে চল ওদের বাড়িতে যাই।
দুইজন ফুলকিদের বাড়িতে গেল। ফুলকি তাদের উঠোনে তার বড় আপুর সাথে খেলছিল। রিয়াদ বলল, চল ফুলকি। আজ মারুফাকে সাথে নিয়ে এসেছি। আমরা আজ অনেক দূর যাবো। ফুলকির বড় বোন দমক দিয়ে বলল, এত ছোট মানুষ। অনেক দূর! তা কোথায় যাবে শুনি? মারুফা বলল, ফুলকি বলে আকাশ দিয়ে উড়তে পারে। কালকে রিয়াদকে আকাশ দিয়ে উড়ে উড়ে অনেক দূর নিয়ে গিয়েছিল। ফুলকি বলল, ওমা আমি ওকে কখন নিয়ে গেলাম। আমি কি আকাশে উড়তে পারি নাকি? ওকে নিয়ে আকাশ দিয়ে বেড়াবো। রিয়াদ বলল, তুই এত মিথ্যা বলিস কেনো? আমায় না কাল আকাশ দিয়ে উড়ে উড়ে আমার মামার বাড়ির ওখানে নিয়ে গিয়েছিলি। আর একটু গেলে তো আমার মামার বাড়িই পেতাম। তা তুই গেলি না। বললি আজ থাক। আমার পাখা ব্যথা হয়ে গেছে। আবার কাল আসবো। ফুলকির বড় বোন একটা থাপ্পড় দিয়ে বলল, যা ভাগ এখান থেকে। ফুলকি কি পরী নাকি? যে উড়তে পারে? রিয়াদ কাঁদতে লাগল। মারুফা বলল, চল বাড়িতে যাই। শুধু শুধু এখানে এসে শুধু চড় খেলি। আমি বার বার বললাম তুই মিথ্যে বলছিস। তুই মানাই দিলি না। এবার হল তো।
তারা দুইজন মন ভার করে বাড়ি ফিরছিল। শারমিনদের বাড়ির পিছনে বাঁশবাগানের পথে যাওয়ার সময়, ফুলকি রুপি পরী এসে বলল, হায় রিয়াদ। তোমার মন ভার কেনো? কি হয়েছে তোমার? রিয়াদ বলল, তুমি না বলে উড়তে পারো না। তাহলে এখন কিভাবে উড়ে এলে। ফুলকি রুপি পরী বলল, কে বলছে এসব কথা। চলো আমার সাথে। তারপর ফুলকি রুপি পরী রিয়াদ আর মারুফাকে নিয়ে উড়ে গেল আকাশ পথে, সেই পরীর দেশে।
তারপরের দিন। রিয়াদ মারুফাদের বাড়িতে গেল। বলল, চল যাই। আমরা আজ অনেক দূর যাবো। মারুফা বলল, কোথায় যাবি? আমার ভয় লাগে। রাস্তা দিয়ে হাটার সময় গাড়ি এসে যদি ধাক্কা দেয়। রিয়াদ বলল, ধূর বোকা। আমরা কি রাস্তা দিয়ে যাবো নাকি? আমরা যাবো আকাশ পথে। ওই যে নীল আকাশ দেখছিস না? ওই খান দিয়ে যাবো। মারুফা বলল, রিয়াদ তুই কি পাগল? আকাশ দিয়ে তুই কেমনে যাবি। তোদের কি বিমান আছে? রিয়াদ বলল, বিমান না থাকল তাতে কি? আমরা যাবো উড়ে উড়ে। ফুলকিকে চিনিস? ওই পাড়া থেকে আমাদের স্কুলে আসে। ও না উড়তে পারে। ইয়া বড় দুইটি পাখা আছে। উড়ার সময় সেটা লাগায়। আমি কালকে ওর সাথে উড়ে অনেক দূর গিয়ে ছিলাম। আকাশ থেকে আমাদের বাড়ি ঘর, স্কুল সব ছোট ছোট দেখায়। মারুফা বলল, সত্যি! তাহলে চল ওদের বাড়িতে যাই।
দুইজন ফুলকিদের বাড়িতে গেল। ফুলকি তাদের উঠোনে তার বড় আপুর সাথে খেলছিল। রিয়াদ বলল, চল ফুলকি। আজ মারুফাকে সাথে নিয়ে এসেছি। আমরা আজ অনেক দূর যাবো। ফুলকির বড় বোন দমক দিয়ে বলল, এত ছোট মানুষ। অনেক দূর! তা কোথায় যাবে শুনি? মারুফা বলল, ফুলকি বলে আকাশ দিয়ে উড়তে পারে। কালকে রিয়াদকে আকাশ দিয়ে উড়ে উড়ে অনেক দূর নিয়ে গিয়েছিল। ফুলকি বলল, ওমা আমি ওকে কখন নিয়ে গেলাম। আমি কি আকাশে উড়তে পারি নাকি? ওকে নিয়ে আকাশ দিয়ে বেড়াবো। রিয়াদ বলল, তুই এত মিথ্যা বলিস কেনো? আমায় না কাল আকাশ দিয়ে উড়ে উড়ে আমার মামার বাড়ির ওখানে নিয়ে গিয়েছিলি। আর একটু গেলে তো আমার মামার বাড়িই পেতাম। তা তুই গেলি না। বললি আজ থাক। আমার পাখা ব্যথা হয়ে গেছে। আবার কাল আসবো। ফুলকির বড় বোন একটা থাপ্পড় দিয়ে বলল, যা ভাগ এখান থেকে। ফুলকি কি পরী নাকি? যে উড়তে পারে? রিয়াদ কাঁদতে লাগল। মারুফা বলল, চল বাড়িতে যাই। শুধু শুধু এখানে এসে শুধু চড় খেলি। আমি বার বার বললাম তুই মিথ্যে বলছিস। তুই মানাই দিলি না। এবার হল তো।
তারা দুইজন মন ভার করে বাড়ি ফিরছিল। শারমিনদের বাড়ির পিছনে বাঁশবাগানের পথে যাওয়ার সময়, ফুলকি রুপি পরী এসে বলল, হায় রিয়াদ। তোমার মন ভার কেনো? কি হয়েছে তোমার? রিয়াদ বলল, তুমি না বলে উড়তে পারো না। তাহলে এখন কিভাবে উড়ে এলে। ফুলকি রুপি পরী বলল, কে বলছে এসব কথা। চলো আমার সাথে। তারপর ফুলকি রুপি পরী রিয়াদ আর মারুফাকে নিয়ে উড়ে গেল আকাশ পথে, সেই পরীর দেশে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দীপঙ্কর বেরা ১২/১১/২০১৭ভালো লাগলো।
-
ফয়জুল মহী ০২/১১/২০১৭চৌকশ লিখনী
-
সন্দীপন পাল ০১/১১/২০১৭ভালো লাগলো
-
jdnf ৩১/১০/২০১৭সত্যি খুব সুন্দর লেখনী
-
Mahbubur Rahman ৩১/১০/২০১৭ভাল হইসে
-
সোলাইমান ৩০/১০/২০১৭খুব সুন্দর লেখা।।।।।
-
আজাদ আলী ৩০/১০/২০১৭Very good
-
কামরুজ্জামান সাদ ৩০/১০/২০১৭বেশ!
-
শাহজাদা আল হাবীব ৩০/১০/২০১৭khub sundur.
-
আবুল খায়ের ৩০/১০/২০১৭good