মানুষের আশা
মানুষ যা আশা বা প্রত্যাশা করে তা কখনোই সে পুরোটা পায়না। তবুও মানুষের চাওয়া-পাওয়ার শেষ নেই। মানুষের চিত্তে আশার জাগরণ চিরন্তন, এর শেষ নেই। মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার কথা বলে শেষ করা যাবে না। মানুষের হায়াত এর কথা যদি ধরি বা চিন্তা করি তবে দেখতে পাব তার হায়াত থেকে তার চাওয়া পাওয়া অনেক বেশি। মানুষ কতদিন বাঁচবে তার গ্যারান্টি নাই। তবে সে দুনিয়া চিরদিন থাকতে চাই এবং সেরকমই কাজ করে। দুনিয়ার মানুষ যে রকম করে চলাফেরা করে তা দেখে বোঝা যায় তারা মৃত্যুর কথা ভাবে না। তারা খেয়াল খুশি মত চলাফেরা করে। তাদের যদি একটি বাড়ি বা গাড়ি হয় তখন তারা আরো বাড়ি ও গাড়ির আকাঙ্ক্ষা করে। অনেক হয়তো চিন্তা করবে যে আশা কী করা যাবে না? আশা করা যাবে কিন্তু এতবড় বা বেশি আশা করা ভালো না।
আমরা যেহেতু রক্তে মাংসে গড়া মানুষ তাই আমাদের নানা রকম জিনিস প্রয়োজন। বেঁচে থাকার জন্য হোক বা সমাজে টিকে থাকার জন্য হোক আমাদের অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। কিন্তু যেসব মানুষ তাদের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হচ্ছে তারা আবার নতুন কিছু পাওয়ার আশা আকাঙ্ক্ষা করছে। একটা পেলে অন্য একটা পাওয়ার আশা করে। কিন্তু এই আশার সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত। গ্রামে একটা কথা প্রচলিত আছে মরবো বলে করবো না বাঁচালে খাবো কী? অর্থাৎ তারা এই কথা বলে এই কারণে যে মানুষ তো মরণশীল। মানুষের মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু তাই বলে কী কিছুই করবো না? যে কটা দিন বেঁচে থাকব তখন কী উপায় হবে? একথা আসলে একেবারেই অযৌক্তিক নয়। আমি একথা মানছি কিন্তু সকলকে ভুলে গেলে চলবে না যে, এই জীবনের চাওয়া-পাওয়ার কিছু আসে যায় না। কেননা এই জীবনের পরেও একটা জীবন রয়েছে আর সেটাই প্রকৃত চিরস্থায়ী জীবন। দুনিয়ার জীবন যদি কোনভাবে বা সাধারণ ভাবে আল্লাহর হুকুম মতো পার করতে পারি তবেই তো আমরা ওইখানে প্রকৃত সুখ শান্তি পাবো। সেখানে আমাদের সব আশা প্রত্যাশা পূরণ হবে। সেখানে মনে মনে যা কল্পনা করা হবে তাই সে পেয়ে যাবে। তাই সকলের উচিত দুনিয়ার সব আশাকে তুচ্ছ মনে করে ওই আখিরাতের জন্য কিছু করে যাওয়া। সেখানে আমরা সব আশা পূরণ করতে পারবো।
রচনাকালঃ মার্চ, ২০১২
আমরা যেহেতু রক্তে মাংসে গড়া মানুষ তাই আমাদের নানা রকম জিনিস প্রয়োজন। বেঁচে থাকার জন্য হোক বা সমাজে টিকে থাকার জন্য হোক আমাদের অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। কিন্তু যেসব মানুষ তাদের প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হচ্ছে তারা আবার নতুন কিছু পাওয়ার আশা আকাঙ্ক্ষা করছে। একটা পেলে অন্য একটা পাওয়ার আশা করে। কিন্তু এই আশার সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত। গ্রামে একটা কথা প্রচলিত আছে মরবো বলে করবো না বাঁচালে খাবো কী? অর্থাৎ তারা এই কথা বলে এই কারণে যে মানুষ তো মরণশীল। মানুষের মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু তাই বলে কী কিছুই করবো না? যে কটা দিন বেঁচে থাকব তখন কী উপায় হবে? একথা আসলে একেবারেই অযৌক্তিক নয়। আমি একথা মানছি কিন্তু সকলকে ভুলে গেলে চলবে না যে, এই জীবনের চাওয়া-পাওয়ার কিছু আসে যায় না। কেননা এই জীবনের পরেও একটা জীবন রয়েছে আর সেটাই প্রকৃত চিরস্থায়ী জীবন। দুনিয়ার জীবন যদি কোনভাবে বা সাধারণ ভাবে আল্লাহর হুকুম মতো পার করতে পারি তবেই তো আমরা ওইখানে প্রকৃত সুখ শান্তি পাবো। সেখানে আমাদের সব আশা প্রত্যাশা পূরণ হবে। সেখানে মনে মনে যা কল্পনা করা হবে তাই সে পেয়ে যাবে। তাই সকলের উচিত দুনিয়ার সব আশাকে তুচ্ছ মনে করে ওই আখিরাতের জন্য কিছু করে যাওয়া। সেখানে আমরা সব আশা পূরণ করতে পারবো।
রচনাকালঃ মার্চ, ২০১২
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
নাসরীন আক্তার রুবি ০৫/০১/২০১৯বেশ লাগলো।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৩/১১/২০১৮ভালো।