সেই মেয়েটি
সেই মেয়েটি
কেমন আছিস পরিতোষ? জানিস অনেক দিন পর তোদের গ্রামের বুক চির এলাম। যখন বট তলা মন্দিরটা কোরাস করছিলাম, রাস্তায় বাঁধা গরুগুলো দেখে তোর আর নিখিল স্যারের কথা খুব মনে পড়ছিলো।মনে পড়ছিলো সুষমার কথা, খুব মিস করছিলাম তোদের। চোখের পাতায় ভেসে উঠছিলো সে দিন মধু স্যারের আমন্ত্রনে গিয়েছিলাম তোদের ওখানে। তোদের বাড়িতে আগে গিয়েছিলাম বলে সুষমা সে কি রাগ রে বাবা। ওদের বাড়ি রেখে কেন তোদের বাড়ীরে আগে গেলাম? ওদের বাড়িতে ও আর ঢুকতেই দিলো না।
ওদের বাড়িতে ঢুকতে না পেরে বিদায় নিলাম রাস্তা থেকে তখন সুমিত্রা দি রেগে গিয়ে বলল, ‘এটা তুই কি করলি সুষমা? কেনো তুই এটা করলি’? ‘কে আমাকে তোর দাদা বাবুর চিঠি এনে দেবে’?রাগে গিড় গিড় করতে করতে সুষমা বলল ‘ঠিকই করেছি ওর জন্য উচিৎ শিক্ষা হয়েছে’। ‘আরে তুমি কেন এত টেনশন করছ পিয়ন আছে না’? দিদি বলল ‘না, মটেও তুই ঠিক করিস নি ওকে ফেরা। ‘পিয়ন আছে কিন্তু সে তো অনেক দেরিতে আসবে’। ‘কিন্তু আমি সেটা ভাবছি না সুষমা’। ‘কি ভাবছ তুমি দিদি’? ‘তুই কি ভুলে গেছিস কাকিমা কি ভাবে সেদিন আমাদের যত্ন করেছিলো? ও তো বাড়ি ফিরে কাকিমাকে সব খুলে বললে। কাকিমা সেদিন কি যত্নই না করল আমাদের আর তুই’?
অনেকটা পথ তখন চলে এসেছি দিদি এবং সুষমা ছুটে এসে আমার হাত ধরে বলল ‘এভাবে তুই যেতে পারিস না বোন। অতিথী এভাবে চলে গেলে অমঙ্গল হয়। আমি বললাম না আজ আর ফিরব না আরেক দিন আসব। মা পোষ্ট মাস্টার ছিলেন, সুমিত্রা দিদির নতুন বিয়ে হয়েছে দিদি তখন ক্লাস টনে পড়ে। একদিন আসুতোষ কাকার সাথে গিয়ে মাকে বলে এসেছিলো কাকিমা আমার চিঠি এলে শানুর কাছে দিয়ে দেবেন। পিয়ন বড় বেশি দেরি করে। মা হেসে উঠে দিদির মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন ঠিক আছে মা। গাইত্রী দি আর পঙ্কজদার নামে তখন প্রাই ইনটারভিউ কার্ড আসতো আসুতোষ কাকা প্রাই যেতেন আমাদের বাড়ি।
নিখিল স্যার এখন কোথায়্ রে? তুই তো আমেরিকাতে।আচ্ছা ওখানে কি এখন গরু পাস ?, কাজের ফাঁকে কি করিস এখন? তখন তো পড়তে পড়তেই হারিয়ে যে’তি গরুকে খাবার দেবার জন্য পানি দেবার জন্য। স্যার যখন প্রথম আমাদের গ্রামের প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হয়ে আসেন উনি ছিলেন আমাদের গ্রামে প্রথম হিন্দু শিক্ষক। তুই তো জানিস আমাদের গ্রামে কোনো হিন্দু নেই, তাই স্যারকে দেখে প্রথমে মন থেকে মেনে নিতে পারছিমাল না। কিন্তু পরে সেই স্যারই হলেন আমার প্রিয় শিক্ষক।
খুব ছোট ছিলাম ছোটরা খুব গল্প প্রিয় হয় আর সেই সুযোগটাই স্যার কাজে লাগিয়েছিলো। স্যার সবার মন জয় কররেছিলেন গল্প শুনিয়ে।স্যার আমাদের শোনাতেন ফেলুদার গল্প, ইন্ডিয়ার পাতাল পুরির ট্রেনের গল্প। একজন হিন্দু মানুষ হয়ে স্যার আমাদের ৪টা কালিমা আর সূরা ফাতিহা শোনাতেন অর্থ সহ।স্যারের মুখে ওগুলো শুনে অবাক হতাম একজন হিন্দু মানুষ কেমন করে এটা পারে! প্রশ্ন করতাম স্যার আপনি কি ভাবে পারেন এটা।স্যার বলতেন আমি শিখেছি আমার ভালো লাগে তাই। হঠাৎ স্যারের বদলী হয় বেতবুনীয়া প্রাইমারী স্কুলে। অনেক দূর দেখে চাকরি ছেড়ে দেন স্যারে। স্যার এ ভাবে চলে যাওয়া মন খুব খারাপ হয়। আব্বার বুকে মাথা রেখে কেঁদেই ফেলি। আব্বা, কে আমাকে শোনাবে ইন্ডিয়ার পাতালপুরীর ট্রেনের গল্প, ফেলুদার গল্প ?কে এত আদর করে আমার পড়া বুঝিয়ে দেবে?
