www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

এভাবেই হারিয়ে যায় কথারা (ছোট গল্প)

খুব চাপা শান্ত সভাবের মেয়ে কথা। ও যেন ঠিক মেহেদী পাতার মত। ওপরটা সবুজে সবুজ ভেতরটা রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত। তবু মাঝে মাঝে পাগলামী করতে খুব ভাল লাগে কথার। বছর তিনেক আগে আবিরের সাথে পরিচয় হয় । রিমঝিম বৃষ্টি মুখর শ্রাবণের অপরূপ সকাল। সাটার বন্ধ একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আবির কথার অপেক্ষায়। যদিও ওটাইছিলো ওদের প্রথম দেখা তবু কেউ কাউকে চিনতে এতোটুকু কষ্ট হলো না। ওদের দেখাটা প্রথম হলেও ওদের কথা হয়ছে সেল ফোনে বহুবার একে অপরের ছবি দেখেছে ফেসবুকে।

কথার রিক্সা এসে থামতেই আবির এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে দেয়। কথাও মিষ্টি হেসে বাড়িয়ে দেয় হাত। প্রথম দেখা তবু যেন জনম জনমের চেনা। দোকানের ছাউনীর নিচে দাঁড়িয়ে রুমাল দিয়ে মাথা মুখ মুছতে মুছতে কথা বলে ‘কেমন আছেন’? একই সাথে বেরিয়ে আসে আবি্রের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে ‘কেমন আছেন’। দু’জনের হেসে ওঠে তারপর আবির বলে এটা কি হলো একই সাথে একই শব্দ বেরিয়ে আসে কথার মুখ থেকে ‘এটা কি হলো’? আবার হেসে ওঠে দুজন। কিছুক্ষণ চুপ থেকে কথা বলে কথা রাখার জন্য ধন্যবাদ। একই সাথে আবির ও বলে ওঠে কথা রাখার জন্য ধন্যবাদ।

পরপর তিনটা শব্দ একই সাথে উচ্চারিত হয় দু’জনের মুখ থেকে। কথা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে আর মনে মনে বলে এমন কেন হচ্ছে। একই সাথে দু’জনের কথা মিলে যাচ্ছে । না আর কোন কথা বলবো না। আবির ও ঠিক একই কথা ভাবে মনে মনে। দু’জনেই চুপ। কিছুক্ষণ পর আবির বলে ‘ ভিজে একে বারে কাক ভেজা হয়ে গেছেন। ঠাণ্ডা লেগে যাবে। নাহ এই বৃষ্টির মধ্যে পাগলামী করাটা আমার ঠিক হয়নি।
- ছি ছি নিজেকে কেন দোষারোপ করছেন? আমি বলেছিলাম বলেই তো আপনি আজ এখানে এভাবে বৃষ্টিতে ...। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমার কথা রাখার জন্য।
- ধন্যবাদ তো আপনারই পাওনা।
- আমার পাওনা?
- জ্বি ম্যাডাম। সত্যি আমি ভাবিনি আপনি এভাবে আমার ডাকে এভাবে বৃষ্টিতে ভিজে প্রে ছুটে আসবেন..।
- না ভাবার কারণ?
- জানিনা।
- এখন তো বিশ্বাস করেছেন? নাকি এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না?
- এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে।
- তাই না? তাহলে চিমটি কেটে দেখতে পারেন।
কথা এক ঝিলিক মিষ্টি হাসি ছড়িয়ে দিয়ে ভিজা চুল আঙ্গুল দিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকে কথা। আবির অপলক তাকিয়ে থাকে কথার দিকে। ও কেন এতো স্নিগ্ধ, এতো কোমলাতায় ভরা...।
-হা হা হা , তাই দেখতে হবে।

- কি হলো, অমন হা হয়ে কি দেখছেন?
- তোমাকে?
- আমাকে? আমাকে আবার দেখার কি আছে?
-এতো সুন্দর তুমি, আগে বুঝিনি তো?
-কথা বলে কি আর মানুষের সৌন্দয্য বোঝা যায়?
-ছবি তো দেখেছি।
-এবার যেতে হবে।
-এখনি? বৃষ্টি কমেছে চলো ওপাশের ওই চায়ের দোকানটাতে যাওয়া যাক। শরীরে যে ঠাণ্ডাটা বসেছে চা খেলে কেটে যাবে কিছুটা।
-ওপাশের চায়ের দোকানে?
-কেন, আপত্তি...
-না আপত্তি নেই, ওকে চলেন।

