www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

নির্বাক কবিতা

আজ কাল আমার কবিতা সাজে না নতুন সাজে্
নীল গগনে মেলে না স্বপ্নের ডানা
দিনে দিনে কেমন যেন বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে
দিবা নিশি বিষণ্ন ভাবনারা গ্রাস করছে
কবিতার উর্বর মস্তিস্ক।
বসন্তে রাঙেনা এখন কবিতার মন,
গ্রীষ্মে জ্বলে না দাবানল, বর্ষায় গায় না রিমঝিম গান
শরতে বসে আর নদী কূলে কাশ ফুলের মেলা।

ক্ষীন আলোর ঝিলিকও নেই যেন কবিতার চোখে।
বড় অবাক লাগে, সেই যে তন্বী নদীটি
এক সময় যে ছিল চঞ্চলা, খরস্রোতা
কখন যে জরায় ধরেছে তারে সে নিজেও জানেনা।
অতি চেনা সেই আঁকাবাঁকা মেঠো পথ এখন
তার ঝুটিতে বেঁধেছে কালো রং ফিতা।
ঝিঁঝিদের ঝিম ধরা চৈত্র দুপুরে বেত ঘুড়ি তোলে না সু্র
বটের ছায়ায় বাজে না রাখালের হাতে বাঁশের বাঁশি।
এখন চার দিকে শুধু গুম, খুন, আর ধর্ষন,
ক্ষমতার নামে রাঘবদের জোচ্চুরি,জোর জবর দখল,
একফোটা পানির জন্য এখানে রাজনের মত শিশুকে
নির্মম নির্জাতনের শিকার হয়ে দিতে হয় জীবন
কি অপরাধ ছিল রাকিবের?

মা-বাবাকে নিয়ে একটু ভালো থাকতে চেয়েছিল এই তো
আর তাই বুঝি তার পায়ু পথে কম্প্রেসার মেশিং এর হাওয়া
উহ কি বিভৎষ্য...
পেটের দ্বায়ে ঝিয়ের কাজ করা কি ছিল শিল্পীর চরম অপরাধ?
তাই তাকে মালিকের হাতে দিতে হলো সম্ভ্রম ও জীবন!
কেন আজও তনুর মত গোপালের ধর্ষতার খেতাবে ভুশিত হয়ে
,ঝরে যায় অকালে ?
এ সমাজে নারী শুধু নারীই রয়ে যাবে?
নারী কি মানুষ হলো না কোনো দিন?
নিম্নস্থরের মানুষ কেন এত মূল্যহীন!

মুক্ত আকাশ নির্মল বাতাস সুস্থ পরিবেশ দেবার নামে
এখানে চলে কারখানা উচ্ছেদের একি লীলা!
অবৈধ ভূমি জোর জবর দখল!
ইটের ভাটা দখল মুক্ত নামে এটা কি দখল মুক্ত, নাকি দখল যুক্ত হয়েছে
এটাকে কি বলে জানে না কবিতা আমার।
বিস্মিত চোখে কবিতা আমার অবাক ভাবে-
এই কি দু'লক্ষ মা-বোন আর
ত্রিশলক্ষ শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতা?
সাদা কাগজের পাতায় মাথা খুটে মরে
ব্জ্র নীনাদে তোলে কবিতা প্রতিবাদের ঝংকারে

তবু যেন আওয়াজ বের হয় না।
এভাবে কি রক্ত চোষা গিরগিটিদের হাতে
শোষতই হবে মাতৃভূমি জননী আমার?
আর কতকাল জিম্মি রবে আমার সোনার দেশ?
সব দেখে শুনে ক্ষেপে গিয়ে আজ নির্বাক কবিতা আমার।

সময়ঃ বেলা ১১.৪৯ মিঃ
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৮১০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৯/০৪/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast