www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

স্বার্থ স্বজন (গল্প) পর্ব -৬

কিছু সময় নীরব থাকে কিরণ। নাবিলা এসব কি বলছে! কেন ও হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এমন তো কথা ছিলো না। আমাদের বাড়িতে রিতিমত বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। সবাই জানে নাবিলার আমার বিয়ে হবে খুব শিগ্রই। কিন্তু এখন ও এসব কি শুনাচ্ছে ! আমার অনুপস্থিতিতে ও কি কাউকে............ না আমি ভাবতেই পারছি না। জিজ্ঞেস করবো? নাহ এটা ঠিক হবে না।
-আমি মাকে কি বলবো তুমি বলে দাও। কাল মা তোমাদের বাড়িতে যাবে তোমাকে আংটি পরাতে।
-আসতে দাও।
-সব কিছুতে তুমি এতো হেয়ালি কেন করছ নাবিলা? কি অপরাধ আমাদের?
ঝরঝর করে জল গড়িয়ে পড়ে নাবিলার দু’চোখ বেয়ে। এ আমার হেয়ালি নয় কিরণ, এ আমার জীবনের লক্ষে পৌঁছবার শফথ। আমি কারো করুনা নিয়ে বেচে থাকতে পারবনা কিরণ।
-কি ব্লছ এসব আমাকে বিয়ে করলে আমি তোমাকে করুনা করবো এটা তুমি ভাবলে কি করে? এ তোমার কোন ধরণের হেয়ালি নাবিলা?

-বিশ্বাস করো আমি কোন হেয়ালি করছি না। আর কোন অপরাধও তোমাদের নেই।
-নাবিলা তুমি আমাকে সব খুলে বলো। আমি তো তোমার একজন ভালো বন্ধু ছিলাম তাই না?
-ছিলেনা এখনও আছ। জানিনা ভবিষতে থাকবে কিনা।
-বিশ্বাস রাখতে পার আজীবন।
-কিরণ। আমার হাতে এখন অনেক কাজ। বিয়ে করা আমার পক্ষে এখন অসম্ভব। তাছাড়া ঝুমু তোমাকে ভালোবাসে আমি ওর সুখ কেড়ে নিতেও পারিনা।
-কিন্তু।।।
-কোন কিন্তু নয়। কিরণ তোমার আমার পরিবারের মাঝে কথাছিলো দুই পরিবারের সম্পর্কটা আরো মজবুত করা। তাই আমাদের মা-বাবারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই দুই পরিবারের ছেলে-মেয়েকে বিয়ে নামের চুতোয় গাঁথতে। আমিও চাই আমাদের দুই পরিবারে একটা মধুর সম্পর্ক গড়ে উঠুক। কিন্তু সেটা আমাকে বিয়ে করেই যে হতে হবে তা কিন্তু না।
- তোমার কথার মাথা মুণ্ডু আমার মাথায় ঢুকছে না। সেই ছেলে বেলা থেকে আমি তোমাকেই পছন্দ করে এসেছি। হয়তো তুমিও তাই আর এখন এ তুমি কি গান গাইছ! ঝুমুকে কিভাবে বিয়ে করি আমি আমি তো ওকে সে নজরে কখনও দেখনি। ও আমার অনেক ...
-বুঝতে পেরেছি তুমি কি বলতে চাইছ। দেখ কিরণ বয়স এখানে কোন মেটার না। ওর বয়স আঠারো পার হয়েছে। ও এখন একজন পরিনত যুবতী। প্লিজ তুমি আর আপত্তি করো না কিরণ।
-ওকে তোমার কথাই রইলো। আমি ঝুমুকেই বিয়ে করবো।
পরদিন কিরণের বাড়ি থেকে এনগেজমেন্টের রিং পরাতে যায়। দ্রিং রুমে দুই পরিবারের অনেক মানুষ একত্রিত হয়ে। কিরণের মা নাবিলাকে রিং পরানোর জন্য এগিয়ে গিয়ে ওর হাতের আঙ্গুল ধরে এমন সময় কিরণ বলে
-দাঁড়াও মা। তুমি কাকে রিং পরাচ্ছ? আমি তো নাবিলাকে বিয়ে করবো না। আমি বিয়ে করবো ঝুমুকে। দাও আংটিটা আমাকে দাও আমার বউ এর হাতে আমি নিজে পরিয়ে দিবো।
কিরণ নিজে রিং পরিয়ে দেয় ঝুমুর হাতে। নাবিলা আর কিরণের মাঝে পড়ে যায় কাটা তাঁরের বেড়া।.....................চলবে
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৫৯০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৯/০৮/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast