কালো গোলাপ উপন্যাস পর্ব-৬
মায়ের মুখে এই কথা শুনে অগ্নি মূর্তি হয়ে যায় ছায়মন। বারান্দায় উঠে দেখে বাবার পাশে বসে ওর শশুর গল্প করছে। শশুর পেনশন পেয়েছে, ছায়মন কিছু টাকা চেয়েছিলো শশুরের কাছে, আজো দেয়নি টাকা তাই শশুরের উপর প্রচুর খোব। মুখ ভেংচি কেটে ঘরে ঢোকে। শুয়ে আছে নাজনিন। স্বামীকে দেখে স্মুত হাসে। এতে ছায়মনের মিজাজ আরো বিগড়ে যায়। অগ্নি মূর্তি হয়ে স্ব-জোরে মুখের উপর এক চড় বসিয়ে দিয়ে বলে
- আমার মা খেটে মরছে আর তুমি আরামে শুয়ে আছ। আবার হাসছ, খুব মজা লাগছে আমার মাকে চাকর বানিয়ে তাই না? দাঁতে দাঁত চেপে বলে হারামজাদী তুই আজ তোর বাপের সাথে চলে যাবি।
সাগরিকার গায়ে প্রচন্ড জ্বর । আমনিতেই যেন চোখ ঠিকরে বেরুতে চাইছে তার উপরে এতো জোরে চড়। চোখ দিয়ে যেন জোনাক জ্বলে উঠলো। চটাস করে শব্দ হয়। নাজনিন চিৎকার কোরে ওঠে মাগো বলে। ছায়মনের বাবা বলেঃ
-কি হলো বউ মা।
-না বাবা কিছু হয়নি। বাবু চুল ধরে টান মারল তো তাই...।
-অত জোরে চিৎকার করে কেউ? তুমি এখনও শুয়ে আছ বউ মা দেখো তোমার বাপ এসেছে। তোমার কি উঠে এসে তার সাথে দেখা করা উচিৎ ছিলো না? দিন দিন কি ভদ্রতা ভুলে যাচ্ছ তুমি?
-আসছি বাবা।
হ্যাচকা টান মেরে নাজনিনকে খাট থেকে নিচে ফেলে ছায়মন। তারপর বলে
-আব্বা তুমি না, সে শিক্ষা কোথায় পাবে ও। ও তো একটা বিড়াল, ওকে ফেলে দিয়ে আমার শশুর সাহেব দায় মুক্ত।
দাঁতে দাঁত চেপে বলে, বলি -এতো আরাম আসে কোথা থেকে। যদি সংসার করতে ভালো না লাগে তো যাও না চলে যাও তোমার বাপের সাথে। আমার মা কাজ করে মরছে ছেলেটা ক্ষুধায় ছটফট করছে। আর তুমি আরাম করছ লজ্জা করে না।
উঠে দাঁরাতে গিয়ে দাড়াম করে পড়ে যায় নাজনিন। বিকট একটা শব্দ হয়। ছুটে আসে শশুর- শাশুড়ি সেই সাথে নাজনিনের বাবাও। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে নাজনিন। কি করবে বুঝতে পারছে না ছায়মন। মাথার ভিতর ঘুরপাক খায়, ‘ও এই অসময় শুয়েছিলো কেন? অসুক করেনিতো। কোন কিছু না ভেবেচিন্তে শুধু শুধু মারাটা কি ঠিক বলো! এখন যদি কিছু হয়ে যায় তো ঘুষ্টি শুদ্ধ তো জেলে যেতে হবে।মাকে কাজ করতে দেখে আমার তো মাথা কাজ করছিল না। আজ ওর বাবা আছে এবাড়িতে এমন দিনে এমন ঘটনা ঘটে গেলো।’ চোখে মুখে পানি ছিটা দেয় নাজনিনের শাশুড়ি। জ্ঞান ফেরে নাজনিনের। চার দিকে চোখ ঘুরায়, সবাই ওকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। ওর বাবাও পাশে দাঁড়ানো। আবার উঠতে যায়। মাথা খুব ঘুরাচ্ছে। শাশুড়ি প্রশ্ন করে
-কি ব্যাপার তুমি পড়ে গিলে কেমন করে?
ছায়মনের মুখের দিকে তাকিয়ে বলে,- আমার আব্বা এসছে শুনে আব্বার সাথে দেখা করতে যাচ্ছালিয়াম খাট থেকে নামতে গিয়ে পা বেধে পড়ে গেছি।
কপালে হাত রাখে ছায়মন, উঃ বাবা মেয়েরা পারেও পরিবেশ সামাল দিতে। এতো জোরে ওকে মারলাম আমি। তবু আমার দোষটা নিজের ঘাড়ে টেনে নিলো। আমি ওর স্বামী ওর ভালো মন্দ দেখা আমার কর্তব্য কিন্তু আমি তো সেটা করিই না বরং সুযোগ পেলেই দু’ঘা দিয়ে পৌরুষতের জাহির করি। নাজনিনের বাবা বলে
-কি হয়েছে তোর অসময়ে শুয়ে আছিস কেন?
-তেমন কিছু না আব্বা। জ্বর জ্বর লাগছিলো তাই।
-জ্বর জ্বর লাগছিলো নাকি জ্বর । সামান্য জ্বরে কেউ মাথা ঘুরে পড়ে? দেখি দেখি। একি গায়ে তো হাত দেওয়া যাচ্ছে না। ধান দিলে খই ফুটে বেরুবে এতো তাপ। ভালোই হলো আজ আমার আশাটা। বিয়াই সাহেব আমি আমার মেয়েটাকে ক’দিনের জন্য আবার বাড়িতে নিয়ে যাই সুস্থ হলে উঠলে আমি নিজেই এসে রেখে যাব আবার।
বিঃদ্রঃ এখনও শেষ হয়নি সাথে থাকুন এরপর আগামী পর্বে জানতে পারবেন। বন্ধুরা মূদ্রণজনিত ভুল নিজ গুনে সংশোধন করে পড়বেন ........................চলবে।
- আমার মা খেটে মরছে আর তুমি আরামে শুয়ে আছ। আবার হাসছ, খুব মজা লাগছে আমার মাকে চাকর বানিয়ে তাই না? দাঁতে দাঁত চেপে বলে হারামজাদী তুই আজ তোর বাপের সাথে চলে যাবি।
সাগরিকার গায়ে প্রচন্ড জ্বর । আমনিতেই যেন চোখ ঠিকরে বেরুতে চাইছে তার উপরে এতো জোরে চড়। চোখ দিয়ে যেন জোনাক জ্বলে উঠলো। চটাস করে শব্দ হয়। নাজনিন চিৎকার কোরে ওঠে মাগো বলে। ছায়মনের বাবা বলেঃ
-কি হলো বউ মা।
-না বাবা কিছু হয়নি। বাবু চুল ধরে টান মারল তো তাই...।
-অত জোরে চিৎকার করে কেউ? তুমি এখনও শুয়ে আছ বউ মা দেখো তোমার বাপ এসেছে। তোমার কি উঠে এসে তার সাথে দেখা করা উচিৎ ছিলো না? দিন দিন কি ভদ্রতা ভুলে যাচ্ছ তুমি?
-আসছি বাবা।
হ্যাচকা টান মেরে নাজনিনকে খাট থেকে নিচে ফেলে ছায়মন। তারপর বলে
-আব্বা তুমি না, সে শিক্ষা কোথায় পাবে ও। ও তো একটা বিড়াল, ওকে ফেলে দিয়ে আমার শশুর সাহেব দায় মুক্ত।
দাঁতে দাঁত চেপে বলে, বলি -এতো আরাম আসে কোথা থেকে। যদি সংসার করতে ভালো না লাগে তো যাও না চলে যাও তোমার বাপের সাথে। আমার মা কাজ করে মরছে ছেলেটা ক্ষুধায় ছটফট করছে। আর তুমি আরাম করছ লজ্জা করে না।
উঠে দাঁরাতে গিয়ে দাড়াম করে পড়ে যায় নাজনিন। বিকট একটা শব্দ হয়। ছুটে আসে শশুর- শাশুড়ি সেই সাথে নাজনিনের বাবাও। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে নাজনিন। কি করবে বুঝতে পারছে না ছায়মন। মাথার ভিতর ঘুরপাক খায়, ‘ও এই অসময় শুয়েছিলো কেন? অসুক করেনিতো। কোন কিছু না ভেবেচিন্তে শুধু শুধু মারাটা কি ঠিক বলো! এখন যদি কিছু হয়ে যায় তো ঘুষ্টি শুদ্ধ তো জেলে যেতে হবে।মাকে কাজ করতে দেখে আমার তো মাথা কাজ করছিল না। আজ ওর বাবা আছে এবাড়িতে এমন দিনে এমন ঘটনা ঘটে গেলো।’ চোখে মুখে পানি ছিটা দেয় নাজনিনের শাশুড়ি। জ্ঞান ফেরে নাজনিনের। চার দিকে চোখ ঘুরায়, সবাই ওকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে। ওর বাবাও পাশে দাঁড়ানো। আবার উঠতে যায়। মাথা খুব ঘুরাচ্ছে। শাশুড়ি প্রশ্ন করে
-কি ব্যাপার তুমি পড়ে গিলে কেমন করে?
ছায়মনের মুখের দিকে তাকিয়ে বলে,- আমার আব্বা এসছে শুনে আব্বার সাথে দেখা করতে যাচ্ছালিয়াম খাট থেকে নামতে গিয়ে পা বেধে পড়ে গেছি।
কপালে হাত রাখে ছায়মন, উঃ বাবা মেয়েরা পারেও পরিবেশ সামাল দিতে। এতো জোরে ওকে মারলাম আমি। তবু আমার দোষটা নিজের ঘাড়ে টেনে নিলো। আমি ওর স্বামী ওর ভালো মন্দ দেখা আমার কর্তব্য কিন্তু আমি তো সেটা করিই না বরং সুযোগ পেলেই দু’ঘা দিয়ে পৌরুষতের জাহির করি। নাজনিনের বাবা বলে
-কি হয়েছে তোর অসময়ে শুয়ে আছিস কেন?
-তেমন কিছু না আব্বা। জ্বর জ্বর লাগছিলো তাই।
-জ্বর জ্বর লাগছিলো নাকি জ্বর । সামান্য জ্বরে কেউ মাথা ঘুরে পড়ে? দেখি দেখি। একি গায়ে তো হাত দেওয়া যাচ্ছে না। ধান দিলে খই ফুটে বেরুবে এতো তাপ। ভালোই হলো আজ আমার আশাটা। বিয়াই সাহেব আমি আমার মেয়েটাকে ক’দিনের জন্য আবার বাড়িতে নিয়ে যাই সুস্থ হলে উঠলে আমি নিজেই এসে রেখে যাব আবার।
বিঃদ্রঃ এখনও শেষ হয়নি সাথে থাকুন এরপর আগামী পর্বে জানতে পারবেন। বন্ধুরা মূদ্রণজনিত ভুল নিজ গুনে সংশোধন করে পড়বেন ........................চলবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ২৭/১০/২০১৭জীবন সত্য ! জীবনে অধিক সত্য, সেখানে বাস্তব বড্ড নির্মম !
-
আবুল খায়ের ২৪/১০/২০১৭wow
-
মুহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন ২২/১০/২০১৭বেশ লাগলো । থাকলাম অপেক্ষায়.....
-
আজাদ আলী ২২/১০/২০১৭Valo galpo