একটা রক্তকরবী ফুটবে
তুমি নেই তাই উদাত্ত আহ্বানে ডাকে না কেউ
কথাছিলো একটা রক্তকরবী ফুটবে
একটি সোনালী ভোর হাসবে, পাখি গাইবে,
কিন্তু কোথায় সেই রক্তকরবী, কোথায় সেই সোনালী ভোর?
আমি তো দেখি শহর-নগর গ্রাম-গঞ্জে শুধুই সাম্প্রদায়িকতা
এমন তো কথা ছিলো না।
আকাশ দেখে স্বপ্ন বিভোর যে মেয়েটা
সে এখনো একটি বসন্তের জন্য থাকে অধীর অপেক্ষায়
কৃষক ধান ক্ষেতের আলে বসে পান্তার থালায় দেখতে পায়
লাল সবুজের দোদুল্যমান মানচিত্র,
মাঝি নায়ের পালে উড়ায় বাংলামায়ের শ্যামল আঁচল।
ধর্ষিতা মেয়ের বিচার নিয়ে
আইনের দরজায় দরজায় ঘুরে ক্লান্ত দিশেহারা যে বাবা
সেও এখনো দেখে মাঠের জঠর জুড়ে সবুজের সমারহ
তবে কেন প্রাণের প্রিয় এই বাংলাদেশে আজ
সাম্প্রদায়িকতার দাঙ্গা হামলা?
কেন এমন পাথুরে সময় চেপে বসেছে আমাদের বুকে?
কবির কলম নিস্তব্দ শব্দহীন
শিল্পীর কণ্ঠে ওঠেনা সুরের দোলা,
ক্যানভাসে নেই তুলির আঁচড়
যদিও মাঝে মধ্যে তাদের অলস মগজ হয়ে ওঠে উর্বর
হাতুড়ি-ছেনির ঘর্ষণে আঁকিবুকি করে ফুল,পাখি,
লতা-পাতার সরল রেখা।
তবে তার রং বড় ফিকে, বড্ড মলিন।
একটা রক্তকরবী ফুটবে বলে
কিশোর-কিশোরী,তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী,
নারী-পুরুষ, আবাল-বৃদ্ধ, কামার-কুমার- গণিকা
সেদিন রেসকোর্স ময়দানে পিঁপিলিকার মত
পিলপিলি করে এসেছিলো মানুষ।
সামাজিক সাম্প্রদায়িকতায় ,
তবু এখন কন্যা-জননী, জায়া-ভগ্নি নারীই রয়ে গেল
তারা কেন মানুষ হলো না?
মিছিলে চলেছে মানুষ,স্লোগান তুলেছে মানুষ,
হাসপাতালের মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়ে
জীবন বাঁচায় মানুষ।
লাশকাটাঘরে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে যে লাশটি
সেও মানুষ ছিলো,মানুষ।
সদ্যজন্মনিলো যে নবজাতক সে মানুষের সন্তান
তার না আছে জাত , না আছে তার ধর্ম।
আজ সকালে যে আঙুল উঁচিয়ে বুক ফুলিয়ে কথা বলছে
কাল সকালে পড়ে রবে তার বাঁলিশ বিহীন নিথর শরীর
কেউ ঠাই পাবে সাড়ে তিনহাত মাটির বিছানায়
কেউ চলে যাবে এক অগ্নিগর্ভ চুল্লিতে।
তবে কেন তোমাদের মাঝে এতো সাম্প্রদায়িকতা?
৪৭ এর দেশভাগ; ৫২ এর ভাষা আন্দলন,
৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলন,৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান,
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর স্বৈরাচার পতন,
কাঁদানে গ্যাসে চোখ জ্বালিয়ে; জলকামানের জলে ভিজে
কোন সম্প্রদায় নয়
রাজপথে বারবার এসে দাঁড়িয়েছে মানুষ, মানুষ এবং মানুষ
তাদের কোনো গোত্র ছিলোনা,
ছিলোনা কোনো বর্ণ, ছিলোনা কোনো ধর্ম
তারা মানুষ ছিলো মানুষ।
তবে কেন স্বাধীন বাংলার বুকে
ঈদ্গাহে ফাটে বোম, মন্দিরে হয় হামলা?
দাউদাউ আগুনে পোড়ে বাড়িঘর?
ওরা কারা যারা ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িকতার বিভেদ তোলে?
ওদের ধর্ম নেই, ওরা এদেশ নয়,
ওদের এই বাংলার মাটি ছাড়তে হবে, ছাড়তেই হবে।
ভাষা শহীদের রক্তে কেনা, মায়ের মধুর ভাষা
মুক্তিযুদ্ধ- বীর শহীদের রক্ত আর-
দু’লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমে কেনা এই জমিন।
বঙ্গপিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবনের দামে কেনা,
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার জীবনের দামে কেনা,
জামাল-কামাল, সুলতানা-রোজীর জীবনে দামে কেনা,
অবুঝ শিশু শেখ রাসেলের জীবনের দামে কেনা,
আমাদের এ সোনার বাংলাদেশ।
হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান
একই মায়ের সন্তান আমরা মানুষ।
সাম্প্রদায়িকতা নিতাপ করে একটি রক্তকরবী ফুটাতে
বাংলা মায়ের দামালেরা
বেলা=অবেলা আবার নেমেছে সমাবেসে
আগামী ভোরে আলোক বার্তা নিয়ে
একটি রক্তকরবী ফুটবেই ফুটবে ,আমার সোনার বাংলায়।
২৯ অক্টোবর ২০২১
কথাছিলো একটা রক্তকরবী ফুটবে
একটি সোনালী ভোর হাসবে, পাখি গাইবে,
কিন্তু কোথায় সেই রক্তকরবী, কোথায় সেই সোনালী ভোর?
আমি তো দেখি শহর-নগর গ্রাম-গঞ্জে শুধুই সাম্প্রদায়িকতা
এমন তো কথা ছিলো না।
আকাশ দেখে স্বপ্ন বিভোর যে মেয়েটা
সে এখনো একটি বসন্তের জন্য থাকে অধীর অপেক্ষায়
কৃষক ধান ক্ষেতের আলে বসে পান্তার থালায় দেখতে পায়
লাল সবুজের দোদুল্যমান মানচিত্র,
মাঝি নায়ের পালে উড়ায় বাংলামায়ের শ্যামল আঁচল।
ধর্ষিতা মেয়ের বিচার নিয়ে
আইনের দরজায় দরজায় ঘুরে ক্লান্ত দিশেহারা যে বাবা
সেও এখনো দেখে মাঠের জঠর জুড়ে সবুজের সমারহ
তবে কেন প্রাণের প্রিয় এই বাংলাদেশে আজ
সাম্প্রদায়িকতার দাঙ্গা হামলা?
কেন এমন পাথুরে সময় চেপে বসেছে আমাদের বুকে?
কবির কলম নিস্তব্দ শব্দহীন
শিল্পীর কণ্ঠে ওঠেনা সুরের দোলা,
ক্যানভাসে নেই তুলির আঁচড়
যদিও মাঝে মধ্যে তাদের অলস মগজ হয়ে ওঠে উর্বর
হাতুড়ি-ছেনির ঘর্ষণে আঁকিবুকি করে ফুল,পাখি,
লতা-পাতার সরল রেখা।
তবে তার রং বড় ফিকে, বড্ড মলিন।
একটা রক্তকরবী ফুটবে বলে
কিশোর-কিশোরী,তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী,
নারী-পুরুষ, আবাল-বৃদ্ধ, কামার-কুমার- গণিকা
সেদিন রেসকোর্স ময়দানে পিঁপিলিকার মত
পিলপিলি করে এসেছিলো মানুষ।
সামাজিক সাম্প্রদায়িকতায় ,
তবু এখন কন্যা-জননী, জায়া-ভগ্নি নারীই রয়ে গেল
তারা কেন মানুষ হলো না?
মিছিলে চলেছে মানুষ,স্লোগান তুলেছে মানুষ,
হাসপাতালের মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়ে
জীবন বাঁচায় মানুষ।
লাশকাটাঘরে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে যে লাশটি
সেও মানুষ ছিলো,মানুষ।
সদ্যজন্মনিলো যে নবজাতক সে মানুষের সন্তান
তার না আছে জাত , না আছে তার ধর্ম।
আজ সকালে যে আঙুল উঁচিয়ে বুক ফুলিয়ে কথা বলছে
কাল সকালে পড়ে রবে তার বাঁলিশ বিহীন নিথর শরীর
কেউ ঠাই পাবে সাড়ে তিনহাত মাটির বিছানায়
কেউ চলে যাবে এক অগ্নিগর্ভ চুল্লিতে।
তবে কেন তোমাদের মাঝে এতো সাম্প্রদায়িকতা?
৪৭ এর দেশভাগ; ৫২ এর ভাষা আন্দলন,
৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলন,৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান,
৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এর স্বৈরাচার পতন,
কাঁদানে গ্যাসে চোখ জ্বালিয়ে; জলকামানের জলে ভিজে
কোন সম্প্রদায় নয়
রাজপথে বারবার এসে দাঁড়িয়েছে মানুষ, মানুষ এবং মানুষ
তাদের কোনো গোত্র ছিলোনা,
ছিলোনা কোনো বর্ণ, ছিলোনা কোনো ধর্ম
তারা মানুষ ছিলো মানুষ।
তবে কেন স্বাধীন বাংলার বুকে
ঈদ্গাহে ফাটে বোম, মন্দিরে হয় হামলা?
দাউদাউ আগুনে পোড়ে বাড়িঘর?
ওরা কারা যারা ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িকতার বিভেদ তোলে?
ওদের ধর্ম নেই, ওরা এদেশ নয়,
ওদের এই বাংলার মাটি ছাড়তে হবে, ছাড়তেই হবে।
ভাষা শহীদের রক্তে কেনা, মায়ের মধুর ভাষা
মুক্তিযুদ্ধ- বীর শহীদের রক্ত আর-
দু’লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমে কেনা এই জমিন।
বঙ্গপিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জীবনের দামে কেনা,
বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার জীবনের দামে কেনা,
জামাল-কামাল, সুলতানা-রোজীর জীবনে দামে কেনা,
অবুঝ শিশু শেখ রাসেলের জীবনের দামে কেনা,
আমাদের এ সোনার বাংলাদেশ।
হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান
একই মায়ের সন্তান আমরা মানুষ।
সাম্প্রদায়িকতা নিতাপ করে একটি রক্তকরবী ফুটাতে
বাংলা মায়ের দামালেরা
বেলা=অবেলা আবার নেমেছে সমাবেসে
আগামী ভোরে আলোক বার্তা নিয়ে
একটি রক্তকরবী ফুটবেই ফুটবে ,আমার সোনার বাংলায়।
২৯ অক্টোবর ২০২১
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ৩১/১০/২০২১তাৎপর্যময় কথামালা।
-
মাহতাব বাঙ্গালী ৩১/১০/২০২১সে সোনালী ঐক্য আবার ফিরে আসুক এ স্বাধীন বাংলায়
-
ফয়জুল মহী ২৯/১০/২০২১নান্দনিক উপস্থাপন
-
অভিজিৎ হালদার ২৯/১০/২০২১ভাবনা কথা তুলে ধরেছেন
-
সিন্ধু সেঁচে মুক্তা-আব্দুল কাদির মিয়া ২৯/১০/২০২১অসাধারণ!