পাশাপাশি
পাশাপাশি
---শফিকুল মুহাম্মদ ইসলাম
==================
যখন দুজনে পাশাপাশি থাকবার কথাছিল। তখনই ছিলাম না। আর এখন তো বড্ড দেরি হয়েছে গেছে। সেইসব কথা ভেবে আর কি লাভ? আট বছর পর হঠাৎ যখন একদিন তোমার সাথে দেখা হল! কোনো এক ক্যাম্পাসে, তোমাকে চিনতে, না চিনতেই চলে গেছো আগের দূরত্বে। যত সময় যায়, তত তোমার আমার দূরত্ব বাড়ে।
যত দূর দেখা গেলো তোমার পিছনফিরে থাকিয়ে রইলাম। অনুভব করলাম এই তুমি তো, সেই তুমি হবে। যাকে আমি উন্মাদের মত ভালোবাসতাম আর তুমি ভালোবাস আমাকে। কিন্তু একি হাল হল তোমার? খুব শুকিয়ে গেছো, চোখের নিচে কালী পড়ে গেছে, নিশাচর মানুষদের মত। বোধহয় তুমি কারো চেতনায় আজও রাত জাগো।
বিশ্বাস কর, তোমরে সাথে এভাবে দেখা হবে ভাবিনি। জানো, তোমাকে খুব মিস করি। তোমার মত কেউ হয় না কেনো? তুমি হয়তো সারাজীবন আমার কবিতার সাগরেই বয়ে যাবে। কোনোদিন আর পাশাপাশি মুখোমুখী হবে না। শুনেছি তুমি নাকি আজ বলে বেড়াও। আমি বেশ বদলে গেছি! তোমার কোনো খবরাখবর নেই না। আমিও শুনে বিষণ অবাক হলাম যে, তুমি কি করে এসব কথা ভাবতে পারো?
যে তুমি ছিলে আমার স্বতন্ত্র সত্ত্বায় প্রতিটি সূর্য্য জাগা ভোরের মত উজ্জ্বল-সমুজ্জ্বল! সে তোমাকে এত তাড়াতাড়ি কি করে ভুলে যাই বল? তুমিই তো এই থেমে- থেমে চলা মানুষটিকে গতিপথে সঞ্চারিত করেছিলে। চিনিয়ে ছিলে তার সুপ্ত প্রতিভাটুকুও। তারপর যে আমি তোমার না বলা কথাগুলো অকপটে বলে দিতে পারতাম। সেছিল তোমার প্রতি আমার বিশেষ এক অনুভূতি। আর তোমার প্রতি আমার সে অনুভূতিটুকুও কোনোদিন যেনো কমে না যায়। সেইসব কথা ভাবি আর থাকিয়ে থাকি দূর শূন্যতায়। ভাবতে-ভাবতে মনের অজান্তেই দুচোখের কোণে জল এসে যায়।
---শফিকুল মুহাম্মদ ইসলাম
==================
যখন দুজনে পাশাপাশি থাকবার কথাছিল। তখনই ছিলাম না। আর এখন তো বড্ড দেরি হয়েছে গেছে। সেইসব কথা ভেবে আর কি লাভ? আট বছর পর হঠাৎ যখন একদিন তোমার সাথে দেখা হল! কোনো এক ক্যাম্পাসে, তোমাকে চিনতে, না চিনতেই চলে গেছো আগের দূরত্বে। যত সময় যায়, তত তোমার আমার দূরত্ব বাড়ে।
যত দূর দেখা গেলো তোমার পিছনফিরে থাকিয়ে রইলাম। অনুভব করলাম এই তুমি তো, সেই তুমি হবে। যাকে আমি উন্মাদের মত ভালোবাসতাম আর তুমি ভালোবাস আমাকে। কিন্তু একি হাল হল তোমার? খুব শুকিয়ে গেছো, চোখের নিচে কালী পড়ে গেছে, নিশাচর মানুষদের মত। বোধহয় তুমি কারো চেতনায় আজও রাত জাগো।
বিশ্বাস কর, তোমরে সাথে এভাবে দেখা হবে ভাবিনি। জানো, তোমাকে খুব মিস করি। তোমার মত কেউ হয় না কেনো? তুমি হয়তো সারাজীবন আমার কবিতার সাগরেই বয়ে যাবে। কোনোদিন আর পাশাপাশি মুখোমুখী হবে না। শুনেছি তুমি নাকি আজ বলে বেড়াও। আমি বেশ বদলে গেছি! তোমার কোনো খবরাখবর নেই না। আমিও শুনে বিষণ অবাক হলাম যে, তুমি কি করে এসব কথা ভাবতে পারো?
যে তুমি ছিলে আমার স্বতন্ত্র সত্ত্বায় প্রতিটি সূর্য্য জাগা ভোরের মত উজ্জ্বল-সমুজ্জ্বল! সে তোমাকে এত তাড়াতাড়ি কি করে ভুলে যাই বল? তুমিই তো এই থেমে- থেমে চলা মানুষটিকে গতিপথে সঞ্চারিত করেছিলে। চিনিয়ে ছিলে তার সুপ্ত প্রতিভাটুকুও। তারপর যে আমি তোমার না বলা কথাগুলো অকপটে বলে দিতে পারতাম। সেছিল তোমার প্রতি আমার বিশেষ এক অনুভূতি। আর তোমার প্রতি আমার সে অনুভূতিটুকুও কোনোদিন যেনো কমে না যায়। সেইসব কথা ভাবি আর থাকিয়ে থাকি দূর শূন্যতায়। ভাবতে-ভাবতে মনের অজান্তেই দুচোখের কোণে জল এসে যায়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।