চা দোকান থেকে চা খেয়ে দু’জন পাশাপাশি হাঁটতে থাকে। আবির বলে আমি মনে হয় কাজটা ঠিক করলাম না।
-মানে?
-মানে এভাবে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে তোমাকে নেওয়া মোটেও ঠিক হয়নি।
-ঠিক হবে না কেন? এখানে তো আপনার বাড়ি না যে বাড়িতে নিয়ে আপ্যায়ন করবেন। উচিৎ ছিলো আমার বাসায় আপনাকে নেওয়া আমি বরং অভদ্র আচারণ ...।
-না না ঠিক আছে। আমি যাব তোমার বাসায় কিন্তু তার আগে তোমাকে আমার বাড়ি যেতে হবে?
-তাই বুঝি?
-হিম তাই।
-যদি বিধাতার হুকুম হয়।
হাঁটতে হাঁটাতে একটা ফাস্ট ফুডের দোকান বাধে। আবির বলে
-চলো ওখানে বসে কিছু খাওয়া যাক।
-থাক ওখানে ঢুকে কাজ নেই বরণ হাঁটতে হাঁটতে কথা বলতেই ভালো লাগছে।
-কি ম্যাডাম, খাওয়াতে ভয় পাচ্ছ নাকি? তোমাকে খাওয়াতে হবে না। টাকাটা আমি দিবো।
লজ্জায় লাল হয়ে যায় কথার মুখ।
-ছি ছি কিযে বলেন না। আমি ভীষণ লজ্জিত। আপনাকে দাওয়াত করে এনে এভাবে ...
-থাক আর লজ্জা পেতে হবেনা। চলো, পেট আর মানতে চাইছে না।
মুখোমুখি দুটি চেয়ারে বসে দু’জন। বয় কে ওয়ার্ডার দেয়খাবারের জন্য খাওয়া শেষ বিল দিতে যায় ছবি কিন্তু তার আগেই আবির পরিশোধ করে দিয়েছে। আবার হাঁটতে থাকে দুজন পাশাপাশি। প্রশ্ন করে কথা
-ছেলে মেয়ে ক’জন?
-এক ছেলে।
-ভাবি খুব সুন্দর তাই না?
- সুন্দর তাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম কিন্তু তোমার রুপের কাছে সে কিছুই না।
-যাহ কি যে বলেন না। আমি আবার সুন্দর নাকি?
-ফুল কি জানে সে কতটা সুন্দর। ফুলের সৌন্দয্য জানে ভ্রমর।
-আজ চলি অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে সময় দেবার জন্য।
-চলে যাবে, সাহেব কি করে, ছেলে মেয়ে কয়জন কিছুই জানা হলোনা।
-এক মেয়ে, সাহেব নাই।
-নাই মানে?
=চলে গেছে।
-মানে!
-মানে সে নতুন জীবন শুরু করেছে ফের।
-তুমি কেন বসে আছ?
-মনের মত কাউকে পাইনি তাই?
-পেলে করবে নাকি?
-ভেবে দেখবো।
- সামনে দাঁড়ানো এই সুদর্শনকে কি পছন্দ হয় না।
-কেন হবে না। কিন্তু সেতো বুক হয়ে আছে।
-খালি করে নেওয়া যাবে।
-অতটা স্বার্থপর তো আমি নই। আমারি সুখের জন্য কারো সুখ জলাঞ্জলী দিবো। আর আপনি তাকে ভালোবেসেই বিয়ে করেছেন তবু এ কথা...

বন্ধুত্বের সম্পর্কের বহুদিন হলো নিঃসঙ্গ একলা জীবন তবু বলা হলো না আবির আমি তোমাকে ভালবাসি।
আবির এখন অনেক ধূর্ত হয়ে গেছে কিভাবে ভালবাসি কথাটা শুনতে হবে তার অনেক কায়দা শিখেগেছে। সেদিন আবির বাড়িতে বসেই কথাকে ইমোতে কল দিয়ে বলে আমি
-এখন খুলনাতে। তুমি চাইলে আমার সাথে দেখা করতে পারো

আবির জানে, কথা আবিরকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে। কথা কখনই আবিরের বাড়িতে যাইনি তাই আবিরের ঘর বাড়ি সম্পার্কে কোন ধারণা নেই । যদিও আবিরের বাড়ি শহর থেকে বহুদূরে তবু শহরের সাথে তাল মিলিয়ে চলে আবির। ঘরের সব রুমে টাইলস আছে কিনা জানিনা তবে ডাইনিং রুমটাতে সুন্দর করে টাইলস বসিয়েছে, বোঝার উপায় নেই যে এটা শহর না গ্রাম।
তাই কথাও বিশ্বাস করে নিয়েছিলো আবির সত্যি শহরে এসেছে। আর আবিরকে একজনর দেখার জন্য কথা অস্থির থাকে। কথা বলল ‘তো চলে এসো দেখা করি কোথাও’।
-আসতে পারি তুমি যদি একবার বলো আবির আমি তোমাকে ভালোবাসি।

আবির জানতো কথা কখনোই এই কথাটা বলবে না।
আবির কেন তুমি বারবার আমার মুখ থেকে ওই শব্দ শুনতে চাও? সব কথা কি মুখে বলতে আছে? কেন বোঝনা তুমি?
কথা ফোনটা বন্দ করে রাখে। দু’তিন দিন পর আবির বলে আমি রোড় এক্সিডেন্ট করেছি। আবিরের এক্সিডেন্টের কথা কথাকে ভীষণ বিচলিত করে তোলে।
কথা বলে আমি আসছি আবির।
-কোথায়?
-তোমার ওখানে।
-কেন?
তুমি তো বললে তুমি এক্সিডেন্ট করেছ।
-তো কি হয়েছে?
-কিছুই হয়নি?তুমি এক্সিডেন্টট করেছ আর আমি সেটা যেনেও চুপকরে বসে থাকবো তাই কি হয়।
-না তুমি আমার এখানে আসবে না।
-আমি যাবো আবির। তোমার কোন বাঁধাই আমাকে আজ আটকাতে পারবেন না।

কথা আবিরের বাড়িতে যায় আবির তখন বাড়িতে ছিলোনা। আবিরের ঘর-বাড়ি দেখে কথার চোখে ভেসে ওঠে ইমোতে কথা বলার সময় যে ঘরের আসবাপ পত্র দেখেছে সেই সব। আবির তাহলে মিথ্যা বলতো ভালোবাসি এই কথাটা শোনার জন্য!!!
না আবির এটা মোটেও ঠিক করেনি। আর দেরি নয় আবির আসার আগেই এখান থেকে চলে যেতে হবে। তড়িঘড়ি বেরিয়ে পড়ে কথা, তবু পথে আবিরের মুখোমুখি হয়ে যায়।

আবিরের দিকে তাকিয়ে এক ঝলক হাসি ছড়িয়ে দিয়ে ড্রাইভারকে বলে চলো ভাই। কথা ভাবতে থাকে আবির কি সত্যি আমাকে ভালোবাসে নাকি ... ধ্যাৎ কিসব আবোল তাবোল ভাবছি ও আমাকে সত্যি ভালোবাসে তানা হলে কেন এতো বাহানা করবে! ... কিন্তু আমি নারী হয়ে আরেক নারীর কান্নার কারণ কিভাবে হই। আবিরের সাথে আর কোনদিন যোগাযোগ রাখা ঠিক হবে না। কিন্তু আমি আবিরকে ভুলবো কেমন করে? নানান কথা ভাবতে থাকে কথা। এগিয়ে চলে গাড়ি সামনে থেকে সামনে। এক সময় কথার ফোন বেজে ওঠা। ফোনটি ছিলো আবিরের।
-হ্যালো।
-হ্যালো কথা কোথায় তুমি?
-আমি তো চলে এসেছি আবির?
-মানে?
-মানে আমি চলে এসেছি।
-তুমি না আমাকে দেখতে এসেছিলে?
-হ্যাঁ আবির।
-তাহলে আমাকে না দেখেই তুমি কেমন করে চলে যাও?
-তোমাকে দেখেছি তো আবির। দু’চোখ ভরে দেখেছি। যত তৃষ্ণা ছিলো মনে সব মিটিয়ে নিয়েছি।
-কখন দেখলে?
-কেন, তোমার বাড়ি থেকে বের হতেই তো দেখা হলো তোমার সাথে। তুমি খুব ভাগ্যবান আবির। নীলার মত একজন স্ত্রী তোমার পাশে আছে।
-কথা।
-হুম।
-এখন কোথায় তুমি?
-জানিনা।
-কিসে যাচ্ছ তুমি?
-ওটো রিক্সায়। জানো বহুকাল পর আজ গ্রামের প্রকৃতি দেখলাম ভীষণ ভালোলাগছে।
-ফোনটা ওটোওয়ালাকে দাও তো।
-কেন?
-আহ প্রশ্ন কেন করো? যা বলছি তাই করো না।
-আচ্ছা, এই যে ভাই একটু কথা বলেন তো।
আবিরের কথা হয় ওটোওয়ালার সাথে । ওটোওয়ালা থামিয়ে দেয় ওটো ।
-কি হলো ভাই ওটো কেন থামালে?
-উনি আমাকে এখানে দাঁড়াতে বলেছেন। উনি আসছেন।
- না না ভাই তুমি গাড়ি ছেড়ে দাও। অনেক দূরে আমাকে যেতে হবে।
-কিন্তু।।
-কোন কিন্তু নয় চলো ভাই।
ওটো ড্রাইভার আমতা আমতা করতে থাকে। কারণ আবিরের এলাকায় বেশ প্রভাব আছে। আর ওটো ড্রাইভাব ওদের এলাকারই। তাই সংশয় কাজ করছে তার মনে। ওটো একটা ব্রিজের কোণায় দাঁড়ানো। কথা ওটো থেকে নেমে ব্রিজের কার্ণিসে দাঁড়িয়ে নদী দেখবে বলে। হঠাৎ একটা গাড়ি ছুটে এসে কথাকে ধাক্কা দেয় কথা পড়ে যায় সঙ্গে সঙ্গে। মাথা ফেটে প্রচুর রক্ত ঝরতে থাকে। কি করবে ওটোওয়ালা দিশে পায়না। নিজেকে অপরাধী ভাবতে থাকে। মাজা থেকে গামছা খুলে কথার মাথায় বাঁধে কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যে আবির সেখানে এসে পৌঁছায়। নিস্তেজ হয়ে আসছে কথার শরীর। এই মর্মান্তি দৃশ্য কিছুতেই মেনে নিতে পারেনা আবির। রাস্তার মাঝখানে বসে পড়ে কথাকে কোলে টেনে নেয় আবির। কান্না জড়িতো কণ্ঠে বলে ‘এটা কি হলো কথা? এমন তো কথা ছিলোনা’। অনেক কষ্ট হচ্ছে তবু স্নিগ্ধ হেসে বলে ‘আবির আমার একটা কথা রাখবে’?
-তোমার সব কথা আমি রাখবো আগে তুমি সুস্থ হয়ে ওঠো তারপর তোমার সব কথা শুনবো।
=আমার হাতে সময় নেই আবির। তুমি অস্থির হয়োনা। আমার কথাটা মন দিয়ে শোনো। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আবির। আমি তোমাকে আমার জীবনের চেয়েও অনেক বেশি ভালোবাসি। আবির আমার কলির তো আমি ছাড়া আর কেউ নেই। আজ আমিও চলে যাচ্ছি ও বড় একা হয়ে গেলো। আমি আমার ভালোবাসার দাবি নিয়ে আজ একটা অনুরোধ করছি তোমাকে। আজ থেকে আমার কলির সকল দায়িত্ব তোমাকে নিতে হবে।
কথার চোখে মুখে চুমো খেতে থাকে আবির। চুপকরো কথা চুপ করো। তোমার কিচ্ছু হবে না। আমি থাকতে তোমার কিছু হতে পারেনা কথা। কথা, এই একটা কথা তোমার মুখ থেকে শুনবো বলে তোমাকে কত মিথ্যাই না আমি বলেছি। আমাকে ক্ষমা করো কথা। আজ আমারই জন্য তোমার এই অবস্থা।
-ছি আবির অমন করে বলতে নেই। তোমার বউ নীলা বড় লক্ষ্মী মেয়ে। আমি হয়তো আমার সুখের জন্য তোমার গলায় ঝুলতে পারতাম কিন্তু আমার বোন নীলার কি হতো বলোতো। নীলাও তো তোমার ভালোবাসা।
-কারো জন্য আমার ভালোবাসার ঘাটতি হতোনা কথা।
-আবির, স্বামীর ভাগ, প্রেমিকের ভাগ কেউ কখনো কাউকে দিতে চায়না।
-আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন। তুমি আমার কলিকে তোমার ছেলের বউ করে নিও। আমার আত্মা শান্তি পাবে। আমি ওপারে গিয়ে নিশ্চিন্তে থাকতে পারবো যে আমার ভালোবাসার হেপাযতে আছে আমার নাড়িছেড়া ধন। আবির রাখবে না আমার এই সামান্য কথাটা।

-তোমার সব কথা রাখতে আমি প্রস্তুত কথা। তুমি এখন একটু শান্ত হও আমি আর পারছিনা । আমার বুকে যে প্রচণ্ড ব্যথা করছে। লক্ষ্মী আমার সোনা আমার। কথা বলো কথা, চুপ করে থেকোনা প্লিজ কথা বলো, কথা বলো, কথা বলো, ...।

কথাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আবির। আবিরের বুকের গভী্র থেকে নিংড়ালো ভালোবাসার পরশ নিয়ে আবিরের বুকে শান্তিতে ঘুমিয়ে যায় কথা। কথার ঘুম আর কোন দিন ভাঙ্গবেনা।
( সমাপ্ত)
11 জন ব্যক্তি পৌঁছেছেন
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৭৮০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৯/০৭/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast