মানসী ১
ঈশা খাঁ রোডের ৭৮/৩৭ নম্বর বাড়িতেই অনেক দিন যাবত আমার মর্মস্পর্শী ও বেদনাদায়ক দিন কাটাচ্ছি। বহুদিন ধরে তোমার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। এমন কি, তোমার মত আপন মানুষদের সাথেও না। জানিনা তুমি কেমন আছো। আমিও সময় পাই না কোনদিকে যেতে। তবে এবার সময় পেলে তোমাদের বাড়িতে যাবই! বাড়ির অন্যান্যদের খবর কি?এদিকে আসবে কি? এলে যোগাযোগ করো, কেমন? উপরের ঠিকানায় আছি।
ওহ, ভালো কথা সেদিন তোমার সহোদরের সাথে দেখা হয়েছিল, ঢাবি ক্যাম্পাসের পাশে ঈশা খাঁ রোডের ফুথপাথে! প্রথমে তাকে আমি দেখিনি, সেই আমাকে পিছন থেকে ডাকদিল এবং জিজ্ঞাসা করল আরে শফি তুই! কোথায় যাচ্ছিস? তোমার ভাইকে দেখে প্রথমে তো আমি থতমত খেয়ে যাই আর উত্তরে বলি গিয়েছিলাম একটু ঢাবি ক্যাম্পাসে ভিতরে কলাভবনের চারতলায়, লোকপ্রশাসন বিভাগের একজন অধ্যাপকের কাছে। তিনি একটি নতুন বই প্রকাশ করবেন, আর বইয়ের বাংলা কম্পোজের দায়িত্ব দিয়েছেন আমার উপরে তাই উনার থেকে ড্রাফট কপিটা আনতে। বেশকিছুক্ষণ কথা হল ওর সাথে। বললাম বাড়ির সকলে কেমন আছে? যথাযত সকলের প্রশ্নের দিল। কিন্তু তোমার কথা জিজ্ঞাসা করতেই মুখখানা কেমন জানি মলিন হয়ে গেলো। কি বলব আর ওর কথা, কিছুদিনন হল বেচারীর বিয়ে হল। অথচ এই অল্প সময়েই দূরারোগ্যব্যাধিতে ভোগছে। বললাম, কি হয়েছে? উত্তরে বলল, ক্যান্সার। আবার প্রশ্ন ছুড়েদিলাম ওর দিকে কি ক্যান্সার? বলল, মাউথ ক্যান্সার। আর চিকিৎসা জন্য অনেক টাকা লাগে, টাকার অভাবে সুচিকিৎসা করতে পারছে না। যতটা না ভেঙে পড়েছি তোমার বিয়ের কথা শুনে তারচে' বেশি ভেঙে পড়েছি অসুখের কথা শুনে। আরও জিঞ্জাসা করলাম, এখন সে কেমন আছে। বলল খুব বেশি ভালো নেই। তোমার ভাইকে আমার বাসায় যাবার জন্যে বেশ পিড়াপিড়ি করলাম। কিন্তু অবশেষে গেলোই না। বলল চাকুরী ইন্টারভিউ দিতে এসেছি, পরে কথা হবে এখন চলি বলে বিদায় নিল আমার থেকে। আমি তার পিছনফিরে তাকিয়ে রইলা হতবাগ দৃষ্টিতে।
তারপর বাসায় চলে আসি। আর ভাবতে থাকি এ কি থেকে, কি হয়ে গেলো? এমনটি তো হবার কথাছিল না। একদিন তোমাকে নিয়ে কত স্বপ্ন বপন করেছিলাম। আমরা ঘর বাঁধব, সংসার পাতব, আমাদের পবিত্র মিলনে আসবে একটি কন্যা সন্তান! তুমি মা হবে, আর আমি ওর বাবা।
চলবে....
ওহ, ভালো কথা সেদিন তোমার সহোদরের সাথে দেখা হয়েছিল, ঢাবি ক্যাম্পাসের পাশে ঈশা খাঁ রোডের ফুথপাথে! প্রথমে তাকে আমি দেখিনি, সেই আমাকে পিছন থেকে ডাকদিল এবং জিজ্ঞাসা করল আরে শফি তুই! কোথায় যাচ্ছিস? তোমার ভাইকে দেখে প্রথমে তো আমি থতমত খেয়ে যাই আর উত্তরে বলি গিয়েছিলাম একটু ঢাবি ক্যাম্পাসে ভিতরে কলাভবনের চারতলায়, লোকপ্রশাসন বিভাগের একজন অধ্যাপকের কাছে। তিনি একটি নতুন বই প্রকাশ করবেন, আর বইয়ের বাংলা কম্পোজের দায়িত্ব দিয়েছেন আমার উপরে তাই উনার থেকে ড্রাফট কপিটা আনতে। বেশকিছুক্ষণ কথা হল ওর সাথে। বললাম বাড়ির সকলে কেমন আছে? যথাযত সকলের প্রশ্নের দিল। কিন্তু তোমার কথা জিজ্ঞাসা করতেই মুখখানা কেমন জানি মলিন হয়ে গেলো। কি বলব আর ওর কথা, কিছুদিনন হল বেচারীর বিয়ে হল। অথচ এই অল্প সময়েই দূরারোগ্যব্যাধিতে ভোগছে। বললাম, কি হয়েছে? উত্তরে বলল, ক্যান্সার। আবার প্রশ্ন ছুড়েদিলাম ওর দিকে কি ক্যান্সার? বলল, মাউথ ক্যান্সার। আর চিকিৎসা জন্য অনেক টাকা লাগে, টাকার অভাবে সুচিকিৎসা করতে পারছে না। যতটা না ভেঙে পড়েছি তোমার বিয়ের কথা শুনে তারচে' বেশি ভেঙে পড়েছি অসুখের কথা শুনে। আরও জিঞ্জাসা করলাম, এখন সে কেমন আছে। বলল খুব বেশি ভালো নেই। তোমার ভাইকে আমার বাসায় যাবার জন্যে বেশ পিড়াপিড়ি করলাম। কিন্তু অবশেষে গেলোই না। বলল চাকুরী ইন্টারভিউ দিতে এসেছি, পরে কথা হবে এখন চলি বলে বিদায় নিল আমার থেকে। আমি তার পিছনফিরে তাকিয়ে রইলা হতবাগ দৃষ্টিতে।
তারপর বাসায় চলে আসি। আর ভাবতে থাকি এ কি থেকে, কি হয়ে গেলো? এমনটি তো হবার কথাছিল না। একদিন তোমাকে নিয়ে কত স্বপ্ন বপন করেছিলাম। আমরা ঘর বাঁধব, সংসার পাতব, আমাদের পবিত্র মিলনে আসবে একটি কন্যা সন্তান! তুমি মা হবে, আর আমি ওর বাবা।
চলবে....
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।