আব্বা মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললেন দুর পাগলী কারো বিদায় বেলা এভাবে কাঁদতে আছে এতে যে অমঙ্গল হয়।তুমি না তোমার স্যারকে অনেক ভালোবাস? যাও স্যারকে সালাম করে স্যারের দোয়া নাও।
স্যার চলে গেলেন।ভাবিনি হাইস্কুলে পা রেখে সেখানে স্যারকে আবার দেখতে পাব। প্রথম দিন স্কুলে গিয়ে স্যারকে দেখে খুশিতে আমার আর আনন্দ ধরে না মনে। দৌড়ে গিয়ে স্যারকে জড়িয়ে ধরলাম। স্যার আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমো এঁকে দিলেন। সামাল স্যার বললেন কিরে পিচ্ছি ফিডার এনেছিস তো? আমি বললাম স্যার ফিডার কি করতে আনবো?স্যার হেসে উঠে বললেন তুই তো খুব ছোট। ছুটি হবে দেই চারটায় বাড়ি ফিরতে প্রায় পাঁচটা বাজবে এতক্ষণ থাকবি কি করে?
তুই তখন স্যারের পাশে দাঁড়ানো।তুই বললি দাদা ও দাদা কে মেয়েটা? স্যার বললেন তোমার এক বন্ধু। তুই অবাক হয় বললি এতটুকু মেয়ে ও আমার বন্ধু ! ও তো খুব ছোট দাদা? স্যার বললেন তোমাকে আলম স্যারের গল্প বলেছি না?শানু নামে একটা মেয়ের গল্প বলেছি না? যে ছিলো আমার খুব প্রিয় ছাত্রী ছিলো, এ সেই মেয়ে। তোর হাতে একটা হদুল গাঁধা ছিলো তুই বাডিয়ে দিয়ে বললি আজ থেকে আমার বন্ধু হলাম।
জানিস খুব ইচ্ছা ছিলো এবার আমাদের স্কুলটিতে বেড়াতে যাবার কিন্তু একদম সময় করতে পারিনি।তবে এই প্রথম আমাদের গ্রামের নতুন হাইস্কুলটি হয়েছে সেখানে গিয়েছিলাম। যার জন্ম প্রায় ২০ বছর আগে।জানিস এই সাতাশ বছরে সেই গ্রামের আজ কত পরিবর্তন? এখন আর কষ্ট করে হাবড় ঠেলে ঠেলে পাঁচ মেইল পথ হেঁটে স্কুলে যেতে হয় না। হারিকেন ল্যাম্প জ্বালিয়ে পড়তে হয়ে না। উঠান থেকে নামতেই এখন ইজি বাইল, মাহেন্দ্রা আরামে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা রত, কত সহজ এখন জীবন যাত্রা। আমার দাদি বলতেন ঢাকায় কাটেন্টের বাত্তি জ্বলে।কায়কোবাদ মেজর, আলমটা একটা ছন্নছাড়া তা না হলে কি আর বন ফরেস্টের চাকরি ছেড়ে কেউ এই প্রাইমারী স্কুলের চাকরি করতে আসে। কায়কোবার তো আমাকে আসতেই দিতে চায় না কিন্তু তোদের রেখে গ্রামের এই মুক্ত বাতাস ছেড়ে আমি কেমন মরে থাকব ঢাকার ওই ঝলমলে বাত্তির মধ্যি। কারেন্টের বাত্তি গ্রামেও একদিন আসবে ঝলমল করবে গ্রাম।দাদির কথা সত্যি হয়েছে।আজ দাদি নেই, সত্যি এখন বিদ্যুতের আলোয় ঝল্মল করে গ্রাম। গাঁয়ের সেই শান্ত মেয়ে এখন পিচ ঢালা কালো ফিতা বেঁধাছে তার আঁকা বাঁকা সিঁতিতে।ভদ্রা নদীটিকে দেখলে মনে হয় যেন ছোট্ট একটা খাল। যে নদীর বুক চিরে আপন হাতে বৈঠা বেয়ে চরে বেড়াতাম। পানকৌড়ি আর সারসের ঝাক উড়ে যেত আকাশের বুক চিরে। মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে দেখতাম কি ভাবে ওড়ে ওরা। সাধ জাগতো মনে ইস আমারো যদি ডানা থাকত তবে আমিও উড়তে পারতাম ওদের মত ওদের সাথে।তুই বলতি শুধু তুই না সবাই বলতো কিরে ভ্যাদা তুই কি শক্ত হবি না কোনো দিন?তোর ভিতরে কি কোনো ব্যাস্ততা কাজ করবে না?সেই ছোট্টা মেয়েটি আজ অনেক শক্ত অনেক কঠিণ অনেক ব্যস্ত এখন তার জীবন। সময়ের সাথে বুঝি মানুষের জীবন এভাবেই বদলে যায়?
কেমন আছিস পরিতোষ? জানিস অনেক দিন পর তোদের গ্রামের বুক চির এলাম। যখন বট তলা মন্দিরটা কোরাস করছিলাম, রাস্তায় বাঁধা গরুগুলো দেখে তোর আর নিখিল স্যারের কথা খুব মনে পড়ছিলো।মনে পড়ছিলো সুষমার কথা, খুব মিস করছিলাম তোদের। চোখের পাতায় ভেসে উঠছিলো সে দিন মধু স্যারের আমন্ত্রনে গিয়েছিলাম তোদের ওখানে। তোদের বাড়িতে আগে গিয়েছিলাম বলে সুষমা সে কি রাগ রে বাবা। ওদের বাড়ি রেখে কেন তোদের বাড়ীরে আগে গেলাম? ওদের বাড়িতে ও আর ঢুকতেই দিলো না।
ওদের বাড়িতে ঢুকতে না পেরে বিদায় নিলাম রাস্তা থেকে তখন সুমিত্রা দি রেগে গিয়ে বলল, ‘এটা তুই কি করলি সুষমা? কেনো তুই এটা করলি’? ‘কে আমাকে তোর দাদা বাবুর চিঠি এনে দেবে’?রাগে গিড় গিড় করতে করতে সুষমা বলল ‘ঠিকই করেছি ওর জন্য উচিৎ শিক্ষা হয়েছে’। ‘আরে তুমি কেন এত টেনশন করছ পিয়ন আছে না’? দিদি বলল ‘না, মটেও তুই ঠিক করিস নি ওকে ফেরা। ‘পিয়ন আছে কিন্তু সে তো অনেক দেরিতে আসবে’। ‘কিন্তু আমি সেটা ভাবছি না সুষমা’। ‘কি ভাবছ তুমি দিদি’? ‘তুই কি ভুলে গেছিস কাকিমা কি ভাবে সেদিন আমাদের যত্ন করেছিলো? ও তো বাড়ি ফিরে কাকিমাকে সব খুলে বললে। কাকিমা সেদিন কি যত্নই না করল আমাদের আর তুই’?
