মায়ের কাছে চিঠি (অনু গল্প)
চিঠি লিখতে বসেছে আসলাম।
মায়ের কাছে পাঠাবে। অনেকদিন
হয়েছে মা কে চিঠি দেয়া হয়নি।
তাই লিখতে বসেছে।
প্রিয় মা
কেমন আছো? তোমার কথা খুব মনে
পড়ে। সেই যে চলে এলাম আর বাড়ি
ফিরতে পারলাম না। এখানে খুব
সাবধানে থাকতে হয়। চারিদিকে
অনেক বিপদ। যখন একটু অবসর পাই তখনি
তোমার কথা মনে হয়। তোমার হাতের
পিঠা খেতে খুব ইচ্ছা করে মা। মাঝে
মাঝে ইচ্ছা হয় লুকিয়ে এসে তোমাকে
একটু দেখে যাই আর তোমার হাতের
পিঠা খেয়ে যাই। তুমি কি মা এখনো
আমার জন্য রাত জেগে অপেক্ষা কর?
আমি কখন আসব, কখন ঘুমাতে যাব,
তোমার কোলে মাথা রাখব আর তুমি
আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিবে! আসব
মা একটু অপেক্ষা কর। আমার দায়িত্ত
টা শেষ করেই ফিরে আসব। আবার
তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাব,
তোমার হাতের পিঠা খাব আর বেশি
দিন লাগবেনা মা.........................
লেখা শেষ হবার আগেই গোলাগুলির
আওয়াজ শোনা গেল। চিঠি টা
পকেটে গুজে রাখল আসলাম। তার
সাথে ছিল রকিব ও আরো বেশ কয়েকজন
মুক্তিযোদ্ধা। রকিব কে আসলাম বলে
রাখল তার অবর্তমানে চিঠি টা যেন
সে মা কে পৌছে দেয়। রাইফেল
নিয়ে আসলামের নেতৃত্তে বেরিয়ে
পড়ল মুক্তিযোদ্ধারা। পাক হানাদার
বাহিনী চারিদিক থেকে ঘিরে
ফেলেছে ওদের আস্তানা। রাতের
অন্ধকারে যে যার মত পজিশন নিল
আসলাম ও বাকি যোদ্ধারা। শুরু হল তুমুল
যুদ্ধ। পাক হানাদারেরা সংখ্যায়
মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে দিগুন হলেও
মাতৃভুমির প্রতি ভালোবাসার
মনোবলে মুক্তিযোদ্ধারা ছিল প্রবল।
যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে যখন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় সুনিশ্চিত তখন
হঠাত একটি গুলি এসে আসলামের বুকে
লাগলো। মাটিতে লুটিয়ে পড়ল
আসলাম। বাংলার মাটি আসলামের
রক্তে রঞ্জিত হল একই সাথে লাল রং এ
রংগিন হল চিঠি। এক সময় পাক
হানাদার বাহিনী পরাজিত হল। ১৬ ই
ডিসেম্বর রচিত হল নতুন এক অধ্যায় যার
নাম বাংলাদেশ।
এক বুক সপ্ন নিয়ে ছেলের পথ পানে
চেয়ে থাকা মায়ের কাছে চিঠি টি
পৌছে দিল রকিব। হ্যা অবশেষে চিঠি
টি মায়ের কাছে পৌছাল। রক্তে
রঞ্জিত চিঠি টি মা পড়লেন এবং
কান্নায় বুক ভাসালেন। কারন একটাই
মা বুঝতে পেরেছেন ৩০ লক্ষ শহীদের
মধ্যে তার সন্তান আসলাম একজন।
মায়ের কাছে পাঠাবে। অনেকদিন
হয়েছে মা কে চিঠি দেয়া হয়নি।
তাই লিখতে বসেছে।
প্রিয় মা
কেমন আছো? তোমার কথা খুব মনে
পড়ে। সেই যে চলে এলাম আর বাড়ি
ফিরতে পারলাম না। এখানে খুব
সাবধানে থাকতে হয়। চারিদিকে
অনেক বিপদ। যখন একটু অবসর পাই তখনি
তোমার কথা মনে হয়। তোমার হাতের
পিঠা খেতে খুব ইচ্ছা করে মা। মাঝে
মাঝে ইচ্ছা হয় লুকিয়ে এসে তোমাকে
একটু দেখে যাই আর তোমার হাতের
পিঠা খেয়ে যাই। তুমি কি মা এখনো
আমার জন্য রাত জেগে অপেক্ষা কর?
আমি কখন আসব, কখন ঘুমাতে যাব,
তোমার কোলে মাথা রাখব আর তুমি
আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিবে! আসব
মা একটু অপেক্ষা কর। আমার দায়িত্ত
টা শেষ করেই ফিরে আসব। আবার
তোমার কোলে মাথা রেখে ঘুমাব,
তোমার হাতের পিঠা খাব আর বেশি
দিন লাগবেনা মা.........................
লেখা শেষ হবার আগেই গোলাগুলির
আওয়াজ শোনা গেল। চিঠি টা
পকেটে গুজে রাখল আসলাম। তার
সাথে ছিল রকিব ও আরো বেশ কয়েকজন
মুক্তিযোদ্ধা। রকিব কে আসলাম বলে
রাখল তার অবর্তমানে চিঠি টা যেন
সে মা কে পৌছে দেয়। রাইফেল
নিয়ে আসলামের নেতৃত্তে বেরিয়ে
পড়ল মুক্তিযোদ্ধারা। পাক হানাদার
বাহিনী চারিদিক থেকে ঘিরে
ফেলেছে ওদের আস্তানা। রাতের
অন্ধকারে যে যার মত পজিশন নিল
আসলাম ও বাকি যোদ্ধারা। শুরু হল তুমুল
যুদ্ধ। পাক হানাদারেরা সংখ্যায়
মুক্তিযোদ্ধাদের থেকে দিগুন হলেও
মাতৃভুমির প্রতি ভালোবাসার
মনোবলে মুক্তিযোদ্ধারা ছিল প্রবল।
যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে যখন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয় সুনিশ্চিত তখন
হঠাত একটি গুলি এসে আসলামের বুকে
লাগলো। মাটিতে লুটিয়ে পড়ল
আসলাম। বাংলার মাটি আসলামের
রক্তে রঞ্জিত হল একই সাথে লাল রং এ
রংগিন হল চিঠি। এক সময় পাক
হানাদার বাহিনী পরাজিত হল। ১৬ ই
ডিসেম্বর রচিত হল নতুন এক অধ্যায় যার
নাম বাংলাদেশ।
এক বুক সপ্ন নিয়ে ছেলের পথ পানে
চেয়ে থাকা মায়ের কাছে চিঠি টি
পৌছে দিল রকিব। হ্যা অবশেষে চিঠি
টি মায়ের কাছে পৌছাল। রক্তে
রঞ্জিত চিঠি টি মা পড়লেন এবং
কান্নায় বুক ভাসালেন। কারন একটাই
মা বুঝতে পেরেছেন ৩০ লক্ষ শহীদের
মধ্যে তার সন্তান আসলাম একজন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোবারক হোসেন ০৮/০৬/২০১৫মা মানেই শান্তি।ধন্যবাদ।
-
সাইদুর রহমান ১৪/০৫/২০১৫দারুণ চিঠি।