কালো গোলাপ উপন্যাস পর্ব-৭
কপালে হাত রাখে ছায়মন, উঃ বাবা মেয়েরা পারেও পরিবেশ সামাল দিতে। এতো জোরে ওকে মারলাম আমি তবু আমার দোষটা নিজের ঘাড়ে টেনে নিলো। আমি ওর স্বামী ওর ভালো মন্দ দেখা আমার কর্তব্য কিন্তু আমি তো সেটা করিই না বরং সুযোগ পেলেই দু’ঘা দিয়ে পৌরুষত্বের জাহির করি। নাজনিনের বাবা বলে
-কি হয়েছে তোর অসময়ে শুয়ে আছিস কেন?
-তেমন কিছু না আব্বা। জ্বর জ্বর লাগছিলো তাই।
-জ্বর জ্বর লাগছিলো নাকি জ্বর এসেছে গায়ে। সামান্য জ্বরে কেউ মাথা ঘুরে পড়ে? দেখি দেখি, একি! গা তো জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। এত তাপ হাত দেওয়া যাচ্ছে না,ধান দিলে খই ফুটে বেরুবে । ভালোই হলো আজ আমার আশাটা। বিয়াই সাহেব আমি আমার মেয়েটাকে ক’দিনের জন্য আমার বাড়িতে নিয়ে যাই সুস্থ হলে উঠলে আমি নিজেই এসে রেখে যাব আবার।
ছায়মনের মা বলে রাখতে আসতে হবে কেন? ও থাক না আপনাদের ওখানে গিয়ে কিছু দিন নাকি মেয়েকে খেতে দিতে ভয় পাচ্ছেন?
- এ আপনি কি বলছেন বিয়ান? মেয়ে জন্ম দিতে পেরেছি, বড় করতে পেরেছি, আর ওকে চারটে খেতে দিতে পারবো না আমি। এটা আপনি ভাবলেন কেমন করে?
- আপনার মুরদ তো দেখলাম কম না। বিয়ের বয়স ওদের পেরিয়ে গেলো পাঁচ বছর অথচ আজো একটা আংটি আমার ছেলেকে দিতে পারলেন না। নিতান্তই ভালো মানুষ আমরা তানা হলে আপনার মেয়েকে সেই কবে রেখে আসতাম আপনার বাড়িতে।
- এসব আপনি কি বলছেন বিয়ান? আংটির জন্য নদত টাকা নিয়ে এসেছ তো ছায়মন সেই কবে। আর ব্যবসার জন্যও তো টাকা-পয়সা দেইনি তানা। আমার তো আরো ছেলে মেয়ে আছে। তাদের কথাও তো আমাকে ভাবতে হবে।
বিস্মিত নয়নে তাকায় নাজনিন বাবার দিকে।
-কি বলছ বাবা? আংটির জন্য নগত টাকা দিয়েছ? কই আমি তো জানিনা। তুই তো অনেক দিন হয় আমাদের বাড়িতে যাস না। আমারও আসা হয়নি তাই... তোর শশুর আর ছায়মন গিয়ে নিয়ে এসেছিলো।
সায়মনের মা -বলে কি কলেন বিয়েই সামান্য কয়ডা টাহা দিয়ে এই এরে আপনি খুটা দিতি পারলেন? সায়মন আপনার মেয়ের জামাই না? ওর ভালো-মন্দ দেহার ভার কি আপনার নেই?
-না বিয়ান নেই। কথা মত আমি সব যৌতুক পরিশোধ করেছি। এখন যা বলার তা বলা উচিৎ আমার কিন্তু মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছুই বলিনি। আজ না বলে পারছিনা। আমার সামনে আমার অসুস্থ মেয়েটাকে যদি আপনারা এভাবে মারতে পারেন আমার অবর্তমানে না জানি কি করেন।
নাজ তোর কাপড়-চোপড় গুছিয়ে নে। এখানে আর এক মুহুর্ত দেরি করতে চাইনা।
শাশুড়ি বলে -এই যে বিয়াই সাহেব মেয়ের বাপের অত রাগ ভালো না। রাগ দেহাচ্ছেন এর পরিনতি কি হতি পারে ভাবতি পারতিছেন কি?
-বিয়ান সাহেবা অত কিছু আমি এখন ভাবছিনা। আমার মেয়েটা খুব অসুস্থ ওকে আগে সুস্থ করতে হবে। এটাই একমাত্র ভাবনা এখন। ওর কিছু হলে কোল খালি হবে আমার আপনার না।
নাজনিনকে নিয়ে ওর বাবা চলে আসে বাড়ি। সাত-আট দিন মাথায় পিয়ন এসে বাঁশপাতা খামের একটি চিঠি ধরিয়ে দেয় নাজনিনের হাতে। চিঠিটা নাজনিনের নামে। ওকে আজ পর্যন্ত কেউ কোনদিন চিঠি লিখেছে বলে মনে পড়ছে না। চিঠিটা হাতে নিয়ে নাড়িয়ে চাড়িটে আস্তে আস্তে খামের মুখ খোলে ।
বিঃদ্রঃ এখনও শেষ হয়নি সাথে থাকুন এরপর আগামী পর্বে জানতে পারবেন। বন্ধুরা মূদ্রণজনিত ভুল নিজ গুনে সংশোধন করে পড়বেন ........................চলবে।
-কি হয়েছে তোর অসময়ে শুয়ে আছিস কেন?
-তেমন কিছু না আব্বা। জ্বর জ্বর লাগছিলো তাই।
-জ্বর জ্বর লাগছিলো নাকি জ্বর এসেছে গায়ে। সামান্য জ্বরে কেউ মাথা ঘুরে পড়ে? দেখি দেখি, একি! গা তো জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে। এত তাপ হাত দেওয়া যাচ্ছে না,ধান দিলে খই ফুটে বেরুবে । ভালোই হলো আজ আমার আশাটা। বিয়াই সাহেব আমি আমার মেয়েটাকে ক’দিনের জন্য আমার বাড়িতে নিয়ে যাই সুস্থ হলে উঠলে আমি নিজেই এসে রেখে যাব আবার।
ছায়মনের মা বলে রাখতে আসতে হবে কেন? ও থাক না আপনাদের ওখানে গিয়ে কিছু দিন নাকি মেয়েকে খেতে দিতে ভয় পাচ্ছেন?
- এ আপনি কি বলছেন বিয়ান? মেয়ে জন্ম দিতে পেরেছি, বড় করতে পেরেছি, আর ওকে চারটে খেতে দিতে পারবো না আমি। এটা আপনি ভাবলেন কেমন করে?
- আপনার মুরদ তো দেখলাম কম না। বিয়ের বয়স ওদের পেরিয়ে গেলো পাঁচ বছর অথচ আজো একটা আংটি আমার ছেলেকে দিতে পারলেন না। নিতান্তই ভালো মানুষ আমরা তানা হলে আপনার মেয়েকে সেই কবে রেখে আসতাম আপনার বাড়িতে।
- এসব আপনি কি বলছেন বিয়ান? আংটির জন্য নদত টাকা নিয়ে এসেছ তো ছায়মন সেই কবে। আর ব্যবসার জন্যও তো টাকা-পয়সা দেইনি তানা। আমার তো আরো ছেলে মেয়ে আছে। তাদের কথাও তো আমাকে ভাবতে হবে।
বিস্মিত নয়নে তাকায় নাজনিন বাবার দিকে।
-কি বলছ বাবা? আংটির জন্য নগত টাকা দিয়েছ? কই আমি তো জানিনা। তুই তো অনেক দিন হয় আমাদের বাড়িতে যাস না। আমারও আসা হয়নি তাই... তোর শশুর আর ছায়মন গিয়ে নিয়ে এসেছিলো।
সায়মনের মা -বলে কি কলেন বিয়েই সামান্য কয়ডা টাহা দিয়ে এই এরে আপনি খুটা দিতি পারলেন? সায়মন আপনার মেয়ের জামাই না? ওর ভালো-মন্দ দেহার ভার কি আপনার নেই?
-না বিয়ান নেই। কথা মত আমি সব যৌতুক পরিশোধ করেছি। এখন যা বলার তা বলা উচিৎ আমার কিন্তু মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছুই বলিনি। আজ না বলে পারছিনা। আমার সামনে আমার অসুস্থ মেয়েটাকে যদি আপনারা এভাবে মারতে পারেন আমার অবর্তমানে না জানি কি করেন।
নাজ তোর কাপড়-চোপড় গুছিয়ে নে। এখানে আর এক মুহুর্ত দেরি করতে চাইনা।
শাশুড়ি বলে -এই যে বিয়াই সাহেব মেয়ের বাপের অত রাগ ভালো না। রাগ দেহাচ্ছেন এর পরিনতি কি হতি পারে ভাবতি পারতিছেন কি?
-বিয়ান সাহেবা অত কিছু আমি এখন ভাবছিনা। আমার মেয়েটা খুব অসুস্থ ওকে আগে সুস্থ করতে হবে। এটাই একমাত্র ভাবনা এখন। ওর কিছু হলে কোল খালি হবে আমার আপনার না।
নাজনিনকে নিয়ে ওর বাবা চলে আসে বাড়ি। সাত-আট দিন মাথায় পিয়ন এসে বাঁশপাতা খামের একটি চিঠি ধরিয়ে দেয় নাজনিনের হাতে। চিঠিটা নাজনিনের নামে। ওকে আজ পর্যন্ত কেউ কোনদিন চিঠি লিখেছে বলে মনে পড়ছে না। চিঠিটা হাতে নিয়ে নাড়িয়ে চাড়িটে আস্তে আস্তে খামের মুখ খোলে ।
বিঃদ্রঃ এখনও শেষ হয়নি সাথে থাকুন এরপর আগামী পর্বে জানতে পারবেন। বন্ধুরা মূদ্রণজনিত ভুল নিজ গুনে সংশোধন করে পড়বেন ........................চলবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আবু সাইদ লিপু ২৭/১০/২০১৭ভাল লাগল।
-
সোলাইমান ২৬/১০/২০১৭অসাধারণ লেখনী । মনকে নাড়া দিল ।। লিখে যান ,লিখে যান ।
-
কামরুজ্জামান সাদ ২৫/১০/২০১৭এগিয়ে যাক আরো কিছুদূর
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২৪/১০/২০১৭অপূর্ব সৃষ্টি
-
আজাদ আলী ২৩/১০/২০১৭Valoi hocche .