অনেকটা পথ তখন চলে এসেছি দিদি এবং সুষমা ছুটে এসে আমার হাত ধরে বলল ‘এভাবে তুই যেতে পারিস না বোন। অতিথী এভাবে চলে গেলে অমঙ্গল হয়। আমি বললাম না আজ আর ফিরব না আরেক দিন আসব। মা পোষ্ট মাস্টার ছিলেন, সুমিত্রা দিদির নতুন বিয়ে হয়েছে দিদি তখন ক্লাস টনে পড়ে। একদিন আসুতোষ কাকার সাথে গিয়ে মাকে বলে এসেছিলো কাকিমা আমার চিঠি এলে শানুর কাছে দিয়ে দেবেন। পিয়ন বড় বেশি দেরি করে। মা হেসে উঠে দিদির মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন ঠিক আছে মা। গাইত্রী দি আর পঙ্কজদার নামে তখন প্রাই ইনটারভিউ কার্ড আসতো আসুতোষ কাকা প্রাই যেতেন আমাদের বাড়ি।
নিখিল স্যার এখন কোথায়্ রে? তুই তো আমেরিকাতে।আচ্ছা ওখানে কি এখন গরু পাস ?, কাজের ফাঁকে কি করিস এখন? তখন তো পড়তে পড়তেই হারিয়ে যে’তি গরুকে খাবার দেবার জন্য পানি দেবার জন্য। স্যার যখন প্রথম আমাদের গ্রামের প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষক হয়ে আসেন উনি ছিলেন আমাদের গ্রামে প্রথম হিন্দু শিক্ষক। তুই তো জানিস আমাদের গ্রামে কোনো হিন্দু নেই, তাই স্যারকে দেখে প্রথমে মন থেকে মেনে নিতে পারছিমাল না। কিন্তু পরে সেই স্যারই হলেন আমার প্রিয় শিক্ষক।
খুব ছোট ছিলাম ছোটরা খুব গল্প প্রিয় হয় আর সেই সুযোগটাই স্যার কাজে লাগিয়েছিলো। স্যার সবার মন জয় কররেছিলেন গল্প শুনিয়ে।স্যার আমাদের শোনাতেন ফেলুদার গল্প, ইন্ডিয়ার পাতাল পুরির ট্রেনের গল্প। একজন হিন্দু মানুষ হয়ে স্যার আমাদের ৪টা কালিমা আর সূরা ফাতিহা শোনাতেন অর্থ সহ।স্যারের মুখে ওগুলো শুনে অবাক হতাম একজন হিন্দু মানুষ কেমন করে এটা পারে! প্রশ্ন করতাম স্যার আপনি কি ভাবে পারেন এটা।স্যার বলতেন আমি শিখেছি আমার ভালো লাগে তাই। হঠাৎ স্যারের বদলী হয় বেতবুনীয়া প্রাইমারী স্কুলে। অনেক দূর দেখে চাকরি ছেড়ে দেন স্যারে। স্যার এ ভাবে চলে যাওয়া মন খুব খারাপ হয়। আব্বার বুকে মাথা রেখে কেঁদেই ফেলি। আব্বা, কে আমাকে শোনাবে ইন্ডিয়ার পাতালপুরীর ট্রেনের গল্প, ফেলুদার গল্প ?কে এত আদর করে আমার পড়া বুঝিয়ে দেবে?
আব্বা মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললেন দুর পাগলী কারো বিদায় বেলা এভাবে কাঁদতে আছে এতে যে অমঙ্গল হয়।তুমি না তোমার স্যারকে অনেক ভালোবাস? যাও স্যারকে সালাম করে স্যারের দোয়া নাও।
স্যার চলে গেলেন।ভাবিনি হাইস্কুলে পা রেখে সেখানে স্যারকে আবার দেখতে পাব। প্রথম দিন স্কুলে গিয়ে স্যারকে দেখে খুশিতে আমার আর আনন্দ ধরে না মনে। দৌড়ে গিয়ে স্যারকে জড়িয়ে ধরলাম। স্যার আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমো এঁকে দিলেন। সামাল স্যার বললেন কিরে পিচ্ছি ফিডার এনেছিস তো? আমি বললাম স্যার ফিডার কি করতে আনবো?স্যার হেসে উঠে বললেন তুই তো খুব ছোট। ছুটি হবে দেই চারটায় বাড়ি ফিরতে প্রায় পাঁচটা বাজবে এতক্ষণ থাকবি কি করে?
তুই তখন স্যারের পাশে দাঁড়ানো।তুই বললি দাদা ও দাদা কে মেয়েটা? স্যার বললেন তোমার এক বন্ধু। তুই অবাক হয় বললি এতটুকু মেয়ে ও আমার বন্ধু ! ও তো খুব ছোট দাদা? স্যার বললেন তোমাকে আলম স্যারের গল্প বলেছি না?শানু নামে একটা মেয়ের গল্প বলেছি না? যে ছিলো আমার খুব প্রিয় ছাত্রী ছিলো, এ সেই মেয়ে। তোর হাতে একটা হদুল গাঁধা ছিলো তুই বাডিয়ে দিয়ে বললি আজ থেকে আমার বন্ধু হলাম।
জানিস খুব ইচ্ছা ছিলো এবার আমাদের স্কুলটিতে বেড়াতে যাবার কিন্তু একদম সময় করতে পারিনি।তবে এই প্রথম আমাদের গ্রামের নতুন হাইস্কুলটি হয়েছে সেখানে গিয়েছিলাম। যার জন্ম প্রায় ২০ বছর আগে।জানিস এই সাতাশ বছরে সেই গ্রামের আজ কত পরিবর্তন? এখন আর কষ্ট করে হাবড় ঠেলে ঠেলে পাঁচ মেইল পথ হেঁটে স্কুলে যেতে হয় না। হারিকেন ল্যাম্প জ্বালিয়ে পড়তে হয়ে না। উঠান থেকে নামতেই এখন ইজি বাইল, মাহেন্দ্রা আরামে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা রত, কত সহজ এখন জীবন যাত্রা। আমার দাদি বলতেন ঢাকায় কাটেন্টের বাত্তি জ্বলে।কায়কোবাদ মেজর, আলমটা একটা ছন্নছাড়া তা না হলে কি আর বন ফরেস্টের চাকরি ছেড়ে কেউ এই প্রাইমারী স্কুলের চাকরি করতে আসে। কায়কোবার তো আমাকে আসতেই দিতে চায় না কিন্তু তোদের রেখে গ্রামের এই মুক্ত বাতাস ছেড়ে আমি কেমন মরে থাকব ঢাকার ওই ঝলমলে বাত্তির মধ্যি। কারেন্টের বাত্তি গ্রামেও একদিন আসবে ঝলমল করবে গ্রাম।দাদির কথা সত্যি হয়েছে।আজ দাদি নেই, সত্যি এখন বিদ্যুতের আলোয় ঝল্মল করে গ্রাম। গাঁয়ের সেই শান্ত মেয়ে এখন পিচ ঢালা কালো ফিতা বেঁধাছে তার আঁকা বাঁকা সিঁতিতে।ভদ্রা নদীটিকে দেখলে মনে হয় যেন ছোট্ট একটা খাল। যে নদীর বুক চিরে আপন হাতে বৈঠা বেয়ে চরে বেড়াতাম। পানকৌড়ি আর সারসের ঝাক উড়ে যেত আকাশের বুক চিরে। মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে দেখতাম কি ভাবে ওড়ে ওরা। সাধ জাগতো মনে ইস আমারো যদি ডানা থাকত তবে আমিও উড়তে পারতাম ওদের মত ওদের সাথে।তুই বলতি শুধু তুই না সবাই বলতো কিরে ভ্যাদা তুই কি শক্ত হবি না কোনো দিন?তোর ভিতরে কি কোনো ব্যাস্ততা কাজ করবে না?সেই ছোট্টা মেয়েটি আজ অনেক শক্ত অনেক কঠিণ অনেক ব্যস্ত এখন তার জীবন। সময়ের সাথে বুঝি মানুষের জীবন এভাবেই বদলে যায়?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ধ্রুব রাসেল ১২/০১/২০১৬ভুল হওয়াটাই স্বাভাবিক। তার জন্য আছে সংশোধন। যেমন আপনি শেষের দিকে কিছু বানান ভুল করেছেন- ব্যাস্ততা, ছোট্টা, কঠিণ। তবে গল্পটি সম্প্রসারিত করে আরো মাধুর্যপূর্ণ করতে পারতেন। তবে অনেক ভাল লেখনী প্রকাশ পেয়েছে। শুভ কামনা রইল।
-
প্রদীপ চৌধুরী ১২/০১/২০১৬লেখনি টা খুব সুন্দর
-
প্রদীপ চৌধুরী ১২/০১/২০১৬লেখনি তা খুব সুন্দর
-
মহঃ এসরাফিল সেখ ১২/০১/২০১৬আপা খুব খুব ভালো লাগল।
-
মনিরুজ্জামান জীবন ১১/০১/২০১৬সুন্দর আত্মবিশ্বাসী গল্প। কবির জন্য শুভকামনা।
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ১১/০১/২০১৬ব্ন্ধুগণ আমার লেখনীতে য্দি কারো চোখে কোনো বানান ভুল ধরা প্ড়ে প্লিজ ধরিয়ে দিবেন।