এভাবেই কাছে আসা( জীবনের গল্প) পর্ব-১
এভাবেই কাছে আশা(গল্প) পর্ব-১
সেদিন ছিলো ২১ রমজান।ঘড়ির কাটায় প্রায় রাত বারটা।লিজা প্রকাশনীর কাজ নিয়ে একটু ব্যস্ত।রমজান মাস সাহরী খাবার একটা বিষয় থাকে ঘড়িতে যখন ১২টা বেজেই গেছে এখন বিছানায় গেলে আর জাগতে পারবে না তাই মনে মনে ভাবল এখন আর বিছানায় গিয়ে লাভ নেই ।একবারে সহরী খেয়েই বিছানায় যাব।জেগে থাকার জন্য facebook খোলা রাখে।একটা বইয়ের প্রুফ দেখছে মাঝে মাঝে আর মাঝে মাঝে facebook আড্ডা মারছে।লিজা একটা স্টাটাস দিয়েছে সেটা নিয়ে বেশ তর্ক-বিতর্কের ঝড় উঠেছে।সেই স্টাটাসে ছিলো নিশানের একটা কমেন্ট।বিতর্ক যখন তুমুল তখন নিশান প্রথম চ্যাটে ম্যাসেজ করে।নিশানের প্রথম ম্যাসেজ ছিলো-
নিশানঃআসসালামুআলাইকু।
লিজাঃ ওয়ালাইকুমআসসালাম।
নিশানঃ অনেক রাত হলো এখনও জেগে আছেন ম্যাম?
লিজাঃ এখন তো প্রায় রাত ১টা বাজতে গেলো মাত্র কিছুক্ষন বাদে সাহরী খেতে হবে তাই ভাবছি একবারে সাহরী খেয়েই ঘুমাব।
নিশানঃ জানেন ম্যাম আমার এতদিনে ধারণা ছিলো মেয়েদের ঘুম বেশি আপনাকে দেখে.........।
লিজাঃ আমাকে দেখে ধারণা পালটে গেলো আপনার তাই না?
নিশানঃ একদম ঠিক বলেছেন।তো এতো রাতে কি করছেন?
লিজাঃএই তো হালকা একটু কাজ ছিলো সেটা করছি আর জেগে থাকার জন্য ফেবু ওপেন রেখেছি। এখন আপনার সাথে আড্ডা দিচ্ছি।কিন্তু আপনি এখনও জেগে আছেন কেন?স্ত্রী কোথায়?
নিশানঃখেলা দেখছি ও আছে পাশে মরার মত ঘুমাচ্ছে।
লিজাঃ এই যে আমার সাথে আড্ডা দিচ্ছেন উনি দেখছেন না?
নিশানঃআর বলবেন না দেখা তো দূরে থাক আমি যে জেগে আছি সেটাই সে জানে না।
লিজাঃ ঘুমাবেন না?
নিশানঃভাবছি সাহরী খেয়ে একবারে বিছানায় যাব।এখন বিছানায় গেলে উঠতে ভিষণ আলস্য লাগবে।হয় তো জাগতেই পারব না।আপনার স্টাটাসটায় দেখছি তুমুল ঝড় বইছে।
লিজাঃ হুম,আসলে আমার স্টাটাস বোঝার মত ক্ষমতা সবার নেই।ওর অর্থ যদি কেউ তলিয়ে দেখত তবে আর..................।।
নিশানঃম্যাম ওদের হয়ে আমি ক্ষমা চাইছি।
লিজাঃছিঃ ছিঃ আপনি কেন ক্ষমা চাইবেন।সত্য কথা বলতে সবার সব ক্ষমতা থাকে না। আমার ও নেই।একটা ছেলে একটু বেশি বাড়াবাড়ি করছিল আমি তাকে আনফ্রেন্ড করে দিয়েছি।
নিশানঃ একটু সুযোগ দেওয়া উচিৎ ছিলো না কি?
লিজাঃ ওমন বাজে মানুষ আমার ফ্রেন্ড লিস্টে না থালাই ভালো।
নিশানঃ মনে হচ্ছে আপনি খুব জেদি।আমাকে না কখন...............
লিজাঃ আরে না না আপনাকে কেন আনফ্রেন্ড করতে যাব।যে ব্যক্তি সমাজ নিয়ে এতো কিছু ভাবে তাকে ...............
নিশানঃযাক বাবা বড্ড ভয় হচ্ছিলো।ভয়টা কেটে গেলো।তো ম্যাম পরে কথা বলবেন তো?
লিজাঃ জানিনা মিঃ।আজ তো সময় পাস করলাম।
নিশানঃ সে তো বুঝতেই পারছি।
লিজাঃ এই যাঃ ৩টা বেজে গেছে এখন রাখতে হবে মিঃ।
নিশানঃ ম্যাম আমার একটা নাম আছে। আমার নামটি বুঝি আপনার পছন্দ হয় নি?কি করব বলেন বাবা-মায়ের দেওয়া নাম।আচ্ছা ম্যাম নামটা যদি আপনার ভালো না লাগে তো আপনি একটা নাম দিন না আমায়।
লিজাঃনা না নাম কেন পছন্দ হবে না। খুব সুন্দর নাম আপনার নিশান।নিশান মানে তো পতাকা তাই না?
নিশানঃ একদম ঠিক বলেছেন।ম্যাম আপনি একটা নামে ডাকুন না আমায়।
লিজাঃআমি?
নিশানঃজ্বি।
লিজাঃকিন্তু কেন?
নিশানঃ ম্যাম আপনাকে আমার খুব ভালো লেগেছে।আপনার মত একটা মিষ্টি মেয়ে যদি তার পছন্দের কোনো নামে আমায় ডাকে তবে আমার জীবন ধন্য হবে।
লিজাঃ এই যে মিঃ নিশান এখন কি রাখবেন? নাকি এত রাত জেগে থেকে শেষ পর্যন্ত না খেয়েই রোজা রাখতে হবে?সেকি সাড়ে তিনটা বাজে!
নিশানঃসর্বনাশ সরি ম্যা্ম বাই। যেতে যেতে নিশান আবারও ম্যাসেজ করে-ম্যাম কাল কথা হবে তো?
লিজাঃ জানিনা।
নিশানঃ জানিনা বললে কি হবে?এখনো তো কেউ কারো কথা জানতেই পারলাম না?
লিজাঃ ফ্রেন্ড লিস্টে যখন আছেন তখন কোনো না কোনো দিন জানা যাবে।বাই ভালো থালবেন।
সেদিন ছিলো ২১ রমজান।ঘড়ির কাটায় প্রায় রাত বারটা।লিজা প্রকাশনীর কাজ নিয়ে একটু ব্যস্ত।রমজান মাস সাহরী খাবার একটা বিষয় থাকে ঘড়িতে যখন ১২টা বেজেই গেছে এখন বিছানায় গেলে আর জাগতে পারবে না তাই মনে মনে ভাবল এখন আর বিছানায় গিয়ে লাভ নেই ।একবারে সহরী খেয়েই বিছানায় যাব।জেগে থাকার জন্য facebook খোলা রাখে।একটা বইয়ের প্রুফ দেখছে মাঝে মাঝে আর মাঝে মাঝে facebook আড্ডা মারছে।লিজা একটা স্টাটাস দিয়েছে সেটা নিয়ে বেশ তর্ক-বিতর্কের ঝড় উঠেছে।সেই স্টাটাসে ছিলো নিশানের একটা কমেন্ট।বিতর্ক যখন তুমুল তখন নিশান প্রথম চ্যাটে ম্যাসেজ করে।নিশানের প্রথম ম্যাসেজ ছিলো-
নিশানঃআসসালামুআলাইকু।
লিজাঃ ওয়ালাইকুমআসসালাম।
নিশানঃ অনেক রাত হলো এখনও জেগে আছেন ম্যাম?
লিজাঃ এখন তো প্রায় রাত ১টা বাজতে গেলো মাত্র কিছুক্ষন বাদে সাহরী খেতে হবে তাই ভাবছি একবারে সাহরী খেয়েই ঘুমাব।
নিশানঃ জানেন ম্যাম আমার এতদিনে ধারণা ছিলো মেয়েদের ঘুম বেশি আপনাকে দেখে.........।
লিজাঃ আমাকে দেখে ধারণা পালটে গেলো আপনার তাই না?
নিশানঃ একদম ঠিক বলেছেন।তো এতো রাতে কি করছেন?
লিজাঃএই তো হালকা একটু কাজ ছিলো সেটা করছি আর জেগে থাকার জন্য ফেবু ওপেন রেখেছি। এখন আপনার সাথে আড্ডা দিচ্ছি।কিন্তু আপনি এখনও জেগে আছেন কেন?স্ত্রী কোথায়?
নিশানঃখেলা দেখছি ও আছে পাশে মরার মত ঘুমাচ্ছে।
লিজাঃ এই যে আমার সাথে আড্ডা দিচ্ছেন উনি দেখছেন না?
নিশানঃআর বলবেন না দেখা তো দূরে থাক আমি যে জেগে আছি সেটাই সে জানে না।
লিজাঃ ঘুমাবেন না?
নিশানঃভাবছি সাহরী খেয়ে একবারে বিছানায় যাব।এখন বিছানায় গেলে উঠতে ভিষণ আলস্য লাগবে।হয় তো জাগতেই পারব না।আপনার স্টাটাসটায় দেখছি তুমুল ঝড় বইছে।
লিজাঃ হুম,আসলে আমার স্টাটাস বোঝার মত ক্ষমতা সবার নেই।ওর অর্থ যদি কেউ তলিয়ে দেখত তবে আর..................।।
নিশানঃম্যাম ওদের হয়ে আমি ক্ষমা চাইছি।
লিজাঃছিঃ ছিঃ আপনি কেন ক্ষমা চাইবেন।সত্য কথা বলতে সবার সব ক্ষমতা থাকে না। আমার ও নেই।একটা ছেলে একটু বেশি বাড়াবাড়ি করছিল আমি তাকে আনফ্রেন্ড করে দিয়েছি।
নিশানঃ একটু সুযোগ দেওয়া উচিৎ ছিলো না কি?
লিজাঃ ওমন বাজে মানুষ আমার ফ্রেন্ড লিস্টে না থালাই ভালো।
নিশানঃ মনে হচ্ছে আপনি খুব জেদি।আমাকে না কখন...............
লিজাঃ আরে না না আপনাকে কেন আনফ্রেন্ড করতে যাব।যে ব্যক্তি সমাজ নিয়ে এতো কিছু ভাবে তাকে ...............
নিশানঃযাক বাবা বড্ড ভয় হচ্ছিলো।ভয়টা কেটে গেলো।তো ম্যাম পরে কথা বলবেন তো?
লিজাঃ জানিনা মিঃ।আজ তো সময় পাস করলাম।
নিশানঃ সে তো বুঝতেই পারছি।
লিজাঃ এই যাঃ ৩টা বেজে গেছে এখন রাখতে হবে মিঃ।
নিশানঃ ম্যাম আমার একটা নাম আছে। আমার নামটি বুঝি আপনার পছন্দ হয় নি?কি করব বলেন বাবা-মায়ের দেওয়া নাম।আচ্ছা ম্যাম নামটা যদি আপনার ভালো না লাগে তো আপনি একটা নাম দিন না আমায়।
লিজাঃনা না নাম কেন পছন্দ হবে না। খুব সুন্দর নাম আপনার নিশান।নিশান মানে তো পতাকা তাই না?
নিশানঃ একদম ঠিক বলেছেন।ম্যাম আপনি একটা নামে ডাকুন না আমায়।
লিজাঃআমি?
নিশানঃজ্বি।
লিজাঃকিন্তু কেন?
নিশানঃ ম্যাম আপনাকে আমার খুব ভালো লেগেছে।আপনার মত একটা মিষ্টি মেয়ে যদি তার পছন্দের কোনো নামে আমায় ডাকে তবে আমার জীবন ধন্য হবে।
লিজাঃ এই যে মিঃ নিশান এখন কি রাখবেন? নাকি এত রাত জেগে থেকে শেষ পর্যন্ত না খেয়েই রোজা রাখতে হবে?সেকি সাড়ে তিনটা বাজে!
নিশানঃসর্বনাশ সরি ম্যা্ম বাই। যেতে যেতে নিশান আবারও ম্যাসেজ করে-ম্যাম কাল কথা হবে তো?
লিজাঃ জানিনা।
নিশানঃ জানিনা বললে কি হবে?এখনো তো কেউ কারো কথা জানতেই পারলাম না?
লিজাঃ ফ্রেন্ড লিস্টে যখন আছেন তখন কোনো না কোনো দিন জানা যাবে।বাই ভালো থালবেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ০৭/১২/২০১৫খুব ভালো লাগল, কি সুন্দর দেখেন ! আগেকার দিনে, চিঠি নিয়ে সাহিত্য হতো, তারপর টেলিফোনে বার্তালাপ আর এখন ফেবু নিয়ে । দারুন !!!!!!!!!
-
জুনায়েদ বি রাহমান ০৬/১২/২০১৫ভালো হয়েছে।
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ০২/১২/২০১৫ধন্যবাদ কবি
-
দেবব্রত সান্যাল ০২/১২/২০১৫প্রথম শর্ত হলো শব্দ গুলো শুদ্ধ করে লিখবেন। একই শব্দের একাধিক বানান লিখেছেন। সাহরী / সহরী , ম্যাসেজ / ম্যসেজ ইত্যাদি। কোনো কোনো জায়গায় শব্দ পাল্টে গিয়েছে। প্রুভ > প্রুফ। পানে > মানে। মানে > নামে।