সবুজ বাংলা চাই - পর্ব ৩
রাকেশ আর রাকেশের কাজিন রাব্বি,মাহিনকে এগিয়ে দিতে যায়।সিজার করে রাকেশের ভাবীর মেয়ে হয়। ডাক্তার সিস্টারকে বলেন এই রোগীর লোকজন কোথায় সিস্টার?
সিস্টার- বাইরে আছে স্যার।
ডাক্তার- ডাকুনতাদের।
সিস্টার বেরিয়ে যায় এবং পরক্ষনে ফিরে আসে।রোগীর লোক এসে সালামদেয় ডাক্তারকে।
ডাক্তার-ওয়ালাইকুম আসসালাম।রোগী আপনার কে হন?
রোগীর লোক- আমার ।
ডাক্তার- বাড়ির আশ পাশেকি কোনো কলকারখানা আছে?
রোগীর লোক- জ্বি আছে।
ডাক্তার- হুম
রোগীর লোক- খারাপ কিছু ডাক্তার সাহেব?
ডাক্তার- আপনারা যে পরিবেশে থাকেন সেখানে বাতাসে কার্বন্ডাঅক্সাইডে পরিমান খুব বেশি।যা মা এবং বাচ্চাটার জন্য ভীষন ক্ষতি কর।আমাদের দেশ সবুজ শ্যামল এই বাংলাদেশ দিনে দিনে কংক্রটের হয়ে যাচ্ছে।সবুজ যেন বিলিন হয়ে যাচ্ছে।বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের কারখানা। কারখানার কালো ধোঁয়া পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এযে কত বড় অভিশাপের হয়ে উঠছে কেউ তা ভাবতেও পারছিনা।যা বলছিলাম রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো না।উনার এবং বাচ্চার দুজনের জন্য উনাকে সবুজ উদ্যানের কোনো নির্মল পরিবেশে কিছুটা দিন রাখতে হবে।
মাহিনকে নিয়ে এগিয়ে যায় মাহেন্দ্রা পথে তখনও অপেক্ষমান অভি ও তার দল।মাহিনের চোখের পাতায় পাতা নামের মেয়েটির মুখ বারবার ভেসে ওঠে।একটা বস্তির মেয়ে।অথচ মহানসৃষ্টিকর্তা তাকে কি অসাধারণ ক্ষমতার অধীকারি করে দিয়েছেন। মেয়েটিকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে হবে।ও যে ভাবে দৈববাণী বলতে পারে তাতে যদি কেউ জেনে ফেলে তো ওরজীবনের ঝুকি এসে যাবে। বিষয়টি নিয়ে বাবা-মার সাথে আলোচনা করা প্রয়োজন।
রাতে খাবার টেবিলে বসেছে সবাই। মাহিন তখনও আসেনি টেবিলে।মা ডাকতে থাকেন
- মাহিন এই মাহিন কি হলো আসছিস না কেনো?
মাহিন ওয়াশরুম থেকে গলা হাকে- আসছি মাম্মী একটু অপেক্ষা করো ফ্রেস হচ্ছি।
মাহিনের জন্য সবাই অপেক্ষায় আছে।মাহিন এসে খাবার টেবিলে বসে।
মা বলেন- তোর গায়ে এভাবে কাঁদা মাটি কি ভাবে লাগলো? তখন জিজ্ঞেস করলাম কিছু বললি না এখন তো ফ্রেস হয়ে এসেছিস এখন বল।
প্লেটে ভাত নিতে নিতে মাহিন বলে জানো মা।গতকাল সাব্বির নামে একটা ছেলের সাথে আমার পরিচয় হয়।শিশু শ্রমিক ও।ছেলেটি খুব মেধাবী কিন্তু লেখাপড়ার কোনো সুযোগ নেই।ওর সাথে কথা বলে জানতে পারলাম ওরা সংখ্যায় ১০/১২ জন।আমি ওকে বললাম আমি যদি তোমাদের লেখাপড়া শিখাই শিখবে তোমরা? ছেলেটি আনন্দে লাফিয়ে উঠলো।পরক্ষণে আবার মন খারাপ করলো।আমি বললাম কি হয়েছে মন খারাপ হয়ে গেলো কেনো।ছেলেটি বলল ভাইজান আমি এইদোহানে চারকী করি কেমনে শিখুম? আর আমার বন্ধুরা তো সব পাতা কুড়ানী। ক্যাডায় কোয়ানে থায়ে ...
মা- এই তোকে ওদের ভাষা নকল করে কথা বলতে হবে না।যা বলার সংক্ষেপে বল আমার কাজ আছে।
মাহিন- মা পুরটা না শুনলে তো তুমি বুঝতে পারবে না এর আসল রহস্য।
মা-তোমার রহস্য বুঝে আমার কাজনেই তুমি তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ কর।
মাহিনের মন খারাপ হয়।খাওয়া রেখে উঠে দাঁড়ায় মাহিন 'মা' বলেন- কি হলো উঠলি কেন,খাওয়া শে ষকর।
মাহিন- না 'মা' আমার খেতে ইচ্ছে করছেনা।
মাহিনের বাবা বলে- আহ মালিহা ছেলেটা কি বলতে চাইছে শোনো না অত অধরয্য হলে কি চলে।বলো বাবা আমি শুনব তোমার 'মা' না শুনলেও।
মাহিন- আমি বললাম এক সাথে ওদের কখনোই কি পাওয়া যাবেনা? ছেলেটি বলল 'হ' যাইব রোজ বিহেল বেলা আমরা ওই যে নদীর পড়ে ঠান্ডুবিবির মাঠ আছে না আমরা সবাই ওই মাঠে খেলবা রযাই।আমি বললাম বেশ তবে আমি সেখানেই যাব আমি ওতো ওখানে মাঝে মাঝে খেলতে যাই,তুমি সবার সাথে কথা বলবো।আজ বিকেলে আমি ওদের সাথে দেখা করতে যাই।সেখানে পাতা নামের ছোট্ট একটা মেয়ে মাঠের এক পাশে যে বড় বটগাছ আছে সেটা ধরে কাঁদছিলো।ওর সাথে কথা বললাম।বললাম তুমি কাঁদছ কেন কি হয়েছে তোমার? কেউ কি মেরেছে তোমাকে? ও না সূচক মাথা নাড়ে।আবার প্রশ্ন করি,কেউ বকেছে? তাও না সুচক উত্তর আসে। বললাম তবে কাঁদছ কেন? তখনও বলল আমার বন্ধুরে কাইটা ফালাইব। আমি বললাম কারা কাটবে তোমার বন্ধুকে? ও বলল কইতে পারি না হয়ে ঘ্যাচ ঘ্যাচ কইরা বন্ধুরে কাটতাছে কারা জানি আমি তা দেখবার পারতাছি।মেয়েটির কথা আমার প্রথমে বিশ্বাস হয়েনি। কিন্তু ওর বলা কথাগুলো যখন আমার বেলায় অক্ষরে অক্ষরে খেটে গেলো তখন বিশ্বাস না করে উপায় কি বলো।
মাহিনেরমা- চোখ কপালে তুলে বলেএই তুই এসব কি বলছিস?কিসাঙ্গাতিককথারে বাবা। শোন কাল তুই ঘরের বাইরে যেতে পারবিনা।আর তুমি পুলিশকে জানাও আমার ছেলের জীবন নিয়ে টানাটানি।
মাহিন- কি বলছ মাম্মী বাইরে যাব না?বাইরে না গেলে আমি বন্ধুদের সাথে কি ভাবে মিটিং করব? গাছটাকে বাঁচাতে হবে, বাঁচাতে হবে পরিবেশ।
মাহিনের বাবা বলেন- কাল আমি তোদের মিটিং এ থাকব। আমার সাথে ামি আমার দু'তিন জন কলিককে নিয়ে যাব।
মাহিনের মা বলেন-ঠিক আছে আমিও যাবো তোর মিটিং এ থাকব।
সিস্টার- বাইরে আছে স্যার।
ডাক্তার- ডাকুনতাদের।
সিস্টার বেরিয়ে যায় এবং পরক্ষনে ফিরে আসে।রোগীর লোক এসে সালামদেয় ডাক্তারকে।
ডাক্তার-ওয়ালাইকুম আসসালাম।রোগী আপনার কে হন?
রোগীর লোক- আমার ।
ডাক্তার- বাড়ির আশ পাশেকি কোনো কলকারখানা আছে?
রোগীর লোক- জ্বি আছে।
ডাক্তার- হুম
রোগীর লোক- খারাপ কিছু ডাক্তার সাহেব?
ডাক্তার- আপনারা যে পরিবেশে থাকেন সেখানে বাতাসে কার্বন্ডাঅক্সাইডে পরিমান খুব বেশি।যা মা এবং বাচ্চাটার জন্য ভীষন ক্ষতি কর।আমাদের দেশ সবুজ শ্যামল এই বাংলাদেশ দিনে দিনে কংক্রটের হয়ে যাচ্ছে।সবুজ যেন বিলিন হয়ে যাচ্ছে।বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের কারখানা। কারখানার কালো ধোঁয়া পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এযে কত বড় অভিশাপের হয়ে উঠছে কেউ তা ভাবতেও পারছিনা।যা বলছিলাম রোগীর শারীরিক অবস্থা ভালো না।উনার এবং বাচ্চার দুজনের জন্য উনাকে সবুজ উদ্যানের কোনো নির্মল পরিবেশে কিছুটা দিন রাখতে হবে।
মাহিনকে নিয়ে এগিয়ে যায় মাহেন্দ্রা পথে তখনও অপেক্ষমান অভি ও তার দল।মাহিনের চোখের পাতায় পাতা নামের মেয়েটির মুখ বারবার ভেসে ওঠে।একটা বস্তির মেয়ে।অথচ মহানসৃষ্টিকর্তা তাকে কি অসাধারণ ক্ষমতার অধীকারি করে দিয়েছেন। মেয়েটিকে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে হবে।ও যে ভাবে দৈববাণী বলতে পারে তাতে যদি কেউ জেনে ফেলে তো ওরজীবনের ঝুকি এসে যাবে। বিষয়টি নিয়ে বাবা-মার সাথে আলোচনা করা প্রয়োজন।
রাতে খাবার টেবিলে বসেছে সবাই। মাহিন তখনও আসেনি টেবিলে।মা ডাকতে থাকেন
- মাহিন এই মাহিন কি হলো আসছিস না কেনো?
মাহিন ওয়াশরুম থেকে গলা হাকে- আসছি মাম্মী একটু অপেক্ষা করো ফ্রেস হচ্ছি।
মাহিনের জন্য সবাই অপেক্ষায় আছে।মাহিন এসে খাবার টেবিলে বসে।
মা বলেন- তোর গায়ে এভাবে কাঁদা মাটি কি ভাবে লাগলো? তখন জিজ্ঞেস করলাম কিছু বললি না এখন তো ফ্রেস হয়ে এসেছিস এখন বল।
প্লেটে ভাত নিতে নিতে মাহিন বলে জানো মা।গতকাল সাব্বির নামে একটা ছেলের সাথে আমার পরিচয় হয়।শিশু শ্রমিক ও।ছেলেটি খুব মেধাবী কিন্তু লেখাপড়ার কোনো সুযোগ নেই।ওর সাথে কথা বলে জানতে পারলাম ওরা সংখ্যায় ১০/১২ জন।আমি ওকে বললাম আমি যদি তোমাদের লেখাপড়া শিখাই শিখবে তোমরা? ছেলেটি আনন্দে লাফিয়ে উঠলো।পরক্ষণে আবার মন খারাপ করলো।আমি বললাম কি হয়েছে মন খারাপ হয়ে গেলো কেনো।ছেলেটি বলল ভাইজান আমি এইদোহানে চারকী করি কেমনে শিখুম? আর আমার বন্ধুরা তো সব পাতা কুড়ানী। ক্যাডায় কোয়ানে থায়ে ...
মা- এই তোকে ওদের ভাষা নকল করে কথা বলতে হবে না।যা বলার সংক্ষেপে বল আমার কাজ আছে।
মাহিন- মা পুরটা না শুনলে তো তুমি বুঝতে পারবে না এর আসল রহস্য।
মা-তোমার রহস্য বুঝে আমার কাজনেই তুমি তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ কর।
মাহিনের মন খারাপ হয়।খাওয়া রেখে উঠে দাঁড়ায় মাহিন 'মা' বলেন- কি হলো উঠলি কেন,খাওয়া শে ষকর।
মাহিন- না 'মা' আমার খেতে ইচ্ছে করছেনা।
মাহিনের বাবা বলে- আহ মালিহা ছেলেটা কি বলতে চাইছে শোনো না অত অধরয্য হলে কি চলে।বলো বাবা আমি শুনব তোমার 'মা' না শুনলেও।
মাহিন- আমি বললাম এক সাথে ওদের কখনোই কি পাওয়া যাবেনা? ছেলেটি বলল 'হ' যাইব রোজ বিহেল বেলা আমরা ওই যে নদীর পড়ে ঠান্ডুবিবির মাঠ আছে না আমরা সবাই ওই মাঠে খেলবা রযাই।আমি বললাম বেশ তবে আমি সেখানেই যাব আমি ওতো ওখানে মাঝে মাঝে খেলতে যাই,তুমি সবার সাথে কথা বলবো।আজ বিকেলে আমি ওদের সাথে দেখা করতে যাই।সেখানে পাতা নামের ছোট্ট একটা মেয়ে মাঠের এক পাশে যে বড় বটগাছ আছে সেটা ধরে কাঁদছিলো।ওর সাথে কথা বললাম।বললাম তুমি কাঁদছ কেন কি হয়েছে তোমার? কেউ কি মেরেছে তোমাকে? ও না সূচক মাথা নাড়ে।আবার প্রশ্ন করি,কেউ বকেছে? তাও না সুচক উত্তর আসে। বললাম তবে কাঁদছ কেন? তখনও বলল আমার বন্ধুরে কাইটা ফালাইব। আমি বললাম কারা কাটবে তোমার বন্ধুকে? ও বলল কইতে পারি না হয়ে ঘ্যাচ ঘ্যাচ কইরা বন্ধুরে কাটতাছে কারা জানি আমি তা দেখবার পারতাছি।মেয়েটির কথা আমার প্রথমে বিশ্বাস হয়েনি। কিন্তু ওর বলা কথাগুলো যখন আমার বেলায় অক্ষরে অক্ষরে খেটে গেলো তখন বিশ্বাস না করে উপায় কি বলো।
মাহিনেরমা- চোখ কপালে তুলে বলেএই তুই এসব কি বলছিস?কিসাঙ্গাতিককথারে বাবা। শোন কাল তুই ঘরের বাইরে যেতে পারবিনা।আর তুমি পুলিশকে জানাও আমার ছেলের জীবন নিয়ে টানাটানি।
মাহিন- কি বলছ মাম্মী বাইরে যাব না?বাইরে না গেলে আমি বন্ধুদের সাথে কি ভাবে মিটিং করব? গাছটাকে বাঁচাতে হবে, বাঁচাতে হবে পরিবেশ।
মাহিনের বাবা বলেন- কাল আমি তোদের মিটিং এ থাকব। আমার সাথে ামি আমার দু'তিন জন কলিককে নিয়ে যাব।
মাহিনের মা বলেন-ঠিক আছে আমিও যাবো তোর মিটিং এ থাকব।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সোলাইমান ০৪/০৯/২০১৬ভালো লাগিলো পড়ে।
-
স্বপ্নময় স্বপন ১৩/০৮/২০১৬শেষ হইয়াও হইল না শেষ... রহিয়া গিয়াছে রেশ... বাহ বাহ বেশ বেশ বেশ!! খুবিই ভালো লাগিল!
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ১৩/০৮/২০১৬ধন্যবাদ
-
আব্দুল হক ১২/০৮/২০১৬nice