স্বার্থ স্বজন ( উপন্যাস) পর্ব -২
নাবিলা ওর আপনজন থেকে ছিলো অনেক দূরে, সব থেকেও যেন কেউ ছিলোনা । নিলয়কে পাশে পেয়ে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছিলো। দু’জন দু’জনের দুঃখ সুখ ভাগাভাগি করে নিয়েছিলো। ওদের বন্ধুত্ব এতোটাই গভীর হয়ে উঠেছিলো যে একজন আরেক জনকে ছাড়া ভাবতেই পারতো না। নাবিলার স্পষ্ট মনে আছে সেবার কোলকাতা যাবার জন্য নিলয়ের সব আয়োজন শেষ। হঠাৎ নাবিলা ফোনে নিলয়কে জানালো সে অসুস্থ। এ খবর শুনে নিলয়ের মন খারাপ হয়ে উঠলো। প্রিয় বন্ধু অসুস্থ ওকে এই অবস্থয় ফেলে রেখে কি ভাবে দেশের বাইরে যাবে! ভাবনায় পড়ে যায় নিলয়।
নাবিলা বলে বন্ধু তুমি আমাকে নিয়ে ভেবোনা। আমি ভালো হয়ে যাবো, তুমি যাও তোমার যাত্রা শুভ হোক।
পাঁচ দিনের কাজ তিন দিনে শেষ করে নিলয় ফিরে আসে দেশে। বন্ধুর জন্য বন্ধুর এতোটা উদার ভালোবাসা হতে পারে! কিন্তু একি নিলয়-নাবিলার ভালোবাসার গভীরতা যত বেশি হতে থাকে খুনশুটির পরিমান ও যেত তত বেড়ে যায়। খুটিনাটি বিষয় নিয়েই ওদের মাঝে শুরু হতো খুনশুটি । বন্ধ হতো কথা বলাবলি। ওদের দেখা হতো খুবই কম । কারণ দু’জন থাকতো দু’প্রান্ত। যোগাযোগ যা হতো তা সবই মোবাইল ফোন, ফেজবুক বা ইমুতে। হঠাৎ একদিন হাত থেকে পড়ে ভাঙ্গে যায় নাবিলার স্মার্ট ফোনটি। ফেসবুক আর ইমু বন্ধ হয়ে যায় কিছুদিনের জন্য নাবিলা নরমাল একটি ফোন নেয় সবার সাথে যোগাযোগের জন্য। তারপর থেকে কথা যা হবার তা সবই হতো ফোনে। অনেক দিন দেখা হয়নি ওদের, প্রায় তিন মাস। কথার পরিমান ও ছিলো খুব কম।
না খুনশুটি জনিতো কারণে নয়। নিলয় ব্যবসায়ী মানুষ। ব্যবসার জন্য ছুটে ফেরে দেশের এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত। নাবিলা ফ্যাসান ডিজাইনারে লেখাপড়া শেষ করেছে। চাকরী নাবিলার কোন দিনই পছন্দ না তাই সে চেষ্টা কোন দিন করেনি। ব্যবসার প্রতি ছিল তার প্রচুর দুর্বলতা। কিন্তু সাহসে কুলায়নি কোন দিন অতো বড় কাজে নামার। অবশ্য একবার বুটিক্সের কাজ শুরু করেছিলো কোন কারণে মাঝ পথে তা থেমে যায়।নিলয়ের সাথে পরিচয় হবার পর সব শুনে নিলয় ওকে উৎসাহ যোগায়। বলে ব্যবসাটা আবার শুরু করতে হবে। সহযোগিতা যা লাগে আমিই করবো। কিন্তু ব্যবসা শুরু করবে কেমন করে? ব্যবসা করতে হলে চাই নগদ ক্যাশ কিন্তু পাবো কোথায়? তখন অর্থ সংকটে ভুগছিলো নাবিলা ।..................।।চলবে
নাবিলা বলে বন্ধু তুমি আমাকে নিয়ে ভেবোনা। আমি ভালো হয়ে যাবো, তুমি যাও তোমার যাত্রা শুভ হোক।
পাঁচ দিনের কাজ তিন দিনে শেষ করে নিলয় ফিরে আসে দেশে। বন্ধুর জন্য বন্ধুর এতোটা উদার ভালোবাসা হতে পারে! কিন্তু একি নিলয়-নাবিলার ভালোবাসার গভীরতা যত বেশি হতে থাকে খুনশুটির পরিমান ও যেত তত বেড়ে যায়। খুটিনাটি বিষয় নিয়েই ওদের মাঝে শুরু হতো খুনশুটি । বন্ধ হতো কথা বলাবলি। ওদের দেখা হতো খুবই কম । কারণ দু’জন থাকতো দু’প্রান্ত। যোগাযোগ যা হতো তা সবই মোবাইল ফোন, ফেজবুক বা ইমুতে। হঠাৎ একদিন হাত থেকে পড়ে ভাঙ্গে যায় নাবিলার স্মার্ট ফোনটি। ফেসবুক আর ইমু বন্ধ হয়ে যায় কিছুদিনের জন্য নাবিলা নরমাল একটি ফোন নেয় সবার সাথে যোগাযোগের জন্য। তারপর থেকে কথা যা হবার তা সবই হতো ফোনে। অনেক দিন দেখা হয়নি ওদের, প্রায় তিন মাস। কথার পরিমান ও ছিলো খুব কম।
না খুনশুটি জনিতো কারণে নয়। নিলয় ব্যবসায়ী মানুষ। ব্যবসার জন্য ছুটে ফেরে দেশের এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত। নাবিলা ফ্যাসান ডিজাইনারে লেখাপড়া শেষ করেছে। চাকরী নাবিলার কোন দিনই পছন্দ না তাই সে চেষ্টা কোন দিন করেনি। ব্যবসার প্রতি ছিল তার প্রচুর দুর্বলতা। কিন্তু সাহসে কুলায়নি কোন দিন অতো বড় কাজে নামার। অবশ্য একবার বুটিক্সের কাজ শুরু করেছিলো কোন কারণে মাঝ পথে তা থেমে যায়।নিলয়ের সাথে পরিচয় হবার পর সব শুনে নিলয় ওকে উৎসাহ যোগায়। বলে ব্যবসাটা আবার শুরু করতে হবে। সহযোগিতা যা লাগে আমিই করবো। কিন্তু ব্যবসা শুরু করবে কেমন করে? ব্যবসা করতে হলে চাই নগদ ক্যাশ কিন্তু পাবো কোথায়? তখন অর্থ সংকটে ভুগছিলো নাবিলা ।..................।।চলবে
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Saurav Goswami ১৩/০৮/২০১৭ভাল হচ্ছে ।
-
আব্দুল হক ১০/০৮/২০১৭অনেক সুন্দর লিখা!!
-
তীর্থের কাক ০৯/০৮/২০১৭বেশ।চমৎকার