স্বার্থ স্বজন (উপন্যাশ) পর্ব -৪
মাঝে মাঝে নাবিলার মনে প্রশ্ন জাগে ওকি এ্যাবনরমাল হয়ে যাচ্ছে? সব যেন কেমন উল্ট পালটা মনে হয় সারাক্ষণ খিটখিটে মিজাজ, কাছের মানুষগুলোর উপর সারাক্ষণ খিটখিট করে। ভালো লাগেনা কোন কিছুই। ব্যবসার উপরেও পড়ছে প্রভাব। কিছুতেই মন বসাতে পারছে না। জগৎ সাংসারের প্রতি কোন খেয়াল নেই। নিলয়ের এই খামখেয়ালি কি ভাবে মেনে নেবে নাবিলা? মনের কথা বলতে পারেনা কারো কাছে। কেন সেদিন মায়ার বাঁধনে বাঁধলো আর কেনই বা সে বাঁধন ছিড়ে ফেলতে চায় নিলয়। কোন উত্তর খুঁজে পায়না নাবিলা। নিজের প্রতি প্রচণ্ড রাগ হয়। নাবিলার এ কোন মায়ার বাঁধনে বাঁধলো নিলয়। বেশ তো যাচ্ছিলো দিন।
একদিন সন্ধ্যায় ঘরে আলো না জ্বালিয়ে মুখের উপর বাঁলিশ রেখে শুয়ে আছে নাবিলা। এমন সময় নাবিলার মা ঘরে প্রবেশ করে। ঘর অন্ধকার দেখে আলো জ্বালায় মা । যদিও মুখের উপর বাঁলি ছিলো তবু হঠাৎ আলোর ঝলকানি চোখে গিয়ে লাগে। বাঁলিশ সরিয়ে মুখ তুলে তাকায় কে আলো জ্বালালো এক নজর তাকিয়ে দেখে আবার বাঁলিশ মুখের উপর রাখে। মা বলে কিরে নাবিলা, এই অসময় শুয়ে আছিস? তার উপর আবার মুখের উপর বাঁলিশ চাপা দিয়েছিস। কি হয়েছে তোর? শরীর খারাপ করলো নাকি? দেখি দেখি।
বাঁলিশ সরিয়ে উঠ বসে বলে না মা কিছু হয়নি। এমনি শুয়ে আছি ভালোলাগছিলো না তাই...। কিছু বলবা মা? কীরণ দেশে ফিরছে।
- কবে ফিরছে মা?
-এই তো সপ্তাহ খানেকের ভিতর। বিয়ে করার উদ্দেশ্য দেশে ফিরছে।
-বেশ তুমি ঝুমুর বিয়ের আয়োজন করো।
- ঝুমুর বিয়ের আয়োজন করবো মানে! তুই বড় তোর ব্যবস্থা না করে ঝুমুর বিয়ে!
-মা, মনে হয় তুমি আকাশ থেকে পড়লে?
-তুই বড় তোর একটা গতি না করে ঝুমুর কথা তো আমি ভাবতে পারি না নাবিলা।
-দেখো মা এখন আমার হাতে অনেক কাজ , বিয়ে করার সময় নেই আমার। তুমি ঝুমুকে বিয়ে দাও।
- কি সব পাগলের মত কথা বলছিস বল তো? ঝুমুকে আগে বিয়ে দিলে লোকে বলবে কি?
-লোকে কি আমাদের দু’বেলা দু’মুঠো খেতে দেয়? লোক লোক করে গলা শুখাচ্ছ? শোন মা এমন একটা সময় আমাদের গেছে যখন আমরা অনেক দিন না খেয়ে কেটেছে। কই তখন তো তোমার কোন লোক কোন কথা বলেনি, কেন তোমরা না খেয়ে আছি। আসো আমাদের বাড়িতে একমুঠো খেয়ে যাও। তখন কেউ ফিরেও তাকাইনি আমাদের দিকে। কারো কাছে গিয়ে এক বিন্দু সাহায্য পাইনি। মা, তুমি এখন যাও। আর যাবার সময় আলোটা নিভিয়ে দিয়ে যেও।
-নাবিলা কি হয়েছে তোর? নিলয় অনেক দিন আসেনা ওর সাথে তোর কি কিছু হয়েছে?
-না মা কিছু হয়নি। নিলয় ব্যস্ত মানুষ তাই হয়তো সময় পাচ্ছে না। মা আমার এখন অনেক কাজ ............চলবে
একদিন সন্ধ্যায় ঘরে আলো না জ্বালিয়ে মুখের উপর বাঁলিশ রেখে শুয়ে আছে নাবিলা। এমন সময় নাবিলার মা ঘরে প্রবেশ করে। ঘর অন্ধকার দেখে আলো জ্বালায় মা । যদিও মুখের উপর বাঁলি ছিলো তবু হঠাৎ আলোর ঝলকানি চোখে গিয়ে লাগে। বাঁলিশ সরিয়ে মুখ তুলে তাকায় কে আলো জ্বালালো এক নজর তাকিয়ে দেখে আবার বাঁলিশ মুখের উপর রাখে। মা বলে কিরে নাবিলা, এই অসময় শুয়ে আছিস? তার উপর আবার মুখের উপর বাঁলিশ চাপা দিয়েছিস। কি হয়েছে তোর? শরীর খারাপ করলো নাকি? দেখি দেখি।
বাঁলিশ সরিয়ে উঠ বসে বলে না মা কিছু হয়নি। এমনি শুয়ে আছি ভালোলাগছিলো না তাই...। কিছু বলবা মা? কীরণ দেশে ফিরছে।
- কবে ফিরছে মা?
-এই তো সপ্তাহ খানেকের ভিতর। বিয়ে করার উদ্দেশ্য দেশে ফিরছে।
-বেশ তুমি ঝুমুর বিয়ের আয়োজন করো।
- ঝুমুর বিয়ের আয়োজন করবো মানে! তুই বড় তোর ব্যবস্থা না করে ঝুমুর বিয়ে!
-মা, মনে হয় তুমি আকাশ থেকে পড়লে?
-তুই বড় তোর একটা গতি না করে ঝুমুর কথা তো আমি ভাবতে পারি না নাবিলা।
-দেখো মা এখন আমার হাতে অনেক কাজ , বিয়ে করার সময় নেই আমার। তুমি ঝুমুকে বিয়ে দাও।
- কি সব পাগলের মত কথা বলছিস বল তো? ঝুমুকে আগে বিয়ে দিলে লোকে বলবে কি?
-লোকে কি আমাদের দু’বেলা দু’মুঠো খেতে দেয়? লোক লোক করে গলা শুখাচ্ছ? শোন মা এমন একটা সময় আমাদের গেছে যখন আমরা অনেক দিন না খেয়ে কেটেছে। কই তখন তো তোমার কোন লোক কোন কথা বলেনি, কেন তোমরা না খেয়ে আছি। আসো আমাদের বাড়িতে একমুঠো খেয়ে যাও। তখন কেউ ফিরেও তাকাইনি আমাদের দিকে। কারো কাছে গিয়ে এক বিন্দু সাহায্য পাইনি। মা, তুমি এখন যাও। আর যাবার সময় আলোটা নিভিয়ে দিয়ে যেও।
-নাবিলা কি হয়েছে তোর? নিলয় অনেক দিন আসেনা ওর সাথে তোর কি কিছু হয়েছে?
-না মা কিছু হয়নি। নিলয় ব্যস্ত মানুষ তাই হয়তো সময় পাচ্ছে না। মা আমার এখন অনেক কাজ ............চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
তীর্থের কাক ১৩/০৮/২০১৭ভালো!