একজন প্রিয়া সাহা এবংং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি
গতকালকে প্রিয়া সাহার ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে বিভিন্ন ফেইজে, কমেন্টে হিন্দু ভাইদের একটা কমন পোস্ট শেয়ার করতে দেখলাম। ওদের তথ্যমতে স্বাধীনতার পর থেকে এদেশের হিন্দুদের সংখ্যা ক্রমাগত কমে আসার বিষয়টিকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এখানে একটা কথা বলি। দেশে হিন্দুর সংখ্যা কমে যাওয়া এবং মোট জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দুদের পার্সেন্টেজ কমে যাওয়া এই দুইয়ের মধ্যে তফাৎ আছে। আবার হিন্দুদের কমে যাওয়ার পিছনে কি আপনি পাকিস্তান আমলের পার্সেন্টেজ সহ বিবেচনায় আনবেন? নাকি শুধু বাংলাদেশ আমলের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করবেন?
আমি যেহেতু যুদ্ধ পরবর্তী সময়কাল থেকে এই সময়কাল পর্যন্ত সরকারকেই বাংলাদেশের সরকার বলে মনে করি সুতরাং আমি শুধু এই ডিউরেশনের পরিসংখ্যানটা আলোচনায় আনবো!
১৯৭১ সালে এদেশে মোট হিন্দুর সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ।
[[ কিছু কিছু হিন্দু ভাই বলছেন যুদ্ধের সময় হিন্দু ছিল ২২% আবার কেউ কেউ বলছেন ৩১ % আপনাদের বক্তব্যের পক্ষে অবশ্যই কোনো গণনা পত্রের রিপোর্ট দিয়ে সাহায্য করবেন এবং আমার দেয়া তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য নীচের লিংকে ক্লিক করুন ]]
https://www.bbc.com/bengali/news/2016/06/160623_bd_bbs_statistics
অর্থ্যাৎ ১৪ শতাংশ হারে তখনকার সময়ে দেশের ৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মোট হিন্দু ছিল ৯৮ লাখ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে ২০১৫ সালে স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরে দেশে হিন্দুদের শতকরা হার মোট জনসংখ্যার ১০.৭ শতাংশ। ১৬ কোটি জনসংখ্যা হিসাব করলে এই তথ্যমতে বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭৪ লক্ষ! অর্থ্যাৎ দেশে হিন্দুর সংখ্যা বেড়েছে ৭৬ লাখ। গত ৪৫ বছরে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ার অনুপাত হচ্ছে ১ঃ ১.৮।
এবার আসি ১৪ শতাংশ থেকে কেন ১০ শতাংশে নেমে আসলো । এখানে সুস্পষ্টভাবে রয়েছে সামাজিক নিয়মনীতি। গত এক দশক আগেও এদেশে মুসলিম পুরুষদের বহুবিবাহ অবাধ ছিল। মুসলমানরা জন্মনিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাকে ধর্মীয় ভাবে গ্রহণ করে না। যার ফলে হিন্দুধর্মালম্বীদের তুলনায় মুসলমানদের পার্সেন্টেজ মোট জনসংখ্যায় কিছুটা বেড়ে গেছে!
বাংলাদেশে ১০০ অঘটনের ঘটনা ঘটলে এখানে ১০ টা হিন্দুদের সাথে ঘটবে। জনসংখ্যার রেশিওর হিসেবেই এটা ঘটবে। হিন্দু মুসলিমদের কারো সাথে যদি ব্যক্তিগত মারামারির কোনো ঘটনা ঘটে সংখ্যালঘু ব্যানারে এটাকে সংখ্যালঘু হামলা হিসেবে প্রচার পায়। বিষয়টা অত্যন্ত সুক্ষ ভাবে পর্যালোচনা করা উচিত। ব্যাক্তিগত দ্বন্ধ কখনোই সংখ্যালঘু নির্যাতন হতে পারে না। সংখ্যালঘু নির্যাতনের পক্ষে একটা দল তৈরি হয়, সামাজিক একটা অবস্থান তৈরি হয় যেটা ব্যাক্তিগত হামলায় থাকে না।
এছাড়াও অনেক হিন্দু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে এদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়নি এমন না। অবশ্যই হয়েছে। এদেশে হিন্দুদের বাড়িঘর দখল হয়েছে, জমিজমা দখল হয়েছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট হয়েছে, নিজের ভিটে মাটিতে থাকতে না পেরে মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছে। এগুলো অস্বীকার করি না। এসব ঘটনায় কখনোই আপামর মুসলিম জনসাধারণের যোগসাজশ ছিল না। এগুলো সবই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়া হয়েছে এবং সব সময় রাজনৈতিক দলগুলো সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাংক কাজে লাগানোর জন্য এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করেছে।
ধর্মীয় কারনে এদেশে কখনোই হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হয়নি। আমি যেখানে বেড়ে উঠেছি এর অদূরেই হিন্দু পাড়া। আমাদের সামাজিক জীবন যাপনে ছিল অপার আন্তরিকতা। স্কুল ছুঁটি হলে দলবেঁধে মন্দিরে দুর্গাপূজা দেখতে যেতাম। রথ দেখার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতাম। আমার বন্ধুবান্ধবদের বড় অংশ হিন্দু ধর্মালম্বী। আমি যখন বিকালে চা খাই সেখানে কমপক্ষে একজন হিন্দু থাকে। আমি যখন আড্ডা দিই তখন আমার বন্ধুই আমার কাছে বড়। ধর্মীয় পরিচয় সেখানে কারো মাথায়ও থাকে না।আমরা মানুষের মত মানুষের ভেতরে মিশে যাই। এসব পরিসংখ্যান, তত্ত্ব, অংক সব আড্ডার টেবিলে অপ্রাসঙ্গিক।
আমাদের মধ্যে কখনো ধর্ম নিয়ে বিভেদ হয়েছে অথবা একজনের ধর্মীয় বিধিনিষেধে অন্যজন হস্তক্ষেপ করেছে এমন আমি কখনো দেখিনি।উগ্রবাদী কেউ যে দেশে নেই তা না। কিন্তু উগ্রবাদীরাই দেশে এখন সংখ্যালঘু। এরা সংখ্যায় এত সীমিত যে এরা চাইলেই এখন আর নতুন কোনো হাঙ্গামা তৈরি করতে পারে না। কারন মুসলমানদের বড় অংশ হিন্দুদের পাশে রয়েছে।
৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু কিভাবে গুম হয়েছে এর প্ররিপ্রেক্ষিতে আমরা নির্ভরযোগ্য দলিল চাই। প্রয়োজনে বিদেশী সংস্থাকে সাথে নিয়ে গ্রামে শহরে সরকার সংখ্যালঘু নির্যাতনের সার্ভে করুক। সাধারন মানুষের মতামত নিক। কিন্তু মিছেমিছি এদেশর বিরুদ্ধে কেউ জগন্য কুৎসা রটাবে, এদেশের সার্বভৌমত্বকে জলাঞ্চলি দিয়ে আসবে এটা কখনো হতে দেয়া যায় না।
অসম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। হিন্দু মেয়ের বিয়ে দিতে না পারা কন্যা দায়গ্রস্ত অনেক পিতাকে দেখেছি মুসলমানদের শরাণাপন্ন হতে। অনেক গ্রাম্য হিন্দু ডাক্তারদেরকে আমি নিজে দেখেছি নিজ ধর্মের জাতপাত ভুলে সকল ধর্মের মানুষকে সেবা দিতে। মানুষকে ভালোবেসে মানুষ কখনো হারে না,বরং ভালোবাসা মানুষকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করে, শক্তিশালী করে।
ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলের লোভে এই প্রিয়া সাহারা দেশের নামে অতিরঞ্জিত বলছে এটা বলতেই হবে। এদেশের অনেক হিন্দুকে এটা লজ্জিতও করেছে। নষ্ট করেছে দেশের ভাবমূর্তি। ধর্মীয় সহ অবস্থানের স্থিতিশীলতায় আঘাত হেনেছে।পাশাপাশি সুযোগ এনে দিয়েছে উগ্রপন্থীদের। কাজেই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আমাদের ব্যক্তিগত আদর্শের মতপার্থক্য থাকতে পারে, আমরা বিভিন্ন দলের বা ধর্মের অনুসারী হতে পারি, কিন্তু দেশের প্রশ্নে, স্বাধীনতার প্রশ্নে, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা সবাই এক ও অভিন্ন মতাদর্শের অধিকারী। যে মহিলা আমাদের দেশকে নিয়ে এমন ন্যাক্কারজনক এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদেরকে বহির্বিশ্বের কাছে ছোট করতে চেয়েছে এবং দেশটাকে যারা উস্কে দিতে চায় এদের রুখতে হবে। এটা মিয়ানমার না, এটা ভারতও না, এটা বাংলাদেশ। আমাদের সকলের প্রিয় বাংলাদেশ ❤
------Kazi Shahed
এখানে একটা কথা বলি। দেশে হিন্দুর সংখ্যা কমে যাওয়া এবং মোট জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দুদের পার্সেন্টেজ কমে যাওয়া এই দুইয়ের মধ্যে তফাৎ আছে। আবার হিন্দুদের কমে যাওয়ার পিছনে কি আপনি পাকিস্তান আমলের পার্সেন্টেজ সহ বিবেচনায় আনবেন? নাকি শুধু বাংলাদেশ আমলের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করবেন?
আমি যেহেতু যুদ্ধ পরবর্তী সময়কাল থেকে এই সময়কাল পর্যন্ত সরকারকেই বাংলাদেশের সরকার বলে মনে করি সুতরাং আমি শুধু এই ডিউরেশনের পরিসংখ্যানটা আলোচনায় আনবো!
১৯৭১ সালে এদেশে মোট হিন্দুর সংখ্যা ছিল মোট জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ।
[[ কিছু কিছু হিন্দু ভাই বলছেন যুদ্ধের সময় হিন্দু ছিল ২২% আবার কেউ কেউ বলছেন ৩১ % আপনাদের বক্তব্যের পক্ষে অবশ্যই কোনো গণনা পত্রের রিপোর্ট দিয়ে সাহায্য করবেন এবং আমার দেয়া তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য নীচের লিংকে ক্লিক করুন ]]
https://www.bbc.com/bengali/news/2016/06/160623_bd_bbs_statistics
অর্থ্যাৎ ১৪ শতাংশ হারে তখনকার সময়ে দেশের ৭ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে মোট হিন্দু ছিল ৯৮ লাখ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে ২০১৫ সালে স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরে দেশে হিন্দুদের শতকরা হার মোট জনসংখ্যার ১০.৭ শতাংশ। ১৬ কোটি জনসংখ্যা হিসাব করলে এই তথ্যমতে বর্তমানে বাংলাদেশে হিন্দুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭৪ লক্ষ! অর্থ্যাৎ দেশে হিন্দুর সংখ্যা বেড়েছে ৭৬ লাখ। গত ৪৫ বছরে হিন্দু জনসংখ্যা বাড়ার অনুপাত হচ্ছে ১ঃ ১.৮।
এবার আসি ১৪ শতাংশ থেকে কেন ১০ শতাংশে নেমে আসলো । এখানে সুস্পষ্টভাবে রয়েছে সামাজিক নিয়মনীতি। গত এক দশক আগেও এদেশে মুসলিম পুরুষদের বহুবিবাহ অবাধ ছিল। মুসলমানরা জন্মনিয়ন্ত্রন ব্যবস্থাকে ধর্মীয় ভাবে গ্রহণ করে না। যার ফলে হিন্দুধর্মালম্বীদের তুলনায় মুসলমানদের পার্সেন্টেজ মোট জনসংখ্যায় কিছুটা বেড়ে গেছে!
বাংলাদেশে ১০০ অঘটনের ঘটনা ঘটলে এখানে ১০ টা হিন্দুদের সাথে ঘটবে। জনসংখ্যার রেশিওর হিসেবেই এটা ঘটবে। হিন্দু মুসলিমদের কারো সাথে যদি ব্যক্তিগত মারামারির কোনো ঘটনা ঘটে সংখ্যালঘু ব্যানারে এটাকে সংখ্যালঘু হামলা হিসেবে প্রচার পায়। বিষয়টা অত্যন্ত সুক্ষ ভাবে পর্যালোচনা করা উচিত। ব্যাক্তিগত দ্বন্ধ কখনোই সংখ্যালঘু নির্যাতন হতে পারে না। সংখ্যালঘু নির্যাতনের পক্ষে একটা দল তৈরি হয়, সামাজিক একটা অবস্থান তৈরি হয় যেটা ব্যাক্তিগত হামলায় থাকে না।
এছাড়াও অনেক হিন্দু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে এদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হয়নি এমন না। অবশ্যই হয়েছে। এদেশে হিন্দুদের বাড়িঘর দখল হয়েছে, জমিজমা দখল হয়েছে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট হয়েছে, নিজের ভিটে মাটিতে থাকতে না পেরে মন্দিরে আশ্রয় নিয়েছে। এগুলো অস্বীকার করি না। এসব ঘটনায় কখনোই আপামর মুসলিম জনসাধারণের যোগসাজশ ছিল না। এগুলো সবই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায়া হয়েছে এবং সব সময় রাজনৈতিক দলগুলো সংখ্যালঘুদের ভোট ব্যাংক কাজে লাগানোর জন্য এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করেছে।
ধর্মীয় কারনে এদেশে কখনোই হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা হয়নি। আমি যেখানে বেড়ে উঠেছি এর অদূরেই হিন্দু পাড়া। আমাদের সামাজিক জীবন যাপনে ছিল অপার আন্তরিকতা। স্কুল ছুঁটি হলে দলবেঁধে মন্দিরে দুর্গাপূজা দেখতে যেতাম। রথ দেখার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতাম। আমার বন্ধুবান্ধবদের বড় অংশ হিন্দু ধর্মালম্বী। আমি যখন বিকালে চা খাই সেখানে কমপক্ষে একজন হিন্দু থাকে। আমি যখন আড্ডা দিই তখন আমার বন্ধুই আমার কাছে বড়। ধর্মীয় পরিচয় সেখানে কারো মাথায়ও থাকে না।আমরা মানুষের মত মানুষের ভেতরে মিশে যাই। এসব পরিসংখ্যান, তত্ত্ব, অংক সব আড্ডার টেবিলে অপ্রাসঙ্গিক।
আমাদের মধ্যে কখনো ধর্ম নিয়ে বিভেদ হয়েছে অথবা একজনের ধর্মীয় বিধিনিষেধে অন্যজন হস্তক্ষেপ করেছে এমন আমি কখনো দেখিনি।উগ্রবাদী কেউ যে দেশে নেই তা না। কিন্তু উগ্রবাদীরাই দেশে এখন সংখ্যালঘু। এরা সংখ্যায় এত সীমিত যে এরা চাইলেই এখন আর নতুন কোনো হাঙ্গামা তৈরি করতে পারে না। কারন মুসলমানদের বড় অংশ হিন্দুদের পাশে রয়েছে।
৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু কিভাবে গুম হয়েছে এর প্ররিপ্রেক্ষিতে আমরা নির্ভরযোগ্য দলিল চাই। প্রয়োজনে বিদেশী সংস্থাকে সাথে নিয়ে গ্রামে শহরে সরকার সংখ্যালঘু নির্যাতনের সার্ভে করুক। সাধারন মানুষের মতামত নিক। কিন্তু মিছেমিছি এদেশর বিরুদ্ধে কেউ জগন্য কুৎসা রটাবে, এদেশের সার্বভৌমত্বকে জলাঞ্চলি দিয়ে আসবে এটা কখনো হতে দেয়া যায় না।
অসম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। হিন্দু মেয়ের বিয়ে দিতে না পারা কন্যা দায়গ্রস্ত অনেক পিতাকে দেখেছি মুসলমানদের শরাণাপন্ন হতে। অনেক গ্রাম্য হিন্দু ডাক্তারদেরকে আমি নিজে দেখেছি নিজ ধর্মের জাতপাত ভুলে সকল ধর্মের মানুষকে সেবা দিতে। মানুষকে ভালোবেসে মানুষ কখনো হারে না,বরং ভালোবাসা মানুষকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করে, শক্তিশালী করে।
ব্যাক্তি স্বার্থ হাসিলের লোভে এই প্রিয়া সাহারা দেশের নামে অতিরঞ্জিত বলছে এটা বলতেই হবে। এদেশের অনেক হিন্দুকে এটা লজ্জিতও করেছে। নষ্ট করেছে দেশের ভাবমূর্তি। ধর্মীয় সহ অবস্থানের স্থিতিশীলতায় আঘাত হেনেছে।পাশাপাশি সুযোগ এনে দিয়েছে উগ্রপন্থীদের। কাজেই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আমাদের ব্যক্তিগত আদর্শের মতপার্থক্য থাকতে পারে, আমরা বিভিন্ন দলের বা ধর্মের অনুসারী হতে পারি, কিন্তু দেশের প্রশ্নে, স্বাধীনতার প্রশ্নে, সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আমরা সবাই এক ও অভিন্ন মতাদর্শের অধিকারী। যে মহিলা আমাদের দেশকে নিয়ে এমন ন্যাক্কারজনক এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদেরকে বহির্বিশ্বের কাছে ছোট করতে চেয়েছে এবং দেশটাকে যারা উস্কে দিতে চায় এদের রুখতে হবে। এটা মিয়ানমার না, এটা ভারতও না, এটা বাংলাদেশ। আমাদের সকলের প্রিয় বাংলাদেশ ❤
------Kazi Shahed
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোহাম্মদ মাইনুল ২৩/১০/২০১৯ধন্যবাদ। খুব সুন্দর।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৪/০৮/২০১৯আসলে সংখ্যালঘু কমছে।