নষ্টদের অরণ্যে
জানি, আজ আমাকে তুমি চিনতে পারবেনা কিছুতেই,
অথচ একদিন ছিলো আমার সময় ছিলো না
তবু তুমি আঠার মত লেগে থাকলে আমারই পিছে।
আজ তোমাকে আমার বড় প্রয়োজন, তাই হয়তো পেলাম
তোমার কাছে আটপৌড়ে জীবনের অচেনাচেনা পরিঘাত।
ছকবাঁধা সংজ্ঞাতে জীবন বাঁধতে পারবে না আর
আমার ছন্নছাড়া ঔদাসীন্যতাই হয় তো এর জন্য দায়ী।
তবু মনে রেখো আমি কোনো অস্তিত্বহীন স্বত্ত্বা নই
আমি এক দৃঢ় কন্ঠস্বর ।
বিবর্ণ ছায়া মরিচিকায়, লালসার অন্তিম তাড়নায়
একদিন তুমি সাঁতার শিখতে চাইলে আমারি কাছে
আমি তোমাকে সাঁতার শিখালাম
শেষমেষ আমাকেই ডুবিয়ে মারলে!
তোমাকে আমার সংজ্ঞায়ীত সভ্যতার
সুনির্দিষ্ট ফ্রেমে বন্দী করতে পারলাম না কিছুতেই।
হয়তো এটা,একটি ধারণা মাত্র, কল্পিত নরকের হুতাশন
অথবা একটি অবরুদ্ধ জিজ্ঞাসার প্রচণ্ড বারুদ।
অথবা ক্রোধাগ্নির এক জ্বলন্ত অঙ্গারে, বিশুদ্ধ অমৃত কোনো।
আমি কখনও মৃতিকা, কখনও ঝঞ্ঝা, কখনও বা প্রেয়সী
তুমি যতই আমাকে ডুবাতে চাও
তবু ডুবাতে পারবে না ক্লীবতার অসুস্থ শেকড়ে।
অগ্নিদীপ্ত চোখ সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিবে
যেখানে তোমার হৃদের গহীন
সেই ছোট ব-দ্বীপে একটি তেল রঙের ছবি
সেঁটে রেখেছি নিজের মতো
যা নিভৃতে আমার কথা সমরণ করিয়ে দেবে তোমাকে।
আজ নই কোনো একক স্বত্তার,
জাতীয়তাবাদী আমি নই , প্রগতি নই,
নই আধা কবি, দেশপ্রেমিকও নই ।
আমি আজ একজন রাষ্ট্রদ্রোহী, তবু মস্তিষ্কের কোণে
যেখানে মন নামে একটা ধুসর বস্তু আছে
সেখানে জমা রেখেছি দশটা পাঁচটা ভ্রষ্ট সামাজিক জীব
ভ্রষ্টাচারে ন্যুজ অসামাজিক ক্লীব- না কোন আপস নয়।
না আর কোনো কবিতা নয়, নয় কোনো সুখ কাব্য
আজ নষ্টদের অরণ্যে এক দ্রোহের দিন,
আজ মঙ্গল শোভাযাত্রাকে তছনছ করবার দিন।
আজ জ্বলে উঠবে দ্রোহের গনগনে আগ্নেয়গিরি
অসুস্থ জাগতিক অসভ্যতাকে গালিদেবার দিন এসেছে
আজ নষ্টদের অরণ্যে আমি এক পোষ না মানা, বাউন্ডুলে অসভ্য!
১২/৮/২০১৭
অথচ একদিন ছিলো আমার সময় ছিলো না
তবু তুমি আঠার মত লেগে থাকলে আমারই পিছে।
আজ তোমাকে আমার বড় প্রয়োজন, তাই হয়তো পেলাম
তোমার কাছে আটপৌড়ে জীবনের অচেনাচেনা পরিঘাত।
ছকবাঁধা সংজ্ঞাতে জীবন বাঁধতে পারবে না আর
আমার ছন্নছাড়া ঔদাসীন্যতাই হয় তো এর জন্য দায়ী।
তবু মনে রেখো আমি কোনো অস্তিত্বহীন স্বত্ত্বা নই
আমি এক দৃঢ় কন্ঠস্বর ।
বিবর্ণ ছায়া মরিচিকায়, লালসার অন্তিম তাড়নায়
একদিন তুমি সাঁতার শিখতে চাইলে আমারি কাছে
আমি তোমাকে সাঁতার শিখালাম
শেষমেষ আমাকেই ডুবিয়ে মারলে!
তোমাকে আমার সংজ্ঞায়ীত সভ্যতার
সুনির্দিষ্ট ফ্রেমে বন্দী করতে পারলাম না কিছুতেই।
হয়তো এটা,একটি ধারণা মাত্র, কল্পিত নরকের হুতাশন
অথবা একটি অবরুদ্ধ জিজ্ঞাসার প্রচণ্ড বারুদ।
অথবা ক্রোধাগ্নির এক জ্বলন্ত অঙ্গারে, বিশুদ্ধ অমৃত কোনো।
আমি কখনও মৃতিকা, কখনও ঝঞ্ঝা, কখনও বা প্রেয়সী
তুমি যতই আমাকে ডুবাতে চাও
তবু ডুবাতে পারবে না ক্লীবতার অসুস্থ শেকড়ে।
অগ্নিদীপ্ত চোখ সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিবে
যেখানে তোমার হৃদের গহীন
সেই ছোট ব-দ্বীপে একটি তেল রঙের ছবি
সেঁটে রেখেছি নিজের মতো
যা নিভৃতে আমার কথা সমরণ করিয়ে দেবে তোমাকে।
আজ নই কোনো একক স্বত্তার,
জাতীয়তাবাদী আমি নই , প্রগতি নই,
নই আধা কবি, দেশপ্রেমিকও নই ।
আমি আজ একজন রাষ্ট্রদ্রোহী, তবু মস্তিষ্কের কোণে
যেখানে মন নামে একটা ধুসর বস্তু আছে
সেখানে জমা রেখেছি দশটা পাঁচটা ভ্রষ্ট সামাজিক জীব
ভ্রষ্টাচারে ন্যুজ অসামাজিক ক্লীব- না কোন আপস নয়।
না আর কোনো কবিতা নয়, নয় কোনো সুখ কাব্য
আজ নষ্টদের অরণ্যে এক দ্রোহের দিন,
আজ মঙ্গল শোভাযাত্রাকে তছনছ করবার দিন।
আজ জ্বলে উঠবে দ্রোহের গনগনে আগ্নেয়গিরি
অসুস্থ জাগতিক অসভ্যতাকে গালিদেবার দিন এসেছে
আজ নষ্টদের অরণ্যে আমি এক পোষ না মানা, বাউন্ডুলে অসভ্য!
১২/৮/২০১৭
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রইস উদ্দিন খান আকাশ ১৬/০৮/২০১৭অনেক দিন পর একটি মনের মত কবিতা পড়লাম।
-
অর্ক রায়হান ১৩/০৮/২০১৭বেশ।
-
সাঁঝের তারা ১৩/০৮/২০১৭ভালো দ্রোহের কবিতা
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৩/০৮/২০১৭চলনসই
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১২/০৮/২০১৭ভালো।
-
ধ্রুবক ১২/০৮/২০১৭ভালো লেখাটি।
-
তীর্থের কাক ১২/০৮/২০১৭চমৎকার