্তোমায় নিমন্ত্রণ
একদিন সময় করে এসো, হে বন্ধুবর; এসো আমার গৃহে
আমার হাতে হাতটি রেখে দেখো আমার গ্রামটি ঘুরে।
এখানে কলার পাতা চামর দোলায়, সুখ-সারিরা কথায়
তোমার মাথার মুকুট হবে ঘাস ফুল বুনো লতা-পাতায়।
কাক ডাকা ভোরে শিউলি- বকুল কুড়াব দুজনে মিলে,
শাপলার হাসি দেখাতে তোমায় নিয়ে যাব আমি ঝিলে।
আপন মনে গাঁথব মালা, গাঁয়ের শ্যামলে মিলে মিশে
দোলনা দোদুল দোল খাওয়াব সোনালি ধানের শিষে।,,
বিল-জল, সীম মটরের ক্ষেত পায়ে পায়ে মিশে রবে
গামছা ছেকে মাছ ধরব ডুব সাঁতারে, কত মজা হবে।
শিশির ভেজা ঘাসের ডগায় দেখো ঘাসফড়িং এর মেলা,
ঘুরে ঘুরে তোমার সারা দিনমান সুখেই কাটবে বেলা।
সকাল-সাঁঝে ভদ্রার বুকে হাঁস হয়ে, আমরা ভেসে রব
বাওলা বাতাসে দিগন্তে হারাব তুমি আর আমি শংখ হব,
সারাটা অঙ্গে মেখে নিও তুমি সুধা কাদা মাটির ঘ্রাণ
পিউ-পাপিয়ার মধুর গানে; জুড়াইও তোমার প্রাণ।
কৃষ্ণচূড়ার তলায় বসে হারাব ছোট্ট বেলার দিনে
সেখান থেকে নিও তুমি তোমার হাজার স্মৃতি চিনে।
গাজর-মুলা, পুঁই-পালং কলাই-কুমড়া বুনশাকের সাথে
হাজার রকম পিঠা-পুলি পায়েস, দিবো তোমার পাতে
দেখাব তোমায় মোরগ লড়াই, ঘুড়ি কাটাকাটি,খেলা
খেলবো না হয় দুজন মিলে আবার সারাটা বেলা
পড়ন্ত বিকেলে বাঁশের বাঁশিতে ফের তুলব নতুন সুর
জোছনার জল গায় মেখে আমরা হারাব দূর বহুদূর।
বেনে বই এ বলবে ডেকে কুটুম এসেছে বসাও তারে
ওরে দুরান্ত সেই শৈশব-কৈশর যায় বুঝি অস্ত পারে।
মোরগ লড়াই, ঘুড়ি কাটাকাড়ি, কাবাডি কাবাডি খেলা
খেলার নিশায় আবার না হয় কেটে যাবে সারা বেলা।
নিশিতে শুনো ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী রুপ কথার গল্প কোন
আমার শ্যামল গাঁয়ে আসতে বন্ধু ভুলনা তুমি যেনো।
আমার হাতে হাতটি রেখে দেখো আমার গ্রামটি ঘুরে।
এখানে কলার পাতা চামর দোলায়, সুখ-সারিরা কথায়
তোমার মাথার মুকুট হবে ঘাস ফুল বুনো লতা-পাতায়।
কাক ডাকা ভোরে শিউলি- বকুল কুড়াব দুজনে মিলে,
শাপলার হাসি দেখাতে তোমায় নিয়ে যাব আমি ঝিলে।
আপন মনে গাঁথব মালা, গাঁয়ের শ্যামলে মিলে মিশে
দোলনা দোদুল দোল খাওয়াব সোনালি ধানের শিষে।,,
বিল-জল, সীম মটরের ক্ষেত পায়ে পায়ে মিশে রবে
গামছা ছেকে মাছ ধরব ডুব সাঁতারে, কত মজা হবে।
শিশির ভেজা ঘাসের ডগায় দেখো ঘাসফড়িং এর মেলা,
ঘুরে ঘুরে তোমার সারা দিনমান সুখেই কাটবে বেলা।
সকাল-সাঁঝে ভদ্রার বুকে হাঁস হয়ে, আমরা ভেসে রব
বাওলা বাতাসে দিগন্তে হারাব তুমি আর আমি শংখ হব,
সারাটা অঙ্গে মেখে নিও তুমি সুধা কাদা মাটির ঘ্রাণ
পিউ-পাপিয়ার মধুর গানে; জুড়াইও তোমার প্রাণ।
কৃষ্ণচূড়ার তলায় বসে হারাব ছোট্ট বেলার দিনে
সেখান থেকে নিও তুমি তোমার হাজার স্মৃতি চিনে।
গাজর-মুলা, পুঁই-পালং কলাই-কুমড়া বুনশাকের সাথে
হাজার রকম পিঠা-পুলি পায়েস, দিবো তোমার পাতে
দেখাব তোমায় মোরগ লড়াই, ঘুড়ি কাটাকাটি,খেলা
খেলবো না হয় দুজন মিলে আবার সারাটা বেলা
পড়ন্ত বিকেলে বাঁশের বাঁশিতে ফের তুলব নতুন সুর
জোছনার জল গায় মেখে আমরা হারাব দূর বহুদূর।
বেনে বই এ বলবে ডেকে কুটুম এসেছে বসাও তারে
ওরে দুরান্ত সেই শৈশব-কৈশর যায় বুঝি অস্ত পারে।
মোরগ লড়াই, ঘুড়ি কাটাকাড়ি, কাবাডি কাবাডি খেলা
খেলার নিশায় আবার না হয় কেটে যাবে সারা বেলা।
নিশিতে শুনো ব্যাঙ্গমা-ব্যাঙ্গমী রুপ কথার গল্প কোন
আমার শ্যামল গাঁয়ে আসতে বন্ধু ভুলনা তুমি যেনো।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রনব ১৩/০৮/২০১৭মনোরম পল্লীগাঁথা।
-
আহমাদ মাগফুর ১২/০৮/২০১৭লেখাটা নিয়ে বড় একটা মন্তব্য করা দরকার। কিন্তু আপাতত করা যাচ্ছে না। :-(
-
সাঁঝের তারা ১২/০৮/২০১৭আসতে তো হবেই - সুন্দর লেখা ...
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ১১/০৮/২০১৭অ সা ধা র ণ! অনেক ভালোলাগা।
-
এম এম হোসেন ১১/০৮/২০১৭ভাল লাগলো।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১১/০৮/২০১৭বহুদিন পরে মনে পড়ে পল্লীমায়ের কোল!
-
কাজী জুবেরী মোস্তাক ১১/০৮/২০১৭বেশ বেশ
-
মোনালিসা ১১/০৮/২০১৭খুব সুন্দর
-
দেবাশীষ দিপন ১১/০৮/২০১৭সুন্দর