একবার বলে যাও
তুমিহীন এই সোনার বাংলা আর আগের মত নেই
সবুজের দিকে তাকালে,
সবুজকে এখন আর সবুজ মনে হয় না।
ফুলগুলো হয়ে গেছে ভীষণ ফ্যাকাসে।
শস্য ক্ষেতের দিকে তাকালে মনে হয়
মরু-শাহারার বিরাণ ভূমি।
নদীর বুকে ঢেউ নেই, পাখির কণ্ঠে গান নেই
সব কিছু, কেমন যেনো ভুতুড়ে শ্মশান মনে হয়।
এখন প্রতিনিয়ত মৃত্তিকার বুক ফুঁড় জন্ম নিচ্ছে
শত-সহস্র লোকাতীত প্রেতাত্মা।
যে দিকেই তাকাই সেদিকেই দেখি তমশাচ্ছন্ন ঘোর আঁধার,
প্রিয় স্বাধীন স্বতন্ত্র মানচিত্র ধূসর লাগে।
মনে হয় কী এক গভীর খাদে আটকে গেছে
আমাদের এই প্রাণের প্রিয় স্বদেশের চাকা।
অলস দুপুরে কোথাও নেই ঝিঁঝিঁদের ঝিম -
উদাস বিকেল নেই বাউরি বাতাসের দোলা
রাত্রির সৌন্দর্য হয়েছে বিলীন -
স্নিগ্ধ ভোর নেই নিশির শিশির, দূর্বা বিছায় না মকমল গালিচা।
বর্ষায় ঝরে না বৃষ্টি, হেমন্তে হাসে না ফসল ক্ষেত
শীতের রুক্ষতায় ভাসে না কৃষকের আঙিনায়
আমন ধান আর খেজুর রসের মৌ মৌ গন্ধ।
অসময় অতিবৃষ্টিতে বান ডাকে,ভেসে যায়
ঘরের চাল, হালের বলদ, হাঁস মুরগী
পরক্ষণেই সূর্যের প্রখরতায় মাঠের ফসল পুড়ে হয় ছাই
প্রান্তর থেকে প্রান্তর ফেটে হয় চৌচির।
তোমার শ্যামল বাংলার বৃক্ষরাজি সর্বত্র-ই ঢেকে আছে নিকশে
নাবিকহীন জাহাজ যেমন, তেমন আজ তুমিহীন জাতি
তুমি ছিলে জাহাজের মাস্তুল, তোমার
অনুপ্রাণিত বজ্র কণ্ঠের অগ্নি বাণী ছিলো বৈঠা।
ক্ষমতা লোভী ডজন খানেক অফিসার আর
শতশত সৈনিক ষড়যন্ত্রের গোপন বৈঠকে হতো লিপ্ত ।
তুমি জানতে,
যে কোনো সময় যে কোনো মুহুর্তে ওদের বুলেট ;
তোমার প্রশস্ত বুকটা ঝগড়া করে দিতে পারে।
জেনে বুঝে ওদের অস্ত্র-বারুদের তলে পেতে দিলে বুক!
ভেবেছিলে কি, তুমি না থাকলে প্রিয় মুক্তিযোদ্ধারা
ঐ তর্জনির বলিষ্ঠ উচ্চারণে
রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়া জাতি হবে কত অসহায়?
তুমি নেই তাই নদীর কলকল শব্দ শুনতে পাই না,
ঝর্ণা বাজায় না তার পায়ের নূপুর।
এক এক যুগের অবসান হয়-
আর আমি তৃষ্ণার্ত শুষ্ক মন নিয়ে পথ অতিক্রম করে চলি।
কতো কিছু যে হয়ে যাচ্ছে তোমার
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের বিশাল মানচিত্র জুড়ে;
একবার শুধু একবার বলে যাও
আমি কার কাছে করবো আমার এ গুরুতর অভিযোগ?
আমি যতই পেতে চেয়েছি তোমার মধুর আলিঙ্গন,
ততই পেয়েছি কেবল অন্তঃসারশূন্য ধূম্র কুন্ডের ন্যায় ভালোবাসা।
সবুজের দিকে তাকালে,
সবুজকে এখন আর সবুজ মনে হয় না।
ফুলগুলো হয়ে গেছে ভীষণ ফ্যাকাসে।
শস্য ক্ষেতের দিকে তাকালে মনে হয়
মরু-শাহারার বিরাণ ভূমি।
নদীর বুকে ঢেউ নেই, পাখির কণ্ঠে গান নেই
সব কিছু, কেমন যেনো ভুতুড়ে শ্মশান মনে হয়।
এখন প্রতিনিয়ত মৃত্তিকার বুক ফুঁড় জন্ম নিচ্ছে
শত-সহস্র লোকাতীত প্রেতাত্মা।
যে দিকেই তাকাই সেদিকেই দেখি তমশাচ্ছন্ন ঘোর আঁধার,
প্রিয় স্বাধীন স্বতন্ত্র মানচিত্র ধূসর লাগে।
মনে হয় কী এক গভীর খাদে আটকে গেছে
আমাদের এই প্রাণের প্রিয় স্বদেশের চাকা।
অলস দুপুরে কোথাও নেই ঝিঁঝিঁদের ঝিম -
উদাস বিকেল নেই বাউরি বাতাসের দোলা
রাত্রির সৌন্দর্য হয়েছে বিলীন -
স্নিগ্ধ ভোর নেই নিশির শিশির, দূর্বা বিছায় না মকমল গালিচা।
বর্ষায় ঝরে না বৃষ্টি, হেমন্তে হাসে না ফসল ক্ষেত
শীতের রুক্ষতায় ভাসে না কৃষকের আঙিনায়
আমন ধান আর খেজুর রসের মৌ মৌ গন্ধ।
অসময় অতিবৃষ্টিতে বান ডাকে,ভেসে যায়
ঘরের চাল, হালের বলদ, হাঁস মুরগী
পরক্ষণেই সূর্যের প্রখরতায় মাঠের ফসল পুড়ে হয় ছাই
প্রান্তর থেকে প্রান্তর ফেটে হয় চৌচির।
তোমার শ্যামল বাংলার বৃক্ষরাজি সর্বত্র-ই ঢেকে আছে নিকশে
নাবিকহীন জাহাজ যেমন, তেমন আজ তুমিহীন জাতি
তুমি ছিলে জাহাজের মাস্তুল, তোমার
অনুপ্রাণিত বজ্র কণ্ঠের অগ্নি বাণী ছিলো বৈঠা।
ক্ষমতা লোভী ডজন খানেক অফিসার আর
শতশত সৈনিক ষড়যন্ত্রের গোপন বৈঠকে হতো লিপ্ত ।
তুমি জানতে,
যে কোনো সময় যে কোনো মুহুর্তে ওদের বুলেট ;
তোমার প্রশস্ত বুকটা ঝগড়া করে দিতে পারে।
জেনে বুঝে ওদের অস্ত্র-বারুদের তলে পেতে দিলে বুক!
ভেবেছিলে কি, তুমি না থাকলে প্রিয় মুক্তিযোদ্ধারা
ঐ তর্জনির বলিষ্ঠ উচ্চারণে
রক্ত গঙ্গা বইয়ে দেওয়া জাতি হবে কত অসহায়?
তুমি নেই তাই নদীর কলকল শব্দ শুনতে পাই না,
ঝর্ণা বাজায় না তার পায়ের নূপুর।
এক এক যুগের অবসান হয়-
আর আমি তৃষ্ণার্ত শুষ্ক মন নিয়ে পথ অতিক্রম করে চলি।
কতো কিছু যে হয়ে যাচ্ছে তোমার
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের বিশাল মানচিত্র জুড়ে;
একবার শুধু একবার বলে যাও
আমি কার কাছে করবো আমার এ গুরুতর অভিযোগ?
আমি যতই পেতে চেয়েছি তোমার মধুর আলিঙ্গন,
ততই পেয়েছি কেবল অন্তঃসারশূন্য ধূম্র কুন্ডের ন্যায় ভালোবাসা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অভিজিৎ হালদার ১৫/০৮/২০২২সুন্দর মনের অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তুলেছেন কবিতার মাধ্যমে। শুভেচ্ছা।
-
সিবগাতুর রহমান ১৫/০৮/২০২২অসাধারণ লিখেছেন
-
ফয়জুল মহী ১৫/০৮/২০২২বাঃ চমৎকার। আপনার মনের অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ
-
জে এস এম অনিক ১৪/০৮/২০২২অসাধারণ লেখা কবি।