www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

এভাবেই কাছে আসা( জীবনের গল্প) পর্ব-৮

ফোন রেখে দেয় নিশান।একটা রিক্সা ডেকে উঠে পড়ে লিজা তখনও মুসল ধারে বৃষ্টি ঝরছে।ওদিকে একটা বন্দ দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা রত নিশান।কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে এসে পৌঁছয় লিজা।দূরে একটা বন্দ দোকানের সামনে একা একটা লোক দাঁড়ানো দেখা ধারণা করে লিজা উনিই নিশান।নিশান কে দাঁড়ানো দেখে ধারনা ভুল  না ঠিক সেটা পরখ করতে কিছুটা দূরে একটি চায়ের দোকানের সামনে রিক্সা থামায়  ।ব্যাগ থেকে একটা একশ টাকার নোট বের করে দেয় রিক্সাওয়ালাকে।কিন্তু টাকাটা খুচরা করতে পারে না রিক্সাকওয়ালা।চা দোকানীকে জিজ্ঞেস করলে সেও না বলে।এই বৃষ্টির মধ্যে কি করবে পায়ে পায়ে এগিয়ে আসে নিশান।সালাম দিয়ে বলে- টাকা খুচরা হচ্ছে না বুঝি?
রিক্সাওয়ালাঃ জ্বে স্যার আপায় দিছে একশ টাহা, হবে স্যার আপনার কাছে খুরচা?
না সূচক ঘাড় নাড়ে নিশান
রিক্সাওয়ালাঃ টাহাডা খুরচা করতি পারলি ভালো হইতো আমি জাতি পারতাম।গরিব মানুষ আরেটটা খ্যাপ ধরতি পারলি আমার লাভ।
নিশান প্রশ্ন করে কত টাকা রিক্সা ভাড়া? রিক্সাওটালা বলে কুড়ি টাহা স্যার। নিশান মানি ব্যাগ খুলে দেখে খুচরা টাকা বলতে আছে মাত্র বিশ টাকা। টাকাটা   রিক্সা ওয়ালর দিকে বাড়িয়ে দেয় নিশান।একশ টাকার নোটটি তখনো লিজার হাতে।টাকা পেয়ে চলে যায় সে।একটু দূরে এটা মুদি দোকান সেখানে যায় লিজা টাকা খুচরা করতে কিন্তু সেখানেও টাকাটা খুচরা হলো না।
ফিরে এসে বলে সরি কি করি বলুন তো টাকাটা তো খুচরাই করতে পারছি না।আপনার টাকাটা কি ভাবে দেই এখন?
নিশানঃ টাকাটা শোধ করতেই হবে?
লিজাঃ বারে শোধ না করলে আমি যে দিনা থেকে যাব আপনার কাছে।
নিশানঃ তাই না। তো ঠিকাছে শোধ যখন করবেনই এখন আর এখানে দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই রাস্তার ওপাশে ওই চা দোলানটায় চলুন।ওখানে দেখা যাচ্ছে বেশ লোকের সমাগম। মনে হচ্ছে বেচা বিক্রী ভালো চলছে।
কথা না বাড়িয়ে ঘাড় নাড়ে লিজা।লিজার মাথা থেকে পা পর্যন্ত দৃষ্টি ঘোরায় নিশান।পরনের শাড়িটা প্রায় মাজা পর্যন্ত ভিজে গেছে।
নিশানঃ দেখছি একে বারে কাক ভেজা ভিজে গেছেন ঠান্ডা লেগে যাবে যে।
লিজাঃতাতে আপনার কি?আপনি তো শুখনো আছেন?মিষ্টি হেসে বলে রাতে আমাকে ঘুমাতে না দিয়ে কি দারুন উনি .................. আমার আসাটাই ঠিক হয়নি।
নিশানঃ সত্যি কথা বলতে রাতে একদম ঘুমাইনি শেষ রাতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি জানিনা।শালার মামাটাও না আজ বউ নিয়ে..................।।
লিজাঃ থাক নিজে জাগতে না পেরে যত দোষ এখন সব ওই মামা ব্যাটার।
নিশানঃ মামাকে এভাবে কথা বলছি দেখে আপনি আবার কিছু মনে করছান না তো? আসলে মামা আর আমি একই বয়সের তো একসাথে একই ক্লাসে পড়েছি তাই আচরণটা আমাদের বন্ধু সুলভ।
লিজাঃ আরে আপনি আপনার মামাকে শালা বলবেন না অন্য কিছু বলবেন সেটা আপনার ব্যপার আমি কেন কিছু মনে করতে যাব।
নিশানঃরিক্সাটা দূরে নিয়ে দাঁড় করালেন কেন?

