এভাবেই কাছে আসা( জীবনের গল্প) পর্ব-৩
এভাবেই কাছে আশা( জীবনের গল্প) পর্ব-৩
এভাবেই এগিয়ে চলে ওদের আলাপচারিতা।ধীরে ধীরে গভীর থেকে গভীর হয় বন্ধুত্ব। নিশানের সাথে কথা বলতে বলতে লিজার মনে কৌতুহল জাগে এতদিন ধরে কথা বলছি অথচ একটা দিনের জন্য কোনো খারাপ ইঙ্গিত সে করেনি।তার সাথে যত কথা হয় সবই সমাজ নিয়ে চারপাশের পারিপার্শিক অবস্থান নিয়ে।কিন্তু এটা তো হবার নয়।একজন পুরুষ একটা মেয়ের সাথে কথা বলে তার কাম-বাসনা মিটানোর জন্য। নিশান সাথে প্রায় ৪/৫ মাস ধরে কথা হচ্ছে এবং প্রতিটি কথাই দেশ সমাজ দেশের উন্নয়ন এসব নিয়েই।এখনো এমন মানুষ আছে আমাদের সমাজে!ভীষণ দেখতে মন চাইছে উনাকে কিন্তু কিভাবে? উনার ফোন নাম্বার চাইব কি? সেটা ঠিক হবে তো? অত কেন ভাবছি সব সময় তো ছেলেরাই ফোন নাম্বার চেয়ে থাকে এবার না নয় তার উল্টোটাই হোক ক্ষতি কি?
উনি তো যেচে উনার পরিচয়টা দিলেন।আমি না হয় ফোনেই আমার পরিচয় দিব।চাইব কি ফোন নাম্বার?আরে ধ্যাৎ বলেই ফেলি-
লিজাঃ নিশান সাহেব একটা কথা বলবো?
মনে মনে নিশান বলে একটা কথা কেন তুমি দশটা বলো না ।আমি যে তোমার কথা শুনার জন্য ব্যাকুল লিজা!
কি হলো চুপ করে রইলেন যে?
নিশানঃ জ্বি ম্যাম বলুন।ম্যাম আপনার পরিচয় কিন্তু এখোনো দিলেন না।
লিজাঃ আপনার ফোন নাম্বারটা পেতে পারি কি? ফোনে না হয় বলবো পরিচয়টা।
নিশানঃ ওঃ শিয়র।
লিজা নিশানের কাছে ফোন নাম্বার চাওয়ায় নিশানের মনের ভিতর একটা আনন্দ ঢেউ খেলে গেলো ।কয়েকদিন থেকে সে নিজেই ভাবছে ফোন নাম্বারটা চাইবে কিন্তু লিজা যদি কিছু মনে করে! সেই ভয়ে আর চাইতে পারছে না।বাপরে বাপ যে জেদি মেয়ে ফোন নাম্বার চাইলে যদি না আনফ্রেন্ড করে দেয়। তার চেয়ে থাক এভাবেই থাকি কথা তো হচ্ছেই। নাই বা শুনলাম কণ্ঠ ওর। ফোন নাম্বার চাইতে যতটুকু দেরি দিতে মুহুর্তও দেরি হলো না নিশানের।পরদিন সকালে ফোন দেয় লিজা। কিন্তু নিশানের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলে না। দু’বার ফোন দিলো দুবারই নো এ্যানসার।লিজা এক প্রকার ঠিক করে নিলো আর কখনো নিশানের সাথে সে কথাই বলবে না।দু’মিনিট না যেতেই কল ব্যাক আসে।
লিজাঃ হ্যালো।
নিশানঃহ্যালো কে বলছেন?
লিজাঃআমি।আমি লিজা।
নিশানঃম্যাম আপনি! আপনি যে সত্যি ফোন দেবেন আমি ভাবতেই পারিনি।
লিজাঃ নাম্বার তো নিয়েছি ফোন দেবার জন্যই তো ভাবতে না পারার কি আছে?
নিশানঃ তো এবার বলেন কি করেন আপনি নিশ্চই জব?
লিজাঃ না ভাই কোনো জব করিনা।চাকরি আমার ভালো লাগে না।এক সময় একটা ব্যাবসা করতাম পরে ছেড়ে দিয়েছিলাম।
নিশানঃ ব্যবসাটা ছাড়লেন কেন?জানতে পারি কি?
লিজাঃ কোনো কারণ ছাড়াই।
নিশানঃআপনি মিথ্যা বলছেন।আপনি এখনো আমাকে আপনার বন্ধু ভাবতে পারেন নাই।
লিজাঃছিঃছিঃ তা হবে কেন।বন্ধু যদি নাই ভাবতাম তবে কি এভাবে দিনের পর দিন,মাসের পর মাস আপনার সাথে কথা বলতাম বলুন?
নিশানঃ তা অবশ্য ঠিকই।
লিজাঃআগে আপনাকে জানতে হবে আমার কি ব্যবসা ছিলো।
নিশানঃ জ্বি বলুন।
লিজাঃ বাটিক,বুটিস্ক, ব্লাক,কারচুপি সুইসুতা ইত্যাদি মানে যাকে বলে হস্তশিল্প।
নিশানঃ ভালোই তো কিন্তু ছাড়লেন কেন?
লিজাঃ ছাড়তে আমি চাইনি আসলে আমার একটা মেজর অপারেশন হয়েছিলো প্রায় এক বছর বেড রেস্টে থাকতে হয়।বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু কর্মির কাছে কিছু কাজ দেওয়া ছিলো।সুস্থ হয়ে যখন খোঁজ আনতে যাই দেখি প্রায় সবাই বাসা বদল করে অন্যত্র চলে গেছে।সামান্য কিছু ফেরত পেয়েছিলাম।একটা বড় লস হয়।তারপর খুলনা ছাড়ি সেই সাথে ব্যবসাটাও।
নিশানঃআবার নতুন করে শুরু করুন না?
লিজাঃ না ভাই ব্যবসা করতে পুঁজি লাগে অত পুঁজি এখন আমার নেই তাছাড়া একটা নতুন ব্যাবসা শুরু করেছি দেখি সেটা নিয়ে কিছু করতে পারি কি না।
নিশানঃ পুঁজির কথা ভাবছেন কেন আমি না আপনার বন্ধু? আমি আছি না?
লিজাঃ হ্যাঁ নিঃসন্দেহে আপনি আমার বন্ধু কিন্তু.........।
নিশানঃ অত কিন্তুর কি আছে ।কি ব্যাবসা করছেন এখন?
লিজাঃএকটা প্রকাশনী আছে।সেটাই এখন নাড়াচাড়া করছি দিনের অনেক্টা সময় সেখানে দিতে হয়।
নিশানঃ এটার পাশাপাশি তো ওটাও করতে পারেন?
লিজাঃ তা হয় তো পারি কিন্তু সময় কোথায়।
নিশানঃম্যাম আমি যদি আপনার শহরে কখনো আসি দেখা করবেন কি আপনার সাথে?
লিজাঃ উমম্মম্ম হতে পারে যদি দু’চার দিন আগে জানান।
নিশানঃThankyou mam.
এভাবেই এগিয়ে চলে ওদের আলাপচারিতা।ধীরে ধীরে গভীর থেকে গভীর হয় বন্ধুত্ব। নিশানের সাথে কথা বলতে বলতে লিজার মনে কৌতুহল জাগে এতদিন ধরে কথা বলছি অথচ একটা দিনের জন্য কোনো খারাপ ইঙ্গিত সে করেনি।তার সাথে যত কথা হয় সবই সমাজ নিয়ে চারপাশের পারিপার্শিক অবস্থান নিয়ে।কিন্তু এটা তো হবার নয়।একজন পুরুষ একটা মেয়ের সাথে কথা বলে তার কাম-বাসনা মিটানোর জন্য। নিশান সাথে প্রায় ৪/৫ মাস ধরে কথা হচ্ছে এবং প্রতিটি কথাই দেশ সমাজ দেশের উন্নয়ন এসব নিয়েই।এখনো এমন মানুষ আছে আমাদের সমাজে!ভীষণ দেখতে মন চাইছে উনাকে কিন্তু কিভাবে? উনার ফোন নাম্বার চাইব কি? সেটা ঠিক হবে তো? অত কেন ভাবছি সব সময় তো ছেলেরাই ফোন নাম্বার চেয়ে থাকে এবার না নয় তার উল্টোটাই হোক ক্ষতি কি?
উনি তো যেচে উনার পরিচয়টা দিলেন।আমি না হয় ফোনেই আমার পরিচয় দিব।চাইব কি ফোন নাম্বার?আরে ধ্যাৎ বলেই ফেলি-
লিজাঃ নিশান সাহেব একটা কথা বলবো?
মনে মনে নিশান বলে একটা কথা কেন তুমি দশটা বলো না ।আমি যে তোমার কথা শুনার জন্য ব্যাকুল লিজা!
কি হলো চুপ করে রইলেন যে?
নিশানঃ জ্বি ম্যাম বলুন।ম্যাম আপনার পরিচয় কিন্তু এখোনো দিলেন না।
লিজাঃ আপনার ফোন নাম্বারটা পেতে পারি কি? ফোনে না হয় বলবো পরিচয়টা।
নিশানঃ ওঃ শিয়র।
লিজা নিশানের কাছে ফোন নাম্বার চাওয়ায় নিশানের মনের ভিতর একটা আনন্দ ঢেউ খেলে গেলো ।কয়েকদিন থেকে সে নিজেই ভাবছে ফোন নাম্বারটা চাইবে কিন্তু লিজা যদি কিছু মনে করে! সেই ভয়ে আর চাইতে পারছে না।বাপরে বাপ যে জেদি মেয়ে ফোন নাম্বার চাইলে যদি না আনফ্রেন্ড করে দেয়। তার চেয়ে থাক এভাবেই থাকি কথা তো হচ্ছেই। নাই বা শুনলাম কণ্ঠ ওর। ফোন নাম্বার চাইতে যতটুকু দেরি দিতে মুহুর্তও দেরি হলো না নিশানের।পরদিন সকালে ফোন দেয় লিজা। কিন্তু নিশানের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া মেলে না। দু’বার ফোন দিলো দুবারই নো এ্যানসার।লিজা এক প্রকার ঠিক করে নিলো আর কখনো নিশানের সাথে সে কথাই বলবে না।দু’মিনিট না যেতেই কল ব্যাক আসে।
লিজাঃ হ্যালো।
নিশানঃহ্যালো কে বলছেন?
লিজাঃআমি।আমি লিজা।
নিশানঃম্যাম আপনি! আপনি যে সত্যি ফোন দেবেন আমি ভাবতেই পারিনি।
লিজাঃ নাম্বার তো নিয়েছি ফোন দেবার জন্যই তো ভাবতে না পারার কি আছে?
নিশানঃ তো এবার বলেন কি করেন আপনি নিশ্চই জব?
লিজাঃ না ভাই কোনো জব করিনা।চাকরি আমার ভালো লাগে না।এক সময় একটা ব্যাবসা করতাম পরে ছেড়ে দিয়েছিলাম।
নিশানঃ ব্যবসাটা ছাড়লেন কেন?জানতে পারি কি?
লিজাঃ কোনো কারণ ছাড়াই।
নিশানঃআপনি মিথ্যা বলছেন।আপনি এখনো আমাকে আপনার বন্ধু ভাবতে পারেন নাই।
লিজাঃছিঃছিঃ তা হবে কেন।বন্ধু যদি নাই ভাবতাম তবে কি এভাবে দিনের পর দিন,মাসের পর মাস আপনার সাথে কথা বলতাম বলুন?
নিশানঃ তা অবশ্য ঠিকই।
লিজাঃআগে আপনাকে জানতে হবে আমার কি ব্যবসা ছিলো।
নিশানঃ জ্বি বলুন।
লিজাঃ বাটিক,বুটিস্ক, ব্লাক,কারচুপি সুইসুতা ইত্যাদি মানে যাকে বলে হস্তশিল্প।
নিশানঃ ভালোই তো কিন্তু ছাড়লেন কেন?
লিজাঃ ছাড়তে আমি চাইনি আসলে আমার একটা মেজর অপারেশন হয়েছিলো প্রায় এক বছর বেড রেস্টে থাকতে হয়।বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু কর্মির কাছে কিছু কাজ দেওয়া ছিলো।সুস্থ হয়ে যখন খোঁজ আনতে যাই দেখি প্রায় সবাই বাসা বদল করে অন্যত্র চলে গেছে।সামান্য কিছু ফেরত পেয়েছিলাম।একটা বড় লস হয়।তারপর খুলনা ছাড়ি সেই সাথে ব্যবসাটাও।
নিশানঃআবার নতুন করে শুরু করুন না?
লিজাঃ না ভাই ব্যবসা করতে পুঁজি লাগে অত পুঁজি এখন আমার নেই তাছাড়া একটা নতুন ব্যাবসা শুরু করেছি দেখি সেটা নিয়ে কিছু করতে পারি কি না।
নিশানঃ পুঁজির কথা ভাবছেন কেন আমি না আপনার বন্ধু? আমি আছি না?
লিজাঃ হ্যাঁ নিঃসন্দেহে আপনি আমার বন্ধু কিন্তু.........।
নিশানঃ অত কিন্তুর কি আছে ।কি ব্যাবসা করছেন এখন?
লিজাঃএকটা প্রকাশনী আছে।সেটাই এখন নাড়াচাড়া করছি দিনের অনেক্টা সময় সেখানে দিতে হয়।
নিশানঃ এটার পাশাপাশি তো ওটাও করতে পারেন?
লিজাঃ তা হয় তো পারি কিন্তু সময় কোথায়।
নিশানঃম্যাম আমি যদি আপনার শহরে কখনো আসি দেখা করবেন কি আপনার সাথে?
লিজাঃ উমম্মম্ম হতে পারে যদি দু’চার দিন আগে জানান।
নিশানঃThankyou mam.
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ০৬/১২/২০১৫ধন্যবাদ
-
দেবব্রত সান্যাল ০২/১২/২০১৫কথাটা কাছে আসা। আশা > Hope ?
একটি পুরুষ একটি মেয়ের সাথে কথা বলে তার কাম - বাসনা মিটানোর জন্য ? এই ভাবনা নিয়ে লিজা কি করে সমাজ সচেতন হবে ? খুব সার্বজনিক ভাবে বলা , যা সর্বদা সত্যি নয়।
বানান শুদ্ধ করুন।