কালো গোলাপ উপন্যাস পর্ব-৩
এতোটুকু মেয়ে স্বামী সংসার সন্তান সামাল দিচ্ছে। অপরিনত বয়সে মা হয়েছে। পুষ্টিহীনতায় রোগব্যাধি বাসা বেঁধেছে শরীর জুড়ে। শরীর ভালো না থাকলে মন ও ভালো থাকে না মানুষের। একদিন শরীর খুব খারাপ লাগছে অসময় শুয়ে আছে সে। ঘরের কাজ সব পড়ে আছে, ছেলের বউ কে অনেক্ষণ দেখতে পাচ্ছে না নাজনিনের দজ্জাল শাশুড়ি। ওর ননদকে ডেকে জিজ্ঞেস করছে।
- হ্যাঁরে নায়লা বউ কই?
- কি জানি অনেক্ষণ ধরে দেখতিছিনে। সহালে খাবার সময় কতিলো তার নাহি শরীল খারাপ, দেহ শুয়ে আছে কিনা। ঘরে তো আনিছাও একটা ব্যারামে মায়ে।
- দেখতো দেখতো সত্যি শুয়ে আছে কিনা।
ঘরের দরজায় উকি দেয় নাবিলা- হ্যাঁ মা শুয়েই তো আছে।
- দাঁড়া,আমি আসতিছি। কাজ ফেলায়ে আরামে শুয়া দেহাচ্ছি নবাবের মেটির মজা। বলি এতো আরাম আসে কনতে? এই যে এই যে নবাবের বেটি বলি এতো আরাম আসে কনতে? সমস্ত কাজ পড়ে আছে আর তুমি পড়ে পড়ে আরাম করতিছাও। বলি দুপুর তো ছুঁই ছুঁই কাজ সারবা কহন আর চুলো জ্বালাবা কহন?
- মা আমার শরীরটা ভালো লাগছে না।
-এই এই মাইয়ে তোমারে না কইছু অত স্টাই দিয়ে কথা কবানা। যাও কাজে যাও।
- মা আমার জ্বর জ্বর লাগছে, আমি তো নায়লাকে সেই সকালেই বলেছি। মা আজ আপনি আর নায়লা দু’জনে মিলে কাজগুলো সেরে ফেলুন না মা।
- কি, তুমি আমারে কাজ করতি হুকুম করো?
- না মা, হুকুম কেন করবো...
- হায়, হায় হায় হায়, এই ছিলো শেষ পর্যন্ত আমার কপালে। ওয়াল্লাহ এ আমি কারে ঘরে আনিছি। আমারে কাজ করতি হুকুম করে। আজ ছায়মন বাড়ি ফিরুক। এই বউ তার বাপের বাড়ি রাহে আসতি কবো।
- আহ মা কেন অহেতুক এতো ছিল্লেপাল্লা করতিছাও কও তো? মানষি শুনলি কবেনে কি। মায়েডা সত্যি খুব অসুস্থ তানা হলি ওতো কাজ ফেলায় রাহা মানুষ না।
- ওই পরের মাইয়ের ছাপাই গাচ্ছির? দেখ নায়লা পরের মায়েরে এভাবে লাই দিয়ে মাথায় তুলিসনে বুঝলি? পরের মাইয়ে ঘরে আনিছি ঠ্যাঙের পরে ঠ্যাং তুলে খাব বলে। আমরা কিচ্ছু করবো না ওই সব করবে। যার বাপ যৌতুক শোধ করতি পারেনা তার আবার কিসির বিশ্রাম। ছাওয়াল বিয়ে দিছি কি নিজি কাজ করে খাতি। বিঃদ্রঃ এখনও শেষ হয়নি সাথে থাকুন এরপর আগামী পর্বে জানতে পারবেন। বন্ধুরা মূদ্রণজনিত ভুল নিজ গুনে সংশোধন করে পড়বেন ........................চলবে।
- হ্যাঁরে নায়লা বউ কই?
- কি জানি অনেক্ষণ ধরে দেখতিছিনে। সহালে খাবার সময় কতিলো তার নাহি শরীল খারাপ, দেহ শুয়ে আছে কিনা। ঘরে তো আনিছাও একটা ব্যারামে মায়ে।
- দেখতো দেখতো সত্যি শুয়ে আছে কিনা।
ঘরের দরজায় উকি দেয় নাবিলা- হ্যাঁ মা শুয়েই তো আছে।
- দাঁড়া,আমি আসতিছি। কাজ ফেলায়ে আরামে শুয়া দেহাচ্ছি নবাবের মেটির মজা। বলি এতো আরাম আসে কনতে? এই যে এই যে নবাবের বেটি বলি এতো আরাম আসে কনতে? সমস্ত কাজ পড়ে আছে আর তুমি পড়ে পড়ে আরাম করতিছাও। বলি দুপুর তো ছুঁই ছুঁই কাজ সারবা কহন আর চুলো জ্বালাবা কহন?
- মা আমার শরীরটা ভালো লাগছে না।
-এই এই মাইয়ে তোমারে না কইছু অত স্টাই দিয়ে কথা কবানা। যাও কাজে যাও।
- মা আমার জ্বর জ্বর লাগছে, আমি তো নায়লাকে সেই সকালেই বলেছি। মা আজ আপনি আর নায়লা দু’জনে মিলে কাজগুলো সেরে ফেলুন না মা।
- কি, তুমি আমারে কাজ করতি হুকুম করো?
- না মা, হুকুম কেন করবো...
- হায়, হায় হায় হায়, এই ছিলো শেষ পর্যন্ত আমার কপালে। ওয়াল্লাহ এ আমি কারে ঘরে আনিছি। আমারে কাজ করতি হুকুম করে। আজ ছায়মন বাড়ি ফিরুক। এই বউ তার বাপের বাড়ি রাহে আসতি কবো।
- আহ মা কেন অহেতুক এতো ছিল্লেপাল্লা করতিছাও কও তো? মানষি শুনলি কবেনে কি। মায়েডা সত্যি খুব অসুস্থ তানা হলি ওতো কাজ ফেলায় রাহা মানুষ না।
- ওই পরের মাইয়ের ছাপাই গাচ্ছির? দেখ নায়লা পরের মায়েরে এভাবে লাই দিয়ে মাথায় তুলিসনে বুঝলি? পরের মাইয়ে ঘরে আনিছি ঠ্যাঙের পরে ঠ্যাং তুলে খাব বলে। আমরা কিচ্ছু করবো না ওই সব করবে। যার বাপ যৌতুক শোধ করতি পারেনা তার আবার কিসির বিশ্রাম। ছাওয়াল বিয়ে দিছি কি নিজি কাজ করে খাতি। বিঃদ্রঃ এখনও শেষ হয়নি সাথে থাকুন এরপর আগামী পর্বে জানতে পারবেন। বন্ধুরা মূদ্রণজনিত ভুল নিজ গুনে সংশোধন করে পড়বেন ........................চলবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাঁঝের তারা ১১/১০/২০১৭ভাল হচ্ছে - চলতে থাকুক ...
-
কামরুজ্জামান সাদ ১১/১০/২০১৭শব্দের জাল ক্রমেই উন্নতর হচ্ছে।বানানের দিকে নজর দেওয়াটা জরুরি।বাংলা সাহিত্যে বানানটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ...
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১১/১০/২০১৭বেশ তো চলুক।
কিন্তু বন্ধু, বানান দেখেশুনে তারপর ছাপাবেন।
তাহলে ভালো হবে।
ধন্যবাদ। -
আজাদ আলী ১১/১০/২০১৭Bah sundar
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১১/১০/২০১৭অসাধারণ লিখেছেন