কোনো কথা না বলে চুপচাপ হাঁটতে থাকে লিজা।আবার প্রশ্ন করে
নিশানঃ কি হলো কিছু বলছেন না যে।আমাকে বুঝি আপনার পছন্দ হয়েনি?
লিজাঃ এবার লিজা মুখ খোলে পছন্দ অপছন্দের কথা কেন আসছে?আমি কি ছেলে পছন্দ করতে এসেছি?
নিশানঃ না বন্ধু।
লিজাঃ হা হা হা  বন্ধু পছন্দ,ভালোই তো বলেছেন।
নিশানঃ আপনার হাসিটা তো খুব সুন্দর।
লিজাঃযাঃ কি যে বলেন না।
কথায় কথায় রাস্তা পেরিয়ে ওপাসের দোকানে গিয়ে দাঁড়ায়।বৃষ্টি হচ্ছে তাই দোকানে এসে ঠাই নিয়েছে পথচারিরা।পা রাখার জায়গা নেই দোকানে।দোকানীকে বলে একটি চেয়ারের ব্যবস্থা করে নিশান।
নিশানঃ চা দিতে বলি?
লিজাঃ হ্যাঁ বলুন।

নিশানঃ চাচি দুটো চা।
দোকানীঃ কি চা? দুধ না লাল?
লিজাঃলাল।
নিশান আর কিছু?
লিজাঃ No Thanks.
চায়ের চুমুক দিতে দিতে নিশান বলে এখনো রাগ কমেনি দেখছি?কান ধরবো কি?
লিজা হেসে উঠে বলে থাক আর কান ধরে প্রমান করতে হবে না।ভেবে ছিলাম একটু বেশি সময় .....................সেটা  আর হবে না এই আর কি।
লিজা মুখ লাগায় চায়ের কাপে, আরেক চুমুক দিতে দিতে বলে-
নিশানঃ ''ইভটিজিং'' নিয়ে কিছু ভাবছেন কি?
লিজাঃ এত কথা রেখে এই প্রশ্ন কেন?
নিশানঃ হঠাৎ মাথায় এলো তাই। আসলে বর্তমানে আমাদের সমাজে এটি একটি বহুল পরিচিত  শব্দ কি না তাই আর কি।

লিজাঃ ঠিক বলেছেন।আর আমি মনে করি এর জন্য পরিবার অনেক খানি দায়ী।
নিশানঃ পরিবার দায়ী!
লিজাঃ হ্যাঁ পরিবার দায়ী।
নিশানঃ যেমন?
লিজাঃ ওই ছেলেগুলোকে দেখুন,এই বৃষ্টির ভিতর কি দরকার ঘর থেকে বের হওয়ার।
নিশানঃ হয় তো কোনো কাজ আছে।
লিজাঃ না ওদের কোনো কাজনেই।ওদের কাজ একটাই আশ পাশ দিয়ে বেশ কয়েকটা কোচিং সেন্টার আছে। মেয়েরা আসে এখানে পড়তে।ওদের কাজ মেয়েরা উত্ত্যক্ত কর
নিশান লিজার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে।লিজা বিরতিহীন বলে চলে ‘ওদের গার্ডিয়ানরা যদি ওদের বাঁধা দিতে পারতো।বলতে পারতো এই অভাদ্রায় কেন বাইরে যাচ্ছ?এখন বাইরে তো তোমাদের কোনো কাজ নেই।যেতে হয় বৃষ্টি থামুক তারপর যেও।েখন চুপচাপ বাসায় বসে থাকো।সেটা হয় তো কেউ বলেনি।ছেলেটি কোথায় যাচ্ছে কার সাথে মিশছ এটা খেয়াল রাখা একটা পরিবারের নৈতিক দ্বায়িত্ব এবং কতব্য।
নিশানঃ আপনি বলতে চাচ্ছেন আমাদের সমাজে পরিবার থেকে এগুলো খেয়াল রাখা হয় না?
লিজাঃ না ঠিকা তা বলছি না। আমাদের সমাজে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ বাস করে।এদের রুচি চিন্তাধারা সব কিছু আলাদা।মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেগুলো এখনো অনেক ভালো আছে কিন্তু সমস্য নিম্ন মধ্যবিত্ত আর উচ্চ বিত্তের এসব পরিবাদের একশ পরিবারের মধ্যে হাতে গোনা বিশটি পরিবার হয় তো পাওয়া যাবে ভালো
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৯৪৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৭/১২/২০১৫

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • ম্যাডাম , আগেও বলেছি আবার বলছি , প্রচুর এডিটিংএর প্রয়োজন আছে। আমি আর উদাহরণ দিতে যাবনা।
    গল্প সম্বন্ধে বলার মত কোনো কিছু এখনো পাইনি , তাই বিরত থেকেছি।
 
Quantcast