www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কালো গোলাপ উপন্যাস পর্ব-২

আমার যখন পুতুলে পুতুলে ঝগড়া হতো তখন যে উকিলের মত দুই পক্ষের কাছে জিরা করে করে ঝগ্ড়া মিমাংশা করত তখন মা বলছেন আমার নাজ সোনা মস্ত বড় উকিল হবে। মায়ের কথায় সাগরিকা মনে মনে স্বপ্ন আঁকতো চোখের পাতায়। ডাক্তার উকিল না হোক সে। সে যেন মানুষের মত মানুষ হয়ে মানুষের সেবা করতে পারে । ভালো একটা চাকরি করে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে সমাজে। কিন্তু মানুষের সব আশা কি আর পূরণ হয়? হয় না, সাগরিকারও হয়নি। সাগরিকা ওর আসল নাম নয়, বাবা-মা নাম রেখেছিল নাজনিন।গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নাজনিনের । বাবা ছিলেন সামান্য প্রাইমারি স্কুল মাস্টার। অনেকগুলো ভাই-বোন। টানাপড়েনের সংসার। আমাদের সমাজে মধ্যবিত্তের জীবন সব থেকে কঠিণ জীবন। উচ্চবিত্তেরা গরীবের রক্ত শুষে খেয়ে বড়লোক হতে পারে। নিন্মবিত্তেরা চাইলে যে কোন কাজ করতে পারে। যত মরতি মরণ তা হলো মধ্যবিত্তের। এরা না পারে কইতে না পারে সইতে।নাজনিন যখন প্রাইমারী পেরিয়ে হাইস্কুলে পা রাখে তখন ওর চোখে এক নতুন স্বপ্নের উচ্ছলা । কচি ধানের ক্ষেতে বাতাস যেমন ঢেউ খেলে যায় তেমনি ঢেউ খেলে স্বপ্নেরা ওর চোখে মুখে। দেখতে দেখতে পা রেখেছে ক্লাস এইটে। আর মাত্র তিন বছর পর মেট্রিক পরিক্ষা দিবে। আই এ পাশ করবে তারপর ডাক্তারি পড়বে। একদিন মস্তবড় ডাক্তার হয়ে এই গ্রামের মাটিতে পা রাখবে। সে যখন গ্রামে আসবে তখন গ্রামের মানুষ বলবে ওই যে আমাদের নাজ ডাক্তার গ্রামে এসেছে। গ্রামের আর কেউ এখন অসুস্থ থাকবেন না সবাইকে নাজনিন সবাইকে সুস্থ করে তুলবে। গ্রামের মানুষের সেবা করবে প্রাণ খুলে। গ্রামের আর কাউকে বিনা চিকিৎসায় মরতে হবে না।
হায়রে ভাগ্য, বাবার অসচ্ছলতা তাকে তের না পেরুতেই বিয়ের পিড়িতে বসতে বাধ্য করে। দেখতে সুন্দরী, তাই ছেলে পক্ষ খুব আগ্রহ করে নাজ-কে তাদের বারির বউ করতে আগ্রহ দেখায়। কিন্তু কিছুদিন পর ছেলে পক্ষ জানায় তাদের ছেলে এখন বিয়ে করতে রাজি না।বিয়ের সব কেনাকাটা সম্পন্ন হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। হঠাৎ বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় জানকে সবাই অপয়া- অলক্ষ্মী বলে গাল দিতে থাকে।মাস না পার হতেই আবারও শাদী আসে ঠিক হয় বিয়ে। বিয়ের সময় কথা হয় যৌতুক হিসেবে ছেলেকে একটা রঙিন টেলিভিশন, একটা সোনার আংটি ও একটি সোনার চেন দিতে হবে। টেলিভিসন ও চেনের ব্যবস্থা হয়। আংটির টাকা আর যোগাড় করতে পারেনা নাজনিনের বাবা। অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে বর পক্ষকে রাজি করায়। বলে যত তারাতাড়ি সম্ভব আংটিটা বানিয়ে দেবে।
বিয়ে হয়ে যায় নাজনিনের। কাঁধে চেপে বসে সংসার নামের বোঝ, অথচ তার পুতুল খেলার বসয় শেষ হয়নি এখনো।
বিঃদ্রঃ এখনও শেষ হয়নি সাথে থাকুন এরপর আগামী পর্বে জানতে পারবেন। বন্ধুরা মূদ্রণজনিত ভুল নিজ গুনে সংশোধন করে পড়বেন ........................চলবে।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৬৬৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১০/১০/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • আজাদ আলী ১০/১০/২০১৭
    "চলবে মানে দৌড়াবে।" আশাকরি আগের পর্বটি আরো ভালো হবে, এই আশাতে থাকলাম। কবিকে শুভেচ্ছা নিরন্তর.........।।
 
Quantcast