ছোটবেলা বনাম বড়বেলা
যখন ছোট ছিলাম তখনকার দিনগুলো সত্যিই চমৎকার ছিলো। মনে পড়ে আজও সেইদিনের কথা। যেদিন প্রথম বাবার হাত ধরে স্কুলে গেলাম। স্কুল জীবন অনেক ভালোই ছিলো, কারণ অনেক ছোট ছিলাম এবং বুঝতামও কম। আসলে মানুষ যখন ছোট থাকে তখন তার চাওয়া পাওয়া গুলোও অনেক কম থাকে। কিন্তু যখন ধীরেধীরে বড় হতে থাকে তখন চাওয়া পাওয়া গুলোও বাড়তে থাকে। তখন সে তার বর্তমান সময়কেই উপভোগ করতে পারেনা। তাঁর একটাই কারণ, চাহিদাগুলো পূরণের জন্য সর্বদা ব্যস্ত থাকতে হয়।
যাইহোক, স্কুল থেকে ফিরে মাঠে ছুটে যেতাম খেলাধুলা করতে। সারাদিন খেলাধুলা করে সন্ধ্যায় যখন বাসায় ফিরতাম তখন সারা শরীরে ময়লা লেগে থাকতো। আম্মু অনেক বকাঝকা করে হাত-পা ধুঁয়ে ঘরে উঠতে বলতো। আমি তখন হাত-পা ধুঁয়ে ঘরে গিয়ে পড়তে বসতাম। পড়া শেষ করে খেতে বসতাম, খাওয়া শেষ করে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাতে যেতাম। কিন্তু এখন?? এখন তো অনেক বড় হয়েছি, অনেক কিছু বুঝতে শিখেছি। তাইতো ছোট বেলার মত আর খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়া হয় না। সারারাত জেগে থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। ইন্টারনেট এর নেশা এখন আর ঘুমাতে দেয়না। প্রযুক্তি এসেছে আমাদের কল্যাণের জন্য। আর আমরা নিজেরাই সেটা অকল্যাণকর করে ফেলেছি। সবসময় সোশ্যাল সাইটগুলোতে অযথা সময় নষ্ট করছি। আগের মত আর মাঠে যেয়ে খেলাধুলা হয়না, যা হয় তা মোবাইল বা কম্পিউটারে বসে গেম খেলা। এতে করে শরীর স্বাস্থ্য ঠিক না হয়ে বরঞ্চ চোখের ক্ষতি হচ্ছে। এর ফলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের অল্প বয়সে বড় বড় চশমা পরতে হচ্ছে। ছোট বেলার কিছু স্মৃতি কখনওই ভোলার নয়....
⚄হাতগুলো জামার মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়ে বলতাম, আমার হাত কোথায়?? আমার হাত নেই নেই।
⚄যখন বাসায় কোন আত্বীয় আসতো আগে দেখতাম খাওয়ার কি এনেছে..
⚃দরজার পিছনে লুকিয়ে থাকতাম কেউ এলে চমকে দেব বলে, সে আসতে দেরি করছে বলে অধৈর্য হয়ে বেরিয়ে আসতাম।
⚃ভাবতাম আমি যেখানে যাচ্ছি, চাঁদটা ও আমার সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে।
⚃সুইচের দুদিকে আঙুল চেপে অন্-অফ এর মাঝামাঝি ব্যালেন্স করার চেষ্টা করতাম।
⚃দু -ফোটা জল ফেলে রেস করাতাম, কোনটা গড়িয়ে আগে নীচে পড়ে।
⚃সূর্যের দিকে কে কতক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারে, কার আগে চোখ থেকে পানি বের হয় এটা দেখতাম।
⚃প্রথম দাঁত ফেলার পর সেই দাঁত ইঁদুরের গর্তে ফেলতাম, আর দাঁত যদি কাঁকে দেখে ফেলে তাহলে নাকি আর কখনও দাঁত উঠবে না।
⚃বৃষ্টি হলে ছাতা না নিয়ে কচু বা কলাপাতা মাথায় দিয়ে বলতাম, দ্যাখ জল গায়ে লাগছে না।
⚃তখন আমাদের শুধু একটা জিনিসের খেয়াল রাখার দায়িত্ব ছিল, সেটা হল স্কুলব্যাগ।
⚄মাথায় মাথায় একবার গুঁতা খেলে বলতাম আরেকবার গুঁতা দে, না হলে মাথায় শিং উঠবে।
⚄ফল দানা খেয়ে ফেললে দুশ্চিন্তা করতাম, পেটের মধ্যে এবার গাছ হবে।
আসলে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো অনেক মধুর ছিলো, ভাবতেই ভালো লাগে সেসব কথা। কিন্তু এখনকার যে সব স্মৃতি তৈরি হচ্ছে তা আমরা মনে রাখতে চাইনা বা মনে রাখার মতো কিছুইনা। এখনকার অতিবাহিত সময়গুলো শুধুই কষ্ট দেয়, এগুলো আমরা খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যেতে চাই।
ছোটবেলায় সবথেকে বেশিবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নটার উত্তর আমি পেয়েছি অবশেষে- তুমি বড়ো হয়ে কি হতে চাও?
উত্তর-আবার ছোট হতে চাই৷............
[ক্ষুদে লেখক, ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]
(যদি ভালো লাগে শেয়ার করতে পারেন। কপি/পেস্ট করলে লেখকের নামটা মেনশন করবেন প্লিজ)
যাইহোক, স্কুল থেকে ফিরে মাঠে ছুটে যেতাম খেলাধুলা করতে। সারাদিন খেলাধুলা করে সন্ধ্যায় যখন বাসায় ফিরতাম তখন সারা শরীরে ময়লা লেগে থাকতো। আম্মু অনেক বকাঝকা করে হাত-পা ধুঁয়ে ঘরে উঠতে বলতো। আমি তখন হাত-পা ধুঁয়ে ঘরে গিয়ে পড়তে বসতাম। পড়া শেষ করে খেতে বসতাম, খাওয়া শেষ করে দাঁত ব্রাশ করে ঘুমাতে যেতাম। কিন্তু এখন?? এখন তো অনেক বড় হয়েছি, অনেক কিছু বুঝতে শিখেছি। তাইতো ছোট বেলার মত আর খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়া হয় না। সারারাত জেগে থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। ইন্টারনেট এর নেশা এখন আর ঘুমাতে দেয়না। প্রযুক্তি এসেছে আমাদের কল্যাণের জন্য। আর আমরা নিজেরাই সেটা অকল্যাণকর করে ফেলেছি। সবসময় সোশ্যাল সাইটগুলোতে অযথা সময় নষ্ট করছি। আগের মত আর মাঠে যেয়ে খেলাধুলা হয়না, যা হয় তা মোবাইল বা কম্পিউটারে বসে গেম খেলা। এতে করে শরীর স্বাস্থ্য ঠিক না হয়ে বরঞ্চ চোখের ক্ষতি হচ্ছে। এর ফলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের অল্প বয়সে বড় বড় চশমা পরতে হচ্ছে। ছোট বেলার কিছু স্মৃতি কখনওই ভোলার নয়....
⚄হাতগুলো জামার মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়ে বলতাম, আমার হাত কোথায়?? আমার হাত নেই নেই।
⚄যখন বাসায় কোন আত্বীয় আসতো আগে দেখতাম খাওয়ার কি এনেছে..
⚃দরজার পিছনে লুকিয়ে থাকতাম কেউ এলে চমকে দেব বলে, সে আসতে দেরি করছে বলে অধৈর্য হয়ে বেরিয়ে আসতাম।
⚃ভাবতাম আমি যেখানে যাচ্ছি, চাঁদটা ও আমার সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে।
⚃সুইচের দুদিকে আঙুল চেপে অন্-অফ এর মাঝামাঝি ব্যালেন্স করার চেষ্টা করতাম।
⚃দু -ফোটা জল ফেলে রেস করাতাম, কোনটা গড়িয়ে আগে নীচে পড়ে।
⚃সূর্যের দিকে কে কতক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারে, কার আগে চোখ থেকে পানি বের হয় এটা দেখতাম।
⚃প্রথম দাঁত ফেলার পর সেই দাঁত ইঁদুরের গর্তে ফেলতাম, আর দাঁত যদি কাঁকে দেখে ফেলে তাহলে নাকি আর কখনও দাঁত উঠবে না।
⚃বৃষ্টি হলে ছাতা না নিয়ে কচু বা কলাপাতা মাথায় দিয়ে বলতাম, দ্যাখ জল গায়ে লাগছে না।
⚃তখন আমাদের শুধু একটা জিনিসের খেয়াল রাখার দায়িত্ব ছিল, সেটা হল স্কুলব্যাগ।
⚄মাথায় মাথায় একবার গুঁতা খেলে বলতাম আরেকবার গুঁতা দে, না হলে মাথায় শিং উঠবে।
⚄ফল দানা খেয়ে ফেললে দুশ্চিন্তা করতাম, পেটের মধ্যে এবার গাছ হবে।
আসলে ছোটবেলার স্মৃতিগুলো অনেক মধুর ছিলো, ভাবতেই ভালো লাগে সেসব কথা। কিন্তু এখনকার যে সব স্মৃতি তৈরি হচ্ছে তা আমরা মনে রাখতে চাইনা বা মনে রাখার মতো কিছুইনা। এখনকার অতিবাহিত সময়গুলো শুধুই কষ্ট দেয়, এগুলো আমরা খুব তাড়াতাড়ি ভুলে যেতে চাই।
ছোটবেলায় সবথেকে বেশিবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নটার উত্তর আমি পেয়েছি অবশেষে- তুমি বড়ো হয়ে কি হতে চাও?
উত্তর-আবার ছোট হতে চাই৷............
[ক্ষুদে লেখক, ভুলত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন]
(যদি ভালো লাগে শেয়ার করতে পারেন। কপি/পেস্ট করলে লেখকের নামটা মেনশন করবেন প্লিজ)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাঁঝের তারা ১০/০৩/২০১৮খুব ভালো