দুনিয়া মরীচিকা
দুনিয়া আসলে একটা মরীচিকা। এটা একটা ধোঁকার জিন্দেগি। এখানে শয়তান মানুষকে গ্রাস করার জন্য ব্যস্ত। মানুষকে এই মরীচিকার মধ্যে থেকেই আখিরাতের জন্য কিছু জোগাড় করতে হবে। দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী হলেও এ জীবন গুরুত্বহীন নয় বরং এটা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই স্বল্পস্থায়ী দুনিয়ার জীবনের উপরই নির্ভর করে চিরস্থায়ী জীবনের সফলতা বা ব্যর্থতা।
দুনিয়াকে যারা আসল ঠিকানা মনে করবে তারা এই মরীচিকা বুঝতে পারবে না। তারা এটাকে মরুভূমির বালু রোদে যেমন সমুদ্রের ঢেউ দেখা যায় আর এটা সত্যি বলে ধরে কিন্তু এটা যে মরিচীকা তা বোঝেনা। নির্বোধের মতো দুনিয়ার পিছনে ছুটে বেড়ায়। এসব মানুষ জীবনে কোনদিন প্রকৃত সুখ পায় না বরং পরকালেও জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়। কেননা যে দুনিয়ার পিছনে সে ছুটে বেড়াচ্ছে সেই দুনিয়ায় তার বিপক্ষে সাক্ষী দেবে।
আল্লাহ বলে দিয়েছেন, এই দুনিয়ায় মাঝে কোন সফলতা নেই। কিন্তু আমরা যদি সারাটা জীবন সুখ শান্তি খুঁজি তা কখনো পাবো না। কেননা যে এই দুনিয়া বানিয়েছেন, তিনি বলে দিয়েছেন এর মধ্যে কোনো সফলতা নেই, কোনো শান্তি নেই। তাহলে তা কোনদিন আমরা পাব না। উদাহরণ: যদি কোন চা বিক্রেতা চা তৈরি করে বলে আমি চা'য়ে চিনি দেইনি। তবে কি আমরা কেয়ামত পর্যন্ত চামচ দিয়ে চা ঘুটতে থাকি তাহলে কী চিনির স্বাদ পাব? কখনই পাব না কারণ চা বিক্রেতা চায়ে চিনি দেয়নি। ঠিক দুনিয়াটাও তেমন, দুনিয়াতে আমরা যতই সুখ, শান্তি খুঁজি তা কখনওই পাবো না।
এজন্য আমাদেরকে দুনিয়ার মোহে না পড়ে আল্লাহ্র ইবাদত করতে হবে। যাতে করে আমরা পরকালে চিরস্থায়ী জান্নাত লাভ করতে পারি। আর এই দুনিয়াকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে না। কারণ দুনিয়া আসলে একটা মরীচিকা।
রচনাকালঃ মার্চ, ২০১২
দুনিয়াকে যারা আসল ঠিকানা মনে করবে তারা এই মরীচিকা বুঝতে পারবে না। তারা এটাকে মরুভূমির বালু রোদে যেমন সমুদ্রের ঢেউ দেখা যায় আর এটা সত্যি বলে ধরে কিন্তু এটা যে মরিচীকা তা বোঝেনা। নির্বোধের মতো দুনিয়ার পিছনে ছুটে বেড়ায়। এসব মানুষ জীবনে কোনদিন প্রকৃত সুখ পায় না বরং পরকালেও জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়। কেননা যে দুনিয়ার পিছনে সে ছুটে বেড়াচ্ছে সেই দুনিয়ায় তার বিপক্ষে সাক্ষী দেবে।
আল্লাহ বলে দিয়েছেন, এই দুনিয়ায় মাঝে কোন সফলতা নেই। কিন্তু আমরা যদি সারাটা জীবন সুখ শান্তি খুঁজি তা কখনো পাবো না। কেননা যে এই দুনিয়া বানিয়েছেন, তিনি বলে দিয়েছেন এর মধ্যে কোনো সফলতা নেই, কোনো শান্তি নেই। তাহলে তা কোনদিন আমরা পাব না। উদাহরণ: যদি কোন চা বিক্রেতা চা তৈরি করে বলে আমি চা'য়ে চিনি দেইনি। তবে কি আমরা কেয়ামত পর্যন্ত চামচ দিয়ে চা ঘুটতে থাকি তাহলে কী চিনির স্বাদ পাব? কখনই পাব না কারণ চা বিক্রেতা চায়ে চিনি দেয়নি। ঠিক দুনিয়াটাও তেমন, দুনিয়াতে আমরা যতই সুখ, শান্তি খুঁজি তা কখনওই পাবো না।
এজন্য আমাদেরকে দুনিয়ার মোহে না পড়ে আল্লাহ্র ইবাদত করতে হবে। যাতে করে আমরা পরকালে চিরস্থায়ী জান্নাত লাভ করতে পারি। আর এই দুনিয়াকে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া যাবে না। কারণ দুনিয়া আসলে একটা মরীচিকা।
রচনাকালঃ মার্চ, ২০১২
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৮/০৪/২০১৮গুছানো লেখা
-
লিখন মাহমুদ ১৭/০৪/২০১৮অসলেই দুনিয়া একটি "মরীচিকা"।
ধন্যবাদ, সুন্দর আলোচনা। -
সাঁঝের তারা ১৬/০৪/২০১৮ভালো আলোচনা